মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
পিতামাতার অবাধ্যতা কারণ, কিছু বাহ্যিক চিত্র ও প্রতিকারের উপায়
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম আল-হামাদ
১৫
নবীগণ কর্তৃক পিতামাতার প্রতি আনুগত্য ও সদ্ব্যবহারের কিছু নমুনা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/507/15
১. এই তো আল্লাহর নবী নূহ ‘আলাইহিস্ সালাম, তিনি তাঁর পিতামাতার সাথে যে সদ্ব্যবহার করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য তার একটা নমুনা উপস্থাপন করেছেন; যেমন তিনি তাঁর পিতামাতার জন্য দো‘আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর (নূহ আ. এর) পক্ষ থেকে বলেছেন:
“হে আমার রব! আপনি ক্ষমা করুন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং যারা মুমিন হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে।” [সূরা নূহ, আয়াত: ২৮]
২. আর তিনি হলেন একত্ববাদীদের নেতা ইবরাহীম খলীল ‘আলাইহিস্ সালাম, যিনি তাঁর পিতাকে নির্মল নম্র ভাষায় ও দরদ ভরা কণ্ঠে সম্বোধন করেছেন তার হোদায়েত ও মুক্তির আশা নিয়ে এবং তার পথভ্রষ্টতা ও ধ্বংসের আশঙ্কা নিয়ে; সুতরাং তিনি বলেন, যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে পবিত্র কুরআনে জানিয়ে দিয়েছেন; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“আর স্মরণ করুন এ কিতাবে ইবরাহীমকে; তিনি তো ছিলেন এক সত্যনিষ্ঠ, নবী। যখন তিনি তার পিতাকে বললেন, ‘হে আমার পিতা! আপনি তার ‘ইবাদাত করেন কেন যে শুনে না, দেখে না এবং আপনার কোনো কাজেই আসে না?’ ‘হে আমার পিতা! আমার কাছে তো এসেছে জ্ঞান যা আপনার কাছে আসেনি; কাজেই আমার অনুসরণ করুন, আমি আপনাকে সঠিক পথ দেখাব। ‘হে আমার পিতা! শয়তানের ‘ইবাদাত করবেন না। শয়তান তো দয়াময়ের অবাধ্য। ‘হে আমার পিতা! নিশ্চয় আমি আশংকা করছি যে, আপনাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করবে, তখন আপনি হয়ে পড়বেন শয়তানের বন্ধু।” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৪১ - ৪৫]
তিনি এসব প্রভাব বিস্তারকারী কথামালা ও হৃদয়গ্রাহী বক্তব্যের মাধ্যমে তাঁর পিতাকে সম্বোধন করে কথা বলেছেন, যা হৃদয়ের গভীর পর্যন্ত পৌঁছায়।
এ কথাগুলো যদি তার হৃদয়কে কঠোর, শক্ত, আবরণযুক্ত ও কৃষ্ণ কালো অবস্থায় না পেত, তাহলে তা তাকে প্রভাবিত করত এবং তা তার হেদায়েত ও মুক্তির অন্যতম কারণ হতো।
৩. এই তো ইসমা‘ঈল ইবন ইবরাহীম ‘আলাইহিমাস্ সালাম, যাঁকে দিয়ে মানবতার ইতিহাসে পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের ভয়ঙ্কর লোমহর্ষক দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়; আর এটা হল— যখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে তাঁর পিতা বললেন:
‘হে প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করছি, এখন তোমার অভিমত কী বল?’।” [সূরা আস-সাফ্ফাত, আয়াত: ১০২]
অতঃপর এই সৎ ছেলেটি কী প্রতিউত্তর করেছিলেন? তিনি কি আমতা আমতা করেছিলেন, নাকি গড়িমসি করেছিলেন? তিনি কি দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রকাশ করেছিলেন, নাকি বিলম্ব করেছিলেন? না, বরং তিনি বলেছেন, যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে পবিত্র কুরআনে জানিয়ে দিয়েছেন; তিনি বলেন:
“হে আমার পিতা! আপনি যা আদেশপ্রাপ্ত হয়েছেন তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।” [সূরা আস-সাফ্ফাত, আয়াত: ১০২]
বর্ণিত আছে যে, ইবরাহীম ‘আলাইহিস্ সালাম যখন তাঁর স্বপ্নের মধ্যে দেখা বিষয়ে নিশ্চিত জ্ঞান লাভ করলেন, তখন তিনি তাঁর ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বললেন: হে আমার প্রিয় বৎস! তুমি রশি ও ছুরি নাও এবং চল ঐ পাহাড়ের গিরিপথে, আমরা সেখানে কাঠ সংগ্রহ করব; অতঃপর তিনি যখন তাঁকে নিয়ে ‘ছাবীর’ নামক গিরিপথে নির্জন এলাকায় পৌঁছলেন, তখন তিনি স্বপ্নে আদিষ্ট হওয়ার বিষয়ে তাঁকে অবহিত করলেন; অতঃপর যখন তিনি তাঁকে যবেহ্ করতে চাইলেন, তখন তিনি (ইসমা‘ঈল আ.) তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললেন: হে আমার আব্বু! আমাকে শক্ত করে বেঁধে ফেলুন যাতে আমি আপনার কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারি এবং আমার থেকে আপনি আপনার কাপড় গুটিয়ে নিন, যাতে তাতে কোনো রকম রক্ত লেগে না যায়, অতঃপর তা আমার মা তা দেখে ফেলে; আর আপনার ছুরিতে ভালভাবে ধার দিয়ে নিন এবং আমার গলায় দ্রুত ছুরি চালিয়ে দিন, যাতে তা আমার জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়; আর যখন আপনি আমার মায়ের নিকট ফিরে যাবেন, তখন আমার পক্ষ থেকে তাঁকে সালাম দিবেন।
ইবরাহীম ‘আলাইহিস্ সালাম বললেন: হে আমার প্রিয় বৎস! তুমি কত উত্তম সাহায্যকারী! অতঃপর তিনি তাঁর নিকট এগিয়ে গেলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁরা দু’জনই কাঁদছেন; অতঃপর তিনি তাঁর গলার উপরে ছুরি চালালেন, কিন্তু ছুরি কাটতে পারল না; অতঃপর তিনি ছুরিতে দুইবার বা তিনবার পাথর দ্বারা ধার দিলেন, কিন্তু তার পরেও তা কাটতে ব্যর্থ হল; ঠিক এই মুহূর্তে ছেলে বলল: হে আমার আব্বাজান! আপনি আমাকে উপুড় করে শুইয়ে দিন; কেননা, আপনি যদি আমার চেহারের দিকে নজর করেন, তাহলে আমার প্রতি আপনার মায়া হবে এবং আপনাকে এমন মায়া-মমতায় পেয়ে বসবে, যা আপনার ও আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ পালনের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করবে; আর আমিও ছুরির দিকে তাকাতে পারব না, যার ফলে আমি অস্থিরতা প্রকাশ করব; অতঃপর ইবরাহীম ‘আলাইহিস্ সালাম তাই করলেন এবং তাঁর ঘাড়ে ছুরি চালিয়ে দিলেন, কিন্তু ছুরি ফিরে আসল এবং তাঁকে আহ্বান করা হল এই বলে:
৪. আর তিনিই তো ‘ঈসা ইবন মারইয়াম ‘আলাইহিমাস্ সালাম, যাঁর ব্যাপারে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সুরভিত প্রশংসা ও উচ্চ মর্যাদার কথা এসেছে, আর তিনি তো দোলনায় থাকা অবস্থায় তাঁর মায়ের অনুগত ছিলেন; আর এটাই তাঁর প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার প্রতি তাঁর দাসত্বের কথা ইঙ্গিত করে; আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর পক্ষ থেকে পবিত্র কুরআনে জানিয়ে দিয়েছেন; তিনি বলেন:
“আর তিনি আমাকে আমার মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন এবং আমাকে তিনি করেননি উদ্ধত, হতভাগ্য।” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৩২]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/507/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।