মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পিতামাতার অবাধ্যতা কারণ, কিছু বাহ্যিক চিত্র ও প্রতিকারের উপায়
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম আল-হামাদ
১৬
পূর্ববর্তী কালের সৎ ব্যক্তিগণের পিতামাতার প্রতি আনুগত্য ও সদ্ব্যবহারের কিছু নমুনা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/507/16
আমরা যখন পূর্ববর্তী কালের সৎ ব্যক্তিগণের জীবন-বৃত্তান্তের দিকে নজর দিব, তখন আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল পৃষ্ঠা দেখতে পাব, যেগুলো প্রমাণ করে পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের ব্যপারে তারা কঠোরভাবে গুরুত্বারোপ করতেন; এসব ঘটনা প্রবাহের মধ্য থেকে কয়েকটি নিম্নরূপ:
« أنه ركب مع أبى هريرة إلى أرضه بالعقيق ، فإذا دخل أرضه صاح بأعلى صوته : عليك السلام ورحمة الله وبركاته يا أماه . تقول : وعليك السلام ورحمة الله وبركاته . يقول : رحمك الله كما ربيتنى صغيرا . فتقول : يا بنى ! وأنت فجزاك الله خيرا ورضى عنك كما بررتنى كبيرا » . ( رواه البخاري ) .
“একদা তিনি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’র সাথে বাহনে করে তাঁর ভূমি ‘আকীকের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তারপর যখন তিনি তাঁর ভূমিতে প্রবেশ করলেন, তখন উচ্চস্বরে আওয়াজ দিয়ে বললেন: হে মা! আপনার উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হউক; তখন প্রতিত্তুরে তাঁর মা বললেন: তোমার উপরও শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হউক। এবার তিনি বললেন: আপনার প্রতি আল্লাহ তা‘আলা ঠিক তেমনিভাবে রহম করুন, যেমনিভাবে আপনি ছোটকালে আমাকে লালন-পালন করেছেন; অতঃপর মাতা বললেন: হে আমার প্রিয় বৎস! আল্লাহ তা‘আলা তোমাকেও উত্তম পুরস্কার দান করুক এবং তোমার প্রতি তিনি তেমনি সন্তুষ্ট থাকুক, যেমন সদ্ব্যবহার তুমি আমার বৃদ্ধকালে আমার প্রতি করেছ।” [বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং- ১৪; আলবানী সহীহ আল-আদাব আল-মুফরাদের মধ্যে বলেন: হাদিসটির সনদ হাসান পর্যায়ের।]
২. আর এই তো আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’র কথা, জনৈক বেদুঈন তাঁর সাথে মক্কার পথে মিলিত হল। আবদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা তাকে সালাম দিলেন এবং যে গাধার উপর তিনি সওয়ার ছিলেন, তাকেও তাতে উঠিয়ে নিলেন; আর তাকে তাঁর মাথার পাগড়িটি দিয়ে দিলেন।
ইবনু দিনার রহ. বলেন: আমরা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললাম: আল্লাহ আপনাকে কল্যাণ দান করুন, নিশ্চয় তারা বেদুঈন এবং তারা অল্প কিছু পেলেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়।
« إِنَّ أَبَا هَذَا كَانَ وُدًّا لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَإِنِّى سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ : « إِنَّ أَبَرَّ الْبِرِّ صِلَةُ الْوَلَدِ أَهْلَ وُدِّ أَبِيهِ » . ( رواه مسلم و أبو داود ) .
“এই ব্যক্তির পিতা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’র বন্ধু ছিলেন; আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “সৎকাজগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় সৎকাজ হলো পিতার বন্ধুদের পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।” [মুসলিম, হাদিস নং- ৬৬৭৭; আবূ দাউদ, হাদিস নং- ৫১৪৫]
৩. মুমিন জননী ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম, তারপর সেখানে আমি ক্বিরাত (আবৃতি) শুনতে পেলাম, অতঃপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম: এই ব্যক্তি কে? তারা বলল: হারেছা ইবন নু‘মান; ভালকাজ এ রকমই! ভালকাজ এ রকমই! আর মানুষের মাঝে সে ছিল তার মাতার সাথে সর্বোত্তম সদ্ব্যবহারকারী ব্যক্তি।” [ইমাম আহমদ: ৬/১৫১; আবদুর রাযযাক, আল-মুসান্নাফ (২০১১৯); বাগভী রহ. ‘শরহুস সুন্নাহ: ১৩/৭; হাকেম রহ. হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন: ৩/২০৮ এবং যাহাবী রহ.ও হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।]
৪. আবূ আবদির রাহমান রহ. থেকে ঘটনা বর্ণিত, তিনি বলেন: “কাহমাস ইবন হাসান ঘরের মধ্যে একটি বিচ্ছু দেখতে পেলেন; তিনি এটাকে হত্যা করতে অথবা ধরতে চাইল, কিন্তু এটা তাকে পিছনে ফেলে দিয়ে এক গর্তের মধ্যে প্রবেশ করল; অতঃপর তিনি তাকে ধরার জন্য গর্তের মধ্যে তার হাত ঢুকিয়ে দিলেন, তারপর বিচ্ছুটি তাকে দংশন করতে শুরু করল; অতঃপর তাকে বলা হল: তুমি কেন এটা করতে গেল? জবাবে সে বলল: আমি আশঙ্কা করেছি যে, গর্ত থেকে বিচ্ছুটি বের হবে, তারপর আমার মায়ের নিকট গিয়ে তাঁকে দংশন করবে।” [হুল্লিয়াতুল আওলিয়া ( حلية الأولياء ): ৬/২১১; আরও দেখুন: ‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ৬/৩১৮]
৫. আর এই তো আবূল হাসান ইবন আলী ইবন হুসাইন ইবন আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’র কথা, আর তিনি যাইনুল ‘আবেদীন নামেও পরিচিত; তিনি তাবে‘ঈদের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, তিনি তাঁর মায়ের সাথে বেশি বেশি ভাল ব্যবহার করতেন, এমনকি তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলা হত: নিশ্চয় আপনি আপনার মায়ের সাথে সর্বোত্তম সদ্ব্যবহারকারী মানুষ; আর আমরা আপনাকে আপনার মায়ের সাথে খেতে দেখি না; তখন তিনি বলেন: “আমি আশঙ্কা করি যে, আমার হাত এমন খাদ্য বস্তুর দিকে চলে যাবে, যার দিকে পূর্ব থেকেই তাঁর (আমার মায়ের) পছন্দের চোখ পড়ে আছে, ফলে আমি তাঁর অবাধ্য সন্তানে পরিণত হব।” [‘উয়ুনুল আখবার ( عيون الأخبار ): ৩/৯৭]
৬. হিশাম ইবন হাস্সান বলেন: “হাফসা বিনতে সিরীন আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: মুহাম্মাদ ইবন সিরীনের মা ছিলেন হিজাযী নারী; বিভিন্ন রঙ তাকে মুগ্ধ করত; আর মুহাম্মাদ যখন তার জন্য কাপড় ক্রয় করতেন, তখন তিনি যথাসম্ভব উজ্জ্বল রঙের কাপড় ক্রয় করতেন; অতঃপর যখন ঈদ আসত, তখন তার কাপড়গুলো রঙ করে দিতেন; আর আমি কখনও তাকে তার মায়ের সাথে উচ্চ আওয়াজে কথা বলতে দেখিনি, তিনি যখন তার সাথে কথা বলতেন, তখন তিনি ঐ ব্যক্তির ন্যায় কথা বলতেন, যার কথা কান পেতে শুনতে হয়।” [‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ৪/৬১৯]
সিরীনের বংশের কেউ কেউ বলেন: “আমি কখনও মুহাম্মাদ ইবন সিরীনকে তার মায়ের সাথে বিনম্র না হয়ে কথা বলতে দেখিনি।”
ইবনু ‘আউন থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: “মুহাম্মাদ ইবন সিরীন যখন তাঁর মায়ের কাছে অবস্থান করতেন, তখন যদি কোনো ব্যক্তি তাকে দেখতেন, তখন তার নিকটে তার নিম্নস্বরে কথা বলার কারণে তিনি ধারণা করতেন যে, তিনি মনে হয় অসুস্থ।” [ইবরাহীম আল-বায়হাকী, ‘আল-মাহাসেন ওয়াল মাসাওয়ী’ ( المحاسن والمساوئ ), পৃ. ৬১৪; ‘হিলইয়াতুল আওলিয়া’ ( حلية الأولياء ): ২/২৭৩]
ইবনু ‘আউন আরও বলেন: “এক ব্যক্তি মুহাম্মাদ ইবন সিরীনের নিকট প্রবেশ করলেন, তখন তিনি তাঁর মায়ের নিকট অবস্থান করছেন; অতঃপর সেই লোকটি বলল: মুহাম্মাদের একি অবস্থা? তিনি কোনো কষ্টে আছেন নাকি? উপস্থিত লোকজন বলল: না; বরং তিনি তাঁর মায়ের নিকট এভাবেই থাকেন।” [‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ৬/১২৮]
৭. জা‘ফর ইবন সুলাইমান রহ. মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির থেকে বর্ণনা করেন যে, “তিনি তার গাল (গণ্ডদেশ) যমীনের উপর রাখতেন, অতঃপর তিনি তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন: আপনি উঠুন, আপনার পা আমার গালের উপর রাখুন।” [‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ৪/৬২০]
৮. ইবনু ‘আউন আল-মুযানী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “তাঁর মা তাঁকে ডাকলেন, অতঃপর তিনি তার ডাকে সাড়া দিলেন, কিন্তু এতে তাঁর মায়ের আওয়াজের চেয়ে তাঁর গলার আওয়াজ উঁচু হয়ে গেল; ফলে তিনি দু’টি গোলাম আযাদ (মুক্ত) করে দিলেন।” [‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ৬/৩৬৬]
৯. আর ওমর ইবন যরকে বলা হল: “আপনার প্রতি আপনার ছেলের আনুগত্য বা সদ্ব্যবহারের অবস্থাটা কেমন ছিল? তখন তিনি বলেন: আমি দিনের বেলায় হাঁটলে সে আমার পিছনে পিছনে হাঁটত; আর রাতের বেলায় হাঁটলে সে আমার সামনে সামনে হাঁটত; আর আমি নিচে থাকলে সে কখনও ছাদের উপরে উঠত না।” [‘উয়ুনুল আখবার ( عيون الأخبار ): ৩/৯৭]
১০. সালেহ আল-‘আব্বাসী একবার খলীফা আল-মানসুরের মাজলিসে হাযির হলেন এবং তাকে হাদিস শুনাচ্ছিলেন, আর তিনি তার কথায় বেশি বেশি বলতে লাগলেন: আমার পিতা, তাঁর প্রতি আল্লাহ রহম করুন ( أبي رحمه الله ); তখন রবী‘ তাকে উদ্দেশ্য করে বলল: তুমি আমীরুল মুমিনীনের সামনে তোমার বাপের ব্যাপারে এত বেশি বেশি ‘রহমত’-এর বিষয়টি প্রকাশ করো না। তখন তিনি তাকে বললেন: আমি তোমাকে তিরস্কার করব না; কারণ, তুমি তো পিতার মজা উপভোগ করনি। অতঃপর খলিফা আল-মানসুর মুসকি হাসলেন এবং বললেন: যে ব্যক্তি বনু হাশিমের মুখোমুখি হবে, এটাই তার পুরস্কার। [আল-হানাওয়ী, ‘বির্রুল ওয়ালিদাইন’ ( بر الوالدين ), পৃ. ৯৮; উদ্ধৃত: ‘মুহাদারাতুল উদাবায়ে ওয়া মুহাওয়ারাতুশ শু‘য়ারায়ে’ ( محاضرات الأدباء و محاورات الشعراء ) নামক গ্রন্থ থেকে: ১/২০৩]
১১. আর পিতামাতার প্রতি অনুগত ও সদ্ব্যবহারকারীগণের অন্যতম একজন হলেন মুহাদ্দিস বুন্দার; তাঁর ব্যাপারে যাহাবী রহ. বলেন: “তিনি বসরার হাদিস সংকলন করেছেন, কিন্তু তিনি তাঁর মায়ের প্রতি অনুগত থাকার কারণে কোনো সফর করেন নি।” [‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ১২/১৪৪; আরও দেখুন: সিয়ারু আ‘লামিন নুবালায় ‘বুন্দার’ এর জীবনী: ১২/১৪৪ - ১৪৯]
আবদুল্লাহ ইবন জা‘ফর ইবন খাকান আল-মাররুযী বলেন: “আমি বুন্দারকে বলতে শুনেছি: আমি জ্ঞান অনুসন্ধানে বের হতে বা সফর করার ইচ্ছা করলাম, কিন্তু আমার মা আমাকে নিষেধ করলেন, আমি তার আনুগত্য করলাম, ফলে সে ব্যাপারে আমার বরকত হয়েছে।” [‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ ( سير أعلام النبلاء ): ১২/১৪৫]
১২. আর আসমা‘য়ী বলেন: আরবের এক ব্যক্তি আমার নিকট বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি সবচেয়ে অবাধ্য মানুষ ও সবচেয়ে অনুগত মানুষের সন্ধানে বের হলাম; অতঃপর আমি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম, শেষ পর্যন্ত আমি দ্বিপ্রহরে প্রচণ্ড গরমের সময় এক বৃদ্ধের দেখা পেলাম, পানি উঠানোর জন্য যার গলায় রশি দিয়ে বালতি বেঁধে দেওয়া হয়েছে, যা টেনে উঠানো উটের পক্ষেও সম্ভব নয়, আর তার পিছনে চামরার পেঁচানো রশি (চাবুক) হাতে এক যুবক তাকে প্রহার করছে; আর সে এ রশি দ্বারা পিটিয়ে তার পিঠ রক্তাক্ত করে ফেলেছে। অতঃপর আমি বললাম: তুমি কি এই দুর্বল বৃদ্ধের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে না? তার ঘাড়ে রশি লাগিয়ে দেওয়াটা কি যথেষ্ট হয়নি যে, তুমি তাকে আবার প্রহার করছ?
তখন সে বলে: তাতো আমি আমার পিতার সাথে এই ব্যবহার করছি (তাতে তোমার কি); তখন আমি বললাম: তাহলে তো আল্লাহ তোমাকে ভালো পুরস্কার দিবেন না।
তখন সে বলল: চুপ কর, সে তো তার পিতার সাথে এরূপ ব্যবহার করত; আর তার পিতাও তার দাদার সাথে অনুরূপ ব্যবহার করত; তখন আমি বললাম: এই হল সবচেয়ে অবাধ্য মানুষ।
অতঃপর আমি ঘুরতে লাগলাম, শেষ পর্যন্ত দেখা পেলাম এক যুবকের, যার ঘাড়ে একটি ঝুড়ির মধ্যে রয়েছে এক বৃদ্ধলোক, মনে হচ্ছিল যেন একটি মুরগীর বাচ্চা; তারপর সে সব সময় তাকে তার সামনে রাখত এবং তাকে খাওয়াতো যেমনিভাবে মুরগীর বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়; তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম: ওনি কে? সে বলল: আমার আব্বা, বয়সের ভারে তার বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, আমি তাকে দেখাশুনার দায়িত্ব নিয়েছি; তখন আমি বললাম: এই হল আরবের সবচেয়ে অনুগত ও ভাল মানুষ। [ইবরাহীম আল-বায়হাকী, ‘আল-মাহাসেন ওয়াল মাসাওয়ী’ ( المحاسن و المساوئ ), পৃ. ৬১৪]
১৩. ত্বলক ইবন হাবীব আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও আলেমগণের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন; তিনি তাঁর মায়ের মাথায় চুম্বন করতেন; আর তাঁর মা ঘরের নীচে অবস্থান করা অবস্থায় তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্য তিনি কখনও ঘরের ছাদের উপর হাঁটতেন না। [হাফেয তারতূশী, ‘বির্রুল ওয়ালিদাইন’ ( بر الوالدين ), পৃ. ৭৮]
১৪. ‘আমের ইবন আবদিল্লাহ ইবন যুবায়ের রহ. বলেন: “আমার পিতা মারা গেছেন, আর আমি পরিপূর্ণ এক বছর আল্লাহ তা‘আলার নিকট তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।” [হাফেয তারতূশী, ‘বির্রুল ওয়ালিদাইন’ ( بر الوالدين ), পৃ. ৭৮]
« آخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين , و صلى الله و سلم على نبينا محمد و على آله و صحبه أجمعين » .
(আর আমাদের শেষ ধ্বনি হবে: ‘সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর প্রাপ্য’; আর আল্লাহ তা‘আলা সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সঙ্গী-সাথীর উপর)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/507/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।