মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মানবগোষ্ঠীর জন্য নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের প্রয়োজনীয়তা
লেখকঃ আদেল আলী আশ-শিদ্দী ও আবদুর রাযযাক মা‘আশ
৫
মানুষের মধ্যে উদারতা ও সহ-অবস্থান
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/263/5
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবজাতির মধ্যে উদারতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনে এই ব্যাপারে তাঁর নিকট ওহী পাঠিয়েছেন যে, ‘দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই’। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐসব অমুসলিম নাগরিকের অধিকার বর্ণনা করেছেন, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয় না; এই বলে যে, তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা থাকবে তাদের নিজেদের, সন্তানদের, তাদের মান-সম্মান ও ধন-সম্পদের। আর মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে আজ পর্যন্ত ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টান নাগরিকগণ সম্মানের সাথে জীবনযাপন করছে; যেখানে স্পেনের গোয়েন্দা বিভাগ পশ্চিমা সভ্যতার ঘোষিত মূলনীতির বিরোধিতা করে বর্ণবাদী নীতি গ্রহণ করে মুসলিমদের অস্তিত্বকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করেছে।
রহমতের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীনের যেসব নীতিমালা নিয়ে এসেছেন, তন্মধ্যে অন্যতম মহান দিক হল: ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি ব্যক্তি ও সমাজের পরিতুষ্টির ছেড়ে দেয়া। আর ইসলামের দিকে আহ্বানের মূল ভিত্তি-ই হচ্ছে, কৌশল ও উত্তম উপদেশ; জোর জবরদস্তি ও তরবারি বা অন্য কোন শক্তির মাধ্যমে বল প্রয়োগ করে নয়; আর এই প্রসঙ্গে আল-কুরআন ও সুন্নাহর অনেক বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে; যেমন: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“দীন সম্পর্কে জোর-জবরদস্তি নেই; সত্য পথ ভ্রান্ত পথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে। যে তাগূতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে এমন এক মজবুত হাতল ধরবে, যা কখনও ভাঙ্গবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।” - ( সূরা আল-বাকারা: ২৫৬ )
“বল, সত্য তোমাদের নিকট থেকে; সুতরাং যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক ও যার ইচ্ছা সত্য প্রত্যাখ্যান করুক” - ( সূরা আল-কাহফ: ২৯ )।
অনুরূপভাবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীন অমুসলিমদেরকে রক্ষণাবেক্ষণ করে; সুতরাং ইসলাম তাদের সাথে যুদ্ধ করতে নিষেধ করে দিয়েছে, যখন তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে; এমনকি ইসলাম তাদের সাথে উত্তম আচরণ ও তাদের প্রতি অনুগ্রহ করাটাকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নি; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“দীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।” - ( সূরা আল-মুমতাহানা: ৮ )
অনুরূপভাবে মহান নীতিমালা থেকে আরও কিছু নিয়মনীতি রয়েছে, যেগুলো ইসলামী জীবনব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে; যেমন: অমুসলিমদের অধিকারসমূহকে সম্মান করা, চাই তারা ইসলামী রাষ্ট্রের নাগরিক হউক, অথবা ইসলামী রাষ্ট্রের বাইরের কোন দেশের নাগরিক হউক যখন তারা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে না। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের জিম্মায় তাদের সকলের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যেখানে তারা নিজেদের জান, মাল, স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যাপারে পূর্ণ নিরাপত্তা লাভ করবে। তাদের উপর কোন বিষয়ে সীমালংঘন করা কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«من قتل معاهدا لم يرح رائحة الجنة وإن ريحها توجد من مسيرة أربعين عاما» ( أخرجه البخاري ).
“যে ব্যক্তি কোন জিম্মিকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। আর জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকে পাওয়া যাবে।” - ( বুখারী, হাদিস নং- ২৯৯৫); রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
“সাবধান! যে ব্যক্তি কোন জিম্মির উপর অত্যাচার করবে অথবা তার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে অথবা তার উপর তার সাধ্যাতিরিক্ত কোন বোঝা চাপিয়ে দেবে অথবা তার নিকট থেকে তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি ব্যতিরেকে কোন কিছু গ্রহণ করবে, আমি কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে মামলায় দাঁড়াব।” - (আবূ দাউদ, হাদিস নং- ৩০৫৪)।
বরং (মুসলিম) বিচারকের নিকট আইন ও বিচার-ফয়সালার ক্ষেত্রে মুসলিম ও অমুসলিম সকলেই সমান; কারণ, আশ‘আছ রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে দেখা যায়, তিনি বলেন:
“আমার ও জনৈক ইয়াহূদীর মাঝে যৌথ মালিকানায় একখণ্ড জমি ছিল; এক পর্যায়ে সে আমার মালিকানাকে অস্বীকার করে; অতঃপর আমি বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পেশ করি; তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার নিকট কোন প্রমাণ আছে কি? আমি বললাম: না। তখন তিনি ইয়াহূদীকে বললেন: ‘তুমি শপথ কর’। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে তো সে শপথ করবে এবং আমার সম্পদ নিয়ে যাবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন:
﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يَشۡتَرُونَ بِعَهۡدِ ٱللَّهِ وَأَيۡمَٰنِهِمۡ ثَمَنٗا قَلِيلًا ﴾ إلى آخر الآية [ ال عمران : ٧٧ ]
(নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাথে করা প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য খরিদ করে, (আখেরাতে তাদের কোন অংশ নেই)।) আয়াতের শেষ পর্যন্ত।” - ( আবূ দাউদ, শপথ ও মানত অধ্যায়, বাব নং- ২, হাদিস নং- ৩২৪৫)।
আর এই অবস্থা ইসলামী রাষ্ট্রে আজকের এই দিনের জনগণের মাঝে পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে; সুতরাং মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, অন্যান্য জাতি ও ধর্মের অনুসারীগণ শান্তি, নিরাপত্তা, ন্যায়, ইনসাফ ও উদারতার ছায়াতলে জীবনযাপন করছে। কোন কোন দেশে জাতিগত ও ধর্মীয় বর্ণবাদ অভিযান প্রত্যক্ষ করা হয়, তাই প্রকৃষ্ট যথাযথ দলিল-প্রমাণ যে ইসলাম অন্যান্য ধর্মের অনুসারী প্রজাদের জন্য কী মূল্যবান অবদান রাখতে পেরেছে। আর অপরদিকে মুসলিমগণ জাতিগত ও ধর্মীয় বর্ণবাদের যুদ্ধসমূহের মাধ্যমে অনেক বিপদ-মুসিবতে নিপতিত হয়েছে; তন্মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হল যা ঘটেছে স্পেনে গোয়েন্দা বিভাগের হাতে। যারা ইয়াহূদী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কাউকেই এমনকি তাদের খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের ভিন্ন মতাবলম্বীদের কোন একজন ব্যক্তিকেও অবশিষ্ট রাখে নি। অথচ এরপরেও তারা অন্যান্য মুসলিম দেশে নিরাপদ আশ্রয় পেতে সক্ষম হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/263/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।