HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা

লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ

উত্তম চরিত্রের দিকে আহ্বান
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের জীবনে নৈতিক চরিত্রের অবস্থানকে সমুন্নত করেছেন। কারণ, তিনি উত্তম চরিত্রের দিকে আহ্বান করেছেন এবং তা সংরক্ষণ করেছেন; যেমন: সততা, বিশ্বস্ততা ও সচ্চরিত্রতা; তিনি আরও আহ্বান করেছেন সামাজিক বন্ধন মজবুত ও সুদৃঢ় করার দিকে; যেমন: পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা এবং তিনি তা বাস্তবে পরিণত করেছেন; আর তিনি অসৎ চরিত্র ও অনৈতিকতা থেকে নিষেধ করেছেন এবং তা থেকে তিনি দূরে থেকেছেন ও জনগণকে সতর্ক করেছেন; যেমন: মিথ্যা বলা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, হিংসা-বিদ্বেষ, যিনা-ব্যভিচার, পিতা-মাতার অবাধ্যতা ইত্যাদি এবং এগুলো থেকে উদ্ভূত সমস্যাদির প্রতিকার করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনে তাঁর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসা করেছেন তাঁর সরাসরি উক্তির মাধ্যমে; তিনি বলেন:

﴿ وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٖ ٤ ﴾ [ سُورَةُ القَلَمِ : 4 ]

“তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত।” - ( সূরা আল-কালাম: ৪ ); আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক আমানতের রক্ষণাবেক্ষণের সুখ্যাতির কারণে তিনি নবী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পূর্বে আরবগণ কর্তৃক ‘আল-আমীন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন, এমনকি তিনি মুহাজির হিসেবে মক্কা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি তাঁর নিকট গচ্ছিত আমানতের কথা ভুলে যাননি, তিনি আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর নিকট গচ্ছিত আমানতগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়ার জন্য; আর সেই আমানতের হকদারদের কেউ কেউ ছিল কুরাইশ বংশের কাফির, যারা তাঁকে তাঁর জন্মভূমি থেকে বের করে দিয়েছে!!

আর এ জন্যই নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি উত্তম চরিত্র ও মর্যাদাপূণ নৈতিকতার দিকে আহ্বান করেছেন এবং এর দ্বারা নিজেকে সুসজ্জিত করতে উৎসাহিত করেছেন, উত্তম চরিত্র গ্রহণের আহ্বানজনিত হাদিসগুলো নিয়ে এসেছেন; বরং আল-কুরআনের উত্তম চরিত্র সংক্রান্ত আয়াতসমূহের অংশবিশেষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে মক্কাবাসীদের কারও কারও ইসলাম গ্রহণের কারণ ছিল; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাতের মধ্যে বর্ণিত আছে যে, তিনি আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ وَإِيتَآيِٕ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَيَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡبَغۡيِۚ يَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٩٠ ﴾ [ سُورَةُ النحل : 90 ]

“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালংঘন করার ব্যাপারে নিষেধ করেন; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।” - ( সূরা আন-নাহল: ৯০ )— পাঠ করেছেন গোত্রীয় নেতাদের কোন একজনের দুই প্রতিনিধির নিকট; অতঃপর তারা উভয়ে তাদের মনিবের নিকট গিয়ে বলল: সে আমাদের প্রতি কতগুলো বাক্য ছুড়ে দিয়েছে, আমরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করেছি; অতঃপর তাদের মনিব যখন এই বাক্যগুলো শুনল, তখন সে বলল: নিশ্চয়ই আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি যে, সে উত্তম চরিত্রের নির্দেশ দিচ্ছে এবং কুচরিত্র বা অসৎ চরিত্র থেকে নিষেধ করছে।

আর আল-কুরআনুল কারীমে বর্ণিত চারিত্রিক নীতিমালা থেকে কিছু দিক:

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ هَلۡ جَزَآءُ ٱلۡإِحۡسَٰنِ إِلَّا ٱلۡإِحۡسَٰنُ ٦٠﴾ [ سُورَةُ الرَّحۡمَٰن : 60 ]

“উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কী হতে পারে?” - (সূরা আর-রহমান: ৬০ )।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ وَقُولُواْ لِلنَّاسِ حُسۡنٗا ﴾ [ سُورَةُ البَقَرَةِ : 83 ]

“আর তোমরা মানুষের প্রতি উত্তম আচরণ করবে।” - (সূরা আল-বাকারা: ৮৩ )।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿وَأَن تَعۡفُوٓاْ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۚ وَلَا تَنسَوُاْ ٱلۡفَضۡلَ بَيۡنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٌ ٢٣٧ ﴾ [ سُورَةُ البَقَرَةِ : 237 ]

“আর মাফ করে দেওয়াটাই তাকওয়ার নিকটতর। আর তোমরা নিজেদের মধ্যকার অনুকম্পার কথা ভুলে যেয়ো না। তোমরা যা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সবকিছুই দেখেন।” - ( সূরা আল-বাকারা: ২৩৭ )।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:



﴿خُذِ ٱلۡعَفۡوَ وَأۡمُرۡ بِٱلۡعُرۡفِ وَأَعۡرِضۡ عَنِ ٱلۡجَٰهِلِينَ ١٩٩ وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ نَزۡغٞ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ٢٠٠﴾ [ سُورَةُ الأَعۡرَافِ : 199 - 200 ]

“তুমি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন কর, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদেরকে এড়িয়ে চল। যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে; তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” - ( সূরা আল-আ‘রাফ: ১৯৯ - ২০০ )।

আর সুন্নাতে নববীর মধ্যে বর্ণিত চারিত্রিক নীতিমালা থেকে কিছু দিক, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যেগুলোকে অনেক আত্মিক ও সামাজিক সমস্যার সমাধান হিসেবে গণ্য করা হয়, সে সমস্যাগুলো তখনই উদ্ভূত হয়, যখন মানুষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঐ হেদায়াত থেকে দূরে সরে যায়, যা তিনি মানুষের প্রতি দয়া বা রহমত ও তাদের জন্য শিক্ষাস্বরূপ এবং দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট ও আখিরাতের শাস্তি থেকে তাদের মুক্তির জন্য নিয়ে এসেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হাদিস হলো:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«ليس الشديد بالصرعة إنما الشديد الذي يملك نفسه عند الغضب » . ( أخرجه البخاري ).

“প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সেই প্রকৃত বাহাদুর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।” -( বুখারী, শিষ্টাচার অধ্যায়, বাব নং- ৭৬, হাদিস নং- ৫৭৬৩)।

আবূ হুরায়রা রা. বর্ণিত হাদিসে এসেছে:

« أن رجلا قال للنبي صلى الله عليه و سلم أوصني قال : لا تغضب . فردد مرارا قال : لا تغضب » .( أخرجه البخاري ).

“এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বলল: আপনি আমাকে অসিয়ত করুন। তিনি বললেন: তুমি রাগ করো না। লোকটা কয়েকবার তা বলল; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বারই বললেন: তুমি রাগ করো না।” -( বুখারী, শিষ্টাচার অধ্যায়, বাব নং- ৭৬, হাদিস নং- ৫৭৬৫)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

« لا يشكر الله من لا يشكر الناس » .( أخرجه الإمام أحمد و غيره ).

“যে ব্যক্তি মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে ব্যক্তি আল্লাহরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।” -(ইমাম আহমদ, মুসনাদ, হাদিস নং- ৭৯২৬)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

« إن من خياركم أحسنكم أخلاقا » .( أخرجه البخاري و مسلم ).

“নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে বেশি উত্তম, যার চরিত্র তোমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি সুন্দর।” -( বুখারী, কিতাবুল মানাকিব, বাব নং- ২০, হাদিস নং- ৩৩৬৬; মুসলিম, ফাযায়েল অধ্যায়, বাব নং- ১৬, হাদিস নং- ৬১৭৭)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

« لا يؤمن أحدكم حتى يحب لأخيه ما يحب لنفسه » .( أخرجه البخاري ).

“তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।” -( বুখারী, কিতাবুল ঈমান, বাব নং- ৬, হাদিস নং- ১৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন