মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আর এ পথই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করবে এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে।
আল্লাহ রাববুল আলামীনের প্রদর্শিত এ সরল পথ হল আস-সিরাতুল মুস্তকীম। একমাত্র পথ, দ্বিতীয় কোন পথ নেই। নেই কোন বক্রতা, দ্বিমুখীতা বা পরস্পর বিরোধীতা। সত্য এ পথ একটাই। তাহলে আল-কুরআন ও সুন্নাহর পথ। যে পথ অনুসরণ করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম। আর বাতিল পথ ও মত হল অনেক। তাইতো আল্লাহ এ আয়াতে বললেন, ‘‘ভিন্ন পথগুলো অনুসরণ করবে না।’’
হাদীসে এসেছে
عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال : إن رسول الله صلى الله عليه وسلم خط خطوطا بيده ثم قال هذا سبيل الله مستقيما وخطا عن يمينه وعن شماله ثم قال هذه السبل ليس منها إلا عليه شيطان يدعو إليه ثم قرأ وأن هذا صراطي مستقيما . . .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার নিজ হাত দিয়ে একটি রেখা টানলেন, অতঃপর বললেন, ‘‘এটা হল আল্লাহর সরল পথ।’’ এরপর ডানে বামে অনেকগুলো রেখা টানলেন, অতঃপর বললেন, ‘‘এ গুলো হল বিভিন্ন পথ। এর প্রত্যেকটি পথে শয়তান আছে। সে এ পথের দিকে মানুষকে আহবান করতে থাকে। এরপর তিনি এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন,
আরই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করবে এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে।’’ বর্ণনায় : নাসায়ী, আহমাদ, দারামী
যেভাবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ অনুসরণ করেছেন, ঠিক সেভাবে যদি অনুসরণ না করা হয় তাহলেই সেটা হবে শয়তানের পথ। সেটা কখনো আস-সিরাতুল মুস্তাকীম বলে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আস-সিরাতুল মুস্তাকীম ব্যতীত যত পথ ও মত আছে সব বাতিল। এগুলো সাধারণত দু ধরনের : (ক) কাফের বা অমুসলিমদের পথ। (খ) ইসলামের নামে এমন আচার-আচরণ, অনুষ্ঠান, ইবাদত যা কুরআন বা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। এটা হল বেদআত। আল্লাহ রাববুল আলামীন তাঁর এ দশম অসিয়তে উভয় প্রকার বাতিল পথসমূহ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। যদি কাফেরদের অনুসরণ করা হয় তাহলেও আস-সিরাতুল মুস্তাকীম থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। আবার যদি ইসলামের মধ্যে অবস্থান করে কেহ কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা অনুমোদিত নয় এমন কাজ বা আচার-অনুষ্ঠান ধর্মীয় আচার হিসাবে পালন করে তাহলে আস-সিরাতুল মুস্তাকীম থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। উভয় পথই শয়তানের পথ।
এ বেদআত সম্পর্কে আল্লার রাসূল বহু হাদীসে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। বেদআতের শাস্তি উল্লেখ করেছেন।
ঈমান ও ইসলাম অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটো নেআমাত মুসলমানদের। এ দশটি অসিয়তের প্রথমটিতে আল্লাহ তাআলা শিরক বর্জন করতে বলেছেন। শিরক বর্জন করলে ঈমানের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। আর সর্বশেষ অসিয়তে বেদআত বর্জন করতে বলেছেন। বেদআত বর্জন করলে ইসলামের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। ধর্মে বেদআত প্রবেশ করার কারণে ধর্ম, অধর্মে পরিণত হয়ে যায়। খৃষ্ট ধর্ম এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তেমনি ইসলামে যদি বেদআত প্রচলন করা হয় তাহলে ইসলামের মূল রূপ চলে যায়।
বেদআত কাকে বলে ?
যে বিশ্বাস বা কাজ আল্লাহ বা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীনে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত করেননি কিংবা পালন করতে নির্দেশ দেননি সে ধরনের বিশ্বাস ও কাজকে ধর্মের অন্তর্ভুক্ত মনে করা, তা করলে সওয়াব হবে বলে বিশ্বাস করা ও পালন করার নাম হল বেদআত।
আলোচ্য এ তিনটি আয়াত বর্ণনা কালে প্রথম আয়াত শেষে আল্লাহ বললেন, ‘যাতে তোমরা অনুধাবন কর।’
দ্বিতীয় আয়াত শেষে বললেন, ‘যাতে তোমরা মনে রাখ ও উপদেশ গ্রহণ কর।’ তৃতীয় আয়াত শেষে বললেন, ‘যাতে তোমরা মুত্তাকী বা আল্লাহর ব্যাপারে সাবধানী হও।’
তাই বলা যায় প্রথমে বুঝতে ও শিখতে হবে। তারপরে মনে রাখার জন্য ও বাস্তবায়ন করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। তারপর ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় তথা তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে।
এ আয়াতসমূহে বর্ণিত দশ অসিয়ত সম্পর্কে হাদীসে আরো এসেছেঃ
عن عبادة بن الصامت قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم : ( أيكم يبايعني على هؤلاء الآيات الثلاث، ثم تلا : ( قل تعالوا أتل ما حرم ربكم ) إلى ثلاث آيات، ثم قال : ( من وفى بهن فأجره على الله، ومن انتقص منهن شيئاً فأدركه الله في الدنيا كانت عقوبته، ومن أخره إلى الآخرة كان أمره إلى الله إن شاء آخذه وإن شاء عفا عنه ).
উবাদা ইবনে সামেত থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমাদের মধ্যে কে আছে এ তিন আয়াতের বিষয়ে আমার হাতে বাইয়াত (শপথ) নেবে। এরপর তিনি এ আয়াত তিনটি পাঠ করলেন। অতঃপর বললেন, যে ব্যক্তি এ অসিয়তগুলো পালন করবে তার পুরস্কার আছে আল্লাহর কাছে। আর যে এর কোনটিতে শিথিলতা করবে আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়াতেই শাস্তি দিতে পারেন। আর যদি তিনি আখেরাত পর্যন্ত শাস্তিকে বিলম্বিত করেন, তাহলে আল্লাহর ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন বা ক্ষমা করবেন।’’ (তাফসীর ইবনে কাসীর)
এ তিনটি আয়াতে যে দশটি হারাম বর্ণনা করা হলো তা মনে রাখার সুবিধার্থে সংক্ষেপে এ রকম বলা যায়ঃ
এক. আল্লাহর সাথে শিরক করা
দুই. মাতা পিতার অবাধ্য আচরণ করা
তিন. দারিদ্রতার ভয়ে সন্তান হত্যা করা
চার. ব্যভিচার ও অশ্লীলতা
পাঁচ. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা
ছয়. ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস করা
সাত. মাপে ওযনো কম দেয়া
আট. অন্যায় বিচার-ফয়সালা ও অন্যায় কথা বলা
নয়. আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদাসমূহ পূরণ না করা
দশ. কাফেরদের অনুসরণ ও বিদআতে লিপ্ত হওয়া
এ দশটি হারাম কাজ,কবীরা গুনাহ সন্দেহ নেই। এর সমমানের আরো যে সকল কবীরা গুনাহ বা মারাত্নক পাপ আছে তা হলো : সূদ খাওয়া, জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা, যাদু করা, সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া। এগুলোকে হাদীসে মুহলিকাত বা ধ্বংসাত্নক পাপ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
সমাপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/522/12
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।