hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিল্লা, তালাক ও ফতোয়া যে কথাগুলো না বললেই নয়

লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব

তালাকদাতা তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে পাবেন কিভাবে
স্বামী যখন তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, আর এ তালাক যদি প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয় এবং স্ত্রীর ইদ্দত (যেমন তার বাচ্চা প্রসব করা, যদি তালাক অবস্থায় গর্ভবতী থাকে, অথবা তার তিন ঋতু অতিবাহিত হওয়া) এখনো শেষ না হয়, তাহলে তার স্ত্রীকে কথার মাধ্যমেই রুজ‘আত তথা ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব, যেমন বলা : আমি তোমাকে রুজ‘আত করে নিলাম তথা ফিরিয়ে নিলাম অথবা আমি তোমাকে রেখে দিলাম, তাহলে রুজ‘আত হয়ে যাবে, অথবা কোনো কাজের দ্বারা রুজ‘আত উদ্দেশ্য করা, যেমন রুজ‘আতের উদ্দেশ্যে সহবাস করা, তাহলেও রুজ‘আত শুদ্ধ।

এ ক্ষেত্রে সুন্নত হচ্ছে রুজ‘আতের জন্য সাক্ষী রাখা, যেমন দু’জন ব্যক্তিকে তার রুজ‘আত সম্পর্কে জানানো আল্লাহ তা‘আলার বাণী অনুসারে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ فَإِذَا بَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمۡسِكُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ فَارِقُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٖ وَأَشۡهِدُواْ ذَوَيۡ عَدۡلٖ مِّنكُمۡ وَأَقِيمُواْ ٱلشَّهَٰدَةَ لِلَّهِۚ ذَٰلِكُمۡ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ ﴾ [ الطلاق : ٢ ]

‘অতপর যখন তারা তাদের ইদ্দতের শেষ সীমায় পৌঁছবে, তখন তোমরা তাদের ন্যায়ানুগ পন্থায় রেখে দেবে অথবা ন্যায়ানুগ পন্থায় তাদের পরিত্যাগ করবে এবং তোমাদের মধ্য থেকে ন্যায়পরায়ন দুইজনকে সাক্ষী বানাবে। আর আল্লাহর জন্য সঠিক সাক্ষ্য দেবে। তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনে এটি দ্বারা তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন।’ {সূরা আত-তালাক, আয়াত : ২}

আর যদি স্ত্রী এক তালাকের পর অথবা দুই তালাকের পর ইদ্দত শেষ করে ফেলে, তাহলে নতুন করে আকদ করা জরুরী। এ ক্ষেত্রে সে অন্য পুরুষের ন্যায় মেয়ের অভিভাবক বা স্বয়ং মেয়েকে প্রস্তাব দেবে, যখন মেয়ে ও তার অভিভাবক সম্মত হয় এবং মোহরে সন্তোষ প্রকাশ করে, তখন দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে আকদ সম্পন্ন করতে হবে।

আর যদি তিন তালাক দেয়, তাহলে এ স্ত্রী তার ওপর হারাম হয়ে যাবে। যতক্ষণ না শরীয়ত সম্মতভাবে স্ত্রী অন্য স্বামীকে বিয়ে করে এবং তার সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয়, অতঃপর তালাক বা মৃত্যুর কারণে তার থেকে আলাদা হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

﴿ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعۡدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوۡجًا غَيۡرَهُ ﴾ [ البقرة : ٢٣٠ ]

‘অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয় তাহলে ‎‎ সে পুরুষের জন্য হালাল হবে না যতক্ষণপর্যন্ত ভিন্ন একজন স্বামী সে গ্রহণ না করে।’ {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৩০}

তবে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এমন চুক্তি বৈধ নয় যে, তাকে বিয়ে করে তালাক দিয়ে দেবে। এটা গর্হিত কর্ম। এটা কবীরা গুনাহ। এ বিয়ের কারণে স্ত্রী পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হবে না। বরং হিল্লাকারী ও যার জন্য হিল্লা করা হয় উভয়কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন। যেমনটি আমরা ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি। [শায়খ আবদুল আযীয ইবন বায রহ., ফতোয়ায়ে তালাক : ১/১৯৫-২১০]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন