hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইলমে দীন অর্জনের পথ ও পদ্ধতি

লেখকঃ সালেহ ইবন আবদুল আযীয আলে শাইখ

ইলমে দীন অর্জনের পথ ও পদ্ধতি
সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ও তাঁর পরিবার পরিজন ও সঙ্গী-সাথীদের প্রতি। হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হিদায়াত দিয়েছেন আমাদেরকে তাদের অর্ন্তভুক্ত করে নিন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন আমাদেরকে তাদের দলভুক্ত করুন। যাদেরকে আপনার বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন আমাদেরকে তাদের তালিকাভুক্ত করে নিন। হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরগুলোকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের আমলসমূহকে উত্তম করে দিন। আমাদেরকে সঠিক কথা বলার তাওফীক দিন। আপনি যা পছন্দ করেন ও ভালবাসেন তা আমাদেরকে পালন করার তাওফীক দিন। আমাদেরকে আপনার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারী বানিয়ে দিন।

আজ রাত্রে আমরা ইলম অর্জনের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপক্রমনিকা পেশ করব। এই বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমরা তরুণসমাজের মধ্যে ইলম অর্জনের ব্যাপক আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করছি। আল্লাহ তাদেরকে মোবারকময় করুন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই জানে না তারা কোন পথে অগ্রসর হবে, কীভাবে ইলম অর্জন করবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইলম অর্জনের পথে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে। এমনকি বছরের পর বছর ব্যয় করে। পরিশেষে দেখে যে, একই সময় ব্যয় করে অন্যেরা যতটুকু ইলম অর্জন করতে পেরেছে সে ততটুকু পারে নি। এর কারণ হচ্ছে, সেই ছাত্র ইলম অর্জনের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে নি। যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে। আল্লাহ তার তাকদীরে যতটুকু ইলম অর্জন লিখে রেখেছেন ততটুকু হাসিল করতে পারবে। যার মাধ্যমে সে নিজে উপকৃত হবে এবং অন্যদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে। যে পদ্ধতির মাধ্যমে তার ইলম হবে মজবুত ভিত্তিনির্ভর। যার ভিত্তিতে সে অন্যকে শিক্ষা দিতে পারবে। যে ইলমের মধ্যে কোনরূপ সন্দেহ ও সংশয়ের রেশ থাকবে না।

অনেক তরুণ আছে- যারা কিছুক্ষণ হাদীস, কিছুক্ষণ তাফসীর, কিছুক্ষণ ফিকহ এভাবে বিক্ষিপ্তভাবে পড়াশুনা করে। তারা ইলমের আসরগুলোতে নিয়মিত হাযির হয়। একবছর বা দুইবছর একজন শাইখের ক্লাশ করার পর যখন নিজেকে পর্যালোচনা করে তখন দেখতে পায় যে, এতদিন যে বিষয়ের ক্লাশে সে হাযির হয়েছে আসলে ঐ বিষয়টি সে বুঝে না। অথবা যতটুকু সে অর্জন করেছে তা যৎসামান্য অথবা তার অর্জিত ইলমের ভিত্তিমূল খুব দুর্বল। এর উপর নির্ভর করে তার পক্ষে নতুন কিছু বুঝা বা গবেষণা করা সম্ভবপর নয়। কারণ কী! কারণ হলো, ইলম অর্জনের সঠিক ক্রমধারা অনুসরণ না-করা। তালিবে ইলম বা জ্ঞান অর্জনকারীকে ইলম হাসিলের সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট ক্রমধারা অনুসরণ করতে হবে। সঠিক ক্রমধারা অনুসরণ না করলে সে ইলমের পথ থেকে ছিটকে পড়ে যাবে। এ কারণে আমরা অনেক তালিবে ইলমকে ইলম অর্জনের পথ ছেড়ে দিতে দেখি। কয়েক বছর হয়তো ইলম অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যায়। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দেয়। মাস চলে যায়, বছর চলে যায় কিন্তু তারা সাধারণ মানুষই থেকে যায় অথবা পাঠক হিসেবেই থেকে যায়, এর গণ্ডি অতিক্রম করতে পারে না।

যে ছাত্র ইলমের পথে অগ্রসর হতে চায় আমরা কামনা করি তার মধ্যে দু’টি বৈশিষ্ট্য থাকবে:

এক: আমাদের পূর্বসুরীগণ যে ক্রমধারা অবলম্বন করে ইলম অর্জন করে আলেম হয়েছেন, সেই ক্রমধারা বজায় রেখে ইলম অর্জন করবে।

দুই: নিজের সময়, শ্রম সবকিছু ইলমের জন্য বিলিয়ে দিবে; কোনোক্রমেই হতোদ্দম হবে না।

খতিব আল-বাগদাদী তার আল-জামে‘ লি আখলাকির রা-ওয়ী ও আ-দা-বিস্‌ সা-মি‘ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, একবার এক ছাত্র হাদীস অর্জনে মনোনিবেশ করেন। তিনি খুব আগ্রহ নিয়ে এ পথে আসেন। ব্যক্তিগতভাবে হাদীসের উস্তাদদের নিকট গিয়ে ও সামষ্টিক আসরগুলোতে উপস্থিত হয়ে হাদীস অর্জনে নিমগ্ন হন। কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি দেখলেন যে, তিনি বেশি কিছু শিখতে পারেন নি। তার অর্জিত ইলম যৎসামান্য। তখন তিনি এই ভাবনা থেকে ইলম অর্জন ছেড়ে দিলেন যে, এই ইলম অর্জন তার জন্য নয়, তার বোধশক্তিতে দুর্বলতা আছে অথবা তিনি এই ইলমের উপযুক্ত নন। ইলম অর্জন ছেড়ে দেওয়ার বেশ কিছুদিন পর একবার তিনি একটি বড় পাথরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় তিনি খেয়াল করলেন যে, ফোঁটা ফোঁটা পানি এ পাথরের উপর পড়ে পাথরের গায়ে গর্তের সৃষ্টি করেছে। এ দৃশ্যটি তার চিন্তার জগতে রেখাপাত করে। তিনি ভাবতে লাগলেন: পানি এত দুর্বল হওয়ার পরেও এ কঠিন পাথরকে গর্ত করে ফেলেছে। আমার বিবেক-বুদ্ধি বা অন্তর এই পাথরের চেয়ে তো কঠিন নয়। আর ইলম তো এই পানির চেয়ে দুর্বল নয়। এই ঘটনার পর তিনি পুনরায় ইলমের পথে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ফিরে এসে সত্যি সত্যি তিনি ইলমে দীনে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন এবং খ্যাতিমান আলেম হন।

এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, ইলম অর্জনের জন্য ইস্পাত কঠিন সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। হতোদ্দম হয়ে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। এই কথা বললে চলবে না যে, আমি পড়েছি; বুঝি নি। বরং কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অধিকাংশ তরুণের ক্ষেত্রে কারণ এটা নয় যে, তারা বুঝে না। তাদের অনেকে ভালো সমঝদার। কিন্তু তারা ইলম অর্জনের সঠিক শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে নি। যে শিক্ষাক্রম আমাদের পূর্বসুরী আলেমগণ অনুসরণ করেছেন। পূর্ববর্তী আলেমগণের অনুসৃত শিক্ষাক্রম হচ্ছে সহজ। বরং বর্তমানে যারা নানা পথ ও পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছেন সেসব থেকে সহজতর।

আমরা যখন এইটুকু বুঝলাম তখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে যে, (এটি অনেক তরুণেরই প্রশ্ন) ইলম অর্জনের সঠিক ক্রমধারা কোনটি? কীভাবে তালিবে ইলম সঠিক শিক্ষাক্রম অনুসরণ করতে পারবে? যে শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে আল্লাহ চাহেত সে আলেম হতে পারবে। এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ইলমের আসরগুলোতে হাযির হওয়ার উপকার অনেক; সন্দেহ নেই। কিন্তু সবচেয়ে বড় উপকার হচ্ছে, ইলমের আসরে যা পড়ানো হয়েছে তা নিজে বুঝতে পারা এবং অন্যকে বুঝানোর যোগ্যতা হাসিল করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন