মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“হে মু‘আয তুমি কি মানুষকে ফিতনায় ঠেলে দিতে চাও? যখন তুমি মানুষের সালাতের ইমামতি করবে, তখন তুমি সূরা আস-শামছ ও সূরা আদ-দুহা এবং সূরা আলাক এবং আল-লাইল পড়বে”। [বর্ণনায় সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৯৮৬। হাদিসটি সহীহ।]
তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশটি দেন যখন সে তার সম্প্রদায়ের লোকদের এশার সালাতের ইমামতি করেন।
মোটকথা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত তেমন ছিল যেমনটি ইমাম মুসলিম আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন,
“আমি কারও পিছনে এত সংক্ষিপ্ত সালাত আদায় করি নি, যেমনটি পূর্ণতা সহকারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে সালাত আদায় করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাত ছিল কাছাকাছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন سمع الله لمن حمده বলতেন তখন এত পরিমাণ দাঁড়াতেন, আমরা বলতাম রাসূল মনে হয় সাজদাহ’র কথা ভুলে গেছেন। তারপর তিনি সাজদাহ করে সাজদাহ থেকে উঠে বসতেন। তখন তিনি এত সময় পরিমাণ বসতেন আমরা মনে করতাম তিনি পরবর্তী সাজদাহ’র কথা ভুলে গেছেন।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭৩]
সাবেত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করে বলেন,
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সালাতে এমন কিছু করতেন যা আমি তোমাদের করতে দেখি না। সে যখন রুকু থেকে মাথা উঠাইতেন তখন তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। তখন কেউ কেউ মনে করত, তিনি ভুলে গেছেন। আর যখন সাজদাহ হতে দাঁড়াতেন এ পরিমাণ অবস্থান করতেন, কেউ কেউ বলত, তিনি ভুলে গেছেন।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮২১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭২]
বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে চেষ্টা করুন। বর্তমানের আমাদের ওলামা মাশায়েখদের অবস্থার দিক লক্ষ করুন। তাদের সালাতের ওপর জাবের ইবন সামুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কথাই প্রযোজ্য। যেমন, সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত সংক্ষিপ্ত করতেন; কিন্তু এসব লোকদের মতো সালাত আদায় করত না”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৫৮]
এতো জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর যুগের কথা। আর বর্তমানে আমাদের মাশাইখদের সালাতকে যদি তারা দেখত তাহলে কি মন্তব্য করত। তুমি ঘর থেকে সালাতের একামত শুনে ৫০ মিটারের দূরত্বে সুন্নাতের পরিপন্থী কাজ খুব দৌড়ে মসজিদে এসেও তোমার দুই রাকাত বা তিন রাকাত সালাত ছুটে যায়। সালাতে উপস্থিত হওয়ার সুন্নাত হলো, তুমি দৌড়ে আসবে না ধীরে-সুস্থে গাম্ভীর্যের সাথে সালাতে উপস্থিত হবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যখন সালাতের ইকামত দেওয়া হবে, তখন তুমি দৌড়ে মসজিদে আসবে না, ধীর-সুস্থে ও গাম্ভির্যের সাথে সালাতে উপস্থিত হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬০২]
বড় মুসীবত হলো, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিম এ ধরনের সালাত আদায় করেই সন্তুষ্ট, বরং অধিকাংশকে দেখা যায় তারা মসজিদের দরজার সামনে দাঁড়াতে পছন্দ করে, যাতে তারা সালাম ফিরানোর সাথে সাথে মসজিদ থেকে বের হতে পারে। আর তারা আল্লাহ তা‘আলার বাণী - ﴿ فَإِذَا قُضِيَتِ ٱلصَّلَوٰةُ فَٱنتَشِرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَٱبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِ ٱللَّهِ ١٠ ﴾ [ الجمعة : ١٠ ] “যখন তোমরা সালাত আদায় কর যমীনে ছড়িয়ে পড়। আর আল্লাহর ফযল রিযিকের অনুসন্ধান কর”। [সূরা আল-জুমু‘আ, আয়াত নং ১০]-কে নিজেদের পক্ষে দলীল হিসেবে পেশ করে।
মুসলিম ভাইদের জন্য আমার উপদেশ যাতে তারা যেন হকের উপর অটুট থাকে এবং সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে।
ইমাম মুসলিম জাবের ইবন সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেন,
“তারা তোমার সব বিষয়ে অভিযোগ করেছে। এমনকি তোমার সালাত বিষয়েও তারা অভিযোগ করেছে। তিনি বললেন, আমি সালাতের প্রথম দুই রাকাতে কিরাত লম্বা করি এবং পরের দুই রাকাতে সংক্ষিপ্ত করি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের অনুসরণ করতে কোনো প্রকার কার্পণ্য করি না। তখন তিনি বললেন, তোমার প্রতি আমার ধারণাও তাই ছিল অথবা বললেন, আমার ধারণা তোমার প্রতি এমনই”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৫৩]
সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মানুষ দূরে সরার কারণটির প্রতি লক্ষ্য করুন। কারণটি ছিল, তিনি তাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের মতই সালাত আদায় করতেন। মানুষের চাহিদার প্রতি তেমন কোনো গুরুত্ব দিতেন না। ফলে তারা আমীরুল মুমিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট অভিযোগ করেন। তবে দেখার বিষয় হলো, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকট যখন এ অভিযোগ করল যে সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের মতোই সালাত আদায় করেন তখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর অবস্থান কী ছিল? তিনি কি সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে এ কথা বলেছেন যে, তুমি যা করছ ঠিকই করছ নাকি অন্য কিছু? না তিনি বললেন,
«إن الناس اختلفوا اليوم عن أولئك وضعف إيمانهم، وأصبحوا لا يطيقون صلاة الرسول، والناس كثرت أشغالهم وكبرت مؤسساتهم وقل عملهم وبعدوا عن الدين، فتألفهم ولاتنفرهم»
“বর্তমানের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ঈমান দুর্বল হয়ে গেছে। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মত সালাত আদায় করতে অক্ষম। মানুষের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে, আমলে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, মানুষ দীন থেকে দূরে সরে গেছে। সুতরাং তুমি তাদেরকে একত্র করবে, তাদের তুমি দূরে সরাবে না।” এ ছিল ফিতনা থেকে বাঁচা এবং কল্যাণকে ধরে রাখার জন্য উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হিকমত অবলম্বন। সুতরাং তোমাকে অবশ্যই হিকমত অবলম্বন করতে হবে। দেখুন না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ওপর ক্ষেপে গেলেন এবং বললেন,
«أفتان أنت يامعاذ؟ فلا تكن فتانا واتق الله في عباد الله "؟!»
“হে মু‘আয তুমি কি ফিতনা সৃষ্টিকারী? তুমি ফিতনা সৃষ্টিকারী হবে না। আল্লাহর বান্দাদের বিষয়ে তুমি আল্লাহকে ভয় কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭০৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৬৫]
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর অবস্থান কি এমন কোনো অবস্থান ছিল যা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে?। না তা কক্ষনো হতে পারে না। একজন খলিফাতুল মুসলিমীন আল্লাহ ও তার রাসূলের নারাজিতে মানুষের সন্তুষ্টি তালাশ করবে তা কখনোই হতে পারে না, বরং তিনি সা‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে এ বলে স্বীকৃতি দিলেন যে ( ذاك الظن بك ) “এই ছিল তোমার প্রতি আমার ধারণা”। অর্থাৎ, আমি তোমাকে তাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছি যাতে তুমি তাদের মধ্যে আল্লাহর দেওয়া শরী‘আতকে বাস্তবায়ন কর। তাতে কেউ খুশি হোক বা অখুশি হোক তা তোমার দেখার বিষয় নয়। আমার যদি তোমার প্রতি আস্থা না থাকতো তবে আমি তোমাকে তাদের গভর্নর বানাতাম না। তাদের ওপর তোমাকে দায়িত্বশীল করতাম না। ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন এবং বাস্তব জীবনে এ ধরনের হিকমতকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করুন। আর তোমার আদর্শ যেন হয় আল্লাহ তা‘আলার বাণীর মতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, তাদেরকে যখন বিপদ আক্রান্ত করে তখন বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৬]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/525/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।