HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ

১০
গবেষণা ও জ্ঞান অর্জনের দিকে আহ্বান
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ওহীর মাধ্যমে বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগানো, সৃষ্টির রহস্য উদঘাটন ও জ্ঞান অর্জনের দিকে আহ্বান করেছেন এবং এগুলোকে ঐসব আমলের মধ্যে পরিগণিত করেছেন, যেগুলোর উপর মানুষকে সাওয়াব দেয়া হয়; অথচ অন্যান্য সভ্যতায় পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ ও গবেষকগণকে যুলুম-নিপীড়ন, অবিশ্বাসী ও ধর্মত্যাগী হওয়ার মত অপবাদ সহ্য করতে হয়েছে; আর তাদেরকে কারাগারে নিক্ষেপ ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে ভীতিপ্রদর্শন করানো হচ্ছিল, আবার কখনও কখনও হত্যা পর্যন্ত গড়িয়েছিল।

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সর্বপ্রথম নাযিলকৃত আয়াত ছিল আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ ﴾ [ سُورَةُ العلق : 1 ]

“পাঠ কর তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।” - (সূরা আল-‘আলাক: ১ ); আর অনুরূপভাবে তাঁর নিকট প্রেরিত ওহীর অন্তর্ভুক্ত ছিল আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿أَمَّنۡ هُوَ قَٰنِتٌ ءَانَآءَ ٱلَّيۡلِ سَاجِدٗا وَقَآئِمٗا يَحۡذَرُ ٱلۡأٓخِرَةَ وَيَرۡجُواْ رَحۡمَةَ رَبِّهِۦۗ قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَۗ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ٩ ﴾ [ سُورَةُ الزُّمَرِ : 9 ]

“যে ব্যক্তি রাতের বিভিন্ন সময়ে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে তা করে না? বল, ‘যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান’? বোধশক্তি সম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে।” - (সূরা আয-যুমার: ৯ ); আর আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ١١﴾ [ سُورَةُ المجادلة : 11 ]

“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন; তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।” - (সূরা আল-মুজাদালা: ১১)।

আর এর চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে বলা যায়, যে কিতাবটি নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ওহী হিসেবে পাঠানো হয়েছে, তা অনেক জ্ঞানগত ইঙ্গিতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যাকে তার মু‘জিযার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়; কারণ, তাঁর নিকট থেকে বিজ্ঞানময় বাস্তবসত্য নিয়ে আল-কুরআনের যেসব আয়াত এসেছে, তা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নিজস্ব রচনা হওয়া কখনও সম্ভব ছিল না; কারণ তিনি ছিলেন নিরক্ষর, পড়তেও পারতেন না এবং লিখতেও জানতেন না; যেমনিভাবে তাঁর সময়কালে এমন কেউ ছিল না, যে এসব বিজ্ঞানময় বাস্তব সত্য বিষয়গুলো জানবেন। যেমন মিষ্টি পানি ও লোনা পানির অস্তিত্ব এবং কোন প্রকার মিশ্রণ ছাড়াই উভয় প্রকার পানির সহ-অবস্থান; আর নক্ষত্র পুঞ্জের বিশালত্ব, নারীর জরায়ুর অন্ধকার জগৎ ... ইত্যাদি সম্পর্কে তাঁর বাণী এবং এগুলো ছাড়াও আলেমগণ আল-কুরআনের মু‘জেযা হিসেবে যা সংকলন করেছেন ও তাদেরকে সে ক্ষেত্রে অমুসলিম পণ্ডিতগণ সমর্থন করেছে; আর তা বিদ্যমান রয়েছে মুদ্রিত ও প্রকাশিত বইপত্র, অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট-সিডি ইত্যাদিতে।

আর অনুরূপভাবে সুন্নাহর মধ্যে উল্লেখ আছে মায়ের জরায়ুতে তার ভ্রূণের গঠনের স্তরসমূহের কথা ও অন্যান্য গুঢ় রহস্যের ব্যাপারে, যা সত্যতা বর্তমান বিজ্ঞান প্রমাণ করছে ...।

আল্লাহ তা‘আলা ওহীর মাধ্যমে রাসূলের নিকট যে দীন পাঠিয়েছেন, তাতে যখন রয়েছে এসব বিজ্ঞানময় বাস্তব বিষয়াদির বর্ণনা; সে রাসূল সম্পর্কে এ ধারণা কিভাবে করা যায় যে, তিনি জ্ঞানের সাথে যুদ্ধ করবেন কিংবা জ্ঞানী-পণ্ডিতদেরকে তাদের জ্ঞান চর্চার বিরোধিতা করবেন; বরং ইসলামী বিশ্বে তার সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে কয়েক শতাব্দী কাল ধরে জ্ঞান সম্প্রসারিত হয়েছে শুধু নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনে সেটার প্রতি উৎসাহ ও প্রেরণা যোগানোর কারণেই; পরন্ত তিনি গোটা মুসলিম জাতিকেই অপরাধি সাব্যস্ত করেছেন যখন প্রয়োজনীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক ও বিভাগের কোন একটিতে কোন প্রকার ঘাটতি হয়।

অপরদিকে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের কয়েক শতাব্দী পরে আমরা ইউরোপে অনেক বিজ্ঞানী ও আষ্কিারককে দেখতে পাই, তারা এসব আবিষ্কার এবং জ্ঞানগত চিন্তাধারা ও মতবাদ উদঘাটনে সফল হওয়ার কারণে তাদের উপর মৃত্যুদণ্ড, বঞ্চনা, রব বা মনিবের ইচ্ছার বিরোধিতা করার অপবাদ ও নাস্তিক হওয়ার হুকুম জারি হয়েছে; যেমন ঘটেছে গ্যালেলিও ও অন্যান্যের জীবনে; আর এসব চিন্তাধারা ও মতবাদের স্বীকৃতি মিলেছে বহু প্রাণহানি ও অসংখ্য স্বাধীন চিন্তাবিদের কারাবরণের পর। আর ইসলামের সভ্যতায় এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি, যার ভীত রচনা করেছেন রহমতের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন