HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ

সকল নবীকে সম্মান করা
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পূর্ববর্তী সকল নবীকে সম্মান ও মর্যাদা দানের উজ্জ্বল নমুনা পেশ করেছেন; আর তাঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন ইবরাহীম, মূসা ও ঈসা আ. প্রমূখ; বরং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিকট বক্তব্য হিসেবে ওহী পাঠিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তাঁদের (নবীদের) কাউকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে অথবা তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে, তবে সে মুসলিম নয়; কারণ, নবীগণ সকলেই ভাই ভাই, তাঁরা মানুষকে শরীকবিহীন এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বানের কাজে অংশগ্রহণ করেছেন।

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে আছে তিনি তাঁর ভাই নবী ও রাসূলদেরকে ভালবাসেন; যেমন তিনি তাঁদের কাউকে কাউকে" العبد الصالح " (সৎকর্মশীল বান্দা), অথবা " أخي " বলে সম্বোধন করেছেন এবং তাঁর উম্মতকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তাঁদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার জন্য; আর তাদেরকে নিষেধ করেছেন তাঁকে তাঁদের কারোর উপর প্রাধান্য দিতে; আর এসবের পূর্বে আমরা আল-কুরআনের অনেক বাণী থেকে যা পেয়েছি, তা আল্লাহ তা‘আলা নবী ও রাসূলগণ এবং তাঁদের প্রশংসার ব্যাপারে তাঁর প্রতি ওহী বা প্রত্যাদেশ করেছেন। আর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁদের অনুসরণের নির্দেশ দেয়ার মধ্যে এক মহান অর্থ কাজ করছে, তা হচ্ছে, নবীগণ পরস্পর ভাই ভাই; অনুরূপভাবে তাতে রয়েছে পূর্ববর্তীজনকে পরবর্তীজন কর্তৃক সম্মান, মর্যাদা ও প্রশংসা করার মত মহৎ ব্যাপার; বরং আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী নবীগণের কাহিনীসমূহকে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দাওয়াতী কাজে যে কষ্ট সহ্য করতেন, তার জন্য ব্যথাতে মলমের প্রলেপ বানিয়েছেন।

পূর্বে উপস্থাপিত বক্তব্যের সমর্থনে কুরআন ও হাদীসভিত্তিক অনেক নস বা ভাষ্য এসেছে, যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۖ فَبِهُدَىٰهُمُ ٱقۡتَدِهۡۗ قُل لَّآ أَسۡ‍َٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ أَجۡرًاۖ إِنۡ هُوَ إِلَّا ذِكۡرَىٰ لِلۡعَٰلَمِينَ ٩٠ ﴾ [ سُورَةُ الأَنعَامِ : 90 ]

“ওদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেছেন, সুতরাং আপনি তাদের পথের অনুসরণ করুন। বলুন, এর জন্য আমি তোমাদের নিকট পারিশ্রমিক চাই না, এ তো শুধু সৃষ্টিকুলের জন্য উপদেশ।” - ( সূরা আল-আন‘আম: ৯০ )।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥ ﴾ [ سُورَةُ البَقَرَةِ : 285 ]

“রাসূল তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে ঈমান এনেছে এবং মুমিনগণও। তাদের সকলে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছে। তারা বলে, ‘আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না’, আর তারা বলে, ‘আমরা শুনেছি এবং পালন করেছি! হে আমাদের প্রতিপালক! আমারা তোমার ক্ষমা চাই; আর প্রত্যাবর্তন তো তোমারই নিকট।” - ( সূরা আল-বাকারা: ২৮৫ )।

আর" الأنبياء " (নবীগণ) নামে একটি পরিপূর্ণ সূরার নামকরণ করা হয়েছে; সেখানে সেসব নবীর অনেককেই উত্তম গুণাগুণের সাথে উল্লেখ করা এবং তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও মহৎ গুণাবলীসমূহ বর্ণনা করার পর তাঁদের কাহিনী শেষ করেছেন তাঁর নিম্নোক্ত উক্তির মাধ্যমে:

﴿ إِنَّهُمۡ كَانُواْ يُسَٰرِعُونَ فِي ٱلۡخَيۡرَٰتِ وَيَدۡعُونَنَا رَغَبٗا وَرَهَبٗاۖ وَكَانُواْ لَنَا خَٰشِعِينَ ٩٠ ﴾ [ سُورَةُ الأَنبيَاءِ : 90 ]

“নিশ্চয়ই তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করত, তারা আমাকে ডাকত আশা ও ভয়ের সাথে এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত।” - (সূরা আল-আম্বিয়া: ৯০ )।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« أنا أولى الناس بعيسى بن مريم في الدنيا والآخرة والأنبياء أخوة لعلات : أمهاتهم شتى ودينهم واحد » . ( أخرجه البخاري ).

“মানব জাতির মধ্যে আমিই দুনিয়া ও আখিরাতে মরিয়মের পুত্র ‘ঈসা’র সর্বাধিক নিকটবর্তী। আর নবীগণ বৈমাত্রেয় ভাই, তাদের মাতাগণ ভিন্ন ভিন্ন, তাদের দীন হল এক ও অভিন্ন।” - (বুখারী, হাদিস নং- ৩২৫৯)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

«فأقول كما قال العبد الصالح : ﴿ وَكُنتُ عَلَيۡهِمۡ شَهِيدٗا مَّا دُمۡتُ فِيهِمۡۖ فَلَمَّا تَوَفَّيۡتَنِي كُنتَ أَنتَ ٱلرَّقِيبَ عَلَيۡهِمۡۚ وَأَنتَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٌ ١١٧ ﴾ [ المائ‍دة : ١١٧ ]». ( أخرجه البخاري ).

“ ... সুতরাং আমি বলব, যা সৎ বান্দা (ঈসা আলাইহিস সালাম) বলেছেন:

﴿ وَكُنتُ عَلَيۡهِمۡ شَهِيدٗا مَّا دُمۡتُ فِيهِمۡۖ فَلَمَّا تَوَفَّيۡتَنِي كُنتَ أَنتَ ٱلرَّقِيبَ عَلَيۡهِمۡۚ وَأَنتَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٌ ١١٧ ﴾

(যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কাজকর্মের সাক্ষী, কিন্তু যখন আপনি আমাকে তুলে নিলেন তখন আপনিই তো ছিলেন তাদের কাজকর্মের তত্ত্বাবধায়ক এবং আপনিই সব বিষয়ে সাক্ষী – সূরা আল-মায়িদা: ১১৭)।” - (বুখারী, হাদিস নং- ৪৩৪৯)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

« ... فذكرت قول أخي سليمان : ﴿ قَالَ رَبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَهَبۡ لِي مُلۡكٗا لَّا يَنۢبَغِي لِأَحَدٖ مِّنۢ بَعۡدِيٓۖ ﴾ [ص: ٣٥ ] ... » . ( أخرجه البخاري ).

“ ... তখন আমার ভাই সুলাইমান (আ.) এর দো‘আর কথা স্মরণ হল:

﴿ قَالَ رَبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَهَبۡ لِي مُلۡكٗا لَّا يَنۢبَغِي لِأَحَدٖ مِّنۢ بَعۡدِيٓۖ ﴾

(হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। - সূরা সোয়াদ: ৩৫)। ...” - (বুখারী, হাদিস নং- ৪৫৩০)।

সুতরাং এটা হল আল-কুরআনুল কারীম ও সুন্নাতে নববীর মধ্যে আল্লাহর নবী ও রাসূলগণের ইতিবাচক অবস্থান; বরং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত ওহীর মধ্য দিয়ে সকল মুসলিমকে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি পূর্ববর্তী আল্লাহর নবীগণের কোন একজনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, সে ব্যক্তি মুসলিম নয়; আর এটাই হল এই প্রসঙ্গে বর্ণিত কুরআনিক ভাষ্য; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُواْ بَيۡنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٖ وَنَكۡفُرُ بِبَعۡضٖ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُواْ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا ١٥٠ ﴾ [ سُورَةُ النِّسَاءِ : 150 ]

“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদেরকে অস্বীকার করে; আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের মধ্যে ঈমানের ব্যাপারে তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি ও কতককে অবিশ্বাস করি’; আর তারা মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়।” - (সূরা আন-নিসা: ১৫০ )।

আর অপরদিকে আমরা কুৎসিত গুণ দেখতে পাই ইয়াহূদীদের মধ্যে, যারা নবীগণকে হত্যা করেছে এবং তাদের ব্যাপারে অপবাদ ছড়িয়ে দিয়েছে; মহাগ্রন্থ আল-কুরআন তাদের এই অবস্থানকে লিপিবদ্ধ করেছে তার এই বাণীর মাধ্যমে:

﴿ لَقَدۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ وَأَرۡسَلۡنَآ إِلَيۡهِمۡ رُسُلٗاۖ كُلَّمَا جَآءَهُمۡ رَسُولُۢ بِمَا لَا تَهۡوَىٰٓ أَنفُسُهُمۡ فَرِيقٗا كَذَّبُواْ وَفَرِيقٗا يَقۡتُلُونَ ٧٠ ﴾ [ سُورَةُ المَائ‍ِدَةِ : 70 ]

“আমি বনী ইরাঈলের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম ও তাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করেছিলাম। যখনই কোন রাসূল তাদের নিকট এমন কিছু নিয়ে আসত, যা তাদের মনঃপুত নয়, তখনই তারা কতককে মিথ্যা প্রতিপন্ন করত এবং কতককে হত্যা করত।” - (সূরা আল-মায়িদা: ৭০)।

এবং এ বাণীতে:

﴿ ضُرِبَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلذِّلَّةُ أَيۡنَ مَا ثُقِفُوٓاْ إِلَّا بِحَبۡلٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَحَبۡلٖ مِّنَ ٱلنَّاسِ وَبَآءُو بِغَضَبٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَضُرِبَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلۡمَسۡكَنَةُۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَانُواْ يَكۡفُرُونَ بِ‍َٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَيَقۡتُلُونَ ٱلۡأَنۢبِيَآءَ بِغَيۡرِ حَقّٖۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعۡتَدُونَ ١١٢﴾ [ سُورَةُ آلِ عِمۡرَانَ : 112 ]

“আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ও মানুষের প্রতিশ্রুতির বাইরে যেখানেই তাদেরকে পাওয়া গেছে, সেখানেই তারা লাঞ্ছিত হয়েছে। তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়েছে এবং হীনতাগ্রস্ত হয়েছে। এটা এই জন্য যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করত; এটা এই জন্য যে, তারা অবাধ্য হয়েছিল এবং সীমালংঘন করত।” - ( সূরা আলে ইমরান: ১১২ )।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন