মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দাওয়াতের ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্রের মূল্যায়ন করা এবং তার প্রতি প্রেরণার সঞ্চার করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এটা মানবহৃদয়ে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে এবং ভাল কাজ ও নন্দিত আচরণের জন্য তাকে আরো গতিশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে। কাল্পনিক কিংবা রূপকথার থেকে ধার নিয়ে নয়, বরং গুরুত্বের জন্য আমাদের সামাজিক জীবনে সংগঠিত ঘটনা থেকে তার উদাহরণ পেশ করছি : বর পক্ষ সকল আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল । আমরা সকলেই জানি এতে তাদের কত শ্রম ঝড়াতে ও কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ, এখন তারা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বন্ধবদের সম্মুখে যাচাইয়ের পাত্র। সবাই তাদের আতিথেয়তা ও ব্যবস্থাপনার উপর মন্তব্য করবে। সুতরাং তারা স্বীয় সাথ্যের ক্ষেত্রে কোন ত্রুটিই রাখে না। যেহেতু সুন্দর ও উৎকৃষ্ট সেবা প্রদান একমাত্র উদ্দেশ্য। তবুও তাড়াহুড়ো, সময়ের স্বল্পতা ও মানসিক টেনশনের দরুন আয়োজক কিংবা পরিবেশনকারীদের সামান্য ভুল-চুক হয়ে যাওয়া বা দু-একটি আইটেম ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। সেখানে কারো কারো উপর কেয়ামত বয়ে যায়, ক্রোধে সজোরে হুংকার করে উঠে। উপস্থিত উৎকৃষ্ট খানার পসরার কথা পর্যন্ত ভুলে যায় সে, উপরন্তু পরিশ্রকারীদের পরিশ্রমটুকুও অস্বীকার করে বসে। এটা কোন যুক্তিসঙ্গত কাজ?
এ জাতীয় প্রেক্ষিতে ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে উৎসাহ দেয়া উচিত। ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোর পুনরাবৃত্তি না করা। তবেই তারা সামনের কাজে ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন, সংশোধন ও শোধরানোর অনুপ্রেরনা লাভ করবে।
যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসাজ ইবনে আবদে কায়েসকে উৎসাহ প্রদানের জন্য বলেছিলেন :
إن فيك خصلتين يحبهما الله : الحلم والإنائة . ( رواه مسلم )
‘‘তোমার মধ্যে দু’টো গুণ রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেন : ধৈর্য ও দৃঢ়স্থিরতা।’’ আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যখন চরিত্র দু’টো ভদ্রলোকের মধ্যে বিদ্যমান তখন তা উল্লেখ করার আবশ্যক কি? এর উত্তর : ইতিবাচক দিক বা ভাল গুণের উল্লেখ আলোচিত ব্যক্তিকে গভীর থেকে নিজের নৈতিবাচক দিকগুলো অনুসন্ধানে তৎপর ও সক্রিয় করে তুলবে। সে আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য অর্জনের লক্ষ্যে উত্তম গুণাবলীতে আরো সমৃদ্ধ হতে সচেষ্ট হবে। অন্যরাও এরকম প্রশংসার জন্য উদগ্রীব থাকবে এবং এর মর্যাদায় উন্নীত হতে চেষ্টা করবে।
এ ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসৃত পদ্ধতিটি হচ্ছে অভিনব, ফলপ্রসূ ও অত্যন্ত কার্যকর। তিনি কারো মধ্যে অনুকরণ যোগ্য গুণ, ভাল স্বাভাব ও সুন্দর নীতির প্রমাণ পেলে উত্তম উপাধি, সুন্দর সুন্দর নাম ও উপনাম দিয়ে আখ্যায়িত করতেন। যার ভেতর তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠত এবং তারা নিজেরাও এর কারণে গর্ববোধ করতেন, ঈর্ষণীয় হতেন অন্যদের কাছে। এভাবেই সবার সামনে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়ে যেত উত্তম চরিত্রের মহত্ব, মূল্য ও গুরুত্ব। যেমন তিনি খালিদ বিন ওয়ালীদ রা.-কে ‘সাইফুল্লাহ আল-মাসলূল, উসমান বিন আফ্ফন রা.-কে ‘জিন্নু-রাইন’ উমার বিন খাত্তাবের রা.-কে ‘আল-ফারুক’ এবং আবু উবাইদাহ ইবনুল যাররাহ রা.-কে ‘আমিনুল উম্মাহ’ বিশেষণ দ্বারা আখ্যা দিয়েছেন। অবশ্যই এখানে মহান উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। ফলশ্রুতিতে তারা এবং তাদের সমসাময়িকরা নিজের জান-প্রাণকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করার নিমিত্তে উদ্দীপ্ত হয়েছেন। এবং জীবন, সাধনা ও সম্পদ ইসলামের দাওয়াতের জন্য উজাড় করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা উৎসাহ প্রদান, অন্তরে আকর্ষণ সৃষ্টি ও ইসলামের উপর দৃঢ়পদ ও অনঢ় রাখার জন্য যাকাতের একটা অংশ অমুসলিমদের জন্য বরাদ্ধ করেছেন। ফলে তাদের অনেকেই ইসলামের মূল্য অনুভব করতে পেরে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে।
উত্তম চরিত্রগুলো তুলে ধরা, তার প্রতি তাগিদ ও উৎসাহ প্রদান আমাদের যেমন দায়িত্ব, মন্দ স্বভাব ও বিচ্যুতিগুলো ভুলে যাওয়া, তা এড়িয়ে চলা ও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা তেমন দায়িত্ব। অতএব আপনার নিকট যদি তা পরিবর্তন করে সুন্দরে রূপান্তর করার সামর্থ থাকে, তবে করে ফেলুন। যদি তা পরিবর্তন করার সামর্থ না থাকে, তবে ভুলে যেতে চেষ্টা করুন। কারণ, মন্দ বিষয় প্রকাশ করা ও জনসম্মুখে তুলে ধরা তার প্রতি তাগিদ প্রদানেরই নামান্তর। আপনি যদি কোন লোককে উপদেশ দিতে চান, তাহলে আপনাকে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে, এবং এত বেশী পরিমাণ আলোচনা করতে হবে যে, নৈতিবাচক বিষয়ের উপর যেন আপনিই বিরুদ্ধাচারী হয়ে যান। হ্যাঁ, তাকে কোনরূপ আঘাত না করে বিনম্রভাবে নৈতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। যাতে তার ও আপনার মধ্যে সম্পর্কের পথরুদ্ধ হয়ে না যায়। আপাকে আরো মনে রাখতে হবে আদম সন্তান ভুলে-ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। অসংখ মানুষ ভুল করার পরও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট তওবা করে সঠিক পথে ফিরে এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন:
خير الخطائين التوابون
‘‘উত্তম ভুলকারীগণ তারাই যারা তওবাকারী।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/483/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।