hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আশুরা করনীয় ও বর্জনীয়

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

১৬
আল্লাহ রাববুল আলামীনের ইবাদত সবচেয়ে বড় শোকর
ফেরআউনের কবল থেকে মুছা আ. ও তার জাতির মুক্তি ছিল আল্লাহ তাআ’লার এক বড় নেয়ামত।

এ মুক্তির পর তিনি সওম পালন করে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করার প্রয়াস পেয়েছেন। কেননা নেক আমল হল আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ের বড় মাধ্যম।

যেমন আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেনঃ

اعْمَلُوا آَلَ دَاوُودَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ . سورة سبأ : 13

‘‘হে দউদ পরিবার! শুকরিয়া হিসেবে তোমরা নেক আমল করতে থাক। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই শুকরিয়া আদায়কারী রয়েছে।’’

সূরা সাবা: ১৩

শুকরিয়া আদায়ের অর্থ হল যে অনুগ্রহ করেছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

পাঁচটি বিষয়ের উপর আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত।

সে গুলো হলঃ

এক. নেয়ামত দাতা আল্লাহর প্রতি বিনয়বনত হওয়া।

দুই. নেয়ামত দাতা আল্লাহকে মহববত করা।

তিন. নেয়ামতকে মনে প্রাণে গ্রহণ ও স্বীকার করা।

চার. মুখ দ্বারা নেয়ামত দাতা আল্লাহর প্রশংসা করা।

পাঁচ. নেয়ামতকে নেয়ামত দানকারী আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে ব্যবহার না করা বরং তাঁর সন্তুষ্টির পথে তা ব্যয় করা।

(মাদারেজুস সালেকীন)

এর যে কোন একটি পাওয়া না গেলে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় হবে না।

একটি বিষয় সতর্ক করা জরুরী মনে করছি। তা হলঃ ইবাদত সম্পূর্ন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের উপর নির্ভরশীল। আল্লাহ ও তাঁর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেছেন তা অনুসরণ করা ও যা থেকে নিষেধ করেছেন তা বর্জন করাই হল ইবাদতের মূলকথা। তাই নতুন কোন ইবাদতের পদ্ধতি প্রচলন করার কোন অবকাশ নেই কোন ভাবেই। যদি কেহ করে তা বিদআ‘ত বলে গণ্য হবে। তাই আশুরার সাথে এমন কোন ইবাদত খাছ করা জায়েয নেই যা আল্লাহর রসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাছ করেননি।

আম্বিয়া আলাইহিমুসসালাম ইবাদতের যে সকল পদ্ধতি চালু করে গেছেন তার উপর কায়েম থাকা, সেগুলোকে ধর্মের জন্য যথেষ্ট মনে করা, তা যথাযথভাবে অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হল বাস্তবিক পক্ষে শুকরিয়া আদায় করা। এ ছাড়া ধর্মে নতুন কোন পদ্ধতি চালু করা বিদআ‘ত। যা প্রত্যাখ্যান করা একান্ত কর্তব্য। নবী-রাসূলদের মহববতে তা তাদের সম্মানার্থে এমন কিছু করা যাবে না যা তাদের দ্বারা অনুমোদিত নয়। তাদের সম্মান ও মহববতে নিজেদের পক্ষে কোন পদ্ধতি উদ্ভাবন যদি জায়েয হত তাহলে খৃষ্টানরা যে ইছা আ. কে মহববত করে আল্লাহর পুত্র বলে থাকে, তা শিরক হতো না। আল্লাহর এক নবীকে নিজেদের মনগড়া বিদআ‘তী পদ্ধতিতে সম্মান ও মহববত করতে যেয়ে তারা কাফের ও মুশরিকদের খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে।

মূল কথা হলঃ ইবাদত ; আনুগত্য ও অনুসরণের নাম। দ্বীনের মধ্যে ইবাদত হিসেবে নতুন কোন পদ্ধতির প্রবর্তন কখনো ইবাদত বা নেক আমল বলে গণ্য হবে না। হয়ত তা কূফর নয়তো শিরক না হয় বিদআ‘ত বলে প্রত্যাখ্যাত হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন