HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে আযান ও ইকামত

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

১০
সাত: জুমু‘আ ও কাযা সালাতের জন্য আযান ও ইকামতের‎ বিধান:
১. যে ব্যক্তি জোহর-আসর অথবা মাগরিব-এশা সফরে অথবা বাড়িতে বৃষ্টি কিংবা অসুস্থতার কারণে এক সাথে পড়ে, সে শুধু প্রথম সালাতের জন্য আযান দিবে, কিন্তু প্রত্যেক ফরজেরর জন্য ইকামত বলবে। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার ময়দানে জুমু‘আর সালাতের জন্য আযান দেন, অতঃপর জোহর সালাত আদায় করেন, অতঃপর ইকামত বলে আসর সালাত আদায় করেন। অনুরূপ মুজদালিফায় এসে এক আযান ও দুই ইকামতের মাধ্যমে মাগরিব ও এশার সালাত আদায় করেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।] তিনি দুই সালাতের জন্য এক আযান দেন। কারণ, দুই সালাতের ওয়াক্ত এক ওয়াক্তে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এক ইকামতে যথেষ্ট করেন নি। কারণ, প্রত্যেক সালাতের জন্য ইকামত জরুরি। অতএব, দুই সালাত এক সাথে আদায়কারী ব্যক্তি একবার আযান দিবে ও প্রত্যেক সালাতের জন্য ইকামত বলবে।

২. অনেকগুলো কাযা যে ব্যক্তি আদায় করে, সে শুধু একবার আযান দিবে, আর প্রত্যেক সালাতের জন্য ইকামত বলবে। আবু কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীসে এসেছে: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাথীবৃন্দ ফজরের সালাতে ঘুমিয়ে ছিলেন, সূর্য উদিত হওয়ার আগে কেউ উঠতে পারেন নি, তারা সে স্থান প্রস্থান করেন, অতঃপর বেলাল সালাতের আযান দেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‎‎ সালাত আদায় করেন। অতঃপর প্রতি দিনের ন্যায় চাশতের সালাত আদায় করেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৬১।]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারাও এ সালাতের জন্য ইকামত প্রমাণিত হয়:

وأمر بلالاً فأقام الصلاة، فصلى بهم الصبح، فلما قضى الصلاة قال : «من نسي الصلاة فليصلِّها إذا ذكرها، فإن الله قال : ﴿وَأَقِمِ الصَّلاةَ لِذِكْرِي﴾»

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলালকে নির্দেশ দেন, সে সালাতের ইকামত বলে, তিনি তাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন, সালাত শেষ করে বলেন, যে সালাত ভুলে যায়, সে যেন স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা পড়ে নেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর”। [সূরা ত্ব-হা]। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৮০।] আহযাবের যুদ্ধেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‎‎ অনুরূপ করেন, যখন কাফিরদের কারণে তার কয়েক ওয়াক্ত সালাত কাযা হয়। [দেখুন: “ইরওয়াউল গালিল”: (১/২৫৭)।]

আমি শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ.-কে কাতাদার হাদীস সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যেখানে রয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সময় জাগ্রত হতে না পেরে পরে তা কাযা করেন: “এ হাদীস প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি সালাতের সময় ঘুমিয়ে থাকে অথবা তা ভুলে যায়, সে তা আদায় সালাতের ন্যায় আযান-ইকামতসহ সিরিয়াল অনুযায়ী পড়ে নিবে। আর যে স্থানে ঘুমিয়ে ছিল তা প্রস্থান করাও সুন্নত, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্থান করেছেন। অনুরূপ জেহরি সালাতকে জেহরি আর সিররী সালাতকে সিররিভাবে আদায় করবে”। [বুলুগুল মারামের: ২০২ নং হাদিসের ব্যাখ্যার সময় এ বক্তব্য শ্রবণ করি।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন