HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ

কুসংস্কার থেকে বিবেকের মুক্তিদান
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ওহীর মাধ্যমে মানুষের বিবেককে কুসংস্কার ও মিথ্যার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং দেবদেবী ও বাতিল উপাস্যদের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া অথবা বিবেকের বিপরীত যেমন: এই কথা বলা যে, মানুষের মধ্য থেকে আল্লাহর একজন পুত্র আছে; তিনি তাকে বিনা অপরাধ বা পাপে উৎসর্গ করেছেন, অথবা তার অপরাধের কারণে তাকে মানবজাতির জন্য উৎসর্গ করেছেন ইত্যাদি ধরনের অবাস্তব চিন্তা বাস্তবায়ন করা থেকে স্বাধীন করে দিয়েছেন।

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের পূর্বে সুস্থ বিবেকের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক বিশ্বাস ও কল্পকাহিনী আরবদের বিবেক-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে; তথাকথিত জাহিল তথা অজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ কোনো প্রকার চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধি-বিবেক কাজে লাগানো ছাড়াই যেসব আকিদা-বিশ্বাস লালন করত, তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হল: পাথর ও নিজ হাতে বানানো কাঠের মূর্তি বা ভাস্কর্যের মধ্যে উপকার ও ক্ষতি করার ক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা, তারা আল্লাহর সাথে অথবা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সেগুলোর পূজা করেছে, তাদের ধারণা অনুযায়ী তারা সেগুলোর প্রতিশোধ গ্রহণের আশঙ্কা করে। আর তারা তাদের অনুসারী, যারা ভালো-মন্দ বিবেচনার ক্ষমতা হারিয়ে তাদের বিবেক-বুদ্ধি নষ্ট করেছে, এমন লোকদেরকেও এ ধরনের বিশ্বাসে বিশ্বাসী করে ভয়ভীতিতে নিপতিত করেছে।

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইসলামের মত এমন জীবনব্যবস্থা দিয়ে মানবজাতির নিকট প্রেরণ করেছেন, আর তিনিই মানুষকে বিবেকের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন এবং বিবেককে নির্ধারণ করেছেন দীনের আবশ্যকীয় দায়িত্ব, আদেশ ও নিষেধসমূহের দায়িত্ব অর্পণের মানদণ্ড বা ক্ষেত্র হিসেবে; আর শিথিল করে দিয়েছে পাগলের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা, যার বিবেক-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে; আরও শিথিল করে দিয়েছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু-কিশোরের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা, যার জ্ঞান-বুদ্ধির পরিপক্কতা আসেনি; যেমনিভাবে ইসলাম মানুষকে আহ্বান করেছে ও উৎসাহিত করেছে, বরং সৃষ্টি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে গবেষণার কাজে বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগানোর উপর পুরস্কার ঘোষণা করেছে; আর নিষেধ ও হারাম করে দিয়েছে এমন প্রত্যেক বস্তুকে, যা বিবেক-বুদ্ধির উপর কুপ্রভাব ফেলে, যেমন: সকল প্রকার মাদকদ্রব্য।

আর সর্বপ্রথম ইসলাম যে জিনিসটিকে কুসংস্কার ও মিথ্যার অন্ধকার থেকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করা শুরু করেছে, তা হল আকিদা, যে আকিদার মাধ্যমে বিবেক-বুদ্ধিকেই সম্বোধন করা হয়েছে, যাতে বিবেক আল-কুরআন যে সত্যকে নিয়ে এসেছে, তার সঠিকত্ব অর্জন করার মাধ্যমে পরিতুষ্ট হতে পারে; আর বাতিল বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে জাহেলী তথা অজ্ঞ ব্যক্তিরা বহু ইলাহে বিশ্বাস করার মত যেসব ভ্রান্ত আকিদা-বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠিত আছে, সেসব আকিদা-বিশ্বাসকে। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿مَا ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ مِن وَلَدٖ وَمَا كَانَ مَعَهُۥ مِنۡ إِلَٰهٍۚ إِذٗا لَّذَهَبَ كُلُّ إِلَٰهِۢ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ سُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ ٩١﴾ [ سُورَةُ المُؤۡمِنُونَ : 91 ]

“আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেন নি এবং তার সাথে অপর কোন ইলাহও নেই; যদি থাকত, তবে প্রত্যেক ইলাহ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত। তারা যা বলে, তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র!” - ( সূরা আল-মুমিনুন: ৯১ )।

সুতরাং এটি একটি উজ্জ্বল প্রমাণ; তাতে এই সংক্ষিপ্ত শব্দের দ্বারা সুস্পষ্ট হয়েছে যে, প্রকৃত ইলাহ হওয়ার জন্য জরুরি হল কর্মক্ষম স্রষ্টা হওয়া; যিনি তার বান্দার নিকট উপকার পৌঁছিয়ে দেন এবং তার থেকে ক্ষতি প্রতিরোধ করেন; অতএব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার সাথে যদি অপর ইলাহ থাকে, তবে তারও সৃষ্টি ও কাজ করার ক্ষমতা থাকত; এমতাবস্থায় সে তার সাথে অপর ইলাহের অংশীদারিত্ব মেনে নেবে না, বরং সে যদি তার উপর প্রভাব বিস্তার করতে এবং অন্যজনকে বাদ দিয়ে নিজেই একক ইলাহ ক্ষমতা থাকত তবে তা-ই করত; আর যদি সে তাতে সক্ষম না হয়, তবে সে তার সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে চলে যাবে, যেমনিভাবে দুনিয়ার রাজা-বাদশাগণ তাদের রাজত্ব নিয়ে একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যায়; আর যখন স্বতন্ত্র ইলাহ অপর ইলাহর উপর প্রভাব, প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম না হবে, তখন নিম্নের তিনটি বিষয়ের যে কোন একটি অপরিহার্য হয়ে পড়বে:

হয় প্রত্যেক ইলাহ তার সৃষ্টি ও রাজত্ব নিয়ে আলাদা হয়ে যাবে।

অথবা তারা একে অপরের উপর প্রধান্য বিস্তার করবে।

নতুবা তাদের সকলে এক ইলাহের ক্ষমতা ও একই রাজত্বের অধীনে আসবে, সে তাদের উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, কিন্তু তারা তার উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না।

আর নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের বিষয়াদির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা, একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক এবং সুশৃঙ্খল নিয়মে তার পরিভ্রমণ, যেখানে কোন প্রকার বিরোধ ও বিশৃঙ্খলা নেই— এসব কিছুই এই কথার উপর অন্যতম প্রধান দলিল-প্রমাণের অন্তর্ভুক্ত যে, এই ব্যবস্থাপনার মহাব্যবস্থাপক হলেন একজন, তিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।

যেমনিভাবে বিশ্বের জন্য দুইজন সমমানের প্রতিপালক ও স্রষ্টা হওয়া অসম্ভব; তেমনিভাবে অসম্ভব তার জন্য দুইজন ইলাহ ও মা‘বুদ বা উপাস্য হওয়া।

সুতরাং এ দলিল-প্রমাণাদি দেয়ার ক্ষেত্রে এই যে বলিষ্ঠ বর্ণনা সেটাই প্রমাণ করে যে, আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাওহীদ বা একত্ববাদ, আল্লাহর একমাত্র রব হওয়া, আর তিনিই একমাত্র সঠিক মা‘বুদ অন্য কেউ নন, এসবের সত্যতার উপর প্রকৃষ্ট প্রমাণ; আর এটাই বিবেকবান-বুদ্ধিমানদের বিবেক-বুদ্ধিতে সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত, সে সব দাবীর চেয়ে, যাতে বলা হয়ে থাকে যে, তিনি তিন জনের তৃতীয় জন অথবা তাঁর প্রভূত্বে ও ইবাদাতের ক্ষেত্রে তার একমাত্র অধিকারের মধ্যে দেবদেবীদের অংশীদারিত্ব রয়েছে।

সুতরাং এই সুস্পষ্ট তাওহীদ বা একত্ববাদের চেয়ে মহান বস্তু আর কী হতে পারে, যা রহমতের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হওয়ার দিন পর্যন্ত মানুষ জানতে পারে নি; আর আল্লাহর ব্যাপারে এই আকিদার চেয়ে বিবেক ও বিশুদ্ধ চিন্তার নিকট অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ আকিদা কোনটি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন