HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ

মানবাধিকার রক্ষা করা
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবাধিকার সংরক্ষণ করেছেন, চাই সে মানুষটি পুরুষ হউক, অথবা নারী; ছোট হউক, অথবা বড়। অনুরূপভাবে যা-ই হোক না কেন তার সামাজিক মর্যাদা অথবা তার জীবনপদ্ধতিগত অবস্থান; আর তিনি এক্ষেত্রে বেশ কিছু উন্নত নীতিমালার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন; আর তা-ই আমরা দেখতে পাই তাঁর মৃত্যুর তিন মাসেরও কম সময় পূর্বে প্রদত্ত বিদায় হজ্জের ভাষণে, তাঁর বক্তব্যটি ছিল মানুষের জান, মাল ও মান-সম্মানের উপর অবৈধ হস্তক্ষেপ করাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার উপর; আর এটা ছিল বিশ্ব কর্তৃক ‘মহাশর্ত আইন ১২১৫ খ্রি.’, ‘অধিকার ঘোষণা চুক্তি ১৬২৮ খ্রি.’, ‘শরীরমুক্তি আইন ১৬৭৯ খ্রি.’, ‘আমেরিকান স্বাধীনতা ঘোষণা ১৭৭৬ খ্রি.’, ‘মানব ও নাগরিক অধিকার চুক্তি ১৭৮৯ খ্রি.’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণা ১৯৪৮ খ্রি.’ সম্পর্কে জানার বহু পূর্বেকার ঘটনা।

অধিকার সংক্রান্ত যে নীতিগুলো পূর্বে আলোচিত হয়েছে, ইসলামী শরীয়ত মানবজাতির জন্য তার প্রত্যেকটি নীতিকে আগেই স্বীকৃতি ও বিধিবদ্ধ করেছে, যার বহু কাল পরে এগুলো ঘোষিত হয়েছে; বরং ইসলাম মানবাধিকারের সাথে সাথে জীবজন্তু ও গাছপালার অধিকারও ঘোষণা করেছে, এমনকি ঘোষণা করেছে পরিবেশ সংরক্ষণ অধিকার, যাকে সংরক্ষণ করাটা ঈমানের অন্যতম শাখার অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হয়েছে; কেননা, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«الإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أَوْ بِضْعٌ وَسِتُّونَ شُعْبَةً فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ» . ( أخرجه البخاري و مسلم ).

“ঈমানের শাখা সত্তুরটির অথবা ষাটটিরও কিছু বেশি; এর সর্বোচ্চ হচ্ছে - لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই) এ কথা স্বীকার করা; আর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে— রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর লজ্জা ঈমানের বিশিষ্ট একটি শাখা।” - (বুখারী, ঈমান অধ্যায়, বাব নং- ২, হাদিস নং- ৯; মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, বাব নং- ১৪, হাদিস নং- ১৬২);

যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে এমন জায়গায় প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে নিষেধ করেছেন, যেখানে মানুষ (ছায়ায়) বিশ্রাম করে!!

এই ক্ষেত্রে সাধারণ মূলনীতি হল:

* মানবজীবনের নিরাপত্তা বিধান করা:

সুতরাং এ ব্যাপারে শরীয়তের অনেক বিধিবিধান, আদেশ ও নিষেধ এসেছে, তন্মধ্য থেকে কিছু হল:

* অন্যায়ভাবে কোন প্রাণ বা ব্যক্তিকে হত্যা করা হারাম; আর এক ব্যক্তিকে হত্যা করাকে সকল মানুষকে হত্যা করার মত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:



﴿ مَن قَتَلَ نَفۡسَۢا بِغَيۡرِ نَفۡسٍ أَوۡ فَسَادٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ ٱلنَّاسَ جَمِيعٗا ﴾ [ سُورَةُ المَائ‍ِدَةِ : 32 ]

“যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে বিনা কারণে অথবা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করল, সে যেন দুনিয়ার সকল মানুষকেই হত্য করল।” - ( সূরা আল-মায়িদা: ৩২ )।

* আত্মহত্যা করা হারাম; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« من تردى من جبل فقتل نفسه فهو في نار جهنم يتردى فيه خالدا مخلدا فيها أبدا ومن تحسى سما فقتل نفسه فسمه في يده يتحساه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا ومن قتل نفسه بحديدة فحديدته في يده يجأ بها في بطنه في نار جهنم خالدا مخلدا فيها أبدا » . ( أخرجه البخاري و مسلم ).

“যে ব্যক্তি পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে এমতাবস্থায় যে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষ পান করে আত্মহত্যা করবে, তবে তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে। যে ব্যক্তি লোহার আগাতে আত্মহত্যা করবে, জাহান্নামের আগুনের মধ্যে সে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তা দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে।” - (বুখারী, চিকিৎসা অধ্যায়, বাব নং- ৫৫, হাদিস নং- ৫৪৪২; মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, বাব নং- ৪৯, হাদিস নং- ৩১৩)।

* যেসব উপায়-উপকরণ হত্যা ও প্রাণহানির দিকে ধাবিত করে, সেগুলোর ব্যাপারে বাধা প্রদান করা; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا » ( أخرجه البخاري و مسلم ).

“যে ব্যক্তি আমাদের উপর অস্ত্র উত্তোলন করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।” - ( বুখারী, দিয়াত বা ক্ষতিপূরণ অধ্যায়, বাব নং- ১, হাদিস নং- ৬৪৮০; মুসলিম, ভূমিকা (মুকাদ্দামা), বাব নং- ৬, হাদিস নং- ৭৫)।

* হাসি-ঠাট্টা করে হলেও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হারাম।

* সম্ভাব্য হলেও সকল প্রকার কষ্ট দেয়া হারাম; যেমন, যে ব্যক্তি তীর নিয়ে বাজার অতিক্রম করে, তাকে তার তীর মুষ্টিবদ্ধ করে রাখতে নির্দেশ করা, যাতে কেউ আহত না হয়; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«مَنْ مَرَّ فِي شَيْءٍ مِنْ مَسَاجِدِنَا أَوْ أَسْوَاقِنَا بِنَبْلٍ، فَلْيَأْخُذْ عَلَى نِصَالِهَا، لاَ يَعْقِرْ بِكَفِّهِ مُسْلِمًا» ( أخرجه البخاري ).

“তোমাদের কেউ যদি তীর সঙ্গে নিয়ে আমাদের মসজিদে কিংবা বাজারে যায়, তাহলে সে যেন তীরের ফলাগুলো ধরে রাখে, যাতে সে তার হাতে কোনো মুসলিমকে আঘাত না লাগায়।” - ( বুখারী, হাদিস নং- ৪৫২)।

আর কষ্ট দেয়া হারাম করা ও তা প্রতিরোধের নির্দেশ দেয়ার ব্যাপারে হাদিসে নববীর অনেক বক্তব্য রয়েছে; তন্মধ্যে যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« مَنْ أَشَارَ إِلَى أَخِيهِ بِحَدِيدَةٍ فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَلْعَنُهُ حَتَّى وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ لأَبِيهِ وَأُمِّهِ » .( أخرجه مسلم ).

“যে ব্যক্তি লোহা বা লোহানির্মিত ছুরি দ্বারা তার ভাইয়ের দিকে ইঙ্গিত করে, সে ব্যক্তিকে ফেরেশতাগণ লানত বা অভিশাপ দিতে থাকে, এমনকি সে যদি তার আপন সহোদর ভাইও হয়।” - (মুসলিম, কিতাব নং- ৪৬, বাব নং- ৩৫, হাদিস নং- ৬৮৩২)।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কষ্ট প্রতিরোধ বা দূর করাকে রাস্তার হকসমূহের মধ্য অন্যতম করে দিয়েছেন, যে হকসমূহকে সম্মান করা মুসলিম ব্যক্তির উপর আবশ্যক। (ইমাম বুখারী র. বর্ণনা করেছেন)।

* বিবেক-বুদ্ধি হেফাজত করা

বিবেক-বুদ্ধিকে বিপর্যস্ত করে, এমন বস্তুকে হারাম করা:

* বোধশক্তি বিনষ্টকারী বস্তুসমূহ: যেমন মাদকদ্রব্য সেবন করা ও নেশা বা মাদক জাতীয় ইন্জেকশান গ্রহণ করা; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ » .( أخرجه مسلم ).

“প্রত্যেক মাদকই মদ, আর প্রত্যেক মদই হারাম।” -( মুসলিম, পানীয় অধ্যায়, বাব নং- ৭, হাদিস নং- ৫৩৩৬)।

* অভ্যন্তরীনশক্তি বিনষ্টকারী বস্তুসমূহ: যেমন কুসংস্কার ও ভেল্কিবাজিতে বিশ্বাস করা, অন্ধ অনুসরণ করা এবং চিন্তা-গবেষণার কাজ না করা।

* বংশ রক্ষা করা:

- বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ » .( أخرجه البخاري و مسلم ).

“হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তির বিয়ে করার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে।” -( বুখারী, সাওম অধ্যায়, বাব নং- ১০, হাদিস নং- ১৮০৬; মুসলিম, বিবাহ অধ্যায়, বাব নং- ২, হাদিস নং- ৩৪৬৪)।

- সন্তান হত্যা ও গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُمۡ ﴾ [ سُورَةُ الإِسۡرَاءِ : 31]

“তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না।” - ( সূরা আল-ইসরা: ৩ )।

সুতরাং ইসলাম ভ্রূণহত্যা করা এবং মায়ের জন্য গর্ভস্থিত ভ্রূণ বহাল রাখাতে কোন প্রকার বিপদের আশঙ্কা না থাকা অবস্থায় গর্ভপাত করার সিদ্ধান্তকে হারাম করে দিয়েছে।

* মান-সম্মান রক্ষা করা:

* যিনা-ব্যভিচার নিষিদ্ধ করা ও তার জন্য নির্ধারিত শাস্তি বাধ্যতামূলক করা: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا ٣٢﴾ [ سُورَةُ الإِسۡرَاءِ : 32 ]

“আর যিনা-ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।” - ( সূরা আল-ইসরা: ৩)। আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ ٱلزَّانِيَةُ وَٱلزَّانِي فَاجْلِدُوْاْ كُلَّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا مِاْئَةَ جَلۡدَةٖۖ ﴾ الآية [ سُورَةُ النور : 2 ]

“ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী— তাদের প্রত্যেককে একশত কশাঘাত করবে।” - ( সূরা আন-নূর: ২ )।

* অপবাদ নিষিদ্ধকরণ ও তার জন্য নির্ধারিত শাস্তি বাধ্যতামূলক করা: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ٱلۡغَٰفِلَٰتِ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ لُعِنُواْ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِ وَلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ ٢٣ ﴾ [ سُورَةُ النور : 23 ]

“নিশ্চয়ই যারা সাধ্বী, সরলমনা ও ঈমানদার নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।” - ( সূরা আন-নূর: ২৩ );

তিনি আরও বলেন:



﴿ وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ثُمَّ لَمۡ يَأۡتُواْ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَ فَٱجۡلِدُوهُمۡ ثَمَٰنِينَ جَلۡدَةٗ وَلَا تَقۡبَلُواْ لَهُمۡ شَهَٰدَةً أَبَدٗاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٤﴾ [ سُورَةُ النور : 4 ]

“যারা সাধ্বী রমণীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি কশাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না; এরাই তো সত্যত্যাগী।” - ( সূরা আন-নূর: ৪ )।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«اجتنبوا السبع الموبقات .... وقذف المحصنات المؤمنات الغافلات» .( أخرجه البخاري ).

“তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে দূরে থাক ... (সপ্তমটি হল) নিরীহ পবিত্রা মুমিন নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা।” -(বুখারী, অসীয়ত অধ্যায়, বাব নং- ২৪, হাদিস নং- ২৬১৫)।

* অপবাদ, অভিযোগ ও সন্দেহমূলক স্থানসমূহ এড়িয়ে চলার ব্যপারে উৎসাহদান, যাতে চরিত্রের মধ্যে অপবাদ দেয়ার মাধ্যমসমূহকে প্রতিরোধ করা যায়।

* সম্পদ রক্ষা করা:

* সম্পদ খরচের ব্যাপারে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার নির্দেশ প্রদান; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلَا تَجۡعَلۡ يَدَكَ مَغۡلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبۡسُطۡهَا كُلَّ ٱلۡبَسۡطِ فَتَقۡعُدَ مَلُومٗا مَّحۡسُورًا ٢٩ ﴾ [ سُورَةُ الإِسۡرَاءِ : 29 ]

“তুমি তোমার হাতকে ঘাড়ের সাথে আবদ্ধ করে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণভাবে প্রসারিতও করো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে।” - ( সূরা আল-ইসরা: ২৯ )।

* মানুষের ধন-সম্পদে অবৈধ হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে শরীয়ত কর্তৃক শাস্তি নির্ধারণ করে দেয়া।

* ইয়াতীম ও দূর্বলদের ধন-সম্পদ হেফাজত করার নির্দেশ প্রদান।

* সুদ ও অন্যায়ভাবে মানুষের ধন-সম্পদ ভোগ করাকে নিষিদ্ধ করা।

* নারীকে সম্মান করা:

* নারীদের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জোরালো অসিয়ত; তাঁর থেকে এই ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে; যেমন: তিনি বলেন:

« استوصوا بالنساء خيرا» .( أخرجه البخاري ).

“তোমরা নারীদের ব্যাপারে উত্তম কল্যাণকামী হও।” - ( বুখারী); তিনি আরও বলেন:

« خيركم , خيركم لأهله , وأنا خيركم لأهلي» .( أخرجه الترمذي ).

“তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তোমাদের মধ্যে তার পরিবারের নিকট উত্তম; আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের নিকট উত্তম। - (তিরমিযী)।

* নারী এমন মানুষ, যে পুরুষের সহোদরা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের মধ্যে এসেছে, তিনি বলেন:

« إن النساء شقائق الرجال » .( أخرجه الترمذي وأبو داود ).

“নিশ্চয় নারীগণ পুরুষদের সহোদরা।” – ( তিরমিযী ও আবূ দাউদ)।

* ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে পুরুষদের সাথে নারীদের অংশগ্রহণ: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:



﴿ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَيُطِيعُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ سَيَرۡحَمُهُمُ ٱللَّهُۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٞ ٧١﴾ [ سُورَةُ التَّوۡبَةِ : 71 ]

“মুমিন নর ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, তারা সৎকাজের নির্দেশ দেয় এবং অসৎকাজের নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে; এদেরকেই আল্লাহ করুণা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” - ( সূরা আত-তাওবা: ৭১ )।

* শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে নারীর অধিকার: কয়েকটি সূত্র থেকে প্রমাণিত যে, প্রশিক্ষিত মহিলা সাহাবীদের মধ্য থেকে কোন একজন হাফসা বিনতে উমর রা. ( নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী)কে লেখা শিখিয়েছেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ব্যাপারে তাকে সমর্থন করেছেন; এখান থেকে নারী শিক্ষার ব্যাপারে তাঁর উৎসাহ প্রদানের বিষয়টি প্রমাণিত হয়, যেহেতু তিনি তাঁর পরিবারের মাধ্যমে বাস্তব নমুনা পেশ করেছেন।

* সম্পদে নারীর অধিকার: ইসলাম পুরুষদের মত করে তাদের জন্য মিরাস তথা উত্তরাধিকারকে বিধিবদ্ধ করে দিয়েছে; আর তাদের আরও বেশি হল, তাদের জন্য পুরুষদের উপর বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে বৈবাহিক মাহর, স্ত্রী ও তার (স্ত্রীর) সন্তানদের ভরণপোষণ, যদিও সে (স্ত্রী) সম্পদশালী হয়; আর ইসলাম তাদেরকে ক্রয়, বিক্রয়, ইজারা, হেবা, দান-সাদকা ইত্যাদির অধিকার দিয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন