hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন আল-আযহারী

৪- মাইয়্যেতের আত্মীয় স্বজনের জন্য যেসব কাজ করা হারাম:
মানুষ যখন মারা যায় তখন তার জন্য যেমন করণীয় রয়েছে, তেমনি বর্জনীয়ও রয়েছে। অতএব, এসব কাজ জানা প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। নিম্নে এসব আলোচনা করা হলো:

ক- মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা হারাম। আবূ মালিক আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«أَرْبَعٌ فِي أُمَّتِي مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ، لَا يَتْرُكُونَهُنَّ : الْفَخْرُ فِي الْأَحْسَابِ، وَالطَّعْنُ فِي الْأَنْسَابِ، وَالْاسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُومِ، وَالنِّيَاحَةُ " وَقَالَ : «النَّائِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبْلَ مَوْتِهَا، تُقَامُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِرْبَالٌ مِنْ قَطِرَانٍ، وَدِرْعٌ مِنْ جَرَبٍ»

“আমার উম্মাতের মধ্যে জাহেলিয়াত বিষয়ের চারটি জিনিস রয়েছে যা তারা ত্যাগ করছে না। বংশ মর্যাদা নিয়ে গর্ব, অন্যের বংশের প্রতি কটাক্ষ, গ্রহ-নক্ষত্রের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা এবং মৃতদের জন্য বিলাপ করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, বিলাপকারিনী যদি তার মৃত্যুর পূর্বে তাওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিনে তাকে দাঁড় করানো হবে, তখন তার দেহে আলকাতরার আবরণ থাকবে এবং খোস-পাঁচড়ার পোষাক থাকবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৩৪।]

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন,

«لَمَّا جَاءَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَتْلُ ابْنِ حَارِثَةَ وَجَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدِ اللهِ بْنِ رَوَاحَةَ، جَلَسَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِيهِ الْحُزْنُ، قَالَتْ : وَأَنَا أَنْظُرُ مِنْ صَائِرِ الْبَابِ - شَقِّ الْبَابِ - فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ نِسَاءَ جَعْفَرٍ، وَذَكَرَ بُكَاءَهُنَّ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ فَيَنْهَاهُنَّ، فَذَهَبَ، فَأَتَاهُ فَذَكَرَ أَنَّهُنَّ لَمْ يُطِعْنَهُ، فَأَمَرَهُ الثَّانِيَةَ أَنْ يَذْهَبَ فَيَنْهَاهُنَّ، فَذَهَبَ، ثُمَّ أَتَاهُ فَقَالَ : وَاللهِ، لَقَدْ غَلَبْنَنَا يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَتْ فَزَعَمَتْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : «اذْهَبْ فَاحْثُ فِي أَفْوَاهِهِنَّ مِنَ التُّرَابِ» قَالَتْ عَائِشَةُ : فَقُلْتُ : أَرْغَمَ اللهُ أَنْفَكَ، وَاللهِ، مَا تَفْعَلُ مَا أَمَرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا تَرَكْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعَنَاءِ

“যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যায়েদ ইবন হারিসা, জাফর ইবন আবূ তালিব ও আব্দুল্লাহ ইবন রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু আনহুমের শাহাদতের সংবাদ পৌঁছল। তখন তিনি বসে পড়লেন। তার চেহারা মুবারকে দুঃখ ও চিন্তার চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমি দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাচ্ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাফর রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রী ও পরিবারের মহিলারা কান্নাকাটি করছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি গিয়ে তাদেরকে নিষেধ কর। সে গেলো এবং পুনরায় ফিরে এসে বললো, তারা তার কথা শুনে নি। তিনি দ্বিতীয়বার তাকে নির্দেশ দিলেন, সে যেন গিয়ে তাদের নিষেধ করেন, সে গিয়ে পুনরায় ফিরে এসে বললো, আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারাই আমাদের ওপর প্রবল রইলো। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, যাও, তুমি তাদের মুখে মাটি ঢুকিয়ে দাও। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, আমি (মনে মনে) বললাম, আল্লাহ তোমার নাক ধুলি ধুসরিত করুন। আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নির্দেশ তোমাকে দিয়েছেন তা তুমি করতেও পারবে না আর তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও বিরক্ত করতে ছাড় নি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৩৫।]

উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ : ﴿يُبَايِعۡنَكَ عَلَىٰٓ أَن لَّا يُشۡرِكۡنَ بِٱللَّهِ شَيۡ‍ٔٗا ..... وَلَا يَعۡصِينَكَ فِي مَعۡرُوفٖ ١٢﴾ [ الممتحنة : ١٢ ] يُبَايِعْنَكَ عَلَى أَنْ لَا يُشْرِكْنَ بِاللهِ شَيْئًا وَلَا يَعْصِينَكَ فِي مَعْرُوفٍ قَالَتْ : كَانَ مِنْهُ النِّيَاحَةُ، قَالَتْ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ، إِلَّا آلَ فُلَانٍ، فَإِنَّهُمْ كَانُوا أَسْعَدُونِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَا بُدَّ لِي مِنْ أَنْ أُسْعِدَهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «إِلَّا آلَ فُلَانٍ»

“যখন এ আয়াত নাযিল হলো, “হে নবী! মুমিন মহিলারা যখন তোমার কাছে এসে বাই‘আত করে এ মর্মে যে, তারা আল্লাহর সঙ্গে কোনো শরীক করবে না এবং সৎকার্যে তোমাকে অমান্য করবে না”... [সূরা আল-মুমতাহিনাহ, আয়াত: ১২] উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, তন্মধ্যে বিলাপও ছিল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক পরিবার ব্যতীত। কারণ, তারা জাহেলিয়াতের যুগে আমাকে বিলাপে সহানুভূতি দেখিয়েছিল। তাই তাদের প্রতি সহানূভুতি দেখান আমার জন্য জরুরী। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “অমুক পরিবার ব্যতীত”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯৩৬।]

খ- গাল চাপড়ানো হারাম। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَطَمَ الخُدُودَ، وَشَقَّ الجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الجَاهِلِيَّةِ»

“যারা (মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গাল চাপড়ায়, জামার বুক ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহেলিয়াত যুগের মতো চিৎকার দেয়, তারা আমাদের তরিকাভুক্ত নয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৯৪।]

গ- শোকে মাথার চুল কামানো। আবূ বুরদা ইবন আবু মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু হাদীস বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

«وَجِعَ أَبُو مُوسَى وَجَعًا شَدِيدًا، فَغُشِيَ عَلَيْهِ وَرَأْسُهُ فِي حَجْرِ امْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهَا شَيْئًا، فَلَمَّا أَفَاقَ، قَالَ : أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرِئَ مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «بَرِئَ مِنَ الصَّالِقَةِ وَالحَالِقَةِ وَالشَّاقَّةِ»

“আবূ মূসা কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেন। এমন কি তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। তখন তার মাথা তার পরিবারস্থ কোনো এক মহিলার কোলে ছিল। তিনি তাকে কোনো জওয়াব দিতে পারছিলেন না। চেতনা ফিরে পেলে তিনি বললেন, সে সব লোকের সঙ্গে আমি সম্পর্ক রাখি না যাদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সব নারীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা প্রকাশ করেছেন- যারা চিৎকার করে কাঁদে, যারা মাথা মুড়ায় এবং যারা জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২৯৬।]

ঘ- শোকে মাথার চুল এলোমেলো করে রাখা। উসাইদ ইবন আবূ উসাইদ জনৈক বাই‘আত গ্রহণকারী মহিলা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَعْرُوفِ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ لَا نَعْصِيَهُ فِيهِ : «أَنْ لَا نَخْمُشَ وَجْهًا، وَلَا نَدْعُوَ وَيْلًا، وَلَا نَشُقَّ جَيْبًا، وَأَنْ لَا نَنْشُرَ شَعَرًا»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ থেকে যেসব উত্তম ব্যাপারে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন, তার মাঝে এ ছিল যে, আমরা তাঁর নাফরমানী করব না, আমাদের চেহারা নখ দিয়ে আঁচড়ে ক্ষত-বিক্ষত করব না, ধ্বংসের আহ্বান করব না, জামার বক্ষদেশ ফেঁড়ে ফেলব না এবং মাথার চুল অবিন্যস্ত করব না”। [আবূ দাঊদ, হাদীস নং ৩১৩১, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন