মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পিতামাতার অবাধ্যতা কারণ, কিছু বাহ্যিক চিত্র ও প্রতিকারের উপায়
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম আল-হামাদ
১২
দ্বিতীয়ত: পুত্রবধুর ভূমিকা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/507/12
পুত্রবধু এ ব্যাপারে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম; যেমন— তার পক্ষে সম্ভব তার স্বামীকে তার নিজের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া, তার (স্বামীর) আত্মীয়-স্বজনকে সম্মান করা এবং তার পিতামাতা তথা শ্বশুর-শাশুড়ীকে বেশি বেশি সম্মান ও সেবা-যত্ন করা, বিশেষ করে তার শাশুড়ীকে; আর এ সবকিছুই মূলত স্বামীকে সম্মান ও তার প্রতি ইহসান করা। ঠিক তেমনিভাবে তাতে রয়েছে তার প্রতি লক্ষ্য রাখা, দাম্পত্য সম্পর্ক শক্তিশালী করা এবং ফেতনা-ফ্যাসাদের আগুন নিভিয়ে দেওয়ার বিষয়।
যখন স্ত্রীর উপর তার (স্ত্রীর) পিতামাতার চেয়ে স্বামীর হক বেশি এবং জাতির সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য সে যখন তার আত্মীয়-স্বজন ও তার পিতার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সম্পর্ক রক্ষার জন্য শরী‘আতসম্মতভাবে আদিষ্ট, তখন দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত করার জন্য স্ত্রী তো আরও অতি উত্তমভাবেই তার স্বামীর প্রিয়জনদের অধিকার রক্ষার জন্য শরী‘আতসম্মতভাবে আদিষ্ট।
অতঃপর স্ত্রী কর্তৃক (তার পিতামাতার মত) তার স্বামীর পিতামাতার সম্মান ও সেবাযত্ন করার বিষয়টি তো মৌলিকভাবে ইসলামী নৈতিকতা ও চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়, যা ব্যক্তির আভিজাত্য ও বংশের মহত্ত্বের প্রমাণ বহন করে।
আর যদিও সে এই কাজটি করবে শুধু তার স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য, অথবা নিকটাত্মীয়দের ভালবাসা পাওয়ার জন্য এবং যাবতীয় বিরোধ ও ঝগড়া-বিবাদ থেকে নিরাপদে থাকার উদ্দেশ্যে— উপরন্তু দো‘আ তো পাবেই।
অনুরূপভাবে একজন ভাল স্ত্রীর আবশ্যকীয় করণীয় হল, সে শুরু থেকেই একথা ভুলবে না যে, তার স্বামীর ব্যাপারে যে নারীটি মনে করে সে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, সে নারীটি হল এ স্বামীর মা; আর যতই তার অনুভূতিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাক তার পক্ষে সম্ভব নয় যে, সে তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে; কারণ, সে তার মা, যিনি তাকে নয় মাস তার পেটে ধারণ করেছেন, তার দুধ খাইয়ে তাকে শক্তিশালী করেছেন, তার আদর ও স্নেহ দ্বারা তাকে উদ্ভাসিত করেছেন এবং তার জন্য নিজের জীবনকে উজাড় করে দিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়েছে।
অনুরূপভাবে হে স্ত্রী! তোমার ভুলে গেলে চলবে না যে, এ নারীটি তোমার সন্তানদের আশ্রয়কেন্দ্র; কারণ, তিনি হলেন তাদের দাদী এবং তার সাথে রয়েছে তাদের মজবুত সম্পর্ক; সুতরাং তোমার জন্য তার সাথে সতীনের মত ব্যবহার করা শোভনীয় হবে না; যদিও সে কখনও কখনও তোমার সাথে সতীনের মত ব্যবহার করবে কিন্তু তুমি তার সাথে মায়ের মত ব্যবহার কর, তাহলে সে তোমার সাথে মেয়ের মত ব্যবহার করবে। আর মায়ের নিকট থেকে কখনও কখনও কঠোরতা বা দুর্ব্যবহারের মত আচরণ হলে মেয়ের জন্য উচিৎ হবে সাওয়াব ও প্রতিদানের আশায় ধৈর্যধারণ করা।
অতঃপর যখন ঘরে ও পরিবারে ইসলামের আদব বা শিষ্টাচার ছড়িয়ে পড়বে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবে, তখন পরিবারটি চলতে থাকবে একটি সন্তোষজনক চরিত্র নিয়ে; আর সেই পরিবারটি অধিকাংশ সময় আনন্দময় জীবনযাপন করবে।
আর জেনে রাখবে, হে স্ত্রী! নিশ্চয় তোমার স্বামী তোমার পরিবারের চেয়ে তার পরিবার-পরিজনকে বেশি ভালবাসবে; আর এ ক্ষেত্রে তুমি তাকে তিরস্কার করো না। আর তুমিও তো তার পরিবারের চেয়ে তোমার পরিবার-পরিজনকে অধিক ভালবাস; সুতরাং তুমি তার পরিবার-পরিজনকে অবজ্ঞা করার মাধ্যমে অথবা তাদেরকে কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে অথবা তাদের অধিকারের ব্যাপারে কমতি করার মাধ্যমে তাকে আঘাত দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হও; কেননা, তাকে এই ধরনের আচরণ তোমাকে অপছন্দ করতে এবং তোমার থেকে অন্য দিকে ঝুঁকে পড়তে বাধ্য করবে।
আর স্বামীর পরিবার-পরিজনকে সম্মান করার ক্ষেত্রে অবহেলা করা মানেই স্বয়ং স্বামীকে সম্মান করার ক্ষেত্রে অবহেলা করা; আর যখন সে অপরিপক্ক চিন্তায় কোনো কিছু দ্বারা এর মোকাবিলা করতে পারবে না তখন সে আঘাত ও বিরক্তির কারণে স্ত্রীর জন্য কখনও তার ভালবাসাকে উজাড় করে দিবে না।
অতঃপর যে ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনকে ভালবাসে এবং তার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করে, সে তো একজন ভদ্র, সম্মানিত ও সৎ মানুষ; তার স্ত্রীর জন্য যথাযথ হবে— তাকে সম্মান করা, শ্রদ্ধা করা এবং তার মধ্যে ভালো কিছু আশা করা; কারণ, যে ব্যক্তির মধ্যে তার পিতামাতার জন্য ভালো কিছু নেই, অধিকাংশ সময় সে ব্যক্তির মধ্যে স্ত্রী, অথবা সন্তান, অথবা অপর কোনো মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ নেই।
হে স্ত্রী! যখন তুমি তোমার স্বামী কর্তৃক তার পিতামাতার সাথে অবাধ্য আচরণ করা এবং তাদের সাথে তোমার দুর্ব্যবহার করাটাকে মেনে নিবে, তখন কি তুমি তোমার ভাইয়ের স্ত্রী তথা ভাবিদের পক্ষ থেকে তোমার মায়ের সাথে অনুরূপ করাটাকে মেনে নিতে পারবে?
নাকি তুমি পছন্দ করবে তোমার পুত্রবধুদের পক্ষ থেকে তোমার সাথে এমন (খারাপ) ব্যবহার করাটাকে, যখন তোমার অস্থি দুর্বল হয়ে যাবে এবং বার্ধক্যে মাথার চুল সাদা হয়ে যাবে?
পরিশেষে, সমস্যাসমূহের সমাধান, জটিলতা নিরসন, মহৎ গুণের সমাবেশ ও ভাঙ্গন বা বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাওফীক দানের পর পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জন্য স্বামীর সহযোগিতার ব্যাপারে অধিকাংশ সময় একজন সৎ স্ত্রী দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে; কারণ, পিতামাতা যখন তাদের পুত্রবধুর কাছ থেকে সত্যিকার ভালবাসা ও উদার সহানুভূতি প্রত্যক্ষ করবে, তখন তারা এই চমৎকার অনুগ্রহের কথা অবশ্যই মনে রাখবে।
আর এ কারণেই আমার দেখতে পাই যে, অনেক পিতামাতা তাদের পুত্রবধুদেরকে তাদের আপন মেয়েদের মত করে অথবা তার চেয়ে বেশি ভালোবাসেন।
আর এটা আল্লাহ তা‘আলার তাওফীক ছাড়া সম্ভব নয়; অতঃপর ঐসব স্ত্রীদের প্রজ্ঞা এবং স্বামীদের পিতামাতার সাথে উত্তম ব্যবহারের প্রবল আকাঙ্খার কারণেই এটা সম্ভব হয়ে উঠে।
আর পূর্বোক্ত বিষয়গুলো ছাড়া স্ত্রীকে স্বামীর পিতামাতা তথা শ্বশুর-শাশুড়ীর হৃদয়ে প্রবেশ করতে হলে আরও যেসব বিষয় সাহায্য করবে সেগুলো হল: (তাদের পক্ষ থেকে) দুর্ব্যবহারের সময় ধৈর্যধারণ করা, প্রতিদান পাওয়ার বিষয়টি সামনে রাখা, পরিণাম ফল নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, তাছাড়া তাদেরকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা, তাদের সাথে আগ্রহসহকারে উত্তম কথা বলা এবং মনোযোগ দিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ীর কথা শ্রবণ করা; আর কোমল ভাষায় কথা বলা, সালাম দেওয়া এবং উত্তম প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
এর মধ্য থেকে আরেকটি হল- তার স্বামীকে তার পিতামাতার সেবা-যত্ন করার জন্য উপদেশ দেওয়া এবং সাথে সাথে তাদেরকে একথা বুঝতে না দেওয়া— তার মন তাদেরকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে তার (স্ত্রীর) দিকে ঝুঁকে গেছে।
আর এর মধ্য থেকে আরেকটি হল- আল্লাহ তা‘আলার কাছে বিনয়ের হাতগুলো উত্তোলন করা, যাতে তিনি তার শ্বশুর-শাশুড়ীর হৃদয়কে তার প্রতি দয়াময় করে দেন এবং তাকে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সুতরাং হে প্রিয় স্ত্রী! এসব কথার তাৎপর্য উপলব্ধি কর; তোমার জন্য দুনিয়ার জীবনে থাকবে সুন্দর প্রশংসা ও সুখ্যাতি এবং পরকালে থাকবে অনেক প্রতিদান ও এক নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। [দেখুন: লেখকের নিজস্ব গ্রন্থ, ‘মিন আখতাইল আযওয়াজ’ ( من أخطاء الأزواج ), পৃ. ১১ - ১৬]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/507/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।