মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নবম বিষয়: প্রস্তুতি ও সংখ্যায় কাফেরদের প্রতিহত করতে মুসলিমদের দূর্বলতা সমস্যা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/498/14
এই সমস্যার সমাধানও আল্লাহ তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি যদি বান্দাদের অন্তরের মধ্যে যথাযথ ইখলাস ও একনিষ্ঠতা দেখতে পান, তবে সেই একনিষ্ঠতার প্রতিফল হবে তাদের চেয়ে শক্তিশালীদের পরাজিত করা ও তাদের উপর বিজয় লাভ। এই জন্যে হুদায়বিয়ার প্রান্তরে বাইয়াতে রিযওয়ানে আল্লাহ যখন সাহাবীদের অন্তরে ইখলাসের উপস্থিতি যথাযথ দেখতে পেলেন, তাদের ঐ ইখলাসকে ইঙ্গিত করে তিনি এরশাদ করেন,
"আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন ঐ মুমিনদের প্রতি যারা তোমার হাতে হাত রেখে বৃক্ষের নীচে বাইয়াত করেছে। তাদের অন্তরে কি আছে তিনি তা জেনেছেন।" (সূরা ফাতাহ: ১৮) তখন এই ইখলাসের প্রতিফল ঘোষণা দিলেন যে, যে কাজে সফল হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, অচিরেই তারা তা করতে সক্ষম হবে। তিনি বললেন,
"এছাড়া তিনি তোমাদেরকে আরো গনীমতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যা তোমরা এখনো পর্যন্ত লাভ করতে পারনি। কিন্তু আল্লাহ তা পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।" (ফাতাহ: ২১) তিনি বিবৃত করেছেন যে তারা তা লাভ করতে সক্ষম ছিল না। আল্লাহ সেটা তাঁর কাছে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন, এই জন্যে যে তিনি তাদের অন্তরে ইখলাস জেনেছেন। এই কারণে আহযাব (বা খন্দকের) যুদ্ধে কাফেররা যখন বিশাল সৈন্য বাহিনী নিয়ে মুসলিমদের ঘেরাও করেছিল, তখন মুসলিমদের মনের অবস্থা কি হয়েছিল সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
"যখন তারা ওপর ও নিচে থেকে তোমাদের ওপর চড়াও হলো, যখন ভয়ে চোখ বিস্ফোরিত হয়ে গিয়েছিল, প্রাণ হয়ে পড়েছিল ওষ্ঠাগত এবং তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানা প্রকার ধারণা পোষণ করতে শুরু করেছিলে। তখন মু’মিনদেরকে নিদারুণ পরীক্ষা করা হলো এবং ভীষণভাবে নাড়িয়ে দেয়া হলো।" (আহযাব: ১০, ১১)
কিন্তু যেহেতু তাদের অন্তরে ছিল ইখলাস তথা আল্লাহকে পাওয়ার উদগ্র বাসনা এবং ঈমানী দৃঢ়তা, তাই শত্রুকে সামনে দেখে ঘাবড়ে না গিয়ে তারা যা বলল সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
"আর সাচ্চা মু’মিনদের অবস্থা সে সময় এমন ছিল, যখন আক্রমণকারী সেনাদলকে দেখলো তারা চিৎকার করে উঠলো, “এতো সেই জিনিসই যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ ও তাঁর রসূল আমাদের দিয়েছিলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা পুরোপুরি সত্য ছিল।” এ ঘটনা (শত্রুদের উপস্থিতি) তাদের ঈমানকে আরো দৃঢ় করে দিল এবং আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকে আরো বেশী বাড়িয়ে দিল।" (আহযাব: ২২)
এবার তাদের এই ইখলাস বা একনিষ্ঠতা ও দৃঢ় ঈমানের ফল কি হল তা ঘোষণা করে আল্লাহ এরশাদ করেন,
"আল্লাহ কাফেরদের মুখ ফিরিয়ে দিয়েছেন, তারা বিফল হয়ে নিজেদের অন্তর্জ্বালা সহকারে এমনিই ফিরে গেছে এবং মু’মিনদের পক্ষ থেকে লড়াই করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে গেছেন। আল্লাহ বড়ই শক্তিশালী ও পরাক্রান্ত। তারপর আহলি কিতাবদের মধ্য থেকে যারাই এর আক্রমণকারীদের সাথে সহযোগিতা করেছিল। তাদের দুর্গ থেকে আল্লাহ তাদেরকে নামিয়ে এনেছেন এবং তাদের অন্তরে তিনি এমন ভীতি সঞ্চার করেছেন যার ফলে আজ তাদের একটি দলকে তোমরা হত্যা করছো এবং অন্য একটি দলকে করছো বন্দী। তিনি তোমাদেরকে তাদের জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পদের ওয়ারিস করে দিয়েছেন এবং এমন এলাকা তোমাদের দিয়েছেন যাকে তোমরা কখনো পদানত করতে সক্ষম হওনি। আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতা সম্পন্ন।" (আহযাব: ২৫-২৭)
আল্লাহ এই যুদ্ধে কিভাবে তাদেরকে সাহায্য করেছেন, তা তাদের ধারণাতেই ছিল না। আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা এবং ঝড় প্রেরণ করে কাফেরদের পরাজিত করেছেন এবং মুসলিমদের বিজয় দান করেছেন। আল্লাহ বলেন,
"হে ঈমানদারগণ স্মরণ করো আল্লাহর অনুগ্রহ, যা (এই মাত্র) তিনি করলেন তোমাদের প্রতি, যখন কাফের সেনাদল তোমাদের ওপর চড়াও হলো, তখন আমি পাঠালাম তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ধুলিঝড় এবং রওয়ানা করলাম এমন সেনাবাহিনী (ফেরেশতা) যা তোমরা চোখে দেখোনি।" (আহযাব: ৯)
এই কারণে দ্বীন ইসলামের সত্যতার একটি উজ্জল প্রমাণ হচ্ছে, ঈমান-ইখলাসে সুদৃঢ় মুসলিমদের একটি ছোট্ট দূর্বল দল, কাফেরদের বিশাল শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে। যা বাস্তবতার নিরিখে কখনই সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন,
“অনেক বারই দেখা গেছে, স্বল্প সংখ্যক লোকের একটি দল আল্লাহর হুকুমে একটি বিরাট দলের ওপর বিজয় লাভ করেছে। আর আল্লাহ সবরকারীদের সাথে থাকেন তাদেরকে সাহায্য করেন।” (বাকারা: ২৪৯)
এই জন্য বদর যুদ্ধের ঘটনাটিকে আল্লাহ "নিদর্শন" "প্রমাণ" এবং "পার্থক্যকারী" এরূপ বিভিন্ন নামে আখ্যা দিয়েছেন। যাতে প্রমাণ হয় যে ইসলাম ধর্ম সত্য ও সঠিক। তিনি বলেন,
"তোমাদের জন্য সেই দু’টি দলের মধ্যে একটি শিক্ষার নিদর্শন ছিল যারা (বদরে) পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। একটি দল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছিল এবং অন্য দলটি ছিল কাফের।" (আল ইমরান: ১৩) এই নিদর্শন ছিল 'বদর দিবস'।
"যদি তোমরা ঈমান এনে থাকো আল্লাহর প্রতি এবং ফায়সালার দিন অর্থাৎ উভয় সেনাবাহিনীর সামনা-সামনি মোকাবিলার দিন আমি নিজের বান্দার ওপর যা নাযিল করেছিলাম তার প্রতি।" (আনফাল: ৪১) (অর্থাৎ যে সাহায্য-সমর্থনের মাধ্যমে তোমরা বদর প্রান্তরে বিজয় অর্জন করেছো।)
"কিন্তু যা কিছু সংঘটিত হয়েছে তা এ জন্য ছিল যে, আল্লাহ যে বিষয়ের ফায়সালা করে ফেলেছিলেন তা তিনি কার্যকর করবেনই। যাতে করে যে ধ্বংস হবে সে সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে ধ্বংস হবে এবং যে জীবিত থাকবে সে সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে জীবিত থাকবে।" (আনফাল: ৪২) এটা ছিল বদর দিবসের কথা।
নি:সন্দেহে মুমিনদের দূর্বল ও অল্প সংখ্যক বাহিনীর শক্তিশালী ও বিশাল কাফের বাহিনীর উপর বিজয় লাভ একথাই প্রমাণ করছে যে, মুমিনদের দলটি হক বা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর আল্লাহই তাদেরকে এই বিজয়লাভে সাহায্য করেছেন। যেমন তিনি বদর যুদ্ধে করেছিলেন। আল্লাহ বলেন,
"আর সেই সময়, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে ইঙ্গিত করেছিলেন এই বলেঃ “আমি তোমাদের সাথে আছি, তোমরা ঈমানদারদেরকে দৃঢ়-অবিচল রাখো, আমি এখনই এ কাফেরদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দিচ্ছি।" (আনফাল: ১২)
যে মুমিনদেরকে আল্লাহ সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তাদের গুণাবলী কিরূপ তা ব্যক্ত করেছেন এবং তাদের বৈশিষ্টকে অন্যদের থেকে আলাদা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,
"এরা এমন সব লোক যাদেরকে আমি যদি পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দান করি তাহলে এরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে। আর সমস্ত বিষয়ের পরিণাম আল্লাহর হাতে।" (সূরা হাজ্জ: ৪১)
এখানে যে সমাধানটি আমরা কুরআন থেকে উল্লেখ করলাম তা হচ্ছে সেনাবাহিনী কর্তৃক অবরোধ সমস্যা। এই একই সমাধানের প্রতি সূরা মুনাফিকুনে আল্লাহ ইঙ্গিত করেছেন শত্রুদের অর্থনৈতিক অবরোধের বিষয়ে। আর তা হচ্ছে:
"এরাই তো সেই সব লোক (মুনাফিক) যারা বলে, আল্লাহর রসূলের সাথী-সাহাবীদের জন্য খরচ করা বন্ধ করে দাও, তাহলে তারা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে এবং মুহাম্মাদকে ছেড়ে দিবে।" (মুনাফিকুন: ৭)
এখানে মুনাফিকরা যে কাজটি করতে চেয়েছিল, সেটাই মূলত: আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক অবরোধ হিসেবে পরিচিত। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আল্লাহ যে ইঙ্গিত করেছেন তা হচ্ছে "তাঁর প্রতি দৃঢ় ঈমান এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁরই স্মরণাপন্ন হওয়া"। তিনি বলেন,
"অথচ আসমান ও জমীনের সমস্ত ধন ভাণ্ডারের মালিকানা একমাত্র আল্লাহরই। কিন্তু এই মুনাফিকরা তা বুঝে না।" (মুনাফিকুন: ৭)
কেননা যার হাতে আকাশ ও পৃথিবীর ধনভাণ্ডারের দায়িত্ব, তিনি কখনো এমন আবেদনকারীকে বিফল করবেন না যে একনিষ্ঠভাবে তাঁর আশ্রয় কামনা করবে এবং তাঁরই আজ্ঞাবহ হবে। তাই তিনি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এরশাদ করেন:
"যে ব্যক্তিই আল্লাহকে ভয় করে (তাঁর হুকুম-আহকাম মেনে) চলবে, আল্লাহ তার জন্য কঠিন অবস্থা (যে কোন বিপদ ও সমস্যা) থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সৃষ্টি করে দেবেন। এবং এমন পন্থায় তাকে রিযিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না।" (তালাক: ২, ৩) বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে,
"আর যদি তোমাদের দরিদ্রতার ভয় থাকে, তাহলে আল্লাহ চাইলে তাঁর নিজ অনুগ্রহে শীঘ্রই তোমাদের অভাব মুক্ত করে দেবেন।" (তাওবা: ২৮)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/498/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।