HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ

১১
দেহ ও মনের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ওহীর মাধ্যমে মানবিক স্বভাব-প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দীন নিয়ে এসেছেন, যেই দীন আত্মার প্রয়োজন ও দেহের চাহিদা সংরক্ষণ করে এবং দুনিয়ার কাজ ও পরকালের উদ্দেশ্যে কাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কথা বলে; আর মানুষের সহজাত বাসনা ও তার চাহিদাগুলোকে পরিমার্জিত ও পরিশীলিত করে, আর দেহ ও মনের চাহিদাকে বিনষ্ট কিংবা বাধাগ্রস্ত করে না, যেমনিভাবে অন্যান্য জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে তা করা হয়। তারা তাদের সভতায় এমন বিধান রচনা করেছে যা মানব স্বভাবের বিপরীত দৃষ্টান্ত পেশের ক্ষেত্রে সীমালংঘন করেছে এবং ইবাদত ও প্রার্থনায় আগ্রহীজনদেরকে বিয়ে-সাদীর মত তাদের স্বভাবজাত অধিকারসমূহ থেকে নিষেধ করেছে। আর এ একপেশী নিয়মনীতির কুফল হিসেবে তাদের মানবিক স্বভাবসুলভ কর্মকাণ্ডসমূহ সীমালংঘনকারীদেরকে প্রত্যাখ্যান না করে বরং সে সভ্যতার সন্তান-সন্তুতিদের অধিকাংশকে এই শিক্ষা ও দর্শন থেকে বের করে নিয়ে তাদেরকে শুধু বস্তু জগতের মধ্যে প্রবেশ করিয়েছে, যা নিছক দৈহিক চাহিদা পূরণে সাড়া দেবে এবং আত্মাকে ছেড়ে দেবে বড় ধরনের দুশ্চিন্তায়।

নিশ্চয় যিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইসলামের বার্তা দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তিনি হলেন সকল মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ তা‘আলা, যিনি তাদের উপযোগী বিষয়ে সম্যক অবগত; আরও জানেন তাদের স্বভাব-প্রকৃতিতে তিনি যা আমানত হিসেবে রেখেছেন এবং সে স্বভাব-প্রকৃতির মধ্যে প্রস্তুতি, সামর্থ্য ও প্রয়োজনীয়তার মধ্যে যা কিছু গচ্ছিত রেখেছেন, সে সম্পর্কেও। এই স্বভাব-প্রকৃতি ততক্ষণ সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না, যতক্ষণ তা অতৃপ্ত থাকবে কিংবা তাতে সীমালঙ্ঘন করা হবে; যেমনিভাবে তা সঠিকভাবে পরিচালিত হবে না, যখন সেটাকে তার সাথে সাংঘর্ষিক কোন বিষয়ের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে; আর এই স্বভাব-প্রকৃতির বিকৃতি ও বিপর্যয়ের কারণে এই পৃথিবীতে মানবজীবনের বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়; ফলে মানসিক ব্যাধি ও সামাজিক জটিলতা প্রকাশ পায়; আর এটাই হল পৃথিবীর অধিকাংশ ভূখণ্ডের সমাজগুলোর বাস্তব চিত্র, যাতে সঠিক স্বভাব-প্রকৃতির সাথে বিরোধিতা রয়েছে; যেমন: বিয়ে-শাদী বর্জন করা ও বৈরাগ্য জীবনের প্রতি মনোযোগ দেয়া; অনুরূপভাবে নারীদের মধ্যে একে অপরের সাথে যৌনবিকৃতি তথা সমকামিতা, অথবা পুরুষদের মধ্যে একে অপরের সাথে যৌনবিকৃতি বা সমকামিতার খারাপ স্বভাব-প্রকৃতি বিরোধী কাজ; অনুরূপভাবে পৃথিবীর আবাদ বর্জন করা এবং বিশ্বজগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়া; অথবা বস্তুজগতের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে নিবিষ্ট হওয়া এবং আত্মার প্রয়োজন ও চাহিদার প্রতি কোন প্রকার গুরুত্ব না দিয়েই দৈহিক কামনা-বাসনাকে পরিতৃপ্ত করার জন্য বাড়াবাড়ি করা ... এবং এগুলো ছাড়াও সুস্থ স্বভাব-প্রকৃতি ও তার চাহিদাসমূহের ব্যতিক্রমধর্মী আরও দৃশ্য বিদ্যমান রয়েছে।

ঠিক ঐ সময়ে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নিয়ে আসা ইসলামী জীবনব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত শিক্ষা ও দর্শনের বিষয়ে চিন্তাশীল ব্যক্তি মানবিক জীবনের বিভিন্ন দিক ও বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য দেখতে পাবেন; যেমন: খাওয়া-দাওয়া, পানাহার, বিয়ে-শাদী ও সার্বিক অধিকারসহ দেহের বস্তুগত চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রয়েছে; ভারসাম্য রয়েছে আল্লাহর ইবাদত, চরিত্রের পরিশুদ্ধির মত তার আধ্যাত্মিক চাহিদার মধ্যে; আর অনুরূপভাবে জ্ঞান, অধ্যয়ন ও আবিষ্কারের প্রতি ভালবাসার মত তার চিন্তা-গবেষণাগত ও যুক্তিনির্ভর চাহিদার মধ্যেও ভারসাম্য রয়েছে।

সুতরাং ইসলাম এসব চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেছে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে, এ ক্ষেত্রে এক দিকের উপর আরেক দিকের কোনো বাড়াবাড়ি নেই; বরং এই ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জনকে বলিষ্ঠতার সাথে নিষেধ করেছে, যেমনিভাবে নিষেধ করেছে শৈথিল্য ও অবহেলা প্রদর্শন করা থেকে। আর সকল অবস্থায় মধ্যমপন্থা ও ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে; আর শরীয়ত এসব দাবি ও চাহিদা বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপত্র এবং সীমারেখার বিবরণ নিয়েই এসেছে, যা মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি এবং যে উদ্দেশ্যে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেই দায়িত্ব ও কর্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক নয়; জেনে রাখ, সেই উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদত করা এবং কল্যাণকামী হয়ে ও সততার সাথে পৃথিবী আবাদ করা। সুতরাং শরীয়ত এমন প্রত্যেক জিনিস বৈধ করে দিয়েছে, যাতে মানুষের জন্য উপকার ও কল্যাণ রয়েছে এবং এমন প্রত্যেক জিনিস থেকে নিষেধ করেছে, যাতে মানুষের জীবনের জন্য, অথবা তার বিবেক-বুদ্ধি বা ধন-সম্পদ অথবা তার শরীরের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ও ক্ষতিকারক বস্তু রয়েছে।

নিম্নে এতদসংক্রান্ত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিলকৃত ওহীর কিছু ভাষ্য বর্ণিত হলো:

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَسَخَّرَ لَكُم مَّا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا مِّنۡهُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ١٣﴾ [ سُورَةُ الجَاثِيةِ : 13 ]

“আর তিনি নিজ অনুগ্রহে তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমস্ত কিছু, চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন।” - (সূরা আল-জাসিয়া: ১৩);

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা এই সৃষ্টিজগতকে এই জন্য সৃষ্টি করেন নি যে, তা নিষ্ফল অবিনোয়োগকারী হিসেবে বিদ্যমান থাকবে, অথবা তার থেকে সৃষ্টি বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবে। আর আয়াতে উল্লেখিত " سَخَّرَ " শব্দের ব্যাখ্যা হল: তাতে অনুগতকরণ বা বশীভূতকরণের অর্থ রয়েছে; আরও রয়েছে এই সৃষ্টিজগৎ আবিষ্কার করার এবং তার লুক্কায়িত ও গুপ্তধন থেকে ফায়দা হাসিলের সহজ উপায়ের ইঙ্গিত।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ وَٱبۡتَغِ فِيمَآ ءَاتَىٰكَ ٱللَّهُ ٱلدَّارَ ٱلۡأٓخِرَةَۖ وَلَا تَنسَ نَصِيبَكَ مِنَ ٱلدُّنۡيَاۖ وَأَحۡسِن كَمَآ أَحۡسَنَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ وَلَا تَبۡغِ ٱلۡفَسَادَ فِي ٱلۡأَرۡضِۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ٧٧﴾ [ سُورَةُ القَصَصِ : 77 ]

“আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তা দ্বারা আখিরাতের আবাস অনুসন্ধান কর এবং তোমার দুনিয়ার অংশকে ভুলে যেয়ো না; তুমি অনুগ্রহ কর যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন; আর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চেয়ো না। আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীকে ভালবাসেন না।” - ( সূরা আল-কাসাস: ৭৭ )।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ رِجَالٞ لَّا تُلۡهِيهِمۡ تِجَٰرَةٞ وَلَا بَيۡعٌ عَن ذِكۡرِ ٱللَّهِ وَإِقَامِ ٱلصَّلَوٰةِ وَإِيتَآءِ ٱلزَّكَوٰةِ يَخَافُونَ يَوۡمٗا تَتَقَلَّبُ فِيهِ ٱلۡقُلُوبُ وَٱلۡأَبۡصَٰرُ ٣٧ ﴾ [ سُورَةُ النور : 37 ]

“সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং সালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেই দিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।” - (সূরা আন-নূর: ৩৭)।

সুতরাং তারা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সত্ত্বেও আধ্যাত্মিক, ইবাদত ও নৈতিকতার দিকটিকে অবহেলা বা অবজ্ঞা করে না, যা তাকে পরকালে আল্লাহর সামনে হিসাব দেয়ার ব্যাপারে শঙ্কিত করে তোলে।

অতএব আমাদের চিন্তাভাবনা-কল্পনা করে দেখা উচিত, কেমন ছিল সেসব আকিদা-বিশ্বাস ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী ব্যবসায়ীদের চালচলন। অতঃপর আমাদের আরও চিন্তাভাবনা-কল্পনা করা উচিত, যেখানে এ ধরণের মানুষ রয়েছে সেখানে মানুষের জীবন কেমন হতে পারে, জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থা কেমন হতে পারে!!

আর ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, ঐসব মুসলিম ব্যবসায়ীদের মত ব্যক্তিরাই ছিলেন ইন্দোনেশিয়া, সুদান ইত্যাদির মত দূরবর্তী দেশসমূহের ভিতরে ইসলাম প্রবেশের অন্যতম কারণ; সেখানে কোন প্রকারের দিক-বিজয়ী সৈন্যবাহিনী ছিল না, যেমনটি কেউ কেউ বলে থাকে [কোন কোন ঐতিহাসিক বলেন, এসব দূরবর্তী দেশসমূহে বিজয়ী সৈন্যবাহিনীর অভিযানের ফলে ইসলামের অনুপ্রবেশ ঘটেছে, বাস্তবে বিষয়টি তা নয়। - অনুবাদক।], যারা ইতিহাসকে ভালভাবে অধ্যয়ন করে নি।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَرَهۡبَانِيَّةً ٱبۡتَدَعُوهَا مَا كَتَبۡنَٰهَا عَلَيۡهِمۡ ﴾ [ سُورَةُ الحَدِيدِ : 27 ]

“আর সন্ন্যাসবাদ— এটা তো ওরা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রত্যাবর্তন করেছিল।” - (সূরা আল-হাদীদ: ২৭ )।

আর আত্মিক ও বস্তুগত ভারসাম্যের ক্ষেত্রে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত কার্যকরী ও দিকনির্দেশনামূলক দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন, এমনকি তিনি কাউকে মানবিক স্বভাব এবং নবী ও রাসূলদের সুন্নাতের বিরোধী চিন্তা করতে দেখলে তার প্রতি কঠোরভাবে রাগান্বিত হয়ে যেতেন; কোন একবার তাঁর নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, কিছু সংখ্যক লোক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে- তারা ঘুম, বিয়ে-শাদী ও পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত থাকবে; তখন তাঁর অবস্থান ছিল অত্যন্ত কঠোর ও অনড়, সেই ভারসাম্যপূর্ণ নীতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য যা দিয়ে তাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে। অতএব আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

« جاء ثلاث رهط إلى بيوت أزواج النبي صلى الله عليه و سلم يسألون عن عبادة النبي صلى الله عليه و سلم فلما أخبروا كأنهم تقالوها فقالوا : أين نحن من النبي صلى الله عليه و سلم ؟ قد غفر الله له ما تقدم من ذنبه وما تأخر قال أحدهم : أما أنا فإني أصلي الليل أبدا وقال آخر أنا أصوم الدهر ولا أفطر وقال آخر أنا أعتزل النساء فلا أتزوج أبدا فجاء رسول الله صلى الله عليه و سلم فقال : أنتم الذين قلتم كذا وكذا ؟ أما والله أتي لأخشاكم لله وأتقاكم له لكني أصوم وأفطر وأصلي وأرقد وأتزوج النساء فمن رغب عن سنتي فليس مني » .( أخرجه البخاري و مسلم ).

“তিন জনের একটি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণের আগমন করল; যখন তাদেরকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হল, তখন তারা এ ইবাদতের পরিমাণ যেন কম মনে করল এবং বলল, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমকক্ষ হতে পারি না। কারণ, তার আগে ও পরের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতের সালাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সারা বছর রোযা পালন করব এবং কখনও বিরতি দেব না। অপরজন বলল, আমি নারী বিবর্জিত থাকব- কখনও বিয়ে করব না। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এলেন এবং বললেন: “তোমরা কি ঐ সকল ব্যক্তি, যারা এরূপ কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি আমি বেশি আনুগত্যশীল; অথচ আমি রোযা পালন করি, আবার রোযা রাখা থেকে বিরতও থাকি। সালাত আদায় করি এবং ঘুমাই ও বিয়ে-শাদী করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ ভাব পোষণ করবে, তারা আমার দলভূক্ত নয়।” -( বুখারী, বিবাহ অধ্যায়, বাব নং- ১, হাদিস নং- ৪৭৭৬; মুসলিম, বিবাহ অধ্যায়, বাব নং- ১, হাদিস নং- ৩৪৬৯)।

যেমনিভাবে তিনি উৎসাহিত করেছেন শ্রম ও কষ্টকর কাজের প্রতি এবং এই ধরনের কষ্টার্জিত উপার্জন থেকে খাওয়াকে মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠ ও উত্তম খাবার বলে নির্ধারণ করেছেন; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« ما أكل أحد طعاما قط خيرا من أن يأكل من عمل يده وإن نبي الله داود عليه السلام كان يأكل من عمل يده » .( أخرجه البخاري ).

“নিজ হাতে উপার্জিত জীবিকার খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কখনও কেউ খায় না। আল্লাহর নবী দাউদ আ. নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন।” -( বুখারী, ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায়, বাব নং- ১৫, হাদিস নং- ১৯৬৬)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন