মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা
লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ
৩
এক আল্লাহর ইবাদত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/263/3
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে তাঁর প্রতি আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রেরীত ওহীর মাধ্যমে মানুষের পূজা করা থেকে শরীকবিহীন এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে স্থানান্তার করেন; ফলে মানুষ আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের পূজা করা থেকে মুক্তি পেল; আর এটা নিঃসন্দেহে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান।
নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের পূর্বে সেখানকার প্রচলিত অবস্থা ছিল, ইতোপূর্বেকার সনাতন নিয়মনীতি, অর্থ-বিত্তের প্রভাব এবং মনিব ও গোলাম প্রথার সমন্বিত শাসনব্যবস্থা; সুতরাং ধনী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ছিল অনুসরণীয় নেতা; আর ফকীর ও বর্ণবৈষম্যের শিকার ব্যক্তিরা (তারা অধিকাংশ কৃষ্ণাঙ্গ) ছিল দাস, আনুগত্য ও বশ্যতা স্বীকারকারী। ফলে দাস-দাসীগণ নিজেদেরকে বস্তুগত পণ্যসামগ্রীর ব্যতিক্রম কিছু মনে করত না, মানুষ যার মালিকানা লাভ করে ক্রয়, বিক্রয়, হেবা ইত্যাদি রকম লেনদেনের মাধ্যমে এমতাবস্থায় যে, মা ও তার ছেলের মধ্যে, পিতা ও তার পুত্রের মধ্যে এবং স্ত্রী ও তার স্বামীর মধ্যে ক্রয়, বিক্রয় ও হেবা সংঘটিত হওয়ার মধ্যে কোন প্রকার পার্থক্যকরণের ব্যাপারে তার মানবিক অনুভূতি থাকত সম্পূর্ণ অনুপস্থিত!
আর পৌত্তলিকতা ছড়িয়ে পড়েছিল দেব-দেবী, গাছপালা ও পাথর পূজা এবং এগুলোর নৈকট্য হাসিলের মধ্যে।
আর তদানীন্তন নেতৃবৃন্দ সামাজিক প্রথা ও বানানো আইনসমূহকে এমনভাবে বাস্তবায়ণ করত, যেন এগুলো শরীয়তের বিধি-বিধান, মানুষকে তারা এসব আইন মানতে বাধ্য করত এবং তারা তাদেরকে সে সব প্রথা ও বানানো আইনের অনুগত করে রাখত। এভাবে তারা নিজেদেরকে সে হক ও সত্য ইলাহ ও মা‘বুদের পর্যায়ে নিয়ে গেল, যার রাজ্যে নেই কোনো সাদা, কালো, ধনী, গরীব, মনীব, গোলামের ভেদাভেদ, সকলে সে মহান সত্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল; আর (যখনই সে সব অপশক্তি তাদেরকে হক মা‘বুদ আল্লাহর পর্যায়ে নিয়ে গেছে, তখনই সে অবস্থার অবসানকল্পে) তখনই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইসলামের বার্তা নিয়ে প্রেরণ করেছেন, যার মূল শ্লোগান হলো,
لا إله إلا الله محمد رسول الله (আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্র রাসূল)।
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে তার প্রতিপালক ও ইলাহ তথা মা‘বুদ হিসেবে একমাত্র আল্লাহর একত্ববাদের স্বীকৃতি দান করার দিকে আহ্বান করেন; আর তিনি আরও আহ্বান করেন যে, আল্লাহ হলেন এককভাবে ইবাদত ও সাধারণ আনুগত্য পাওয়ার একমাত্র হকদার, তাঁর সাথে কারোর কোন অধিকার নেই; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“হে মানুষ! তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর, যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার।” - ( সূরা আল-বাকারা: ২১ ); তিনি আরও বলেন:
“হে মানুষ! একটি উপমা দেয়া হচ্ছে, মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ কর: তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক, তারা তো কখনও একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না, এই উদ্দেশ্যে তারা সকলে একত্র হলেও পারবে না। আর মাছি যদি তাদের নিকট থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়, এটাও তারা তার নিকট থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষক ও অন্বেষিত কতই না দুর্বল।” - ( সূরা আল-হাজ্জ: ৭৩ )।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক সাহাবী ঐ পরিবর্তনের কথা ব্যক্ত করেছেন, যার মাধ্যমে ইসলাম আরবদেরকে অপমান ও দাসত্বের জীবন থেকে সম্মান ও মর্যাদার জীবনে উন্নীত করেছে; আর তারা কিভাবে ব্যক্তির পূজা ও আনুগত্যের অন্ধকার থেকে বের হয়ে এক আল্লাহর দাসত্বের দিকে এলেন, যার মাধ্যমে তারা অনুধাবন করেছেন আল্লাহর একত্ববাদ ও অন্যকে বাদ দিয়ে একমাত্র তার ইবাদতের ছায়ার মধ্যে দুনিয়ার প্রশস্ততা ও তার বিস্তৃতিকে; এই ব্যাপারে রব‘য়ী ইবন ‘আমের পারস্যের নেতৃবৃন্দের কোনো একজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন:
«الله ابتعثنا لنخرج من شاء من عبادة العباد إلى عبادة الله، ومن ضيق الدنيا إلى سعتها، ومن جور الاديان إلى عدل الاسلام، » .
“আল্লাহ আমাদেরকে প্রেরণ করেছেন, যাতে আমরা যে ব্যক্তি চায় তাকে মানুষের পূজা করা থেকে আল্লাহর ইবাদতের দিকে; দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে তার প্রশস্ততার দিকে এবং বিভিন্ন ধর্মের যুলুম থেকে ইসলামের ন্যায় ও ইনসাফের দিকে বের করে নিয়ে যেতে পারি।” – (ইবনু কাসীর, বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৭/ ৩৯)।
আলজেরিয়ায় ইসলামগ্রহণকারী ফরাসী নাগরিক “ইতিয়ীন দীনীহ” (পরবর্তীতে নাসরউদ্দীন) তার ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল’ ( محمد رسول الله ) নামক গ্রন্থে বলেন: যখন তিনি রিসালাতের বৈশিষ্ট্য, তার আন্তর্জাতিকতা ও ভবিষ্যতে তার সম্ভাব্য ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন, তখন তিনি বলেন: “আর সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে; আর তা হল বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে কোন মাধ্যম না থাকা; আর এটাকেই বাস্তব প্রজ্ঞাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ ইসলামের মধ্যে পেয়েছে, যেহেতু ইসলাম রহস্যজনক বিষয় ও সাধক বা ঋষির পূজাকরণ থেকে মুক্ত; আর তাঁকে (রবকে) পাওয়ার জন্য প্রতিকৃতি ও মন্দিরের প্রয়োজন নেই; কারণ, গোটা পৃথিবীই আল্লাহর মাসজিদ। তদুপরি শুধু আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীরা, তারা নয় যারা আধুনিকতার দাবিদার, যারা তাদের অন্তরে যা উদিত হয় তা বর্ণনা করার ব্যাপারে সন্দেহের গোলকধাঁধায় আবর্তিত হতে থাকে, তারা ব্যতীত সত্যিকার আল্লাহর উপর বিশ্বাসীরা কখনও কখনও ইসলামের মধ্যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে খাঁটি মাযহাবও পায়; অতঃপর তারা তাতে পায় ইবাদতের অভিনব ও সমুন্নত আমল বা কর্মসমূহ; আরও (খাঁটি আকীদা-বিশ্বাস) পায় দো‘য়ার শব্দসমূহের অর্থ নিয়ে যতটুকু চিন্তা করা সম্ভব তাতে...।” (‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল’ ( محمد رسول الله ), ৩৬২ – ৩৬৩)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/263/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।