মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ক- মৃত্যু ব্যক্তির চোখ বন্ধ করে দেওয়া। তার জন্য কল্যাণকর দো‘আ করা। কেননা আবূ সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মারা যান, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চোখ বন্ধ করে দিয়েছেন।
উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গেলেন। তখন তার চোখগুলো উল্টো ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চোখগুলো বন্ধ করে দিলেন এবং বললেন, রূহ যখন নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চোখ তৎপ্রতি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এ কথা শুনে তার পরিবারের লোকেরা উচ্চস্বরে কেঁদে উঠলেন। তিনি বললেন, তোমরা নিজেদের জন্য অমঙ্গলজনক কোনো দো‘আ করো না। কেননা ফিরিশতাগণ তোমাদের কথার ওপর আমীন বলে থাকেন। তিনি তারপর বললেন হে আল্লাহ! তুমি আবূ সালামাকে মাফ করে দাও, হিদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার দরজাকে বুলন্দ করে দাও এবং তার উত্তরাধিকারীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নিযুক্ত কর। হে রাব্বুল আলামীন! আমাদেরকে ও তাকে মাফ করে দাও, তার জন্য কবরকে প্রশস্ত করে দাও এবং তার কবরকে আলোকময় করে দাও”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯২০।]
খ- মৃত ব্যক্তিকে চাদর দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া। আবূ সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমাকে বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের খবর পেয়ে) আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘সুন্হ’-এ অবস্থিত তার বাড়ি থেকে ঘোড়ায় চড়ে চলে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকদের সাথে কোনো কথা না বলে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার ঘরে প্রবেশ করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ‘হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদর দ্বারা আবৃত ছিলেন। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখমণ্ডল উন্মুক্ত করে তাঁর ওপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, তারপর কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন, ইয়া নবীয়্যাল্লাহ! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আল্লাহ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্রিত করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল তা তো আপনি কবুল করেছেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৪১।]
গ- তবে মুহরিম হলে তাকে ঢাকা হবে না। কেননা মুহরিমের চেহারা ও মাথা ঢাকা হয় না। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“এক ব্যক্তি আরাফাতে ওয়াকূফ অবস্থায় হঠাৎ তার উটনী থেকে পড়ে যায়। এতে তার ঘাড় মটকে গেল অথবা বর্ণনাকারী বলেছেন, তাঁর ঘাড় মটকিয়ে দিল। (এতে সে মারা যায়)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল করাও এবং দু’ কাপড়ে তাকে কাফন দাও। তাকে সুগন্ধি লাগাবে না এবং তার মাথা ঢাকবে না। কেননা কিয়ামতের দিন সে তালবিয়া পাঠ করতে করতে উত্থিত হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৬৫।]
ঘ- মৃত ব্যক্তিকে গোসল, জানাযার সালাত এবং দাফনের ক্ষেত্রে দ্রুততা অবলম্বন করা। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমরা জানাযা নিয়ে দ্রুতগতিতে চলবে। কেননা, সে যদি সৎলোক হয়, তবে এটা উত্তম, যার দিকে তোমরা তাকে এগিয়ে দিচ্ছ আর যদি সে অন্য কিছু হয়, তবে সে একটি অকল্যাণ, যাকে তোমরা তোমাদের ঘাড় থেকে দ্রুত নামিয়ে ফেলছ”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩১৫।]
ঙ- মৃত ব্যক্তি যে এলাকায় মারা যাবে তাকে সেখানেই দাফন করা। কেননা উহুদ যুদ্ধের শহীদদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানেই দাফন করেছিলেন। জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“উহুদের দিন আমার ফুফু আমার (শহীদ) পিতাকে আমাদের কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘোষক ঘোষণা দিলেন, নিহতদের শাহাদাতের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে এসো”। [তিরমিযী, হাদীস নং ১৭১৭, ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। আল্লামা আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
চ- মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ঋণ থাকলে তা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করা। মৃত ব্যক্তির পরিবার যদি তা আদায়ে অক্ষম হয় তবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আদায় করে দিতে হবে। অন্য কোনো দানশীল ব্যক্তি তার পক্ষ থেকে আদায় করে দিলেও আদায় হয়ে যাবে। সা‘দ উবনুল আতওয়াল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
“তার ভাই মারা গেলেন এবং তিনশত দিরহাম ও কতক অসহায় সন্তান রেখে যান। আমি সেগুলো তার সন্তানদের জন্য খরচ করতে মনস্থ করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার ভাই দেনার কারণে আটক রয়েছে। অতএব, তার পক্ষ থেকে তা পরিশোধ করো। সা‘দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি তার পক্ষ থেকে সব দেনা শোধ করেছি, কেবল এক মহিলার দাবিকৃত দু’টি দীনার বাকী আছে। কিন্তু তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, তা তাকে দিয়ে দাও, কারণ সে সত্যবাদিনী”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৪৩৩। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
“আমরা এক জানাযায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তিনি তিনবার জিজ্ঞাসা করলেন: এখানে অমুক গোত্রের কেউ আছে কি? এক ব্যক্তি দাঁড়ালে তিনি বললেন, তুমি প্রথম দুইবার উত্তর দাও নি কেন? আমি তোমার ভালোর জন্যই ডেকেছি। এরপর তিনি তাদের এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, সে তো মারা গেছে, কিন্তু সে দেনার দায়ে আবদ্ধ রয়েছে”। [নাসাঈ, হাদীস নং ৪৬৮৫। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/270/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।