hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন আল-আযহারী

৩- মাইয়্যেতের আত্মীয় স্বজনের করণীয়:
ক- মাইয়্যেতের আত্মীয় স্বজন মৃত্যুর খবর দ্রুত জানিয়ে দিবে।

খ- আল্লাহর ফয়সালায় ধৈর্যধারণ করা ও সন্তুষ্ট থাকা। আল্লাহ বলেছেন,

﴿وَلَنَبۡلُوَنَّكُم بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلۡخَوۡفِ وَٱلۡجُوعِ وَنَقۡصٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٥ ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةٞ قَالُوٓاْ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ ١٥٦ أُوْلَٰٓئِكَ عَلَيۡهِمۡ صَلَوَٰتٞ مِّن رَّبِّهِمۡ وَرَحۡمَةٞۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُهۡتَدُونَ ١٥٧﴾ [ البقرة : ١٥٥، ١٥٧ ]

“আর আমরা অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, তাদেরকে যখন বিপদ আক্রান্ত করে তখন বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৫৫-১৫৭]

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَتَى عَلَى امْرَأَةٍ تَبْكِي عَلَى صَبِيٍّ لَهَا، فَقَالَ لَهَا : «اتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي»، فَقَالَتْ : وَمَا تُبَالِي بِمُصِيبَتِي فَلَمَّا ذَهَبَ، قِيلَ لَهَا : إِنَّهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَهَا مِثْلُ الْمَوْتِ، فَأَتَتْ بَابَهُ، فَلَمْ تَجِدْ عَلَى بَابِهِ بَوَّابِينَ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ لَمْ أَعْرِفْكَ، فَقَالَ : «إِنَّمَا الصَّبْرُ عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ»، أَوْ قَالَ : «عِنْدَ أَوَّلِ الصَّدْمَةِ» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যিনি কবরের পাশে কাঁদছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং সবর কর। মহিলাটি বললেন, আমার কাছ থেকে চলে যান। আপনার ওপর তো আমার মতো মসীবত আসে নি। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চিনতে পারেন নি। পরে তাকে বলা হলো, তিনি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লানের কাছে হাযির হলেন, তাঁর কাছে কোনো পাহারাদার পেলেন না। তিনি আরয করলেন, আমি আপনাকে চিনতে পারি নি। তিনি বললেন: সবর তো বিপদের প্রথম অবস্থাতেই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯২৬।]

কারো সন্তান মারা গেলে সে ধৈর্যধারণ করলে তার বিনিময় অনেক। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَا مِنَ النَّاسِ مِنْ مُسْلِمٍ، يُتَوَفَّى لَهُ ثَلاَثٌ لَمْ يَبْلُغُوا الحِنْثَ، إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الجَنَّةَ بِفَضْلِ رَحْمَتِهِ إِيَّاهُمْ»

“কোনো মুসলিমের তিনটি সন্তান বালিগ হওয়ার পূর্বে মারা গেলে তাদের প্রতি রহমতস্বরূপ অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তিকে জান্নাতে দাখিল করবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৪৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৩২।]

আবূ সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

«أَنَّ النِّسَاءَ قُلْنَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : اجْعَلْ لَنَا يَوْمًا فَوَعَظَهُنَّ، وَقَالَ : «أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَ لَهَا ثَلاَثَةٌ مِنَ الوَلَدِ، كَانُوا حِجَابًا مِنَ النَّارِ»، قَالَتِ امْرَأَةٌ : وَاثْنَانِ؟ قَالَ : «وَاثْنَانِ»

“মহিলাগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমাদের জন্য একটি দিন নির্ধারিত করে দিন। তারপর তিনি একদিন তাদের ওয়ায-নসীহত করলেন এবং বললেন, “যে স্ত্রীলোকের তিনটি সন্তান মারা যায়, তারা তার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে। তখন এক মহিলা প্রশ্ন করলেন, দু’সন্তান মারা গেলে? তিনি বললেন, দু’সন্তান মারা গেলেও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৪৯।]

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لاَ يَمُوتُ لِمُسْلِمٍ ثَلاَثَةٌ مِنَ الوَلَدِ، فَيَلِجَ النَّارَ، إِلَّا تَحِلَّةَ القَسَمِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ : ﴿وَإِن مِّنكُمۡ إِلَّا وَارِدُهَاۚ﴾ [ مريم : ٧١ ]

“কোনো মুসলিমের তিনটি (নাবালিগ) সন্তান মারা গেলে তারপরও সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে -এমন হবে না। তবে শুধু কসম পূর্ণ হওয়ার পরিমাণ পর্যন্ত। আবূ আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী রহ. কসম পূর্ণ হওয়ার সময় বলতে বুঝিয়ে) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী ﴿وَإِن مِّنكُمۡ إِلَّا وَارِدُهَاۚ﴾ [ مريم : ٧١ ] “তোমাদের প্রত্যেকেই তা অতিক্রম করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৫১।]

গ- মৃত সংবাদ শোনে إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ‘ইন্না লিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন বলা’।

উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,

«مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُصِيبُهُ مُصِيبَةٌ، فَيَقُولُ مَا أَمَرَهُ اللهُ : ﴿إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ﴾ [ البقرة : ١٥٦ ] اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَخْلَفَ اللهُ لَهُ خَيْرًا مِنْهَا، قَالَتْ : فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ، قُلْتُ : أَيُّ الْمُسْلِمِينَ خَيْرٌ مِنْ أَبِي سَلَمَةَ؟ أَوَّلُ بَيْتٍ هَاجَرَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ إِنِّي قُلْتُهَا، فَأَخْلَفَ اللهُ لِي رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ : أَرْسَلَ إِلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ يَخْطُبُنِي لَهُ، فَقُلْتُ : إِنَّ لِي بِنْتًا وَأَنَا غَيُورٌ، فَقَالَ : «أَمَّا ابْنَتُهَا فَنَدْعُو اللهَ أَنْ يُغْنِيَهَا عَنْهَا، وَأَدْعُو اللهَ أَنْ يَذْهَبَ بِالْغَيْرَةِ»

“কোনো মুসলিম যখন কোনো বিপদে পতিত হয়, তখন সে যদি আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী “ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজি‘উন” বলে এবং এ দো‘আ পাঠ করে “হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্যধারণের সাওয়াব দান কর এবং এর চেয়ে উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য কর”। তবে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য করবেন। যখন আবূ সালামার (তার স্বামী) মারা গেলো তখন আমি বললাম, আবূ সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে কে উত্তম হতে পারে? তাঁর পরিবারই প্রথম পরিবার যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হিজরত করেছিল। এরপর আমি ঐ দো‘আ পাঠ করলাম। ফলে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমার জন্য দান করলেন। উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমার নিকট হাতিব ইবন আবি বালতা‘আকে দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহের পয়গাম পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটি মেয়ে রয়েছে আর আমি একটু অভিমানী। তিনি বললেন, তোমার মেয়ের জন্য আমি দো‘আ করছি যেন আল্লাহ তার সুব্যবস্থা করে দেন এবং এটাও দো‘আ করছি যে, তিনি তোমার অভিমানকে দুর করে দেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯১৮।]

ঘ- ধৈর্যধারণ করা মানে এটা নয় যে, নারীরা সম্পূর্ণরূপে সাজসজ্জা পরিহার করবে। সন্তান বা অন্যদের ক্ষেত্রে তিন দিন শোক পালন করবে, আর স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।

যায়নাব বিনতে আবূ সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«لَمَّا جَاءَ نَعْيُ أَبِي سُفْيَانَ مِنَ الشَّأْمِ، دَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا بِصُفْرَةٍ فِي اليَوْمِ الثَّالِثِ، فَمَسَحَتْ عَارِضَيْهَا، وَذِرَاعَيْهَا، وَقَالَتْ : إِنِّي كُنْتُ عَنْ هَذَا لَغَنِيَّةً، لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : «لاَ يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ، أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا»

“যখন শাম (সিরিয়া) থেকে (তাঁর পিতা) আবূ সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহুর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছাল, তার তৃতীয় দিন উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হলুদ বর্ণের সুগন্ধি আনলেন এবং তাঁর উভয় গাল ও বাহুতে মাখলেন। তারপর বললেন, অবশ্য আমার এর কোনো প্রয়োজন ছিল না, যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একথা বলতে না শোনতাম, যে স্ত্রীলোক আল্লাহ এবং কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে স্বামী ব্যতীত অন্য কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। অবশ্য স্বামীর জন্য সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৮০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন