hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আশুরা করনীয় ও বর্জনীয়

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

১৫
সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গ
এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা অপ্রাষঙ্গিক হবে বলে মনে করি না। তা হল: আজকাল মুসলিম উম্মাহর অনেক বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও পন্ডিত সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী সহ সকল ইসলামী পর্ব অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মতামত দিয়ে আসছেন। অনেকে এ দেশে বসে সৌদী আরবের সাথে রমজান, ঈদ, কুরবানী পালন করে থাকেন। তাদের খেদমতে আমরা সবিনয়ে সংক্ষেপে কয়েকটি কথা পেশ করতে পারি।

এক. আল-কুরআনের সূরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে ‘‘লোকে তোমাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল সেটা মানুষ ও হজ্বের জন্য সময় নির্দেশক।’’

এবং সূরা ইউনূসের পঞ্চম আয়াতে ইরশাদ হয়েছে ‘‘এবং তিনি চাঁদের জন্য মনযিল নির্দিষ্ট করেছেন, যাতে তোমরা সন গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পার।’’

এ দু আয়াত দ্বারা বুঝে আসে বিশেষ করে ধর্মীয় পর্বাদিতে চন্দ্র মাস হিসেব করে, সে অনুযায়ী অনুষ্ঠানাদি পালন করা হল সঠিক কাজ। আল্লাহ রাববুল আলামীন এটাই চান।

দুই. দেশ ও ভৌগলিক অবস্থানের বিভিন্নতার কারণে চন্দ্রের উদয়স্থল বিভিন্ন হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট স্থানের অধিবাসীরা এ বিভিন্নতা মেনে নিয়ে তাদের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ধর্মীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। এটা যেমন যুক্তিগ্রাহ্য, তেমনি বহু সংখ্যক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

তিন. সৌরসন অনুযায়ী ধর্মীয় উৎসবাদি পালন করা মুশরিক ও মুশরিকদের দ্বারা প্রভাবিত ইহুদী খৃষ্টানদের রীতি। মুসলিমদের রীতি হল সম্পূর্ণ সতন্ত্র। তারা প্রত্যাহিক ইবাদত বন্দেগী সৌর সময় অনুযায়ী করে থাকেন স্থানীয় সময় অনুসরণ করে। আর মাসিক ও বার্ষিক পর্বগুলো চন্দ্র মাস হিসেবে পালন করেন। বলা যায় এ বিষয়ে উম্মতের ইজমা (ঐকমত্য) হয়ে গেছে।

চার. একই দিনে ঈদ ও কুরবানী সহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবাদি পালন করতে চাওয়ার মনোভাব যদি এ কারণে হয় যে, ইহুদী, কৃশ্চিয়ান ও অন্যান্য ধর্মানুসারীরা একই দিনে সারা বিশ্বে তাদের উৎসবাদি পালন করে থাকে আমাদেরও সে রকম করা উচিত, তাহলে ব্যাপারটি হবে খূবই দুঃখ জনক। তবে কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, আমাদের শ্রদ্ধেয় ইসলামী চিন্তাবিদদের উদ্দেশ্য এটা নয় মোটেই।

পাঁচ. সৌরসন হিসেবে দিন গণনার ব্যাপারে আমরা যখন ভৌগলিক ভিন্নতা স্বীকার করে নিয়ে সে অনুযায়ী সালাত আদায় করে থাকি; যখন সৌদী আরবে ফজরের সালাত পড়া হয় আমরা তখন ফজর পড়ি না, যখন সেখানে জোহর আদায় করা হয় আমরা তখন তা আদায় করি না। এভাবে যখন সেখানে ঈদ পালন করা হবে আমরা তখন পালন করব না। এটা যেমন যুক্তি সংগত, তেমনি বাস্তব। যখন আমরা সূর্যের উদয়-অস্তের তারতম্য মেনে নিয়ে সে অনুযায়ী আমল করি তাহলে চন্দ্র মাসের বিভিন্নতা মেনে নিয়ে আমল করলে অযৌক্তিক হবে কেন? যখন এ ব্যাপারে চন্দ্র মাসই হল ইসলামী অনুষ্ঠানাদির অনুসরণযোগ্য ও মুল তারিখ।

ছয়. ইসলাম সকল যুগের মানুষের জন্য যেমন মান্য করা সহজ। তেমনি তার পর্বগুলোর হিসেব রাখা সকলের আয়ত্বের মধ্যে থাকবে। এটা যেমন সে যুগের জন্য প্রযোজ্য, যে যুগে এক শহরের খবর অন্য শহরে পৌছতে কয়েকদিন লেগে যেত। তেমনি এ যুগের জন্যও প্রযোজ্য, যে যুগে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নতির কারণে এক প্রত্যন্ত গ্রামের খবর এক মুহুর্তের মধ্যে সাড়া বিশ্বে পৌছে যায়। সর্বাধুনিক সুবিধার অধিকারী এক শহরবাসী যেমন ইসলামী পর্ব সম্পর্কে জানতে পারে তেমনি বিজন দ্বীপে কিংবা গভীর সমুদ্রে বা নির্জন জঙ্গলে অবস্থানরত একজন মানুষ যেন ইসলামী পর্বের হিসেব নিজেই রাখতে পারে সে ব্যবস্থা ইসলামের মত সার্বজনীন ও শাশ্বত ধর্মই করেছে। আর তা হল চন্দ্র দেখে মাস ও বছরের পর্বগুলোর হিসাব করতে সক্ষম হওয়া।

সাত. লক্ষ করা যাচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে একটি মারাত্মক বিতর্ক ও হানাহানির পরিবেশ তৈরী হতে যাচ্ছে। অনেক স্থানে একদিন বা দুদিন আগে ঈদ পালন করার ফলে ইসলামী ঈদের বাণী সংহতি, সম্প্রতির ও সৌহার্দের পরিবর্তে ঝগড়া-ফাসাদ ও মারামারির পরিবেশ তৈরী করছে। সাড়াবিশ্বে একটি প্রতীকী সংহতি সৃষ্টির উদ্দেশে একটি সত্যিকার বিভেদ-বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে সাড়াবিশ্বে একই দিনে ঈদ উদযাপন করার প্রস্তাবের পক্ষে কখনো ঐকমত্য সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় বিষয়টি সম্পূর্ণ কুরআন ও সুন্নাহর কাছে সমর্পন করা নিরাপদ। তাই সহীহ হাদীস মোতাবেক চন্দ্রের উদয়-অস্তের ভিন্নতা মেনে নিয়ে স্থানীয় তারিখ অনুযায়ী ইসলামী পর্বাদি পালন অধিকতর সঠিক বলে মনে হয়।

একই দিনে রমজান, ঈদ পালন করা মানে ইসলামী পর্ব পালনে পরোক্ষভাবে সৌরবছর অনুসরণ করা। অর্থাত সৌদী আরবে যে দিনে ঈদ পালিত হবে আমরা সে দিনে ঈদ পালন করবো কিসের ভিত্তিতে? অবশ্যই সৌর হিসেবের ভিত্তিতে। সৌর তারিখ হিসেবে সেদিন দু দেশে একদিন হয় বটে চন্দ্রের হিসেবে তো দু দেশে এক দিন নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন