HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহ তাআলার দশ অসিয়ত

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

প্রথম অসিয়তঃ শিরক বর্জন করা
أَلَّا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا

‘‘তোমরা তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না।’’

ঘৃণ্যতম হারাম হল শিরক। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বড় অপরাধ।

আল্লাহ তাআলা লুকমান হাকীমের উপদেশ উল্লেখ করে বলেনঃ

لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ

‘‘তুমি আল্লাহর সাথে শিরক করবে না। নিশ্চয় শিরক মারাত্নক অন্যায়।’’ সূরা লুকমান, আয়াত ১৩

শিরক এতবড় অপরাধ যে, আল্লাহ রাহমানুররহীম, ক্ষমাশীল হওয়া সত্বেও তা ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا

‘‘নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করবেন না, তার সাথে শরীক করা-কে। তা ছাড়া যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। যে কেহ আল্লাহর সাথে শরীক করে সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়ে পড়ল।’’ সূরা আন-নিসা, আয়াত ৪৮

হাদীসে এসেছে -

يقول ابن مسعود قلت يا رسول الله أي الذنب أكبر؟ قال أن تجعل لله نداً وهو خلقك ( متفق عليه )

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সবচেয়ে মারাত্নক অপরাধ কী? তিনি বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর সাথে শরীক স্থির করবে অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’’ বর্ণনায়ঃ বুখারী ও মুসলিম

শিরক কাকে বলে?

আল্লাহর সৃষ্টি ও কর্তৃত্বে অন্য কারো কোন প্রকার দখল আছে বলে বিশ্বাস করা, আল্লাহর যে সকল নাম ও গুণাবলি রয়েছে তার কোন একটি বা একাধিক অন্য করো আছে বলে বিশ্বাস করা, ইবাদত হিসাবে যে সকল কথা ও কাজ আল্লাহর জন্য নিবেদন করা উচিত, তার কোন কিছু আল্লাহ ব্যতীত অন্য করো জন্য নিবেদন করার নাম হল শিরক।

তাই মুলত শিরক তিন প্রকারঃ

এক. আল্লাহ তাআলার প্রভূত্ব ও কর্তৃত্বে শিরক :

আল্লাহ তাআলা আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু তিনিই সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই পরিচালনা করেন। সকল সৃষ্টির রিযক, জন্ম, মৃত্যু, কল্যাণ, অকল্যাণ তারই হাতে। তার কর্তৃত্ব ব্যতিরকে একটি পাতাও নড়ে না। এ বিষয়ে তার কোন সহযোগী নেই, নেই কোন অংশীদার। এ বিশ্বাস সকল মুসলমানের। শুধু মুসলমানেরই নয় এমনকি ইসলামপূর্ব যুগের মক্কার পৌত্তলিক-মুশরিরাও এ বিশ্বাস পোষণ করতো। তার এ কর্তৃত্বে ও প্রভূত্বে অন্য কারো অংশ আছে বলে বিশ্বাস করা হল শিরক।

দুই. আল্লাহর নাম ও গুণাবলিতে শিরকঃ

আল্লাহর যে সকল নাম রয়েছে এবং তার যে সকল গুণ রয়েছে তার কোনটি অন্যের জন্য নির্ধারণ করা হল শিরক। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, আল্লাহ সর্বদ্রষ্টা ও সর্বশ্রোতা। কোথায় কী হচ্ছে, তিনি সকল কিছু দেখছেন। কোন নবী, অলী, গাউস-কুতুব, ফেরেশেতা, দেব-দেবীর জন্য বা যে কোন সৃষ্টির জন্য এটা প্রয়োগ করা হল শিরক। এ গুণটা শুধু তারই। অন্য কারোর নয়।

তিন. ইবাদত বা উপাসনার ক্ষেত্রে শিরক:

যে সকল আকীদা-বিশ্বাস, কথা ও কাজ আল্লাহর জন্য নিবেদন করা হয়ে থাকে, তা অন্য কোন সৃষ্টির জন্য নিবেদন করা হল শিরক।

অর্থ্যাত ইবাদতের কোন কিছুই আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্য পেশ করা যাবে না। আর এ ক্ষেত্রেই অধিকাংশ মানুষ শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।

যেমন সেজদা দেয়া বা মাথা নত করা একটি ইবাদত। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা একটি ইবাদত। বিপদে-আপদের তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়া একটি ইবাদত। তার কাছে দুআ করা একটি ইবাদত . . . .। এর কোন কিছু আপনি যদি কোন মানুষ, নবী, অলী, গাউস-কুতুব, ফেরেশতা, জিন, দেব-দেবী, প্রতিমার জন্য নিবেদন করেন তাহলে আপনি শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়লেন।

শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়লে মানুষের সকল সৎকর্ম নষ্ট হয়ে যায়। কোন ভালোকাজ আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।

শিরকের বিপরীত হলো তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ। আর এ তাওহীদ হল মানুষের মুক্তির একমাত্র উপায়। দীন-ধর্মের রক্ষা-কবচ হলো তাওহীদ। আর দীন- ধর্ম বিনষ্টকারী হলো শিরক। শিরক প্রত্যাখান করার উপরই হল দীনে ইসলামের মূল ভিত্তি। তাই আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রথম অসিয়তে এ বিষয়টিকে স্থান দিয়েছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন