hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমকালীন আরবের অবস্থা ও তাঁর মক্কী জীবন

লেখকঃ মো. আব্দুল কাদের

২২
মদীনায় হিজরত:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করবেন এ সংবাদ মক্কায় প্রকাশ পেলে মক্কাবাসী তাঁর উপর নানাবিধ অত্যাচার শুরু করল। এমনকি তারা তাঁকে হত্যার প্ররোচনাতেও নেচে উঠল। যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হত্যার পাপময়, ঘৃণ্য ও জঘন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো তখন জিবরাঈল ‘আলাইহিস সালাম মহান আল্লাহর তরফ থেকে ষড়যন্ত্রের কথা জানালেন। তিনি বললেন, আপনার প্রভু আপনাকে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার অনুমতি প্রদান করেছেন।

আপনি এ যাবত যে শয্যায় শয়ন করেছেন আজ রাত্রে সে শয্যায় শয়ন করবেন না। এ কথার মাধ্যমে হিজরত করার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হল।

হিজরত সংক্রান্ত ওহী নাযিল হওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠিক দুপুরে আবু বকরের ঘরে তশরীফ নিয়ে আসলেন। উদ্দেশ্য ছিল হিজরতের সময় ও পন্থা প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা। আয়শা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমরা আব্বার বাড়িতে ঠিক দুপুরে বসেছিলাম। জনৈক ব্যক্তি এসে সংবাদ দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা ঢেকে আগমণ করেছেন। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি এ সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার জন্য এসেছেন?

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভিতরে আসার অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেওয়া হলো এবং তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হিজরত করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আপনার প্রতি আমার পিতা-মাতা উৎসর্গ হোক। অতঃপর হিজরতের সময় সূচী নির্ধারণ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন গৃহে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং রাতের আগমণের জন্য প্রতীক্ষায় রইলেন। [আর রাহীকুল মাখতুম, পৃ. ১৬০।]

এদিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হিজরতের প্রস্ত্ততি নিচ্ছিলেন তখন পাপিষ্ঠরা তাঁকে মারার জন্য দারুন নদওয়াতে বৈঠক আহ্বান করল। এ সময় ইবলিশ নাজদের এক শায়খের রূপ ধরে সেখানে আগমন করল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মারার জন্য পরামর্শ দিয়ে উৎসাহিত করল। [নুরুল ইয়াকীন, পৃ. ৭৮-৭৯।] এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَإِذۡ يَمۡكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لِيُثۡبِتُوكَ أَوۡ يَقۡتُلُوكَ أَوۡ يُخۡرِجُوكَۚ وَيَمۡكُرُونَ وَيَمۡكُرُ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيۡرُ ٱلۡمَٰكِرِينَ ٣٠ ﴾ [ الانفال : ٣٠ ]

“আর ঐ সময়কে স্মরণ কর যখন কাফিররা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল এ জন্য যে, তোমাকে বন্দী করবে অথবা হত্যা করবে অথবা বিতাড়িত করবে। আর তারা নিজেদের তদ্বির করছিল এবং আল্লাহ আপন তদ্বির করছিলেন, আর আল্লাহ হচ্ছেন উত্তম তদ্বিরকারী। [সূরা আল আনফাল, আয়াত ৩০।]

অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে সাথে নিয়ে মদীনা অভিমুখে রওনা হলেন। এদিকে কাফিররা তাঁকে ধরার জন্য পিছে ধাওয়া করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করে সওর গুহায় আশ্রয় নিলেন। এদিকে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর গোলাম আমের ইবন ফুহায়রা পর্বতের ময়দানে ছাগল চরাতো এবং যখন রাত্রির এক অংশ চলে যেত তখন সে ছাগল নিয়ে গারে সওরের নিকট যেত এবং আত্মগোপনকারী নবী ও তাঁর সাথীকে দুধ পান করাতো। পরপর তিন রাতই সে এরূপ করল। অধিকন্তু আব্দুল্লাহ ইবন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর পদচি‎হ্নগুলো মিশিয়ে যেতো। [মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ, পৃ. ১৫৫।]

এদিকে কাফিররা তাদেরকে খুঁজতে খুঁজতে গুহার মুখে এসে উপস্থিত হলো। এ সময় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা সংখ্যায় অনেক, আমরা মাত্র দুজন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা তিনজন। আমাদের সাথে আল্লাহও আছেন [এ সাথে থাকার অর্থ, আল্লাহর সামনে থাকা, তাঁর হেফাযতে থাকা। এর অর্থ কখনই নয় যে, আল্লাহ কারও গায়ের সাথে লেগে আছে, বা সৃষ্টির ভিতরে আছেন। কারণ আল্লাহ আরশের উপর আছেন। [সম্পাদক]]। অবশেষে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীকে না পেয়ে প্রত্যাবর্তন করল। [আর রাহীকুল মাখতুম, পৃ. ১৬৬।]

এরপর গুহা থেকে বের হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু মদীনার দিকে হাঁটা শুরু করলেন। প্রথম কুবায় পৌঁছলেন, তারপর পথিমধ্যে জুম‘আর নামায শেষে তাঁরা মদীনায় প্রবেশ করলেন। ঐ দিন থেকেই মদীনাবাসী ইয়াসরিব নাম পরিবর্তন করে মদীনাতুন্নবী নামে অভিহিত করেন । [প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭২।] এ দিনটি ছিল ৬২২ খৃষ্টাব্দের ২৩শে সেপ্টেম্বর। এ দিবসের মাধ্যমেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কার জীবনের অবসান ঘটল এবং শুরু হল মদীনার জীবন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন