hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আশুরা করনীয় ও বর্জনীয়

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

১২
বর্তমান সময়ের ইহুদী খৃষ্টানরা কী আশুরা পালন করে
হাদীসে এসেছেঃ

عن ابن عباس رضى الله عنهما أنه قال : حين صام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم عاشوراء وأمر بصيامه، قالوا يارسول الله ! إنه يوم تعظمه اليهود والنصارى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : فإذا كان عام المقبل إن شاء الله صمنا اليوم التاسع، قال : فلم يأت العام المقبل حتى توفى رسول الله صلى الله عليه وسلم . رواه مسلم

ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেনঃ ‘‘রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আশুরার দিনে নিজে সওম পালন করলেন ও অন্যদের সওম পালন করতে বললেন। তখন সাহাবাগন বললেনঃ ‘‘হে আল্লাহর রসূল! এটা তো এমন একটা দিন যা ইহুদী ও খৃষ্টানেরা সম্মান করে থাকে।’’ রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথা শুনে বললেনঃ ‘‘ ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আমরা নবম তারিখে সওম পালন করব।’’ ইবনে আববাস রা. বলেনঃ‘‘ আগামী বছর আসার পূর্বে তিনি ইন্তেকাল করলেন।’’

বর্ণনায়ঃ মুসলিম

এ হাদীস দ্বারা কয়েকটি বিষয় বুঝে আসে। তার মধ্যে একটি হলঃ রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকালের পূর্বের বছরও আশুরার সওম পালন করেছেন ও অন্যকে পালন করতে বলেছেন।

আরেকটি বিষয় হল আশুরার এ দিনটিকে ইহুদী ও খৃষ্টানরা উদযাপন করত বলে সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রসূলের কাছে তথ্য প্রকাশ করলেন।

ইহুদী-খৃষ্টানরা এ দিনকে সম্মান করবে। এটা যুক্তি সংগত। কারণ মুছা আ. কে ইহুদীরা নবী ও ত্রাণকর্তা হিসেবে জানে এবং খৃষ্টানরাও তাকে নবী বলে জানে। এ দিনেই তো দীর্ঘ সংগ্রামের পর তিনি ফেরআউনের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলেন।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়,হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় ইহুদী-খৃষ্টানেরা এ দিনকে সম্মানের সাথে উদযাপন করে অথচ বর্তমানে আমরা তাদের এ দিন উদযাপন করতে দেখি না।

সুপ্রিয় পাঠক!

ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে মদীনা ও খায়বরের ইহুদীদের মধ্যে আশুরা সম্পর্কে আচার-অনুষ্ঠানের ভিন্নতা ছিল। মদীনার ইহুদীরা আশুরাতে সওম পালন করত। আর খায়বরের ইহুদীরা এর সাথে আনন্দ উৎসব করত। অথচ তাদের মধ্যে আঞ্চলিক দূরত্ব ছিল মাত্র সত্তর মাইল। এ সত্তর মাইলের ব্যবধানে তাদের ধর্মীয় আচারে ব্যবধান তৈরী হয়ে গেছে। সময় ও কালের হিসেবে বর্তমান যুগের ইহুদীদের তাদের থেকে ব্যবধান তো অনেক বেশী। তাই তারা যদি আশুরাকে ভুলে যায় তাতে আমাদের ক্ষতি নেই। তাদের জন্য এটাই স্বাভাবিক। তারা নিজেদের ধর্মীয় বিধি-বিধান পালনে কখনো আন্তরিক ছিল না। না তাদের ধর্মীয় নেতারা, না তাদের রাজনৈতিক নেতারা। নিজেদের ধর্মের বিধি-বিধানের বিরোধীতায় লিপ্ত তাদের মত জাতি পৃথিবীতে দ্বিতীয় একটি পাওয়া যাবে না। তারা ধর্মের ব্যাপারে সর্বদা আম্বিয়া আলাইহিস্সালামের সাথে বিরোধীতায় জড়িয়ে পড়েছে। নবীদের হত্যা করেছে। সৃষ্টিকর্তা মহান রববুল আলামীনকে পর্যন্ত গালি দিতে কসূর করেনি। কখনো বলেছে আল্লাহ কৃপণ। আবার কখনো বলেছে আল্লাহ ফকীর আর আমরা ধনী। ধর্মীয় বিধানের সাথে বিদ্রুপ করে তা ঔদ্ধত্যের সাথে প্রত্যাখ্যান করেছে। করবে না কেন? এত কিছু করার পর তারা ইহুদীই থেকে গেছে। তারা মনে করে তাদের ধর্ম এমন আদর্শিক কোন বিষয় নয় যা কেহ পালন করলে তাদের মত ইহুদী হয়ে যাবে। বরং ইহুদীবাদ শুধু বংশ ও বর্ণের নাম। যারা এ বংশে জন্ম নিবে তারাই ইহুদী। সে নবীদের সম্পর্কে জানুক বা না জানুক, তাদের মান্য করুক বা অমান্য। এতে তাদের কিছু যায় আসে না। আর এ কারণে অন্য কোন মানুষ ইহুদী ধর্মে প্রবেশ করতে পারে না। কারণ যে বর্ণের দিক দিয়ে ইহুদী নয় সে ইহুদী হওয়ার কল্পনা করতে পারে না। নিজ ধর্মের সাথে তারা যে কত বে-ঈমানী করেছে তার বর্ণনা আল-কুরআনের বহু স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর তারা যে সকল অঞ্চলে গেছে, সে সকল স্থানের জীবন-ধারা গ্রহণ করেছে। অন্যদের আচার-ব্যবহারকে নিজেদের আচারে পরিণত করেছে। এ ক্ষেত্রে তাদের ধর্ম কি বলে, তার প্রতি তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না। তারা মূছা আ. এর সাথে থাকা অবস্থায় এক লোককে দেখেছিল মাটির মুর্তি বানিয়ে তাকে সিজদা করতে। এ দেখে তারা মূছা আ. কে বললঃ ‘‘ তাদের যেমন উপাস্য আছে আমাদের জন্যেও এমন একটা নির্ধারণ করে দাও।’’

তারা হাজার হাজার বছর ধরে যাযাবরের মত দেশে দেশে ঘুর বেড়িয়েছে। সে সকল দেশের মানুষের করুণা লাভের জন্য তারা নিজ ধর্মের সব কিছু ত্যাগ করে অন্যান্য পৌত্তলিক জাতির সাংস্কৃতি গ্রহণ করেছে। এইতো প্রায় তিন বছর পূর্বে কয়েকজন ইসরাইলী এসেছিল ভারতে হিন্দুদের কূম্ভ মেলা দেখার জন্য। সাগর তীরের সে মেলায় হিন্দু নারী-পুরুষ সকলে সমুদ্রে নেমে একত্রে গোসল করে আনন্দ -ফুর্তি করে থাকে। এ ইহুদীরা এটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়। দেশে গিয়ে ভূমধ্যসাগর তীরে হিন্দুদের কুম্ভ মেলার অনুরূপ বুম্ভ মেলা চালু করে।

(দৈনিক যুগান্তর ২৪ এপ্রিল২০০১)

প্রতি ডিসেম্বর মাসে ইহুদীরা আট দিন ব্যাপী হানুকা নামে একটি উৎসব পালন করে। তার অপর নাম ফেস্টিবল অফ লাইটস বা আলোক উৎসব। আমার ধারণা এটা তারা হিন্দুদের আলোর উৎসব (দিপাবলী) অনুকরণে গ্রহণ করেছে। কারণ একটা আসমানী ধর্মে আলো বা আগুনের পূজা বৈধ হতে পারেনা।

এভাবে তারা যুগে যুগে অন্যদের সাংস্কৃতি আচার-আচরণ গ্রহণ করে নিজেদের ধর্মীয় আচার-আচারণ ভুলে গিয়েছে।

ইহুদী খৃষ্টানগন তাদের ধর্মগ্রন্থ অনুসরণ করে না। অনুসরণ করে তাদের সাধু-পাদ্রী পুরোহিতদের কথা। আল-কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা যখন তাদের সম্পর্কে বললেনঃ

اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ سورة التوبة : 31

‘‘ তারা তাদের পুরোহিত ও পাদ্রীদের প্রভূ রূপে গ্রহণ করেছে।’’

সূরা তাওবাঃ ৩১

তখন ইহুদীরা রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এসে বলল যে, আমরা তো কোন পাদ্রী-পুরোহিতকে প্রভূ বলে মানি না।

রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বললেনঃ ‘‘আচ্ছা তারা যদি কোন বস্ত্তকে হারাম (অবৈধ) বলে তোমরা কি তা হারাম বলে মেনে নাও না ? তারা কোন বস্ত্তকে হালাল (বৈধ) বললে তোমরা কি তা হালাল বলে মেনে নাও না? ’’

তারা বলল ‘‘হ্যাঁ’’। রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন এটাই হল তাদের প্রভূ বলে স্বীকার করা।

এমনিভাবে খৃষ্টানেরা তাদের ধর্মের নীতি আদর্শ ও বিধি-বিধান ধরে রাখতে পারেনি।

আজকে আমরা যে খৃষ্টান ধর্ম দেখতে পাই তার সুত্রপাত ৩২৫ খৃষ্টাব্দে সম্রাট কন্সট্যান্টি কর্তৃক রোমে খৃষ্টান ধর্মকে রাজ-ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করার ফলাফল। তিনি ছিলেন পৌত্তলিক (মুশরিক) তিনি জীবনে শেষ বয়সে নিরূপায় হয়ে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। এবং রাজনৈতিক কারণে তখনকার পৌত্তলিক ধর্ম ও খৃষ্টান ধর্মের সংমিশ্রন ঘটান। এবং পূর্ববর্তী বাইবেল (মূলত GNOSTIC BABLE ) কে নিষিদ্ধ করেন।

একই ভাবে এ সময়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে যিশুখৃষ্টকে ঈশ্বর বানানো হয়। এ ভাবেই যীশুর একত্ববাদ ত্রিত্ববাদে পরিণত হয়।এর আগে তাকে সাধারণ নবী বা প্রফেট হিসেবেই দেখা হত।

(সূত্রঃ ইসলাম দি অল্টারনেটিভ : মুরাদ হফম্যান )

ও (সাপ্তাহিক যায় যায় দিন, ২৬ শে জুলাই ২০০৫)

যারা নিজেদের ধর্মকে ধরে রাখতে পারেনি। ইছা আ. চলে যাবার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে ধর্ম আমূল পরিবর্তন করে ফেলল। নিজেদের নবীর জীবনীটা সংরক্ষন করতে পারেনি। এ কাজে সামান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বা আন্তরিক ইচ্ছা তাদের ছিল না। একজন মানুষকে ঈশ্বর বানিয়ে পুজা করতে আরম্ভ করল। যাদের ঐশী ধর্মের সংস্কারক হল একজন ভ্রান্ত পেগান (মুশরিক) সম্রাট। সে ধর্মের লোকেরা কিভাবে আশুরা ও তার শিক্ষা ধরে রাখতে পারে?

অন্যদিকে ইসলাম অনুসারীগণ আশুরাসহ সকল ধর্মীয় পর্ব পালন করেন চন্দ্র মাস হিসেবে অথচ ইহুদী ও খৃষ্টানেরা কখনো চন্দ্র মাস অনুযায়ী কোন পর্ব পালন করে না।

এখানেও তারা পৌত্তলিক সাংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হয়েছে। তারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন তারা ব্যর্থ হয়েছে সপ্তাহের পবিত্র দিনটি বেছে নিতে।

হাদীসে এসেছেঃ

عن أبي هريرة رضى الله عنه : أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : نحن الآخرون الأولون يوم القيامة، ونحن أول من يدخل الجنة، بيد أنهم أوتوا الكتاب من قبلنا، وأوتيناه من بعدهم، فاختلفوا فهدانا الله لما اختلفوا فيه من الحق، فهذا يومهم الذي اختلفوا فيه هدانا الله له ( قال : يوم الجمعة ) فالناس لنا فيه تبع : فاليوم لنا، وغدا لليهود، وبعد غد للنصارى . رواه البخاري و مسلم واللفظ لمسلم

আবু হুরাইরাহ রা. কর্তৃক বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘‘ আমরা সর্বশেষ উম্মত, কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। আমরাই প্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করব। যদিও সকল উম্মতকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আর আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে সকলের শেষে। এরপর যে দিনটি আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সে দিন সম্পর্কে তিনি আমাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ( অর্থাৎ শুক্রবার) সে দিনের ব্যাপারে অন্যরা আমাদের পিছনে রয়েছে। ইহুদীরা আমাদের পরের দিন। এবং খৃষ্টানরা তারও পরের দিন।

বর্ণনায়ঃ বুখারী ও মুসলিম

এমনিভাবে ইহুদী ও খৃষ্টানরা ধর্মীয় বিষয়ে চন্দ্র বছর অনুসরণ না করে সৌরবর্ষ অনুসরণ করে থাকে, এ ক্ষেত্রেও তারা বিভ্রান্ত হয়েছে। যেমন বিভ্রান্ত হয়েছে সাপ্তাহিক দিন নির্ধারণে। কিয়ামতে তারা মুসলিমদের পিছনে পরে থাকবে, যেমন তারা সাপ্তাহিক দিন উদযাপনের ক্ষেত্রে পিছনে পড়ে গেছে।

আমরা এটাও বলতে পারি, হাদীসে যে সকল ইহুদীদের আশুরার সওম পালনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা হল মদীনায় বসবাসরত ইহুদী। হাদীসে এ কথা বলা হয়নি যে আশুরার দিনে বিশ্বের সকল ইহুদী সওম পালন করত।

অতএব আজকের এ যুগে যদি ইহুদী ও খৃষ্টানরা আশুরা পালন না করে তাতে আমাদের নবী মুহাম্মদ (সললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসটি সত্য হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রশ্ন আসতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন