hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন আল-আযহারী

১৭
১৪- কবর খননের হুকুম ও কবরের বৈশিষ্ট্য
ক- কবরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া ও মাটি সংরক্ষণের জন্য ছোট ছোট পাথরের টুকরো ঢেলে দেওয়া সুন্নাত। জাফর ইবন মুহাম্মাদ তার পিতার থেকে বর্ণনা করেন,

«أنّ النّبيّ صَلَّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ رَشَّ عَلَى قَبْرِ ابْنِهِ إِبْرَاهِيمَ مَاءً، ووَضَعَ عَلَيْهِ حَصْبَاءَ »

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পুত্র ইবরাহীমের কবরে পানির ছিটে দিয়েছেন ও পাথরের টুকরো বিছিয়ে দিয়েছেন”। [মুসনাদে শাফে‘ঈ, পৃ. ৩৬০, হাদিসটি মুরসাল। মুজাম সগীর লিল-বাইহাকী, হাদীস নং ১১১৯, খ. ২, পৃ. ২৮।]

খ- কবর এক বিঘত পরিমাণ উঁচু করা সুন্নাত। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন

«أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ رُفِعَ قَبْرُهُ مِنَ الْأَرْضِ نَحْواً مِنْ شِبْرٍ»

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর এক বিঘত পরিমাণ উঁচু করা হয়েছে”। [সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৬৬৩৫। আল্লামা শুয়াইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসের সনদটি মুসলিমের শর্তে সহীহ।]

তবে এক বিঘতের বেশি উঁচু করা মাকরূহ। আবূ হাইয়াজ আল-আসাদী রহ. বলেন, আমাকে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

«أَلَا أَبْعَثُكَ عَلَى مَا بَعَثَنِي عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ «أَنْ لَا تَدَعَ تِمْثَالًا إِلَّا طَمَسْتَهُ وَلَا قَبْرًا مُشْرِفًا إِلَّا سَوَّيْتَهُ»

“আমি কি তোমাকে এমন কাজে পাঠাবো না যে কাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তা হচ্ছে কোনো (জীবের) প্রতিকৃতি বা মূর্তি বা ছবি দেখলে তা চূর্ণ বিচূর্ণ না করে ছাড়বে না। আর কোনো উঁচু কবর দেখলে তা ও সমান না করে ছাড়বে না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৬৯।]

গ- কবরকে সুসজ্জিত করা, সৌধ বানানো, আগরবাতি বা অন্য কিছু দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া নিষেধ। হাদীসে এসেছে, জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ، وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ»

“রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৭০।]

কেননা এসব হলো দুনিয়ার সৌন্দর্য; আর মৃত্যু ব্যক্তির এসবের প্রয়োজন নেই।

ঘ- কবরে চুমো খাওয়া নিষেধ। কেননা এটা করা বিদ‘আত। জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ، وَعَلَا صَوْتُهُ، وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ، حَتَّى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُولُ : «صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ»، وَيَقُولُ : «بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ»، وَيَقْرُنُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ، وَالْوُسْطَى، وَيَقُولُ : «أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ، وَخَيْرُ الْهُدَى هُدَى مُحَمَّدٍ، وَشَرُّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ» ثُمَّ يَقُولُ : «أَنَا أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ، مَنْ تَرَكَ مَالًا فَلِأَهْلِهِ، وَمَنْ تَرَكَ دَيْنًا أَوْ ضَيَاعًا فَإِلَيَّ وَعَلَيَّ» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খুতবা (ভাষণ) দিতেন তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করতো, কণ্ঠস্বর জোরালো হতো এবং তাঁর রোষ বেড়ে যেতো, এমনকি মনে হতো, তিনি যেন শত্রুবাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করছেন আর বলছেন, তোমরা ভোরেই আক্রান্ত হবে, তোমরা সন্ধ্যায়ই আক্রান্ত হবে। তিনি আরও বলতেন, আমি ও কিয়ামত এই দু’টির ন্যায় প্রেরিত হয়েছি, তিনি মধ্যমা ও তর্জনী মিলিয়ে দেখাতেন। তিনি আরও বলতেন, অতঃপর, উত্তম বাণী হলো- আল্লাহর কিতাব এবং উত্তম পথ হলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত পথ। অতীব নিকৃষ্ট বিষয় হলো (দীনের মধ্যে) নতুন উদ্ভাবন (বিদ‘আত)। প্রতিটি বিদ‘আত ভ্রষ্ট। তিনি আরও বলতেন, আমি প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির জন্য তার নিজের থেকে অধিক উত্তম (কল্যাণকামী)। কোনো ব্যক্তি সম্পদ রেখে গেলে তা তার পরিবার-পরিজনের প্রাপ্য। আর কোনো ব্যক্তি ঋণ অথবা অসহায় সন্তান রেখে গেলে সেগুলোর দায়িত্ব আমার”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৬৭।]

ঙ- কবর ঘিরে তাওয়াফ করা হারাম। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তিম রোগশয্যায় বলেন,

«لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ»، لَوْلاَ ذَلِكَ أُبْرِزَ قَبْرُهُ غَيْرَ أَنَّهُ خَشِيَ - أَوْ خُشِيَ - أَنَّ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا وَعَنْ هِلاَلٍ، قَالَ : «كَنَّانِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يُولَدْ لِي»

“ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লা‘নত হোক। কারণ, তারা নিজেদের নবীগণের কবরকে সাজদাহ’র স্থানে পরিণত করেছে। (বর্ণনাকারী উরওয়া বলেন) এরূপ আশংকা না থাকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরকে (ঘরের বেষ্টনীতে সংরক্ষিত না রেখে) খোলা রাখা হতো। কিন্তু তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আশংকা করেন বা আশংকা করা হয় যে, পরবর্তীতে একে মসজিদে পরিণত করা হবে। বর্ণনাকারী হিলাল রহ. বলেন, উরওয়া আমাকে (আবূ আমর) কুনিয়াতে ভূষিত করেন আর তখন পর্যন্ত আমি কোনো সন্তানের পিতা হই নি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৯০।]

চ- কবরে হেলান দিয়ে বসা নিষেধ। উমারাহ ইবন হাযম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«انْزِلْ مِنَ الْقَبْرِ لَا تُؤْذِ صَاحِبَ الْقَبْرِ وَلَا يُؤْذِيكَ»

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কবরের উপর বসা দেখে বললেন, কবর থেকে নেমে পড়ো, কবরবাসীকে কষ্ট দিওনা; আর কবরবাসীও তোমাকে কষ্ট দিবে না”। [মুসতাদরাক হাকিম, হাদীস নং ৬৫০২, এ হাদীসের ব্যাপারে ইমাম হাকিম ও যাহাবী কেউ কোনো মন্তব্য করেন নি। মুসনাদ আহমদ, ৩৯/৪৭৫। আল্লামা শুয়াইব আরনাউত বলেন, হাদীসের ولا يؤذيك অংশ ব্যতীত বাকী অংশ সহীহ।]

ছ- কবরে রাত যাপন, হাসি তামাশা করা, দুনিয়াবী কথাবার্তা বলা নিষেধ। কেননা এসব কবরের মত স্থানে সমীচীন নয়।

জ- কবরের উপর লেখা, বসা, ঘর বানানো হারাম। জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন,

«نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُجَصَّصَ القُبُورُ، وَأَنْ يُكْتَبَ عَلَيْهَا، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهَا، وَأَنْ تُوطَأَ»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে চুনা লাগাতে এবং তাতে লিখতে, এর উপর ঘর নির্মাণ করতে ও তা পদদলিত করতে নিষেধ করেছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১০৫২, ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

ঝ- কবরের মাঝে জুতা পায়ে হেঁটে যাওয়াও নিষেধ; তবে কাঁটা বা ক্ষতিকর কিছুর আশঙ্কা থাকলে ভিন্ন কথা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আযাদকৃত গোলাম বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

عَنْ بَشِيرٍ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ اسْمُهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ زَحْمُ بْنُ مَعْبَدٍ، فَهَاجَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : «مَا اسْمُكَ؟» قَالَ : زَحْمٌ، قَالَ : «بَلْ، أَنْتَ بَشِيرٌ»، قَالَ : بَيْنَمَا أَنَا أُمَاشِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ : «لَقَدْ سَبَقَ هَؤُلَاءِ خَيْرًا كَثِيرًا» ثَلَاثًا ثُمَّ مَرَّ بِقُبُورِ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ : «لَقَدْ أَدْرَكَ هَؤُلَاءِ خَيْرًا كَثِيرًا» وَحَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظْرَةٌ، فَإِذَا رَجُلٌ يَمْشِي فِي الْقُبُورِ عَلَيْهِ نَعْلَانِ، فَقَالَ : «يَا صَاحِبَ السِّبْتِيَّتَيْنِ، وَيْحَكَ أَلْقِ سِبْتِيَّتَيْكَ» فَنَظَرَ الرَّجُلُ فَلَمَّا عَرَفَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلَعَهُمَا فَرَمَى بِهِمَا

“জাহেলী যুগে তার নাম ছিল যাহম ইবন মা‘বাদ। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে হিজরত করেন। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করেন, “তোমার নাম কী? তখন তিনি বলেন, যাহম। এ কথা শুনে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বরং তুমি হলে বাশীর। তিনি বলেন, যখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে হাঁটছিলাম এবং তিনি মুশরিকদের কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এরা অধিক কল্যাণপ্রাপ্তির আগে চলে গেছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরূপ তিনবার বলেন। অতঃপর তিনি মুসলিমদের কবরের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন, এরা অধিক কল্যাণ হাসিল করেছে। ইত্যবসরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে পান যে, এক ব্যক্তি দু’পায়ে জুতা দিয়ে কবরস্থানের মাঝে হাঁটছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বলেন, হে দু’পায়ে জুতা পরিহিত ব্যক্তি! তোমার জন্য আফসোস, তুমি তোমার দু‘পায়ের জুতা খুলে ফেল। সে ব্যক্তি লক্ষ্য করে যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিনতে পারলো, তখন সে তার দু’পায়ের জুতা খুলে দুরে নিক্ষেপ করলো”। [আবূ দাঊদ, হাদীস নং ৩২৩০। আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]

তাছাড়া কবরে জুতা খুলে প্রবেশ করলে নম্রতা, শিষ্টাচারীতা ও মুসলিম মৃতব্যক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

ঞ- কবরে বাতি জ্বালানো, মসজিদে কবর দেওয়া, কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা হারাম। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَائِرَاتِ القُبُورِ، وَالمُتَّخِذِينَ عَلَيْهَا المَسَاجِدَ وَالسُّرُجَ»

“যে সমস্ত মহিলা কবর যিয়ারত করে এবং যে সমস্ত মানুষ কবরের উপর মসজিদ বানায় ও এতে বাতি জ্বালায় তাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নত করেছেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩২০, ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আলবানী রহ. হাদীসটিকে দ‘য়ীফ বলেছেন।]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তিম রোগশয্যায় বলেন,

«لَعَنَ اللَّهُ اليَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ»

“ইয়াহূদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর লা‘নত হোক। কারণ, তারা নিজেদের নবীগণের কবরকে সাজদাহ’র স্থানে পরিণত করেছে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৯০।]

তাছাড়া কবরে বাতি জ্বালানো অর্থ অপব্যয় এবং মূর্তিকে সম্মান দেখানোর মতো কবরকে সম্মান করা হয়।

ট- অন্যের জমিতে দাফন করা হারাম। বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কবর খনন করে লাশ সরানোও হারাম। জনবসতিপূর্ণ স্থানে কবর দেওয়ার চেয়ে মরুভূমি বা অব্যবহৃত জায়গায় কবর দেওয়া উত্তম। কেননা এতে কবর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের কবর বাকী‘ গোরস্থানে দিয়েছেন। সাহাবী, তাবেঈ ও পরবর্তীগণ মরুভূমিতে কবর দিয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন