HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে আযান ও ইকামত

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

১৩
দশ: আযান ও ইকামতের মাঝখানের বিরতি:
আযানের বিধান মূলত সালাতের সময় সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়ার জন্য, অতএব আযানের পর এতটুকু সময় দেরি করা জরুরি, যে সময়ের মধ্যে লোকেরা প্রস্তুত হয়ে সালাতে উপস্থিত হতে পারে, অন্যথায় আযান দেওয়ার কোনো মানে হয় না, অনেকের থেকে জামা‘আত ছুটে যাবে, যারা জামাতে উপস্থিত হতে ইচ্ছুক, কারণ যারা খেতে বসেছে অথবা পানাহারে মগ্ন অথবা বাথরুমে আছে তারা যখন এসব কাজ থেকে ফারেগ হবে অথবা অযুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে তাদের থেকে জামা‘আত ছুটে যাবে অথবা কয়েক রাকাত ছুটে যাবে, যার একমাত্র কারণ দ্রুত করা ও আযান-ইকামতের মাঝখানে কোনো বিরতি না দেওয়া, বিশেষ করে যখন মুসল্লির বাড়ি মসজিদ থেকে দূরে হয়। ইমাম বুখারী রহ. একটি অধ্যায় রচনা করেছেন, যার শিরোনাম: “আযান ও ইকামতের মাঝখানে বিরতি কতটুকু”? কিন্তু তার নিকট এর কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারিত হয় নি। তিনি শুধু আব্দুল্লাহ ইবন মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করেছেন, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে সালাত রয়েছে, প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে সালাত রয়েছে”। তৃতীয়বার তিনি বলেন, “যে ইচ্ছা করে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬২৪।] এখানে দুই আযান দ্বারা উদ্দেশ্য আযান ও ইকামত। এতে সন্দেহ নেই আযান ও ইকামতের মাঝখানে সময় দেওয়া মূলত কল্যাণের সুযোগ দেওয়া ও তার জন্য সাহায্য করা, যার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। [নাইলুল আওতার লি শাওকানি: (২/৬২)।] আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস আযান ও ইকামতের মাঝখানে অপেক্ষা করা প্রমাণ করে, সেখানে রয়েছে: “আমি এক ব্যক্তিকে দেখলাম, যার গায়ে দুইটি সবুজ জামা ছিল, সে মসজিদে দাঁড়িয়ে আযান দিল, অতঃপর কিছুক্ষণ বসল, অতঃপর দাঁড়িয়ে আযানের ন্যায় শব্দ বলল, তবে এবার সে قد قامت الصلاة বলল। অন্য বর্ণনায় আছে: “ফিরিশতাগণ তাকে আযান শিক্ষা দিল, অতঃপর তার থেকে সামান্য দূরে সরে দাঁড়াল, অতঃপর তাকে ইকামত শিক্ষা দিল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫০৬; সহীহ সুনান আবু দাউদ: (১/৯৮), হাদীস নং ৪৯৯, ৫০৬।]

শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ.-কে বলতে শুনেছি: “ইকামত দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করবে না যতক্ষণ না ইমাম অনুমতি প্রদান করেন। যার পরিমাণ এক ঘণ্টার চতুর্থাংশ অথবা এক তৃতীয়াংশ অথবা অনুরূপ, যদি ইমাম অনেক দেরি করে, তাহলে উপস্থিত কেউ সামনে গিয়ে সবার সাথে সালাত আদায় করবে। [আমি তার এ বক্তব্য শোনেছি জামে তুরকি ইবন আব্দুল্লাহ মসজিদে, বুধবার, ৬/১১/১৪১৮হিজরী।]

ইমাম ইকামতের বেশি হকদার। অতএব, তার অনুমতি ও ইশারা ব্যতীত ইকামত বলবে না, মুয়াজ্জিন আযানের বেশী হকদার। কারণ, আযানের সময়টি তার ওপর ন্যস্ত, সেই আমানতদার। [সুবুলুস সালাম লি সানআনি: (২/৯৫)।] শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ. বলেন, “ইমাম ইকামতের জিম্মাদার, মুয়াজ্জিন আযানের জিম্মাদার, হাদীসটি যদিও দুর্বল, কিন্তু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাণীর কারণে তা শক্তিশালী হয়, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ‎‎ কর্মও তা সমর্থন করে। কারণ, তিনিই ইকামতের নির্দেশ দিতেন। এখানে দলীল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কর্ম, দুর্বল হাদীস নয়। [বুলুগুল মারামের: ২১৭ নং হাদীসের ব্যাখ্যার সময় এ বক্তব্য শ্রবণ করেছি।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন