hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আশুরা করনীয় ও বর্জনীয়

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

১১
কাফেরদের সৎকর্ম সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
আশুরা সম্পর্কিত হাদীসসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইহুদীরা আশুরাতে যে সওম পালন করেছিল রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা সমর্থন করেছেন। তাদের মত আশুরার সওম পালনের প্রয়োজনীয়তা তিনি উপলদ্ধি করেছেন।

এ বিষয়টি দেখে অনেকে বলতে পারেন যে, কাফির ও মুশরিকরা নেক আমল করলে সম্ভবত তা কবুল করা হয়। রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদীদের সওম পালন করতে দেখে তাদের বলেননি যে, ‘‘তোমাদের এ নেক আমল কোন কাজে আসবে না।’’

আরো একটু এগিয়ে তারা বলতে পারেন ‘বিশ্বের সকল ধর্মই সঠিক ও অনুসরণীয়। যে কেহ একটি ধর্ম পালন করলেই হলো।’ এ ধরনের কথা ইদানীং বেশ শোনাও যায়।

আশুরার সওম পালন সম্পর্কিত এ সকল হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য এটা নয় যে, ইহুদী ধর্মের স্বীকৃতি দেয়া। প্রথমত উদ্দেশ্য ছিল ইহুদীদের কাছে ইসলামকে পরিচিত করা। ইহুদীরা নিজেদের আসমানী কিতাবের একমাত্র অনুসারী ভাবত ও অন্যান্যদের উম্মী বা মুর্খ মনে করত। আশুরার সওম পালন দ্বারা আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে এ পয়গাম দিলেন যে ইসলাম উম্মীদের ধর্ম নয়। বরং এটা আসমানী ধর্ম। এ ধর্মে মূছা আ. কে নবী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আর এ কারণে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আসার পর বাইতুল মুকাদ্দাসকে কিবলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তাই ইহুদী ধর্মকে স্বীকৃতি দেয়া নয় বরং তাদের থেকে ইসলাম ধর্মের স্বীকৃতি আদায় করা ছিল উদ্দেশ্য।

আমলের সওয়াব ও ফজীলত তখনই পাওয়া যাবে যখন আল্লাহর দ্বীনকে সন্তুষ্ট চিত্তে, নির্ভেজাল তাওহীদের আকীদায়, কোন রকম হ্রাস-বৃদ্ধি করা ব্যতীত পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করা হবে।

সহীহ শুদ্ধ ঈমান-আকীদাহ ব্যতীত যত পর্ব, অনুষ্ঠান ও নেক আমল করা হোক না কেন তা অবশ্যই বৃথা যাবে।

যেমন আল-কুরআনে এরশাদ হয়েছে

مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَنْ يَعْمُرُوا مَسَاجِدَ اللَّهِ شَاهِدِينَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالْكُفْرِ أُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ وَفِي النَّارِ هُمْ خَالِدُونَ ﴿17﴾ إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آَمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآَتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ ﴿18﴾ ( التوبة : 17-18)

‘‘মুশরিকরা যখন নিজেরাই নিজেদের কুফরী স্বীকার করে তখন তারা আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে- এমন হতে পারে না। তারা এমন যাদের সকল কর্ম ব্যর্থ। এবং তারা আগুনে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।

তারাইতো মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও পরকালে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।’’

সূরা তাওবাঃ ১৭,১৮

মসজিদ নির্মাণ ও আবাদ করার মত মহৎ কর্মও কোন কাজে আসবে না যদি পরিপূর্ণ ঈমান না থাকে।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের মুসলিম সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ইসলামের কিছু পর্ব, কতিপয় অনুষ্ঠান, কয়েকটি দিবস খুব জাঁকজমকের সাথে পালন করে কিন্তু ইসলামের অনেক কিছুর ধার ধারে না। ইসলামের কিছু অংশ গ্রহণ ও কিছু প্রত্যাখানের নাম কখনো ‘ইসলাম’ হতে পারে না। এটা হল অভিশপ্ত ইহুদীদের খাছলত।

যেমন আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেনঃ

أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ ﴿85﴾ ( البقرة : 85)

‘‘তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর আর কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে। তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে অনবহিত নয়।’’

সূরা আল-বাকারাঃ ৮৫

এমনি অবস্থা তাদেরও যারা রমজানের সওম পালন করে কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে না। অথবা ইসলাম ধর্মের পরোপকার ও মানুষের অধিকার রক্ষা বা জনকল্যানের বিষয়টি ভালভাবে গ্রহণ করেছে কিন্তু সালাত ও সওমকে নিষ্প্রোয়জন মনে করে। বা ইসলাম ও মুসলমানদের খুব খেদমত করে কিন্তু কাফিরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।

ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সকল ধর্মই রহিত হয়ে গেছে। সে সকল রহিত ধর্মানুযায়ী কোন আমলই আল্লাহ তায়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।

আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেনঃ

وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآَخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ ﴿85﴾ سورة آل عمران : 85

‘‘কেহ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।’’

সূরা বাকারাহঃ ৮৫

ধর্ম পালনের উদ্দেশ্য হল আল্লাহ রববুল আলামীনের বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে দুনিয়াতে কলুষতামুক্ত পবিত্র জীবন যাপন করা ও পরকালে চিরস্থায়ী শান্তিময় জীবন অর্জন করা।

যদি কাফিররা কোন ভাল কাজ করে তবে আল্লাহ দুনিয়াতে তাদেরকে এর বিনিময় দিতে পারেন কিন্তু আখিরাতে তাদের নসীবে আগুন ছাড়া আর কিছু থাকবে না।

হাদীসে এসেছে

عن أنس رضى الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : إن الكافر إذا عمل حسنة، أطعم بها طعمة من الدنيا، وأما المؤمن فإن الله تعالى يدخر له حسناته في الآخرة، يعقبه رزقا في الدنيا على طاعته

وفي رواية : إن الله لا يظلم مؤمنا حسنة، يعطى بها في الدنيا ويجزى بها في الآخرة، وأما الكافر فيعطهم بحسنات ما عمل لله تعالى في الدنيا، حتى إذا أفضى إلى الآخرة لم يكن له حسنة يجزى بها . رواه مسلم

আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘‘কাফির ব্যক্তি যখন কোন ভাল কাজ করে আল্লাহ তায়ালা তার বিনিময়ে দুনিয়াতে সামান্য জীবিকা দান করেন। আর মুমিন ব্যক্তির বিষয় অন্য রকম ; আল্লাহ তায়ালা তার ভাল কাজের প্রতিদান আখিরাতের জন্য রেখে দেন এবং দুনিয়াতেও তার আনুগত্য অনুযায়ী জীবনোপকরণ দিয়ে থাকেন।’’

হাদীসের অন্য এক বর্ণনায় আছে ‘‘আল্লাহ ভাল কাজের ক্ষেত্রে কোন মুমিন ব্যক্তির উপর জুলুম করেন না। তিনি এর বিনিময় দুনিয়াতে দিয়ে থাকেন এবং আখিরাতেও। কিন্তু কাফির ; সে আল্লাহর উদ্দেশ্যে যে সকল ভাল কাজ করবে আল্লাহ তার বিনিময়ে দুনিয়ার উপকরণ দিবেন। যখন সে পরকালে উপস্থিত হবে তখন তার ভাগ্যে কোন ভাল কাজের প্রতিদান থাকবে না।’’

বর্ণনায়ঃ মুসলিম

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন