hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূলের শানে সমসাময়িক ধৃষ্টতা আকার-প্রকৃতি ও নেপথ্য কাহিনী

লেখকঃ নাসের বিন সুলাইমান আল-উমর

১০
এ সব ধৃষ্টতা বন্ধের পরিকল্পনা এবং গ্রহণীয় কর্তব্য :
এটা শুধু একটা ভূমিকা এবং তার নিয়মনীতির উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এখানে আমরা সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব না যে, কি জন্য তারা রাসূল সা.-কে গালমন্দ করে, কি জন্য তারা রাসূলের সাথে ধৃষ্টতা দেখায়। তবে হ্যাঁ, এখানে আমরা তার উৎস ও প্রতিকার এবং এগুলো যে ভ্রান্ত তার অবতারণা করব।

এ প্রবন্ধের শুরুতে রাসূলের উপর ধৃষ্টতার উৎস নিয়ে সামান্য ইঙ্গিত প্রদান করেছি। যার সারাংশ হচ্ছে হক ও বাতিল তথা সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব আদি যুগ থেকেই। তবে যারা বলে পাশ্চাত্যের এ ধৃষ্টতা এবং ইসলাম বিদ্বেষের কারণ হচ্ছে ইসলাম ও তার নবী সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতা, তারা ভুল করেন। অধুনা আলোচিত ডেনমার্কের ধৃষ্টতার প্রাক্কালে সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছিল যে, ‘‘যদি তারা রাসূল সা.-কে চীনতো তবে তারা রাসূলকে মহববত করত।’’ মন্তব্যটি যথার্থ কিংবা বাস্তবসম্মত হয়নি। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলছেন : ‘‘হে আহলে কিতাব সম্প্রদায়! তোমরা কেন সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করছ? আর জেনে শুনে কেন সত্যকে গোপন করছ।’’ [আলে ইমরান : ৭১] অন্যত্র বলেছেন : ‘‘আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা রাসূলকে এমনভাবে চিনে, যেমন তারা নিজেদের সন্তানদের চিনে। যারা নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, তারা ঈমান গ্রহণ করবে না।’’ [আল-আনআম : ২০] তাদের অনেকে কুরআনকে চিনে, তবুও হিংসা ও সীমা-লঙ্ঘন-বশত তা গোপন করে। তাদের অনেকেই জানে যে, মুহাম্মদ সত্যিই আল্লাহর রাসূল, তবুও তারা তাকে অস্বীকার করে, তার সাথে শত্রুতা পোষণ করে। এমনটি ইতিপূর্বে তাদের পূর্ব পুরুষরাও করেছে, এখন তারা করছে। অথচ তারা সকলেই এ বিষয়ে জানে ও জ্ঞান রাখে। পক্ষান্তরে তাদের ভেতর যারা ইনসাফের সাথে ফয়সালা করে এবং সত্যের কাছে মাথা নত করে, তাদের ব্যাপারে এরশাদ হচ্ছে : ‘‘যারা নিরক্ষর নবী ও রাসূলের অনুসরণ করে, যাকে তারা নিজেদের নিকট রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলের ভেতর লিখিত দেখতে পায়। তিনি তাদেরকে ভালো জিনিসের আদেশ দেন এবং মন্দ জিনিস হতে নিষেধ করেন। তাদের জন্য পবিত্র বস্ত্তগুলো হালাল করেন এবং অপবিত্র বস্ত্তগুলো হারাম করেন। এবং তাদের উপর চাপানো বুঝা ও বন্ধন থেকে তাদের মুক্ত করেন। সুতরাং যারা তার উপর ঈমান রাখে, তাকে সম্মান করে ও সাহায্য করে, আর সে আলোকের অনুসরণ করে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, তারাই কৃতকার্য-কামিয়াব।’’ [আল-আরাফ : ১৫৭]

সহিহ বোখারিতে বর্ণিত আব্দুল্লাহ ইবনে সালামের ইসলাম গ্রহণের ঘটনায় তাদের এ হীন মানসিকতা আরো ঘৃণ্যভাবে ফুটে উঠেছে। [বোখারী : ৩৬৯৯]

ইসলাম ও তার নবীর ধৃষ্টতার ব্যাপারে এসব মৌলিক কারণগুলো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। যেমন উচিত নয় তাদের সকলকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা কিংবা তাদের সবার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা। কারণ, এ ধরনের মানসিকতা বিরোধিতা-বিদ্বেষকে উসকে দেয়, কোনো সমাধান দিতে পারে না। হ্যাঁ, মধ্যম পন্থা অবলম্বন করাই ইনসাফ ও ন্যায়সংগত। এটাই আমাদের ধর্ম তথা ইসলামের শিক্ষা। আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘‘তারা সকলে বরাবর নয়। আহলে কিতাবের একটি দল আছে, যারা রাতের ক্ষণে ক্ষণে দন্ডায়মান হালতে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে এবং তারা সেজদা করে।’’ [আলে ইমরান : ১১৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন