মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সূরা হাশরে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন যে পরস্পর বিভেদের মূল কারণ হচ্ছে বিবেককে কাজে না লাগানো। আল্লাহ বলেন,
تَحْسَبُهُمْ جَمِيعًا وَقُلُوبُهُمْ شَتَّى
"আপনি মনে করবেন তারা ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু মূলত: তাদের অন্তরগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন- বিভেদে ভরা।" এর কারণ কি?
ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَعْقِلُونَ
"কারণ হচ্ছে তারা এমন সম্প্রদায় যারা বিবেককে কাজে লাগায় না।" (সূরা হাশর: ১৪)
বিবেকের দূর্বলতার চিকিৎসা হচ্ছে ওহীর আলোয় তাকে আলোকিত করা। কেননা ওহী মানুষকে এমন কল্যাণের পথে পরিচালিত করে যা বুঝতে মানুষের সাধারণ বিবেক অপারগ। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
"যে ব্যক্তি প্রথমে (বিভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতার মধ্যে) মৃত ছিল, পরে আমি তাকে (অন্তরে ঈমান দিয়ে) জীবন দিয়েছি এবং তাকে এমন আলো (হেদায়াত, রাসূলের আনুগত্য করার ক্ষমতা) দিয়েছি যার উজ্জ্বল আভায় সে মানুষের মধ্যে জীবন পথে চলতে পারে, সে কি এমন ব্যক্তির মতো হতে পারে, যে (বিভ্রান্তি ও প্রবৃত্তির) অন্ধকারের বুকে পড়ে আছে এবং কোনক্রমেই সেখানে বের হয় না?" (আনআম: ১২২)
এ আয়াতে আল্লাহ বর্ণনা করেছেন যে, ঈমানের আলো দ্বারা এমন লোককে জীবিত করা হয় যার অন্তর বিভ্রান্তির কারণে মৃত ছিল। ঈমান তার চলার পথকে উজ্জল ও আলোকিত করে, ফলে সে সঠিক ভাবে জীবন চালাতে সক্ষম হয়।
"ভেবে দেখো তো, যে ব্যক্তি মুখ নিচু করে পথ চলছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত, না যে ব্যক্তি মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে সমতল পথে হাঁটছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত?" (মুলক: ২২)
মোটকথা মানব জাতির স্বার্থ ও কল্যাণ নিহিত আছে তিনটি বিষয়ে। আর তিনটি বিষয়ই হচ্ছে পৃথিবী রক্ষার মূলনীতি।
১) প্রথমত: অকল্যাণ বা সমস্যা প্রতিরোধ। উসূলবিদদের নিকট এটা হচ্ছে অত্যাবশ্যক ৬টি বিষয়ের ক্ষতি প্রতিহত করাকে বুঝায়। আর তা হচ্ছে, দ্বীন (ধর্ম) প্রাণ, আকল (বিবেক বা বোধশক্তি), বংশ, ইজ্জত ও সম্পদ।
২) দ্বিতীয়ত: কল্যাণ সাধন বা স্বার্থ রক্ষা। উসূলবিদদের নিকট এটা হচ্ছে সাধারণ দরকারী বিষয় সমূহ। যেমন, বেচাকেনা, ভাড়া নেয়া-দেয়া... এরূপ সমাজে পরস্পরের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহ। যা শরীয়তের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়ে থাকে।
৩) উত্তম চরিত্রে নিজেকে ভূষিত করা এবং সমাজের উত্তম অভ্যাস সমূহের উপর চলা। উসূলবিদদের নিকট এটা উত্তমতা ও পূর্ণতা নামে পরিচিত। যেমন: ফিতরাতী বা স্বভাবজাত অভ্যাস সমূহ মেনে চলা।- দাড়ি ছেড়ে দেয়া, মোচ কাটা... ইত্যাদি।
আরো যেমন, কুরূচীপূর্ণ বস্তু বর্জন করা। গরীব আত্মীয়-স্বজনের জন্য অর্থ ব্যয় করা, সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করা... ইত্যাদি।
এ সকল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় হেকমতপূর্ণ সঠিক নিয়মে একমাত্র ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোন পন্থায় বা অন্য কোন ধর্ম দ্বারা সংরক্ষিত হওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন,
"আলিফ-লাম-র। এই কিতাব একটি ফরমান। এর আয়াতগুলো (আদেশ-নিষেধ সমূহ) পাকাপোক্ত এবং বিস্তারিতভাবে বিবৃত হয়েছে, এক পরম প্রজ্ঞাময় ও সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ থেকে।" (হূদ: ১)
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।