HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহ তাআলার দশ অসিয়ত

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

আল্লাহ তাআলার দশ অসিয়ত
প্রথম কথা: আল্লাহ রাববুল আলামীন তাঁর পবিত্র কুরআনের সূরা আনআমে দশটি নির্দেশ উল্লেখ করেছেন মানুষের জন্য। এ দশটি নির্দেশ তিনি তিনটি আয়াতে উল্লেখ করেছেন। প্রত্যেকটি আয়াতের শেষে তিনি বলেছেন, ‘এর মাধ্যমে তিনি তোমাদের অসিয়ত করেছেন’। এ কারণেই এ নির্দেশগুলোকে ইমাম ও মুফাসসিরগন এক কথায় ‘দশ অসিয়ত’ বলে অভিহিত করেছেন। আসলে এ দশটি বিষয় এমন যার মধ্যে মুসলমানদের দীন-ধর্ম, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নির্ভর করে। শুধু আল-কুরআনেই নয় অন্যান্য আসমানী কিতাবেও এ দশটি অসিয়তের কথা উল্লেখ রয়েছে।

আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন :

قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ أَلَّا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ مِنْ إِمْلَاقٍ نَحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ ﴿১৫১﴾ وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّى يَبْلُغَ أَشُدَّهُ وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ لَا نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا وَإِذَا قُلْتُمْ فَاعْدِلُوا وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى وَبِعَهْدِ اللَّهِ أَوْفُوا ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ ﴿১৫২﴾ وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴿১৫৩﴾

‘বল, ‘আস, তোমাদের প্রভূ তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন তোমাদেরকে তা পাঠ করে শুনাই। তা এই যে, তোমরা তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না, পিতা-মাতার প্রতি সদাচার করবে, দারিদ্র্যতার কারণে তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে জীবিকা দিয়ে থাকি। প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে অশ্লীল নিকটবর্তী হবে না। আল্লাহ যাকে হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতীত তোমরা তাকে হত্যা করবে না। তোমাদেরকে তিনি এ অসিয়ত করলেন, যেন তোমরা অনুধাবন কর’। (১৫১)

‘ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ব্যতীত তোমরা তার সম্পত্তির কাছে যাবে না এবং পরিমাণ ও মাপে ন্যায্যভাবে পুরোপুরি দেবে। আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত ভার অর্পন করি না। যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায় পরায়ণতা অবলম্বন করবে, স্বজনদের সম্পর্কে হলেও। আর আল্লাহর সাথে প্রদত্ত অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। তোমাদেরকে তিনি অসিয়ত করলেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর’। (১৫২)

‘আর এ পথই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করবে এবং ভিন্ন পথ অনুসরণ করবে না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। তিনি তোমাদের অসিয়ত করলেন, যেন তোমরা সাবধান হও’। (১৫৩)

(সূরা আল-আনআম : আয়াত -১৫১-১৫৩)

এ আয়াতগুলো হল সূরা আনআমের ১৫১, ১৫২ ও ১৫৩ নং আয়াত। এ তিনটি আয়াত সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন:

من أراد أن يقرأ صحيفة رسول الله صلى الله عليه وسلم التي عليها خاتمه فليقرأ هؤلاء الآيات . رواه الترمذي .

‘ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সহীফা পাঠ করতে চায় যার উপর তাঁর মোহর রয়েছে। সে যেন এ আয়াতগুলোকে পাঠ করে।’ বর্ণনায় : তিরমিজী

‘যার উপর তাঁর মোহর রয়েছে’ এর অর্থ হল: এ আয়াতগুলো হল মুহকাম বা স্পষ্ট এবং তার নির্দেশগুলো কোন অবস্থাতেই রহিত হবার নয়।

সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. আল-কুরআনের ব্যাখ্যায় খুবই খ্যাতিমান ছিলেন তিনি এ আয়াতগুলো সম্পর্কে বলেন:

في الأنعام آيات محكمات هن أم الكتاب ثم قرأ- قُلْ تَعَالَوْا .. . . أخرجه الحاكم

‘‘সূরা আল-আনআমে কতগুলো মুহকাম আয়াত রয়েছে। এগুলো আল-কুরআনের মূল বিষয়’। এ কথা বলে তিনি এ আয়াতগুলো পাঠ করতেন। বর্ণনায় : হাকেম

তাফসীরবিদগণ বলেন, দশটি অসিয়ত-সংবলিত এ তিনটি আয়াত ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস, পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করে, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

প্রথম আয়াতটিতে পাঁচটি অসিয়ত রয়েছে। দ্বিতীয়টিতে চারটি এবং তৃতীয়টিতে একটি। আর এর প্রতিটি আয়াত একটি অভিন্ন বাক্য দিয়ে শেষ করা হয়েছে। তাহলো:

ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ

‘‘এটা, যা তিনি তোমাদেরকে অসিয়ত করলেন ’’।

‘আদেশ’ বা ‘নির্দেশ’ শব্দ ব্যবহার না করে ‘অসিয়ত’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে বিষয়বস্ত্তর গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে। চূড়ান্ত ও অপরিবর্তনীয় আদেশ-নির্দেশকে অসিয়ত বলা হয়ে থাকে। যেমন কোন ব্যক্তি মৃত্যুর সময় তার সন্তানদের অসিয়ত করে যান। এর অর্থ হলো এগুলো আমার জীবনের শেষ কথা। যা কখনো পরিবর্তন হবে না। যা আমি আমার স্বার্থে নয়, তোমাদের কল্যাণে তোমাদের স্বার্থেই বলে গেলাম। তোমরা এ থেকে কখনো বিচ্যুত হবে না। এগুলো আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে চূড়ান্ত কথা।

এমনিভাবে এ দশটি অসিয়ত হলো মহান প্রভু, সর্বজগতের প্রতিপালক, সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ তাআলার অসিয়ত বা চূড়ান্ত নির্দেশ। এরপর তিনি আর কোন নির্দেশ দিবেন না। এ নির্দেশ পালন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষ ইহ-পরকালীন জীবনে সফলতা অর্জন করবে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি সফলতা ও নিরাপত্তা অর্জনের এ এক অনন্য ব্যবস্থাপত্র।

আল্লাহ রাববুল আলামীন এ আয়াতের শুরুতে তাঁর রাসূলকে নির্দেশ দিয়ে বলেন,

قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ

‘বলো, এসো আমি তোমাদের পাঠ করে শুনাই যা নিষিদ্ধ করেছেন তোমাদের প্রভু তোমাদের জন্য’। তাই এ নির্দেশসমূহ যেমন নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা জরুরি তেমনি অন্যকে তা শুনিয়ে দেয়াও অপরিহার্য।

এ তিনটি আয়াতের পূর্বের আয়াতগুলো দ্বারা বুঝা যায় যে, মুশরিকরা এমন কিছু বিষয়কে হারাম গণ্য করত, যা আল্লাহ হারাম করেননি। তারা ও তাদের পাদ্রী-পুরোহিতরা নিজেদের পক্ষ থেকে তা হারাম করেছে। আসলে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো হারাম কিংবা হালাল করার অধিকার নেই। তিনিই কোন বিষয় হারাম করতে পারেন। তিনিই পারেন হালাল করতে। এ বিষয়টির প্রতি জোর দিয়ে আল্লাহ বলেছেনঃ

قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ

‘‘তুমি বলো, আসো! আমি তোমাদের পাঠ করে শুনিয়ে দেই, যা হারাম করেছেন তোমাদের প্রভূ তোমাদের জন্য।’’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ

وَلَا تَقُولُوا لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ الْكَذِبَ هَذَا حَلَالٌ وَهَذَا حَرَامٌ لِتَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ إِنَّ الَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ .

‘‘তোমাদের জিহবা মিথ্যা আরোপ করে বলে, তোমরা বলোনা যে, এটা হালাল আর এটা হারাম। এ রকম বলে তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে থাকো। যারা আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যারোপ করে থাকে তারা সফলকাম হবে না।’’ সূরা আন-নাহল : ১১৬

কোন মানুষের ক্ষমতা নেই নিজেদের পক্ষ থেকে কোন বস্ত্তকে হারাম করবে, বা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তাকে হালাল করবে।

হারাম হালালের বিধান দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর জন্য সংরক্ষিত।

তাহলে আসুন, আমরা শুনে নেই আল্লাহ তার দশটি অসিয়তে কি হারাম করেছেন। আর কি করতে বলেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন