hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর জন্য ভালোবাসার নিদর্শন

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

২০
বারো- মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার আরেকটি আলামত হলো আল্লাহর বিধানের বাস্তবায়নের প্রতি উদ্ভুদ্ধ করা:
আল্লাহর বিধানের তা‘যীম করা এবং আল্লাহ তা‘আলা যেসব আমল পছন্দ করেন এবং সন্তুষ্ট হন, সেসব আমল বাস্তবায়ন করার প্রতি দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার ওপর উৎসাহ প্রদান করা। এটাই হল শরী‘আতকে সহজীকরণের মূল উৎস। আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি বিশ্বাসী মুমিনদের জন্য আল্লাহর বিধান মানা সর্বদাই সহজ; কোনো কঠিন কিছুই নয়। বিষয়টি আরো বেশি স্পষ্ট করার জন্য একটি হাদীস নিয়ে আসব যে হাদীসটি ইমাম বুখারী রহ. বর্ণনা করেছেন।

«لما بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا موسى الأشعري ومعاذا إلى اليمن أوصاهما بقوله : «يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا، وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا» ، فَانْطَلَقَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَى عَمَلِهِ، وَكَانَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِذَا سَارَ فِي أَرْضِهِ كَانَ قَرِيبًا مِنْ صَاحِبِهِ أَحْدَثَ بِهِ عَهْدًا، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَسَارَ مُعَاذٌ فِي أَرْضِهِ قَرِيبًا مِنْ صَاحِبِهِ أَبِي مُوسَى، فَجَاءَ يَسِيرُ عَلَى بَغْلَتِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِ، وَإِذَا هُوَ جَالِسٌ، وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ وَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ قَدْ جُمِعَتْ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ، فَقَالَ لَهُ مُعَاذٌ : يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَيُّمَ هَذَا؟ قَالَ : هَذَا رَجُلٌ كَفَرَ بَعْدَ إِسْلاَمِهِ، قَالَ : لاَ أَنْزِلُ حَتَّى يُقْتَلَ، قَالَ : إِنَّمَا جِيءَ بِهِ لِذَلِكَ فَانْزِلْ، قَالَ : مَا أَنْزِلُ حَتَّى يُقْتَلَ، فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ، ثُمَّ نَزَلَ فَقَالَ : يَا عَبْدَ اللَّهِ، كَيْفَ تَقْرَأُ القُرْآنَ؟ قَالَ : أَتَفَوَّقُهُ تَفَوُّقًا، قَالَ : فَكَيْفَ تَقْرَأُ أَنْتَ يَا مُعَاذُ؟ قَالَ : أَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ، فَأَقُومُ وَقَدْ قَضَيْتُ جُزْئِي مِنَ النَّوْمِ، فَأَقْرَأُ مَا كَتَبَ اللَّهُ لِي، فَأَحْتَسِبُ نَوْمَتِي كَمَا أَحْتَسِبُ قَوْمَتِي»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আবু মুসা আল-আশ‘আরী ও মু‘আয বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে ইয়ামনের দিকে প্রেরণ করেন, তখন তিনি তাদের উভয়কে এ বলে নসীহত করেন যে, “তোমরা সহজ কর কঠিন করো না সু-সংবাদ দাও দূরে সরাবে না”। তারা উভয়ে যখন স্বীয় যমীনে (কর্ম স্থলে) চলাফেরা করত তখন তারা একে অপরের কাছাকাছি থাকত। একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাত করত এবং যখন পৃথক হত তখন তারা আবার পুনরায় দেখা করার জন্য নতুনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হত তারপর সালাম দিয়ে বিদায় নিত। একদিন মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার সাথী আবু মুসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর এলাকায় একটি গাধার উপর ভ্রমণ করে এসে পৌছল। লোকেরা তার নিকট পৌছলে সে দেখতে পেল, এক লোক হাত পা বাঁধা। মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু লোকটিকে দেখে বলল, হে আব্দুল্লাহ ইবন কাইস! এটি কী? লোকটির কি হয়েছে? তিনি বললেন, লোকটি ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে গেছে। মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলল, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা না হবে, আমি নিচে নামবো না। তিনি বললেন, লোকটিকে হত্যা করার জন্যই আনা হয়েছে। তুমি নামতে পার। তিনি আবারো বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি নামবো না। তারপর নির্দেশ দেয়া হলো তাকে হত্যা করার জন্য এবং হত্যা করা হল। তারপর তিনি নীচে নেমে বললেন, হে আব্দুল্লাহ! তুমি কীভাবে কুরআন তিলাওয়াত কর? তিনি বললেন, রাত দিন কিছু সময় পর পর কুরআন পড়তে থাকি। তারপর তিনি বললেন, হে মু‘আয তুমি কীভাবে কুরআন পড়? বললেন, আমি প্রথম রাতে ঘুমাই, রাতের কিছু অংশ ঘুমের মধ্যে কাটাই, তারপর ঘুম থেকে উঠে আল্লাহ তা‘আলার তাওফীক অনুযায়ী কুরআন পড়ি। আমি আমার ঘুমের সময়ও সাওয়াবের আশা করি, যেমনিভাবে জাগ্রত থেকে তিলাওয়াত করাতে সাওয়াবের আশা করি। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৪১]

লক্ষ্য করুন একজন সাহাবী আরেক জন সাহাবীকে কতটুকু মহব্বত করতেন এবং একে অপরের সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে কতটুকু যত্নবান ছিলেন। তারপর দেখুন মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আল্লাহর হুকুম দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতি কত দৃঢ় ও কঠোর ছিলেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর বিধান কার্যকর হয় নি ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তার আরোহণ থেকে নিচে নামেন নি। তারপর দেখুন মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার সাথীকে কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এতে প্রমাণিত হয় যে তাদের মধ্যে কুরআনের গুরুত্ব, আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করার গুরুত্ব ও মহব্বত কত বেশি ছিল। যে ব্যক্তি যে জিনিসকে বেশি গুরুত্ব দেয় ও মহব্বত করে সে তার আলোচনাও বেশি করে। তারা যদি বর্তমানে আমাদের দুনিয়া প্রীতির অবস্থা দেখত তাহলে তাদের ধারণ আমাদের প্রতি কি হত! আজ আমরা যদি আমাদের কোনো ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করি, তখন প্রথমেই আমরা দুনিয়াদারির বিষয়ে খোজ নেই। বিশেষ করে টাকা পয়সা ধন-দৌলত ইত্যাদি বিষয়ে আগে জানতে চাই। তোমার বেতন কত? তোমার প্রমোশন হয়েছে কি? তোমার বাড়ি কয়টি? তোমার বাড়ী-গাড়ীর খবর কি? বেতন বৃদ্ধি, বিলাসী জীবন, সু-সজ্জিত বাড়ি-গাড়ী ইত্যাদি বিষয়েই আমরা জিজ্ঞাসা করি। আর মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু যে প্রশ্ন করেছেন আজ পর্যন্ত আমি কাউকে দেখিনি, এ ধরনের প্রশ্ন নিয়ে অগ্রসর হতে যে প্রশ্নটি নিয়ে মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু অগ্রসর হয়েছেন।

বর্তমানে মানুষের মূল্যায়ন হয় টাকার দ্বারা। কারণ, মানুষ টাকার মূল্য বুঝে ঈমান ও আমলের মূল্য বুঝে না। কে আছে এমন যে টাকা-পয়সাকে পায়ের নিচে রেখে পা দিয়ে পিষবে? কিন্তু আল্লাহর দেওয়া মহা মূল্যবান কিতাব তাকে তারা তাদের পিছনে ফেলে দিয়েছে। তারা তাদের বক্রতাকে যে জিনিসটি ঠিক করবে তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না। তাদের প্রবৃত্তি ও খারাপ আত্মার মাঝে যা প্রতিবন্ধকতা ও পার্টিশন তৈরি করবে, জুলুম অত্যাচারের মুখোশ খুলে দেবে এবং তাদের ভুল ত্রুটি ধরে দেবে তা তারা গ্রহণ করতে চায় না। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেন, ﴿إِنَّ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ يَهۡدِي لِلَّتِي هِيَ أَقۡوَمُ ٩﴾ [ الاسراء : ٩ ] “নিশ্চয় এ কুরআন এমন একটি পথ দেখায় যা সবচেয়ে সরল।” এ আয়াতের তাফসীরে ‘আদওয়ায়ুল বায়ানে’ আল্লামা সানকীতি রহ. দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি তাতে বলেন, “এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে হিদায়াতের সর্বোত্তম পথ, সঠিক পথ ও মধ্যম পথ সবই সংক্ষিপ্তকারে বর্ণনা করে দিয়েছেন”।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন