hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা

লেখকঃ মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল কাফী

প্রথম প্রকার তাওহীদ: তাওহীদ রুবুবিয়্যাহ
তাওহীদ রুবুবিয়্যাহ বা আল্লাহর রুবুবিয়্যাতের একত্ববাদ।

এই তাওহীদকে মেনে নেয়ার জ্ঞান ও বিবেক দিয়েই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَهُمْ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ

"তাদেরকে (কাফেরদেরকে) যদি জিজ্ঞেস কর যে, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ (আমাদের সৃষ্টি করেছেন)। (যুখরুফ: ৮৭)

তিনি আরো বলেন,

قُلْ مَنْ يَرْزُقُكُمْ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَمَّنْ يَمْلِكُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَارَ وَمَنْ يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَمَنْ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ فَسَيَقُولُونَ اللَّهُ فَقُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ

"তাদেরকে জিজ্ঞেস করো, “কে তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে রিযিক দেয়? এই শোনার ও দেখার শক্তি কার কর্তৃত্বে আছে? কে প্রাণহীন থেকে সজীবকে এবং সজীব থেকে প্রাণহীনকে বের করে? কে চালাচ্ছে এই বিশ্ব ব্যবস্থাপনা?” তারা নিশ্চয়ই বলবে, এগুলো আল্লাহই করেন। বলো, তবুও কি তোমরা (সত্যের বিরোধী পথে চলার ব্যাপারে) সতর্ক হচ্ছো না? (ইউনুস: ৩১) এ ধরণের আয়াত রয়েছে আরো অনেক।

কিন্তু এ প্রকার তাওহীদকে ফেরাউন অস্বীকার করেছিল। আল্লাহ বলেন,

قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ

"ফেরাউন বলেছিল, জগতের পালনকর্তা আবার কে?" (সূরা শুআরা: ২৩) কিন্তু তার এ প্রকার তাওহীদ অস্বীকারের কারণ ছিল অহংকার ও অজ্ঞতা। সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

قَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا أَنْزَلَ هَؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ

"তিনি (মূসা) বললেন, তুমি খুব ভাল করেই জানো এ প্রজ্ঞাময় নিদর্শনগুলো আকাশ ও পৃথিবীর পালনকর্তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নাযিল করেননি।" (বানী ইসরাঈল: ১০২)

আল্লাহ তার সম্পর্কে বলেন,

وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنْفُسُهُمْ ظُلْمًا وَعُلُوًّا

"তারা একেবারেই অন্যায়ভাবে ঔদ্ধত্যের সাথে সেই নিদর্শনগুলো অস্বীকার করলো অথচ তাদের মন মগজ সেগুলোর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছিল।" (নমল: ১৪)‍

এ জন্য পবিত্র কুরআন এ প্রকার তাওহীদকে প্রমাণ করার জন্য স্বীকারোক্তি মূলক প্রশ্নবোধক শব্দ দ্বারা উল্লেখ করেছে। যেমন:

أَفِي اللَّهِ شَكٌّ

"আল্লাহর অস্তিত্বে কি কোন সন্দেহ আছে?" (ইবরাহীম: ১০) আরো বলা হয়েছে:

قُلْ أَغَيْرَ اللَّهِ أَبْغِي رَبًّا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍ

"আপনি বলুন, আমি কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে রব হিসেবে গ্রহণ করব; অথচ তিনিই সবকিছুর রব?" (আনআম: ১৬৪) আল্লাহ আরো বলেন,

قُلْ مَنْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قُلِ اللَّهُ

"আপনি তাদেরকে বলুন! কে আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবীর অধিকর্তা? আপনি বলুন: তিনি তো আল্লাহ।" (রা'দ: ১৬) এরকম আয়াত আরো অনেক আছে। ওরা আল্লাহর এই ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে স্বীকার করতো।

কিন্তু এ প্রকার তাওহীদকে মান্য করা কাফেরদের কোন উপকার করেনি। কেননা তারা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্বকে মেনে নেয়নি; শিরক করেছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ ‍

"তাদের অধিকাংশই আল্লাহর উপর ঈমান আনে কিন্তু মূলত: তারা মুশরিক।" (ইউসুফ: ১০৬) আল্লাহ আরো বলেন, তারা মূর্তি পুজা করে আর বলে,

مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَى

"আমরা তো এদের পূজা এজন্যই করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দিবে।" (যুমার: ৩) আল্লাহ আরো বলেন,

وَيَقُولُونَ هَؤُلَاءِ شُفَعَاؤُنَا عِنْدَ اللَّهِ قُلْ أَتُنَبِّئُونَ اللَّهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ

"তারা বলে এরা (মূর্তিরা) আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী। (হে মুহাম্মাদ!) ওদেরকে বলে দাও, “তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ের খবর দিচ্ছো যার অস্তিত্বের কথা তিনি আসমানেও জানেন না এবং জমিনেও না!?" (ইউনুস: ১৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন