hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে দীন অর্জনের পথ ও পদ্ধতি

লেখকঃ সালেহ ইবন আবদুল আযীয আলে শাইখ

১৪
ফিকহের ইলম অর্জিত হয় দু’টি মাধ্যমে:
বস্তুত: ফিকহের ইলম অর্জিত হয় দু’টি মাধ্যমে:

এক- মাসআলাটির সঠিকরূপ নির্ণয় করতে সক্ষম হওয়া।

দুই- সঠিকভাবে বিভাজন করতে পারা।

ফিকহের সবচেয়ে উপকারী বিষয় হচ্ছে প্রকারভেদকরণ। আপনি বলবেন- এটি এত এত ভাগে বিভক্ত। উদাহরণতঃ আপনি বলবেন- মৌলিক পানির সাথে মিশ্রণযোগ্য দ্রবণ দুই প্রকার। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়। এরপর দ্রবণীয় এর উদাহরণ পেশ করবেন। অদ্রবণীয় এর উদাহরণ পেশ করবেন। ইবন কুদামা তার উমদা কিতাবে এভাবে উদাহরণ পেশ করেছেন। আপনি ফিকহের ক্লাশে অগ্রগণ্য মত কোনটি, দলীল কি সেটা জানার ওপর বেশি গুরুত্ব দিবেন না। কারণ, এখনো আপনি ছাত্র; আপনি মুফতি নন। ফিকহের ক্লাশের উদ্দেশ্য হচ্ছে মাসআলাটির স্বরূপ প্রকৃতি আপনাকে বুঝানো এবং আলেমদের প্রকাশভঙ্গির সাথে আপনাকে পরিচিত করিয়ে দেওয়া। উদাহরণতঃ ‘মুখতাসারুয যাদ’; আপনারা জানেন ‘যাদ’ কিতাবটি খুব ছোট। কিন্তু এই কিতাবে ত্রিশ হাজার মাসআলা আছে। ত্রিশ হাজার মাসআলা দলীলসহ, অগ্রগণ্য মত ও অনগ্রগণ্য মতসহ পড়া কি সম্ভব!! হয়তোবা শুধু পড়ে যাওয়া সম্ভব; কিন্তু ‘যাদ’ কিতাব বুঝা আর হবে না। এ কারণে ‘যাদ’ কিতাবের ব্যাখ্যা শেষ করেছেন এমন আলেমের সংখ্যা নগন্য। কারণ পূর্ববর্তী আলেমগণ যে পদ্ধতি অনুসরণ করতেন, যে পদ্ধতি তালিবে ইলমের জন্য হিতকর এবং যে পদ্ধতিতে আলেম তৈরি হয়েছে সে পদ্ধতি বর্তমানে অনুপস্থিত। নানা রকম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে এক মাসআলা নিয়েই আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যায়। কিন্তু তালিবে ইলমের এত বিশ্লেষণ জানার প্রয়োজন নেই। তালিবে ইলম শুধু মাসআলাটির স্বরূপ জানবে এবং কিতাবটি যে মাযহাবের সে মাযহাবের অভিমতটি জানবে। পানির প্রথম প্রকার পড়া শেষ করার পর কিতাব বন্ধ করে ইতোপূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি পুনঃপাঠ শুরু করবেন এবং নিজে নিজে ব্যাখ্যা করবেন। যদি আপনার বুঝার মধ্যে কোনো গরমিল থাকে, ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একবার আপনি পূবে চলে যাবেন, একবার পশ্চিমে চলে আসবেন। আপনার নিজের কাছেই সেটা ধরা পড়বে। পূর্ব-পশ্চিমের মাঝে ব্যবধান কতই না বড়। কবি বলেছেন:

سارتْ مشرِّقةً وسرتَ مغرِّبًا :: شتَّان بين مشرِّق ومغرِّب

“সে গিয়েছে পূর্ব দিগন্তে, আর তুমি চলছ পশ্চিম দিগন্তে। পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে ব্যবধান কতই না সুদীর্ঘ!”

যদি অবস্থা এমন হয় (যেমনটি বর্ণিত হলো) তাহলে পরিচ্ছেদটি আপনি পুনরায় পড়বেন। আপনার শিক্ষকের নিকট প্রশ্ন করে বুঝে নিবেন। আপনাকে যে শিক্ষক পড়ান তিনি যদি রব্বানী (পাইলটের মতো আলেম) হন তাহলে যে সকল মাসআলাতে আলেমগণের ফাতওয়া এই কিতাবের মতের বিপরীত রয়েছে তিনি তা উল্লেখ করবেন। তিনি বলবেন: এটি এই গ্রন্থকারের অভিমত; কিন্তু আলেমদের ফতোয়া এর বিপরীত বা অগ্রগণ্য মত হচ্ছে এই। প্রত্যেকটি মাসআলাতে শিক্ষকের নিকট অগ্রগণ্য মত কোনটি সেটি উল্লেখ করতে হবে- এমনটি নয়। আর অগ্রগণ্য মত বলতে উদ্দেশ্য হচ্ছে- বড় বড় আলেমে দীন ও মুফতিগণের নিকট যেটি অগ্রগণ্য- সেই অভিমত। এভাবে শিক্ষক ফিকহের কিতাব ও ফতোয়ার সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে দিবেন। আপনার সাথে ফিকহের কিতাবের যেমন সম্পর্ক তৈরি হবে, তেমনি ফতোয়ার কিতাবের সাথেও সম্পর্ক তৈরী হবে। আমার শিক্ষকগণ ‘যাদ’ পাঠদানকালে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করতেন:

প্রথমত: গ্রন্থকারের ভাষ্যের আলোকে মাসআলার স্বরূপ ও বিধান উল্লেখ করতেন।

যদি শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া বা তার ছাত্র ইবনুল কাইয়্যেম অথবা দাওয়াহ-ইমামদের নির্বাচিত কোনো অভিমত থাকে তাহলে সেটি উল্লেখ করতেন। যেহেতু এ সকল আলেম হাম্বলী মাযহাবকে সমৃদ্ধ করেছেন। হাম্বলী মাযহাবের কোনো অভিমত যদি অপ্রাধান্যপ্রাপ্ত হয় তাহলে তাঁরা তা উল্লেখ করতেন। উদাহরণ দিয়ে আমরা বলতে পারি- পানি তিন প্রকার। শিক্ষক আপনাকে বলবেন: শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়ার মতে পানি দুই প্রকার। প্রতিটি মাসআলাতে এর বেশি বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। শিক্ষকের মন্তব্যের দরকার নেই। শুধু এইটুকু বলবেন: এ বিষয়ে ফাতওয়া হচ্ছে এই। অমুক শাইখ এই ফাতাওয়া দিয়েছেন। যেমন শাইখ আব্দুল আযিয ইবন বায এই মাসআলায় এই ফাতওয়া দিয়েছেন। এভাবে শিক্ষক কিতাবের সাথে ও ফতোয়ার সাথে আপনাকে সম্পৃক্ত করবেন। কিন্তু প্রত্যেকটি মাসআলায় এসে এই মাসআলার দলীল হচ্ছে এটা। বিপক্ষীয় আলেমগণ এই দিয়ে দলীল দিয়েছেন। এই দলীলটি তথা হাদীসটি অমুক অমুক সংকলক সংকলন করেছেন। এই হাদীসের সনদে অমুক বর্ণনাকারী আছেন। সেই বর্ণনাকারী অমুক ত্রুটিযুক্ত। সুতরাং এ হাদীস দিয়ে দলীল পেশ চলবে না। অতএব, এ মতটি অপ্রাধান্যপ্রাপ্ত। সঠিক হচ্ছে- শা‘বী, ইসহাক ও শাফে‘ঈর অভিমত। সব মাসআলাতে তালিবে ইলমের এতকিছু জানার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে তালিবে ইলমের বিস্তারিত এ তথ্যগুলো হজম করার ক্ষমতা আছে সে বড় বড় কিতাবগুলো থেকে নিজে পড়ে নিবে। শিক্ষক পাঠপ্রস্তুতিকালে যে কয়টি কিতাব পড়েছেন বা জেনেছেন এর সকল তথ্য ক্লাশে উল্লেখ করা জরুরী নয়। যদি তিনি সব তথ্য ক্লাশে উল্লেখ করেন এর মানে হচ্ছে- তিনি যা পড়েছেন তার সবটুকু ক্লাশে উগলে দিচ্ছেন। এটি আলেমগণের পদ্ধতি নয়। আলেমগণের পদ্ধতি হচ্ছে- যতটুকু দিলে তালিবে ইলম লাভবান হবে ততটুকু দেওয়া; এর বেশি নয়। ফিকহের সব অধ্যায়ের ব্যাপারে একই কথা প্রযোজ্য। পুস্তিকাটির প্রত্যেকটি অধ্যায় আপনি এ পদ্ধতিতে পড়বেন। আপনি যখন মাসআলাগুলোর স্বরূপ সঠিকভাবে আয়ত্ব করতে পারবেন তখন দেখবেন সময়ের সাথে আপনার মগজে ইলমের একটি ভিত্তি তৈরী হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে আপনি রাজেহ (প্রাধান্যপ্রাপ্ত) ও মারজুহ (অপ্রাধান্যপ্রাপ্ত) অভিমতটি চিহ্নিত করতে পারছেন। অপ্রাধান্য মতের দলীলটির ত্রুটি ধরতে পারছেন। এভাবে সময়ের সাথে আপনার জ্ঞানপ্রাসাদের প্রতিটি স্তম্ভ স্ব স্ব স্থানে স্থাপিত হবে। এভাবে আপনি জ্ঞানের প্রাসাদ তৈরী করবেন। প্রথমে ভিত্তি রচনা করবেন। তারপর ধীরে ধীরে আপনার জ্ঞানের প্রাসাদ উঁচু হতে থাকবে এবং আপনি মাসআলাগুলোর স্বরূপ বুঝতে থাকবেন। যেমন ধরুন প্রথম দিকে আপনি ১০% মাসআলার স্বরূপ ও দলীল বুঝতে পারবেন। একবছর পর আপনি অনুভব করবেন ১৫% মাসআলা বুঝতে পারছেন। দুইবছর পর আপনি ২০% মাসআলা বুঝতে পারছেন। এভাবে সময়ের সাথে সাথে আপনার ইলমের ইমারত উন্নীত হবে। কিন্তু বর্তমানে যে পদ্ধতি চালু আছে এতে দেখা যায় তালিবে ইলম এক মাসআলার খুঁটিনাটি সবকিছু জানে। কিন্তু ফিকহের অন্য একটি মাসআলা সম্পর্কে সে কিছুই জানে না। এটি ইলমে দীন হাসিলের ত্রুটি। এতে ফিকহের সবগুলো বিষয় তালিবে ইলমের আয়ত্বে আসছে না। পূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি আপনার ইলম বৃদ্ধি করতে থাকবেন।

সহায়ক ইলমগুলোর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। আমরা মৌলিক ইলমগুলোর আলোচনা শেষ করেছি। সহায়ক ইলমগুলোর ক্ষেত্রে অভিন্ন পদ্ধতিতে ইলম হাসিল করবেন। প্রথমে ছোট্ট ছোট্ট মতন (মুখস্থযোগ্য পুস্তিকা) দিয়ে ইলম হাসিল শুরু করবেন। ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হবেন। ইতোপূর্বে আমি উল্লেখ করেছি যে, ইতিহাস ইলমের একটি শাখা। এর অধীনে রয়েছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাত (জীবনচরিত)। সিরাত জানার জন্য ‘সিরাতে ইবন হিশাম’ যথেষ্ট। ইতিহাসের সাথে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু বিদ্যা রয়েছে। এ শ্রেণির ইলমকে বলা হয় ইল্‌মুল মুলাহ (বিনোদনমূলক জ্ঞান)। এ শ্রেণির ইলম আপনি যতটুকু ইচ্ছা হাসিল করতে পারেন। কিছু ইলমকে আপনি খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। যেমন- উসুলুত তাফসীর (তাফসির তত্ত্ব), উসুলুল ফিকহ (ইসলামী আইন তত্ত্ব), উসূলুল হাদীস (হাদীস তত্ত্ব) বা মুসতালাহুল হাদীস (হাদীসের পরিভাষা), নাহু (আরবী ব্যাকরণ)। নাহু ছাড়া কোনো ইলম নেই। কবি ইবনুল ওয়ারদি বলেন:

جَمِّلِ المَنْطِقَ بِالنَّحْوِ فَمَنْ يُحْرَمُ الإِعْرَابَ بِالنُّطْقِ اخْتَبَل

“নাহুর মাধ্যমে তোমার ভাষাকে সৌন্দর্য্যমণ্ডিত কর,

যার কথাবার্তায় ইরাব (শব্দের শেষ হরকত) ঠিক থাকে না সেতো বিকারগ্রস্ত।”

আজকাল এমন তালিবে ইলম পাওয়া যায় যারা ভাঙ্গা ভাঙ্গা আরবীতে কথা বলে। যে তালিবে ইলম নাহু জানে না সে কিতাব ও সুন্নাহ বুঝবে এই নিরাপত্তা কি আপনি দিতে পারেন? বাস্তব ক্ষেত্রে এতটুকু বলা যায় সে মুকাল্লিদ হতে পারবে অর্থাৎ আলেমদের বক্তব্য প্রচার করতে পারবে। যে ছাত্র আরবীতে দুর্বল সে কোনো মাসআলায় নিজে নিজে সিদ্ধান্ত দিবে আপনি এমন কোনো নজির দেখাতে পারবেন না। আরবী ভাষা না জানাটা বড় ধরনের ত্রুটি। অতএব, নাহুর ওপর খুব গুরুত্ব দিতে হবে। নাহুর মূলপাঠ হচ্ছে- ই‘রাব (শব্দের শেষ হরফের হরকত কি তা জানা)। একজন শাইখের নিকট আপনি ইরাব পড়বেন। তারপর আপনার সামনে আরবীতে লেখা যা কিছু পান সেটা ই‘রাব করবেন। এমনকি পত্রিকা পড়লে পত্রিকার বাক্যগুলোরও ই‘রাব করবেন। কোনো একটি সূরা পড়লে সেটাও ই‘রাব করবেন। হাদীস পড়লে হাদীসও ই‘রাব করবেন। এর মাধ্যমে আপনার নাহুর অবস্থা কি তা আপনি বুঝতে পারবেন। যদি আপনার নাহুর জ্ঞান দুর্বল হয় তাহলে এখনি আপনি নাহু পড়া শুরু করুন। বড় বড় আলেমদের মজলিসে ই‘রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হত। যে আলেমগণ বিভিন্ন মজলিসে ইলম শিক্ষা দেন তাদের মজলিসে অবশ্যই নাহুর আলোচনা ও অন্যান্য সহায়ক ইলমের আলোচনা থাকতে হবে। শাইখকে জিজ্ঞেস করতে হবে- আল্লাহ তা‘আলার অমুক বাণীর ই‘রাব কী? অমুক বাক্যের ই‘রাব কী? ই‘রাব জানার জন্য উদ্যোগী হতে হবে। তালিবে ইলমের নাহুর জ্ঞান যদি আরেকটু উন্নত হয় এবং সে ‘আলফিয়াতু ইবন মালেক’ মুখস্থ করে নিতে পারে তাহলে সে ই‘রাবও উল্লেখ করবে এবং দলীলও উল্লেখ করবে। উদাহরণতঃ ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হবে مُحَمَّدٌ قَادِمٌ (মুহাম্মাদ আগমনকারী) এখানে مُحَمَّدٌ এর ইরাব কি? ছাত্র বলবে: مُبْتَدَاٌ (উদ্দেশ্য)। শিক্ষক বলবেন: তুমি বলেছ مُبْتَدَاٌ (উদ্দেশ্য); এর দলীল কি? ছাত্র বলবে: ইবন মালেক বলেছেন:

مُبْتَدَأٌ زَيْدٌ وَعَاذِرٌ خَبَرٌ :: إِنْ قُلْتَ زَيْدٌ عَاذِرٌ مَنْ اعْتَذَرَ

তুমি যদি বল: زَيْدٌ عَاذِرٌ مَنْ اعْتَذَرَ এই বাক্যে زَيْدٌ মুবতাদা (উদ্দেশ্য) এবং عَاذِرٌ খবর (বিধেয়)।

আরেকটি উদাহরণ- আপনি যদি পড়েন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

﴿لِلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآَخِرَةِ مَثَلُ السَّوْء﴾ [ النمل : 60]

“যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তাদের উদাহরণ নিকৃষ্ট।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৬০] ছাত্র বলবে: الذين শব্দটি اسم موصول اسم موصول এর অবশ্যই একটি صِلَةٌ থাকতে হয় এবং صِلَةٌ এর মধ্যে একটি عَائدٌ (নির্দেশক সর্বনাম) থাকতে হয় যা اسم موصول কে নির্দেশ করে। শিক্ষক জিজ্ঞেস করবেন এই আয়াতে সে عَائدٌ কোনটি? ছাত্র জবাব দিবে: সেটি বিলুপ্ত। শিক্ষক প্রশ্ন করবেন: দলীল কি? ছাত্র জবাব দিবে: ইবন মালেক বলেছেন-

................................................... وَالْحَذْفُ عِنْدَهُمْ كَثِيرٌ مُنْجَلي

فِي عَائِدٍ مُتَّصِلٍ إنِ انْتَصَبْ ......... بِفِعْلٍ أوْ وَصْفٍ كَمَنْ نَرْجُو يَهَبْ

…………………বিলুপ্ত করণের প্রথা ভাষাভাষীদের নিকট প্রচুর।

সংযুক্ত عَائِدٌ এর ক্ষেত্রে। যদি সে টি فِعْل (ক্রিয়া) দ্বারা

অথবা وَصْفٌ (বিশেষণীয় পদ) দ্বারা نَصَبٌ গ্রহণ করে থাকে। যেমন - مَنْ نَرْجُو يَهَبْ

এভাবে নাহুর সাথে দলীলও জানা হবে। কিন্তু এ পদ্ধতিটি বর্তমানে অনুপস্থিত। আমরা আজকের আলোচনা শেষ করব ইলম অর্জনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে এবং সঠিক শিক্ষাক্রম অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপের মাধ্যমে। আজ মুসলিম উম্মাহর আলেমে দীনের বড় প্রয়োজন, তালিবে ইলমের বড় প্রয়োজন যেন তাঁরা উম্মতকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। আজ যারা উম্মাহকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন নানারকম চিন্তাধারা, নানারকম কৃষ্টিকালচার ও নানারকম দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে। ইলমের আলোকে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে কোথায়!! যে ইলম হবে সুদৃঢ়, দলীলনির্ভর, মূলনীতিনির্ভর, পূর্ববর্তী আলেমদের মতামতনির্ভর। যেন মানুষ সুস্পষ্ট পথে আগাতে পারে। আজ তালিবে ইলমের বড় প্রয়োজন। ইলমের আকাঙ্ক্ষী অনেক; কিন্তু তালিবে ইলম কম। কারা তালিবে ইলম? যারা ইলম অর্জনের সঠিক পথ অনুসরণ করেন। যে পথ আমাদের পূর্বসুরি আলেমগণ অনুসরণ করে গেছেন। আমি আজকের আলোচনায় আপনাদের নিকট সে পথ তুলে ধরেছি। যদি আপনি সে পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ্ আপনি অনেক লাভবান হবেন। একবছরের মাথায় আপনি অনুভব করবেন আপনি নিজেকে অনেক পরিবর্তন করতে পেরেছেন। আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন আসলেই আপনি তালিবে ইলম। আপনি ইলম বুঝা শুরু করেছেন। আর যদি আপনি অবহেলা করেন এবং শুধু দারসে আসা যাওয়া করেন, কিন্তু ইলমের ভিত্তি রচনা না করেন তাহলে আপনার অবহেলা অনুপাতে আপনি ইলম হতে বঞ্চিত হবেন।

আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমার কলব ও আপনাদের অন্তর হিদায়াতের নূর দিয়ে ভরপুর করে দেন। তিনি যেন আমাদেরকে তার আনুগত্যের ওপর অবিচলতা (ইস্তিকামত) দান করেন। তিনি যেন আমাদেরকে তালিবে ইলম হিসেবে কবুল করেন, যারা তাঁকে ভয় করে। তিনি যেন আমাদেরকে মানুষের নেতা বানিয়ে দেন যারা পথভ্রষ্ট মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। আল্লাহর কিতাবের মাধ্যমে মৃত আত্মাগুলোকে জীবিত করেন। আমাদের এই মজলিসে উপস্থিত সকলকে যেন আল্লাহ তা‘আলা উত্তম মৃত্যু দান করেন। আমরা যেখানেই থাকি না কেন আমাদের জন্য কল্যাণপ্রাপ্তি সহজ করে দেন। এক মূহূর্তের জন্যেও তিনি যেন আমাদের জিম্মাদারি ছেড়ে না দেন। তিনি যে কথা ও কাজ পছন্দ করেন, ভালবাসেন আমাদেরকে যেন সেটা পালন করার সামর্থ্য দেন। তিনিই তো কর্মবিধায়ক এবং এর সাধ্য রাখেন।

﴿سُبۡحَٰنَ رَبِّكَ رَبِّ ٱلۡعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ ١٨٠ وَسَلَٰمٌ عَلَى ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٨١ وَٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٨٢ ﴾ [ الصافات : ١٨٠، ١٨٢ ]

“তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আপনার রব্ব, সম্মান ও শৌর্যবীর্যসম্পন্ন রব্ব, কতই না পবিত্র! আর রাসূলগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য।” [সূরা আস-সাফ্‌ফাত, আয়াত: ১৮০-১৮২]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন