মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আলোচনা ও বাক্যালাপের পদ্ধতি জানা আপনার কর্তব্য। মানুষের সঙ্গে সততা, সত্যবাদিতা আপনাকে তাদের বিশ্বাস ও আস্থার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করবে। এর দ্বারা আপনি হবেন তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়। অতএব কখনোই অন্যকে বোকা ঠাওরানোর পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন না। কখনো লোকদেরকে এ জানান দেবেন না যে, আপনি তাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান, যদি হয়েই থাকেন ঠিক আছে, তবে আপনি একাই বুদ্ধিমান নন-মানুষের মধ্যে তো আরো অনেক বুদ্ধিমান রয়েছে। আপনি যেমন বোঝেন তারাও তো বোঝে। বরং আপনার কর্মতৎপরতা ও তাদের সঙ্গে কথোপকথন পদ্ধতি তারা ধারণ করে রাখে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য হচ্ছে-আপনার সঙ্গে যিনি কথা বলছেন তাকে বলবেন আপনার কথাগুলো খুবই চমৎকার। কিন্তু আমি এ মুহুর্তে আপনার কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনতে পারছি না। সেহেতু উপযুক্ত ও ব্যাপক সময় নিয়ে আমরা এ আলোচনাটি করতে পারি।
এখন আমাদের দ্বীতিয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা দরকার ।
তা হচ্ছে :
প্রশ্নের পদ্ধতি :
মানুষের প্রশ্ন করার পদ্ধতি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে । কেউ করে উম্মুক্ত প্রশ্ন ; উম্মুক্ত প্রশ্ন দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে-যার উত্তর শুধু হ্যাঁ বা না দ্বারা নয়, বরং অনেকগুলো উত্তর হতে পারে। তবে অবশ্যই সেই উত্তরগুলো হতে হবে সংক্ষিপ্ত ও নাতিদীর্ঘ্য। এটা বিশষজ্ঞদের মত ( হ্যাঁ অথবা না): কিন্তু উম্মুক্ত প্রশ্ন বলতে সাধারনত তুমি কেমন আছো? বিশেষ করে তোমার পরিবার-পরিজনদের নিয়ে তোমার দিন কেমন কাটছে? সাধারণভাবে ইসলামের অনুসরণ কতটুকু করতে পেরেছো? এর উত্তরে সে ঐ প্রশ্নগুলো সমর্থন করে অথবা অসমর্থন করে কথা বলবে। অথবা এখানে আরো অনেক উত্তর থাকতে পারে । এমনকি আপনি যে উত্তরের অপেক্ষা করছেন তার বিপরীত উত্তরও সে দিয়ে ফেলতে পারে। অতএব আপনি তাকে বলতে পারেন তোমার পরিবারের সঙ্গে তুমি কেমন দিন কাটাচ্ছো? উত্তরে সে বলবে-আমার পরিবারের অনেক সমস্যা, এবং কথার প্রসঙ্গ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাবে। অর্থ্যাৎ মুলআলোচ্য বিষয়টাই পরিবর্তন করে ফেলবে। সুতরাং এই ভদ্রলোককে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পারদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। যাকে তারা ‘ব্যাখ্যা সাপেক্ষ প্রশ্নমালা’ বলে অবিহিত করেছেন-ঐ প্রশ্নগুলো আপনি ব্যবহার করবেন না । কিন্তু প্রশ্ন করার আরো কিছু বিকল্প উপকরণ রয়েছে যা আলোচনাকে প্রানবন্ত করণ, গতিশীলতা আনয়ন ও অধিক বাক্যালাপে সহায়তা করবে। আপনার প্রশ্নগুলো সুস্পষ্ট ভাষায় করবেন ; এভাবে বলবেন, ‘হ্যাঁ, এ বিষয় সে আমার সঙ্গে অনেক আলোচনা করেছে। অথবা তার কথার সংশ্লিষ্ট কোন একটা অংশের দিকে ইঙ্গিত করবেন, যার নিশ্চয়তা প্রদান ও ব্যখ্যার প্রয়োজন। অতঃপর তার কথার বৃদ্ধি কামনা করবেন।
কখনো একথা বলে আপনি তার দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন, ‘তোমাকে তো আজ খুব বিষন্ন ও কিংকর্তব্যবিমুর মনে হচ্ছে ! উত্তরে সে বলবে-কার্যত আমি হতবুদ্ধি ও দিশেহারাই বটে ; কারণ আমি এ রকম, এই রকম......। দেখেন ! আপনি এখানে তেমন কিছুই বললেন না এবং আপনি এও জানতেন না যে বাস্তবিকই সে পরিশ্রান্ত কি না । কিন্তু আপনার উক্ত মন্তব্যে আপনার গুরুত্ব সে ঠিকই উপলব্ধি করে নিয়েছে। আবার কখনো বা সে পূর্ব থেকে ক্লান্ত নাও থাকতে পারে ; কিন্তু আপনার এই উক্তি যেন তাকে বিষন্ন ও পরিশ্রান্ত-ক্লান্ত করে ফেলেছে। তখন এর উত্তরে সে আরো সংযোজন করে বলবে-আমাকে পরিশ্রান্ত করে দিয়েছে এটা .., এটা...। মনে হচ্ছে আপনি যেন তার অনুভুতির উপর আঘাত করেছেন । সে এখন বেশ কথা বলতে থাকবে ।
ইসলামের দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত প্রত্যেকটি ব্যক্তির এটা শিখে নেয়া একান্ত কর্তব্য, যাতে তার সম্মুখস্থ ব্যক্তি তার সমস্যা ও বিষয়াবলী সম্পর্কে যে কথা বলছে-তার সঠিক সমাধান দিতে পারে।
উদাহরণ: তার অনুভূতির উপর মন্তব্য করতে গিয়ে এভাবে বলতে পারেন-আজ তোমাকে খুব ফুরফুরে মেজাজে ও প্রফুল্ল লাগছে । উত্তরে সে বলবে-আল্লাহর কসম, আমি এ রকম..., আমি সে রকম... সফলতা অর্জন করেছি। অতঃপর সে বলবে আপনিতো খুব তাড়াতাড়ি সংবাদটা জেনে ফেললেন। এরপর তার সুত্রধরে (উদাহরণ স্বরূপ) বলবে ; আজ আমার একটি নবজাতক জন্ম গ্রহণ করেছে। অতঃপর আপনি তাকে বলতে পারেন, ‘এইমাত্র আমি তোমার আনন্দের মুল কারণটা জানতে পারলাম।’ ইতিমধ্যে আপনাদের পরস্পরের মধ্যে আলোচনা, ভালবাসা ও শুভেচ্ছা বিনিময় আরম্ভ হয়ে যাবে। ইসলামের দাওয়াত প্রেক্ষিতে এর ব্যাপক ভূমিকা অনস্বীকার্য।
কিছু অর্থহীন শব্দ ও মুখের প্রকাশভঙ্গী রয়েছে। যেমন কেহ কথা বলতে থাকলে আপনি তাকে লক্ষ করে বলবেন ; (আহ) , (উহ্), এই প্রকাশ ভঙ্গির মাধ্যমে আপনি বক্তাকে মনে মনে বলছেন ‘আপনি একজন ভালশ্রোতা।’ (জি) (হ্যাঁ) এর দ্বারা আপনার উদ্দেশ্য হবে-আলোচনা চালিয়ে যান, আমি আপনার সঙ্গে আছি, আপনার কথা শুনছি। আর একটি উদাহরণ হতে পারে দুরালাপনীতে কথোপকথন : যখন বক্তা কথা বলতে আরম্ভ করবে, বিবরণ দেবে ও এক কথার মধ্যে অন্য কথা টেনে আনবে ; এ অবস্থায়ও আপনি কোন মন্তব্য ছাড়া একেবারে চুপ করে থাকবেন। তখন যদি সে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে বসে, ‘আপনি কি আমার কথা শুনছেন?’ উত্তরে আপনি বলবেন, ‘হ্যাঁ , আমি তোমার কথা শুনছি’, এবং তার আলোচনার শেষ বাক্যটা পুনরাবৃত্তি করে দেবেন। ফলে সে আপনার নাম লিপিবদ্ধ করে নেবে এবং আপনাকে অনেক নম্বর দেবে। তখন আপনি বলবেন, ‘হ্যাঁ, এই বক্তব্যটা গতরাতে রেডিওতেও প্রচারিত হয়েছে।’ মানুষের বেশি কথা আদায় করার ক্ষেত্রে এই অর্থহীন শব্দগুলোরও বিরাট প্রভাব রয়েছে। কারণ মানুষ সাধারনত এই অর্থহীন বাক্য ও কথা থেকে সু-নির্দিষ্ট প্রকাশভঙ্গি ব্যক্ত করে থাকে।
মানুষ আপনার কাছে সমস্যা নিয়ে আসে সমাধানের জন্য। কখনো এই সমস্যাগুলো ছোট হয়, আবার কখনো হয় বড়। তা যাই হোক, তার প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে এবং যেটার সমাধান করতে পারছেন না তার জন্য একটা অঙ্গীকার করবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য হচ্ছে-স্পষ্টভাবে বলে দেয়া। ‘আমি এ সমস্যার সমাধানে আপনার সাহায্যের জন্য আমার সাধ্যমত সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।’ কারণ আপনি যদি সময় বেধে দেন, অথবা এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য কোন প্রতিশ্রুতি দেন -অথচ এ দু’এর কোনটিই পূর্ণ করার সামর্থ্য আপনার নেই- তখন আপনি অসুবিধায় পড়ে যাবেন এবং লোকটির আস্থা হারাবেন, যা আপনি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তার সঙ্গে বেধে রেখেছিলেন। তখন আপনার সম্পর্কে সে বলবে, ‘ভদ্রলোক ওয়াদা করে তা রাখে না।’ এ সবকিছুর পরও আপনি যদি তাকে আশ্বস্ত করতে পারেন যে, নিশ্চয়ই আপনি আপনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন এবং যদি কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন তাহলেতো খুবই ভাল কথা। সে তার কাংক্ষিত বস্ত্ত পেয়ে গেলে সে মনে করবে নিশ্চয়ই আপনি তার সঙ্গ দিচ্ছেন, তাকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তবে মনে রাখতে হবে সে যতক্ষণ আপনার শরনাপন্ন থাকবে-আপনি কখনোই কোন সমস্যার মধ্যে তাকে একা ফেলে যেতে পারবেন না।
আপনার জেনে রাখা দরকার যে, মানুষ তাদের অসুবিধা ও সমস্যাবলীর কথা বলতে সদা উদ্গ্রীব থাকে। সর্বদা তাদের এমন একজন লোকের প্রয়োজন যিনি তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, তাদের সঙ্গে নম্র আচরণ করবেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভুমিকা রাখবেন। শুধুমাত্র এই ভূমিকা বা তাগাদাটাই আপনাকে তাদের মুল্যায়ন ও আস্থার পাত্র বানাতে সক্ষম। এমনকি যদি আপনার এই ভূমিকা ও তাগাদা শুধুমাত্র মৌখিকই হোক না কেন। শুধূ গুরুত্ব দিয়ে তার অবস্থাটা জিজ্ঞাসা করা আপনাকে তার আস্থা ও বিশ্বাসের পাত্রে পরিণত করতে পারে, যদি আপনি তার কোন ইতিবাচক সহযোগিতা করতে নাও পারেন। অতএব প্রমাণিত হল-একটি মিষ্টি কথা মানুষের হৃদয়কে খুব গভীরভাবে আকর্ষণ করে ।
মানুষ যা শুনে তা দ্বারা প্রভাবিত হয় : আমি এখন তার একটি উদাহরণ দেবো : আমি যখন সর্বপ্রথম ব্রিটেন গিয়ে মসজিদের নিকটে বসবাস করার জন্য একটি বাসা খোঁজ করছিলাম, এ উদ্দেশ্যে একটি মসজিদের নিকট গেলাম এবং ভাড়া নিয়ে বসবাস করা যাবে এমন একটি বাসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন ঐ মসজিদে অবস্থিত এক ভদ্রলোক আমাকে সালাম দিল এবং আমার হাতে একটি ঠিকানা দিয়ে বলল ; এই ঠিকানায় একটি ইসলামী কন্ফারেন্স আছে। আমি বললাম-আরে ভাই ! আমি ভাড়া নেয়ার জন্য একটি বাসা খুঁজছি। অথচ আপনি আমাকে বলছেন-ঐখানে একটি ইসলামী কন্ফারেন্স আছে। আমি আরো বললাম, ‘আমি ঠিকানাটা নেবো।’ অতঃপর সে বলল, আমি এ এলাকার বাসিন্দা নই, তাই এ ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারছি না।’ হয়ত সে এই এলাকার কিছুই চেনে না। অথবা সে প্রশ্নটাই বুঝতে পারেনি কিংবা সে এর প্রতি কোন গুরুত্ব দেয়নি। তবে আমাকে কনফারেন্সের তথ্য দেয়ার জন্য আমার প্রশ্নটাকেই সুবর্ণ সুযোগ মনে করেছে এবং তা কাজে লাগিয়েছে।
মানুষের অভাব ও প্রয়োজনের মুল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উপরোন্তু ক্ষেত্রবিশেষে তা দাওয়াত ও উপদেশের চেয়েও বেশি গুরুত্বের দাবীদার । কারণ এই পাঠের জন্য দাওয়াত মানুষের কল্যাণ ও সৌভাগ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মানুষের সৌভাগ্য অর্জিত হয় তার প্রয়োজনে সাড়া দেয়া ও কল্যাণের পূর্ণতাপ্রাপ্তি থেকে। আপনি যখন তার স্বার্থ পুরণ করে দেবেন, তাহলে সে আপনার যে কোন ডাকে সাড়া দিতে প্রস্ত্তত থাকবে। কারণ আপনি তার আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন অথবা তাকে এমন সেবা প্রদান করেছেন যা তার নেহায়েত প্রয়োজন ছিল। আর সে কারণেই আপনি তার শ্রদ্ধা ও আস্থার পাত্র হয়ে গেলেন ।
কেউ বা কখনো আবার নিজের সম্পর্কে আলোচনা জুড়ে দেয় এবং দীর্ঘায়িত করে ফেলে। সে যদি বুঝতে পারে যে, আপনি কথার সমর্থন করছেন না, তাহলে কথা বন্ধ করে দেবে। তবে হ্যাঁ , যদি অনূভব করে আপনি তাকে সমর্থন বা তার কথা সত্যায়ন করছেন তাহলে নিশ্চয়ই সে আপনার প্রতি আস্থাশীল হবে ও আপনার সঙ্গে অনেক কথা বলবে। আপনি তার কথাগুলো এভাবে সমর্থন করতে পারেন : তার সমস্যার অনুরূপ ঘটনা আপনার অথবা আপনার সঙ্গীদের বেলায় ঘটে গেল।
কখনো আবার আপনি মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে তাদেরকে বলবেন- আমার নিকট একজন ভদ্রলোক এসে আমাকে এই, এই...সম্পর্কে বিবরণ দিল। কার্যত ঘটেছেও তাই । কখনো আবার সেই ভদ্রলোক ঐ তথ্যাবলীর সঙ্গে অপরকে সম্পৃক্ত করতে চায় না । আপনি ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ-আপনার সঙ্গে যেভাবে আলোচনা করেছে হুবহু ঐ শব্দেই শুনে তাহলে সে হতচকিত হয়ে যাবে। এই শব্দগুলোও তার অনুভুতিতে আঘাত করতে পারে অথবা সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত গোপন বিষয়ও হতে পারে ; অথবা কোন পদস্খলন যা তার থেকে সংঘটিত হয়ে গেছে। অতএব আপনার সঙ্গে যে কথা বলেছে তার গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা আপনাকেই দিতে হবে। এমনিভাবে আপনি সকল কথা জানতে পারবেন, তার সমস্যা ও বিষন্নতার অনেক কথা শুনতে পারবেন।
ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সময় আপনার সম্মুখস্থ লোকটির কোন সেবা করার চেষ্টা করা আপনার নৈতিক দায়িত্ব- যে সেবাটা সে পেতে চায়। এবং আপনিও তার সেবা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন-এ ভাব দেখিয়ে আপনি তাকে সম্ভাব্য সহযোগিতা করবেন। তবে যদি আপনি তার সহযোগিতা করতে না পারেন, তাহলে কমপক্ষে যে সহযোগিতা করতে পারবে এমন একজন লোকের সন্ধান দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বানীর অনুসরণ করে অপরের সেবায় তৎপর থাকা আপনার কর্তব্য।
أن أسعى بحاجة أخي خير من أن اعتكف شهرا . ( رواه الطبراني في معجمه الكبير وخرجه الألباني في السلسلة الصحيحة )
‘‘আমার ভাইয়ের প্রয়োজন পুরনে প্রচেষ্টা চালানো আমার নিকট একমাস ই’তিকাফ করার চেয়েও উত্তম।’’
অপরের সেবার প্রয়াস দাওয়াতী কাজে বিরাট ভুমিকা রাখে। কারণ আপনি এর মাধ্যমে তাদের হৃদয়কে প্রভাবিত ও তাদের ভালোবাসা কুড়াতে পারবেন। সে কারণে তা একমাস ই’তিকাফ করার চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। কারণ যে ব্যক্তি মানুষকে নিঃস্বার্থ সেবা দিয়ে যায়, সে-ই তাদের ভালোবাসা পায় ও আস্থা অর্জন করতে পারে। অতএব মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জনের পর সে যদি মানুষের কাছে কিছু চায়, তা যাই হোকনা কেন ; তাদের সামর্থ্য থাকা সত্যেও তার আবেদন প্রত্যখ্যান করা যুক্তিসঙ্গত নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/483/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।