মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা
লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ
১২
বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্ব
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/263/12
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবজাতির জন্য মানব সন্তানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের ব্যাপারে পরিপূর্ণ নমুনা পেশ করেছেন এবং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানবজাতির এক শ্রেণীর উপর অপর শ্রেণীর কোন বিশেষ মর্যাদা নেই; কারণ, তারা সকলেই সৃষ্টির মূল উপাদান, অধিকার এবং দায়িত্ব ও কর্তব্যের ক্ষেত্রে সমান; আর একজনের উপর আরেক জনের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, তবে তার ঈমান ও আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার পরিমাণ অনুযায়ী পরস্পরের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারিত হবে; আর তিনি তাঁর সাহাবীদের মধ্যে দীনের খেদমত ও তাঁর সাথে সম্পৃক্ত থাকার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রুমী সুহাইব, হাবশী বেলাল ও ফারসী সালমান তাদের আরব ভাইদের পাশাপাশি অবস্থানে ছিল।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক সমাজে বসবাস করেন, যাকে ঢেকে ফেলেছে সামাজিক, বস্তগত ও বংশগত বৈষম্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত শ্রেণীভেদ; আর এই অবস্থা বিশেষভাবে আরব উপ-দ্বীপের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং এই অবস্থা ছিল তৎকালীন সময়ের সারা বিশ্বে। আর এই কারণেই আমরা একটা মহাপরিবর্তন দেখতে পাই, যে দিকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরব ও অন্যান্য ভূ-খণ্ডের অধিবাসীকে পরিবর্তন করে নিয়ে এসেছেন এমন শিক্ষার মাধ্যমে, যে শিক্ষাকে তিনি তাঁর প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ওহীর মাধমে নিয়ে এসেছেন; যেমন তিনি আহ্বান করতেন মানব সন্তানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সমতা প্রতিষ্ঠার দিকে; আর তিনি একজন মানুষকে অপর আরেকজন মানুষ থেকে মর্যদাগত পার্থক্য ও শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি ও সীমারেখা বর্ণনা করে দিয়েছেন; আর তা হল তাকওয়া (আল্লাহ-সচেতনতা, চরিত্র, পরোপকার ও সৎকর্মের বাস্তব অনুসরণ; আর পার্থক্যকরণ অথবা শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে বাহ্যিক বেশ-ভূষা, বর্ণ ও বংশের কোনটিরই কোন প্রভাব নেই।
আরবের অবস্থা এমন ছিল যে, তারা বিভিন্ন যুদ্ধে তরবারির জোরে অথবা অপর কোনো পরিবেশে কুটকৌশল ও প্রবঞ্চনার মাধ্যমে অনেক স্বাধীন মানুষকে দাস-দাসীতে পরিণত করত। আর দাস-দাসীর ব্যাপরে কেউ কোন কথা বলত না; তাদেরকে পণ্যসামগ্রী হিসেবে বিবেচনা করা হত, তার মনিবের তার উপর ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার ছিল, যেমনিভাবে তার পছন্দ হত, এমনকি সে যদি ইচ্ছা করে যে, তাকে সে মেরে ফেলবে, তবে এই ব্যাপারে কোন তিরস্কারকারী তাকে তিরস্কার করবে না, অথবা কোন বিবেকবান ব্যক্তিও তার নিন্দা করবে না; এমনকি দাসীদেরকে পতিতা পেশায় বাধ্য করা হত, যাতে তাদের মনিবগণ মজুরি বা অর্থ উপার্জন করতে পারে; আর গোলামদেরকে কষ্টকর কাজে বাধ্য করত, যেমনিভাবে চতুষ্পদ জন্তুকে পরিচালিত করা হয়। আর এত সব কিছুর পরেও আশ্চর্যের বিষয় ছিল যে, দাস-দাসীর মধ্য থেকে কোন বিরোধী বা প্রতিরোধকারীর কণ্ঠ শোনা যেত না!! আর কিভাবেই বা তা সম্ভব হত, তারা তো জানত যে, এটাই জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম।
অতঃপর সেই পরিবর্তনটা ছিল এমন, যা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সমাজের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন, তিনি আল্লাহ তা‘আলার ওহীর মাধ্যমে ঘোষণা করলেন যে, এই সমাজের মধ্যে স্বীকৃত এসব বৈষম্যের কোন মূল্য ও গ্রহণযোগ্যতা নেই; আর তিনি এই ঘোষণা তিনি ঐ সমাজের প্রধান ব্যক্তিবর্গের সামনেই দিলেন এবং এই ব্যাপারে তিনি কোন প্রকার অবহেলা ও শৈথিল্য প্রদর্শন করেন নি।
এই প্রসঙ্গে তাঁর উদ্দেশ্যে প্রেরীত আল্লাহর ওহী হল:
“হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্র, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন।” - ( সূরা আল-হুজুরাত: ১৩ )।
আর তিনি মানব সৃষ্টির মূল উপাদানের বিষয়ে আল-কুরআনুল কারীমের বহু জায়গায় বর্ণনা করেছেন; তন্মধ্যে যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর এক কাল নির্দিষ্ট করেছেন এবং আর একটি নির্ধারিত কাল আছে, যা তিনিই জ্ঞাত, এতদসত্ত্বেও তোমরা সন্দেহ কর।” - ( সূরা আল-আন‘আম: ২)।
আর আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«يا أيها الناس ألا إن ربكم واحد , وإن أباكم واحد , ألا لا فضل لعربي على أعجمي ولا لعجمي على عربي ولا لأحمر على أسود ولا أسود على أحمر إلا بالتقوى» .( أخرجه الإمام أحمد ).
“হে মানবজাতি! জেনে রাখ, নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক এক; আর তোমাদের পিতাও এক; সাবধান! তাকওয়া ছাড়া অনারবীর উপর আরবীর, আরবীর উপর অনারবীর, কৃষ্ণাঙ্গের উপর শ্বেতাঙ্গের এবং শ্বেতাঙ্গের উপর কৃষ্ণাঙ্গের কোন বাড়তি মর্যাদা নেই।” -(ইমাম আহমদ, মুসনাদ, হাদিস নং- ২৩৫৩৬)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
« ... والناس بنو آدم وخلق الله آدم من تراب ...» .( أخرجه الترمذي ).
“ ... আর মানবজাতি আদমের সন্তান; আর আল্লাহ তা‘আলা আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন ...।” - ( তিরমিযী)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/263/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।