hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিল্লা, তালাক ও ফতোয়া যে কথাগুলো না বললেই নয়

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

১১
মুফাসসির ইব্‌ন আবী হাতেমের ব্যাখ্যা
তৃতীয় হিজরী শতাব্দীর প্রখ্যাত মুফাসসির ইবন আবী হাতেম রহ. বলেন, {তালাক দু’বার, অতঃপর বিধি মোতাবেক ‎‎ রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।} এর ব্যাখ্যায় ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীকে দুই তালাক দেয়, তৃতীয় তালাকের ব্যাপারে তার উচিত আল্লাহকে ভয় করা, হয়তো তাকে সুন্দরভাবে রেখে দেবে, তার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করবে, অথবা তাকে সুন্দরভাবে পরিত্যাগ করবে, তার অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত কিংবা তার ওপর যুলম করবে না। সাহাবী ‘আবূ রাযীন’ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের কাছে এসে বলে, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তো বলেছেন : {তালাক দু’বার, অতঃপর বিধি মোতাবেক ‎‎ রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে।} কিন্তু তৃতীয় তালাক কোথায় ? তিনি বলেন, {সুন্দরভাবে ছেড়ে দেয়া} মুফাসসির সুদ্দী রহ. বলেন, {অথবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেয়া} অর্থাৎ তার অধিকার তাকে বুঝিয়ে দেয়া, তাকে কষ্ট বা গালি না দেয়া।

ইকরিমা রহ. ও হাসান রহ. বলেন, {ইসলাম পূর্বে ও ইসলামের প্রাথমিক যুগে} স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের দেয়া মোহরানা ও অন্যান্য সম্পদ ভোগ করত, এতে তারা নিজেদের কোনো অপরাধ বোধ করত না, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন, {‎আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরাতাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে ‎‎ নেবে।} এরপর স্ত্রীদের সম্পদ তাদের অনুমতি ও সন্তুষ্টি ব্যতীত স্বামীদের ভক্ষণ করা বৈধ নয়। {সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর ‎‎ যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবেনা তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেবেতাতে কোন সমস্যা নেই।} এর অর্থ ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, অর্থাৎ স্ত্রীর আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করা, স্বামীর প্রতি কর্তব্যে অবহেলা করা ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, যেমন তাকে বলা, ‘আল্লাহর শপথ আমি তোমার সঙ্গে সদাচারণ করব না, বিছানায় তোমাকে সুযোগ দেব না, তোমার আনুগত্য করব না ইত্যাদি। যদি সে এমন করে, তাহলে স্বামীর জন্য বৈধ তার থেকে ফিদিয়া গ্রহণ করে তাকে পরিত্যাগ করা। তবে তাকে মোহরানা বাবদ যা দেয়া হয়েছিল, তার চেয়ে অধিক গ্রহণ করবে না। আর তার রাস্তা পরিষ্কার করে দেয়া, যদি দুর্ব্যবহার তার {স্ত্রীর) পক্ষ থেকে হয়। {এটা আল্লাহর সীমারেখা,‎ সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না, আর যেআল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাইযালিম।‎} ইমাম যাহহাক রাহিমাহুল্লাহ এর ব্যাখ্যায়বলেন, এ হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্যের সীমারেখা, তোমরা এর সীমালঙ্ঘন কর না, তিনি বলেন, যদি কেউ এ নিয়ম পরিহার করে তালাক দেয়, সে নিজের ওপর যুলম করল। [তাফসীর ইব্‌ন আবী হাতেম লেখক : ইব্‌ন আবী হাতেম রাযী (মৃ. ৩২৭ হি.), প্রকাশক : মাকতাবাতু নাজার মুস্তফা আল-বায, দেশ : রিয়াদ, মক্কা আল-মুকাররামাহ, প্রকাশকাল : ১৪১৭ হি. মোতাবেক ১৯৯৭ই. প্রথম প্রকাশ}

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন