hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূলের শানে সমসাময়িক ধৃষ্টতা আকার-প্রকৃতি ও নেপথ্য কাহিনী

লেখকঃ নাসের বিন সুলাইমান আল-উমর

ভূমিকা :
ভালোর সাথে মন্দের দ্বন্দ্ব, মুসলমানদের সাথে কাফেরদের সংঘাত পার্থিব জগতের নীতি, আল্লাহর শাশ্বত বিধান। ‘‘আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে, আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করার স্থানসমূহ : খ্রিস্টানদের নির্জন গির্জা, এবাদতখানা, ইহুদিদের উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত। আল্লাহ নিশ্চয় তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা তাকে সাহায্য করে। আল্লাহ নিশ্চিত পরাক্রমশালী, শক্তির আধার।’’ [আল-হজ : ৪০]

সত্য এবং সত্যবাদীদের দ্বারাই আল্লাহ কাফের ও দুষ্কৃতকারীদের দুষ্কৃতি প্রতিহত করেন। যাতে প্রত্যক্ষ-অপ্রত্যক্ষ উভয় উপকরণই সমান ব্যবহার হয়। যেমন, দক্ষ জনবলের বৃহৎ শক্তি গঠন, সামরিক প্রস্ত্ততি, আল্লাহর সমীপে বিনীত দোয়া এবং সৎকর্ম। এবং আরো যে সব জিনিসের মাধ্যমে বালা-মুসিবত দূর হয় তার বাস্তব প্রয়োগ ও অনুশীলন করা ইত্যাদি।

হক ও বাতিলের এ সংঘাত পার্থিব স্বার্থ সিদ্ধির সাথে ওতপ্রোত জড়িত। এর মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা পরখ করেন, অদৃশ্য জগতে-না দেখে, কে তাকে এবং তার রাসূলকে সাহায্য করে। এর দ্বারাই চিহ্নিত করেন বিশ্বাসীদের, মনোনীত করেন শাহিদদের। এবং যার ইচ্ছে দেখে শুনেই ধ্বংস হবে।

বলা বাহুল্য, রাসূলগণ মানবতার মুক্তির দূত, সত্য ও কল্যাণের প্রতি প্রথম তারাই আহবানকারী; তাই অসত্য, অন্যায়ের মোকাবিলা এবং অনিষ্টচারীদের কষ্ট-পীড়ন সহ্য ভিন্ন কোন পথও ছিল না তাদের সামনে। এ জন্য-ই বলা হয়, মানুষের মাঝে সব চেয়ে বেশি পরীক্ষা, উৎপীড়নের শিকার হন নবিগণ। অতঃপর যারা যে পরিমাণ তাদের আদর্শ অনুসরণ করবে তারা সে পরিমাণ তাদের মত পরীক্ষা ও উৎপীড়নের শিকার হবে।

সাদ ইবনে আবী অক্কাস রা. বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সা. কে জিজ্ঞাসা করে ছিলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের ভেতর কারা সব চেয়ে বেশি কষ্ট ও নিপীড়নের শিকার হন? তিনি বললেন, ‘নবিগণ। অতঃপর যারা যে পরিমাণ তাদের আদর্শ অনুসরণ করবে তারা সে পরিমাণ পরীক্ষার মুখোমুখি হবে। বান্দাকে তার দ্বীনদারী অনুপাতে পরীক্ষা করা হয়।’ [সহিহ ইবনে হিববান : ২৯০০, ২৯২১ আল-হাকেম : ১২১, ৫৪৯৩]

পার্থিব জগতে মানুষ নানাবিধ বালা-মুসিবত ও দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হয়। ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পক্ষ থেকে শিষ্ট ও পরহিতে উৎসর্গিত মহা পুরুষগণ যে বিরুদ্ধাচার ও নিপীড়নের শিকার হন, তাও এর অন্তর্ভুক্ত। নবিগণ যার একটি বিরাট অংশ বরদাশত করে গেছেন। পাপাচারী অশিষ্টরা, বিশেষ করে আল্লাহর দুশমন বনি ইসরাইল সম্প্রদায় নবিদের হত্যা পর্যন্ত করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘শাস্তির কারণ, তাদের অঙ্গিকার ভঙ্গ করা, আল্লাহর নিদর্শন সমূহকে অস্বীকার করা, অন্যায় ভাবে নবিদের হত্যা করা এবং তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তি ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন।’ বরং মূল কথা হলো, অবিশ্বাস, অবাধ্যতা ও অকৃতজ্ঞতার কারণে আল্লাহ তাদের অন্তর সমূহের উপর মোহর করে দিয়েছেন। হাতে গোনা কতক লোক ব্যতীত, তাদের কেউ ঈমান গ্রহণ করবে না।’’ [আন-নিসা : ১৫৫] মানুষ যখন অহংকার, অবাধ্যতায় সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সে আল্লাহ সম্পর্কে কটূক্তি করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। তাদের পক্ষে নবি-রাসূল কিংবা আউলিয়াদের কষ্ট দেয়া আশ্চর্যের কোন বিষয় নয়। একজন অক্ষম মানুষ, যাকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, যার ভাগ্য তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন, যাকে তিনি সুন্দর সুন্দর রিজিক প্রদান করেন, যার জন্য তিনি আসমান হতে কল্যাণের বারি ধারা বর্ষণ করেন, তার দুঃসাহস ও অহমিকা আল্লাহ স্বয়ং ব্যক্ত করে বলেছেন: ‘‘যারা বলে, আল্লাহ গরিব, আমরা ধনি, আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন। আমরা তাদের কথোপকথন লিপি বদ্ধ করে রাখছি। এবং অন্যায় ভাবে নবিদের হত্যা করার অপরাধও। আমরা তাদেরকে বলব, তোমরা জাহান্নামের শাস্তি আস্বাদন কর।’’ [আলে-ইমরান : ১৮১] আল্লাহর উপর এমন মন্তব্য করার পর তাদের পক্ষ থেকে নবিদের কষ্ট দেয়ার মত ধৃষ্টতা প্রকাশ পেলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু আছে কি? আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘‘আমরা তাদের কথোপকথন এবং নবিদের হত্যা করার অপরাধ লিপিবদ্ধ করে রাখছি। আমরা অতি সত্বর তাদের বলব, তোমরা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ কর।’’ [আলে-ইমরান : ১৮১] না, আল্লাহর কসম করে বলছি, তাদের পক্ষে কোনও অপরাধ অসম্ভব নয়। আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন: ‘‘তদ্রুপ, মানব ও জীন প্রকৃতির কিছু শয়তানকে আমরা নবি-রাসূলদের শত্রু বানিয়ে দিয়েছি। তারা ধোঁকার আশ্রয় নিয়ে একে অপরের নিকট সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনা কানা ঘুষা করে। আল্লাহ বাধা দিলে, তারা এগুলো করতে সক্ষম হত না। আপনি তাদের এবং তাদের আবিষ্কৃত সব কিছু এড়িয়ে চলুন। যারা আখেরাতের উপর ঈমান রাখে না, একমাত্র তারাই এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং তাদের কথা কান পেঁতে শোনে। (তাদের এড়িয়ে চলুন) যাতে তারা ইচ্ছে মত যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।’’ [আল-আনআম : ১১২-১১৩]

হ্যাঁ, আশ্চর্যের বিষয় হলো, সত্যবাদী ও সৎ পথের যাত্রীদের আল্লাহ এবং তার রাসূলের পক্ষাবলম্বন কিংবা তার সাহায্য না করা। আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘আমরা আমাদের রাসূলদের দলিলসহ প্রেরণ করেছি, এবং তাদের উপর অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও সত্য-ন্যায়ের দন্ড। যাতে মানুষ ন্যায়-নীতি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা বজায় রাখে। আরো নাজিল করেছি লৌহ, যাতে প্রচুর রণশক্তি এবং মানুষের বহুবিধ উপকার রয়েছে। এর দ্বারা আল্লাহ প্রত্যক্ষ করবেন, কে না-দেখে আল্লাহ এবং তার রাসূলকে সাহায্য করে। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।’’ [আল-হাদিদ : ২৫]

হে আল্লাহর বান্দা! তোমার ভেতর সুপ্ত ঈমানের দীপ্তি কোথায়? তোমার রাসূলের শানে বেয়াদবি করা হচ্ছে, অথচ তোমার হৃদয়ে কোন স্পন্দন নেই? তোমার চেহারায় কোন প্রতিক্রিয়া নেই? আল্লাহর শপথ! এতো অন্তরের মৃতপ্রায় অবস্থা, আত্মার ধিক্কৃত নিশ্চলতা। ঈমানের বিন্দু বিদ্যমান আছে কোন অন্তকরণের এমন অবস্থা হতে পারে না! আল্লাহর শপথ! এটা চরম পর্যায়ের লাঞ্ছনা আর অপমান। এরশাদ হচ্ছে : ‘‘আল্লাহ শক্তিশালী ও পরাক্রমশীল, যে আল্লাহকে সাহায্য করবে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন।’’ [আল-হজ : ৪০] ‘‘যারা ঈমান গ্রহণ করেনি, তাদের জন্য দুঃখ ও ধ্বংস। তারা নিজেদের কর্ম ও শ্রম বিনষ্ট করেছে।’’ [মুহাম্মদ : ৮] ‘‘হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন, তোমাদের দৃঢ়পদ রাখবেন। আর যারা ঈমান গ্রহণ করেনি, তারা হতভাগা। তারা স্বীয় শ্রম বিনষ্ট করেছে।’’ [মুহাম্মদ : ৭-৮] হে আল্লাহ, তুমি আমাদের দৃঢ়পদ রাখ, তোমার রাসূলকে সাহায্য করার তওফিক দান কর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন