মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে বেলাল সর্বদা যে আযান দিয়েছেন, তা হচ্ছে আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ থেকে বর্ণিত আযান [আহমদ: (৪/৪২-৪৩; আবু দাউদ: (১/১৩৫), হাদীস নং ৪৯৯; তিরমিযী: (১/৩৫৮), হাদীস নং ১৮৯; সহীহ ইবন খুজাইমাহ: (১/১৯৩), হাদীস নং ৩৭১; ইবন মাজাহ: (১/২৩২), হাদীস নং ৭০৬।]। যার পদ্ধতি নিম্নরূপ:
«الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، حيَّ على الصلاة، حيَّ على الصلاة، حيَّ على الفلاح، حيَّ على الفلاح، الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله»،
এ হাদীসে বর্ণিত ইকামতের নিয়ম হচ্ছে:
«الله أكبر، الله أكبر، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، حيَّ على الصلاة، حيَّ على الفلاح، قد قامت الصلاةُ، قد قامت الصلاة، الله أكبر الله أكبر، لا إله إلا الله» .
ফজরের আযানে حي على الفلاح বলে বলবে [ইমাম নাসাঈ আবু মাহযুরা থেকে বর্ণনা করেছেন: (২/৭), হাদীস নং ৬৩৩; সহীহ ইবন খুজাইমাহ: (১/২০০), হাদীস নং ৩৮৫।]:
«الصلاةُ خيرٌ مِنَ النوم، الصلاةُ خيرٌ من النوم»؛
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “মুয়াজ্জিনের حيّ على الفلاح বলার পর সুন্নত হচ্ছে الصلاة خير من النوم বলা। [ইবন খুজাইমাহ: (১/২০২), হাদীস নং ৩৮৬)]
অতএব, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে বেলালের আযানের বাক্য হলো পনেরটি, আর ইকামতের বাক্য হলো এগারটি। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর অপর হাদীস দ্বারা এ অভিমতটি আরো শক্তিশালী হয়, যেমন তিনি বলেন,
«أُمِرَ بلال أن يشفع الأذان ويوتر الإقامة، إلا الإقامة»
“বেলালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন আযানে জোড় বাক্য বলে, আর ইকামতে বলে বেজোড় বাক্য, তবে قد قامت الصلاة،قد قامت الصلاة، ব্যতীত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৮।] অর্থাৎ আযানের বাক্যগুলো দুইবার দুইবার অথবা চারবার চারবার বলা, আর দুই বা চার উভয়ের ক্ষেত্রে জোড় বলা প্রযোজ্য। এর ব্যাখ্যা রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ ও আবু মাহযুরার হাদীসে। আযানের শুরুতে তাকবীর জোড় বলার অর্থ চারবার চারবার বলা, আর অন্যান্য শব্দ জোড় বলার অর্থ সেগুলো দুইবার দুইবার বলা। এখানে আধিক্যের দিকে লক্ষ্য করে জোড় বলা হয়েছে, অন্যথায় সবার নিকট আযান ও ইকামতের শেষে কালিমায়ে তাওহীদ একবার, অর্থাৎ বেজোড়। আযানের মধ্যে চারবার তাকবীর বলার মোকাবেলায় ইকামতে দুইবার বলা বেজোড়। অনুরূপ ইকামতের শেষে তাকবীর দুইবার বলা হয়, قد قامت الصلاة، قد قامت الصلاة، দুইবার বলা হয়, অন্যান্য শব্দ একবার বলা হয়। [ফাতহুল বারি লি ইবন হাজার রহ.: (২/৮২); সুবুলুস সালাম লি সানআনি: (২/৫৮-৬৫)।] যদি আবু মাহযুরার হাদীস মোতাবেক আযান ও ইকামত বলে, তবুও কোনো সমস্যা নেই। [“তারজি” সম্বলিত আবু মাহযুরার হাদীস অনুযায়ী আযান হচ্ছে: «الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله، أشهد أن محمدًا رسولُ الله» আস্তে বলবে, অতঃপর উঁচু আওয়াজে বলবে: أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسول الله، أشهد أن محمدًا رسول الله» এভাবে আযান পূর্ণ করবে, যেমন আবু মাহযুরার হাদিসে রয়েছে। মুসনাদ: (৩/৪০৯), (৬/৪০১), আবু দাউদ, হাদীস নং ৫০২), নাসায়ী, হাদীস নং ৬৩১), তিরমিযী, হাদীস নং ১৯২; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৭০৯; মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৯। কিন্তু তার বর্ণনায় শুরুতে তাকবীর দুইবার, দুইবার।আবু মাহযুরার হাদীস অনুযায়ী তাকবীর চারবার চারবার, অবশিষ্ট বাক্য দুইবার দুইবার: «الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر الله أكبر، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن لا إله إلا الله، أشهد أن محمدًا رسول الله، أشهد أن محمدًا رسول الله، حي على الصلاة حي على الصلاة، حي على الفلاح، حي على الفلاح،قد قامت الصلاة،قد قامت الصلاة،الله أكبر الله أكبر، لا إله إلا الله» . নাসাঈ, হাদীস নং ৬৩৩। অতএব, আবু মাহযুরার হাদীস অনুযায়ী আযান উনিশ বাক্য, আর ইকামাত সতের বাক্য। যেমন, ইমাম নাসাঈ ৬৩০ নং হাদীসে বর্ণনা করেছেন। ইবন তাইমিয়া রহ. বলেছেন: “হাদীসে যেহেতু আযান ও ইকামাত বিভিন্নভাবে প্রমাণিত, তাই এ ক্ষেত্রে আহলে হাদীসদের নীতিই সঠিক, তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে প্রমাণিত প্রতেক্য পদ্ধতিকে বৈধ বলেন, কোনো পদ্ধতিকে তারা অপছন্দ করেন না। কিরাত ও তাশাহহুদ যেমন নানা রকম বর্ণিত আছে, অনুরূপ আযানও বিভিন্ন পদ্ধতিতে বর্ণিত রয়েছে”। ফাতওয়া: (২২/৬৬), আমি শায়খ আব্দুল আযিয ইবন বায রহ.-কে বলতে শোনেছি: “উত্তম হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে প্রদত্ত বেলালের আযান ও ইকামাত, তবে এসব ইখতিলাফ সালাতের শুরুতে বিভিন্ন দো‘আ দুরুদের বিভিন্নতার মতোই”। বুলুগুল মারামের ৯৩ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় এ বক্তব্য শ্রবণ করেছি।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/616/6
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।