মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাধারণভাবে বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্ব ক্ষেত্রে কোমলতা পছন্দ করেন।” এই হাদীসটির বিধান সাধারণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, “যা কিছুতে কোমলতা থাকে, কোমলতা সেটাকে সৌন্দয্যমণ্ডিত করে।” ইলমে দীন ও তা হাসিলেও এ কোমলতা অবলম্বন একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ।
ইলম অর্জনে কীভাবে কোমলতা অবলম্বন করা যাবে- সেটাই প্রশ্ন। অর্থাৎ সব ইলম একসাথে হাসিলে নিমগ্ন হওয়া যাবে না। ঠিক যেমনটি বলেছেন প্রসিদ্ধ তাবেঈ ইবন শিহাব যুহরী রহ.। তিনি বলেন, “যে তালিবে ইলম সব ইলম একত্রে অর্জনের ইচ্ছা করে তার সব ইলম একসাথে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বরং ইলম অর্জন করতে হবে রাতদিন ব্যয় করে ধীরে ধীরে।” জনৈক কবি এই অর্থ বুঝাতে গিয়ে বলেছেন
“আজ কিছু ইলম, কালকে আরো কিছু; এভাবেই কুড়াতে হয় পছন্দনীয় ইলমগুলো
ক্রমধারায় অর্জিত হলে তা হয় প্রজ্ঞাময়; জেনে রাখ, ফোটা ফোটা জল জমাট হয়েই তৈরি হয় বন্যা।”
এজন্য কোমলতা একান্ত কাম্য। কীভাবে কোমলতা অবলম্বন করা হবে? অর্থাৎ সব ইলম একবারে পেয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষী হলে চলবে না। যেমন ধরুন, একজন ছাত্র তাফসীরবিদ্যা হাসিল করতে চাচ্ছেন। তিনি তাফসীরে তাবারী দিয়ে অধ্যয়ন শুরু করলেন। তাফসীরে তাবারী হচ্ছে বহুমুখী তাফসীরের সুতিকাগার। এই ছাত্রের ক্ষেত্রে বলা হবে, তিনি তাফসীরের সব ইলম একবারে অর্জনে নিমগ্ন হয়েছেন। এই ছাত্র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাফসীরে তাবারী পড়া শেষ করবে বটে, তবে তার তাফসীরের ইলম হাসিল হবে না। আপনি যদি তাকে কোনো একটি আয়াতের তাফসীর জিজ্ঞেস করেন, তাহলে দেখবেন যে, সে ছাত্র খুব বেশি কিছু মনে করতে পারছে না। তার কাছে শুধু ধাঁধা লাগবে। মনে হবে সে এমন এমন পড়েছেন। কিন্তু সে পরিস্কারভাবে একটি আয়াতের তাফসীরও পেশ করতে পারবে না। তাহলে কি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে? ক্রমধারা অবলম্বন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ক্রমধারা হচ্ছে- পূর্ববর্তী আলেমগণের অনুসৃত পথ ও পদ্ধতি।
অনুরূপভাবে এক ব্যক্তি হাদীসের ইলম অর্জন করতে চাচ্ছেন। তিনি গিয়ে নাইলুল আওতার থেকে পড়া শুরু করলেন অথবা ফাতহুল বারী পড়া শুরু করলেন। তিনি বলে বেড়ান: আমি ফাতহুল বারীর অমুক খণ্ড শেষ করেছি। জেনে রাখুন, এই ব্যক্তি ইলম হাসিল করতে পারবে না। যে ইলম আলেমগণ হাসিল করেছেন। ইনি সর্বোচ্চ ইসলামী সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী (সাংস্কৃতিবান!) হতে পারবেন; যার কাছে বিক্ষিপ্ত কিছু তথ্য থাকবে। কিন্তু এটি ইলম নয়; যে ইলম সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। যে ইলম অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহ তাওফীক দিলে আলেমে দীন হওয়া যাবে।
অনুরূপভাবে এমন ছাত্র পাওয়া যায় তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনি ফিকহ শাস্ত্রের ওপর কি কি গ্রন্থ পড়েছেন। তিনি উত্তর দেন আমি ইবন কুদামার মুগনী পড়ি; আমি ইমাম নববীর মাজমু‘ পড়ি। এ ছাত্র ইলম হাছিলের ক্ষেত্রে কোমলতা অবলম্বনকারী নয়। বরং সে সব ইলম একবারে হাসিল করতে চেয়েছে। মুগনী, মাজমু‘ ইত্যাদি বড় বড় গ্রন্থগুলোর আলোচনা হজম করতে পারবেন বড় বড় আলেমগণ। প্রাথমিক পর্যায়ের তালিবে ইলমের এসব গ্রন্থ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটানা পড়ে লাভ নেই। হ্যাঁ, বিশেষ প্রয়োজনে বিশেষ কোনো মাসআলা অনুসন্ধানের জন্য তালিবে ইলম এ ধরনের বড় বড় গ্রন্থের আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু সে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানা পড়বে না।
কোমলতা প্রসঙ্গে আমরা আরো বলতে চাই- তালিবে ইলম কোনো বিষয়ের বিস্তারিত, খুঁটিনাটি আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিবে না। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ের তালিবে ইলম যদি সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম মাসআলা ও বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাহলে মূল মাসআলাটিই ভুলে যাবে। এভাবে সে ইলম হাসিল করতে পারবে না। কারণ, যে মূলনীতিগুলো জানলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণগুলো বুঝা যাবে সে তো সেসব মূলনীতি জানে না। আমাদের আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁদের আসরগুলোতে অতি বিস্তারিত আলোচনায় অনুপ্রবেশ করেন। একটি মতন বা পাঠ্যপুস্তিকার ব্যাখ্যায় তারা বছরের পর বছর কাটিয়ে দেন অথবা একটি পরিচ্ছেদের ব্যাখ্যায় তারা কয়েক মাস কাটিয়ে দেন। তাদের ধারনায় এভাবে ইলম হাসিল হবে। আসলে তা ঠিক নয়; এটি ধারাবাহিক পদ্ধতি নয়। কারণ, এই আলেম তাঁর ক্লাশ উপস্থাপনায় কোমলতা অবলম্বন করেন নি। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
“কিন্তু তোমরা আল্লাহর কিতাব শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে ও নিজেরা অধ্যয়নের ক্ষেত্রে রব্বানী হও।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৭৯]
ইমাম বুখারী তার সহীহ হাদীসের গ্রন্থে “তোমরা রব্বানী হও” এর ব্যাখ্যায় বলেন, “রব্বানী হচ্ছেন তিনি, যিনি মানুষকে বড় বড় ইলম শিক্ষাদানের পূর্বে ছোট ছোট ইলম শিক্ষা দেন।” অর্থাৎ ইলম অর্জন ও বিতরণের ক্ষেত্রে রব্বানী হচ্ছেন তিনি, যিনি মানুষকে বড় বড় ইলমের পূর্বে ছোট ছোট ইলম শিক্ষা দেন।
হ্যাঁ, ছাত্র ও শিক্ষকের জন্য এটা সম্মানজনক যে, কোনো একটি মাসআলা নিয়ে উনি যা কিছু পড়েছেন সবকিছু উল্লেখ করতে পারা। পাঠদানের প্রস্তুতিকালে তিনি যা কিছু পড়েছেন বা জেনেছেন সবকিছু পাঠদানের সময় উল্লেখ করতে পারা সম্মানের বিষয় বটে; কিন্তু এটি ছাত্রের জন্য কল্যাণকর নয়। কারণ, তিনি যা কিছু জানেন সবকিছু ঢেলে দিয়েছেন। অথচ আলেমের উচিৎ হচ্ছে ছাত্রের প্রয়োজন অনুপাতে তাকে জ্ঞান দেওয়া। ছাত্রের ধারণক্ষমতার উর্ধ্বে জ্ঞান না দেওয়া। অতএব, ইলম অর্জনে কোমলতা ও ধীরস্থিরতা অবলম্বন করতে হতে হবে। কীভাবে কোমলতা ও ধীরস্থিরতা অবলম্বন করতে হবে? ইলম হাছিলের সঠিক ক্রমধারা অবলম্বনের আলোচনায় এর জবাব আসবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/561/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।