HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে আযান ও ইকামত

লেখকঃ সাঈদ ইবন আলী ইবন ওহাফ আল-কাহতানী

দুই: আযানের ফযীলত:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَنۡ أَحۡسَنُ قَوۡلٗا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٣﴾

“আর তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত”। [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৩]

আযান ও মুয়াজ্জিনের ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীস রয়েছে। যেমন,

১. মুয়াবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«المؤذنون أطول الناس أعناقًا يوم القيامة» .

“মুয়াজ্জিন‎গণ কিয়ামতের দিন সবচেয়ে উঁচু গর্দানের অধিকারী হবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮৭।]

২. আযান শয়তানকে তাড়িয়ে দেয়। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«إذا نُودي للصلاة أدبر الشيطان له ضُراط حتى لا يسمع التأذينَ،فإذا قُضِيَ النداءُ أقبل حتى إذا ثُوِّب للصلاة أدبَرَ،حتى إذا قُضِيَ التَّثْويبُ أقبلَ حتى يَخطُرُ بين المرء ونفسه،يقول له : اذكر كذا واذكر كذا لما لم يكن يذكر من قبل،حتى يظلَّ الرجلُ لا يدري كم صلى» .

“যখন সালাতের আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান বাতকর্ম করতে করতে পিছু হটতে থাকে, যেন সে আযান শুনতে না পায়। যখন আযান শেষ হয় নিকটবর্তী হয়, যখন ইকামত আরম্ভ হয় সে পিছু হটে, ইকামত শেষ হলে সে আগমন করে এবং ব্যক্তি ও তার অন্তরের মাঝে বিভিন্ন কথা ও ভাবনার উদ্রেক করে, সে বলে: এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, ইতোপূর্বে যা কখনো তার মনে হয় নি। এক সময় এমন হয় যে, সে সালাতের রাকাত সংখ্যা ভুলে যায়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮৯।]

৩. মানুষ যদি আযানের ফযীলত জানত, তাহলে তারা এর জন্য লটারি করত। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«لو يعلمُ الناسُ ما في النداء والصف الأول ثم لم يجدوا إلا أن يستهموا عليه لاستهموا، ولو يعلمون ما في التهجير لاستبقوا إليه، ولو يعلمون ما في العتمة والصبح لأتوهما ولو حبوًا» .

“মানুষেরা যদি আযান ও প্রথম কাতারের ফযীলত জানত, অতঃপর তারা লটারি ব্যতীত তার সুযোগ না পেত, তাহলে অবশ্যই তারা লটারিতে অংশ গ্রহণ করত। যদি তারা সালাতে দ্রুত যাওয়ার ফযীলত জানত, তাহলে তারা সে জন্যও প্রতিযোগিতা করত, যদি তারা এশা ও ফজর সালাতের ফযীলত জানত, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে অংশ গ্রহণ করত”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩৭।]

৪. যে কোনো বস্তু মুয়াজ্জিনের আওয়াজ শুনবে, সে তার সাক্ষ্য দিবে। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান ইবন আবু সাসা আনসারীকে বলেছেন:

«إني أراك تحب الغنم والبادية، فإذا كنت في غنمك أو باديتك فأذنت بالصلاة فارفع صوتك بالنداء؛ فإنه لا يسمعُ مدى صوت المؤذّن جنٌّ ولا إنسٌ، ولا شيء إلا شهد له يوم القيامة، قال أبو سعيد : سمعته من رسول الله » .

“আমি লক্ষ্য করছি, তুমি বকরি ও মরুভূমি ভালোবাস, যখন তুমি তোমার বকরির পালে অথবা মরুভূমিতে থাক, তখন আযানের সময় উচ্চ স্বরে আযান দেবে। কারণ, মুয়াজ্জিনের শব্দ জিন্ন, মানুষ বা যে কোনো বস্তুই শ্রবণ করুক, তারা কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। আবু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৯।]

৫. মুয়াজ্জিনকে তার আওয়াজ পরিমাণ ক্ষমা করা হয়, আর যারা তার সাথে সালাত আদায় করে, সে তাদের সাওয়াবও লাভ করে। বারা ইবন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‎‎ বলেছেন:

«إن الله وملائكته يصلون على الصف المقدَّم، والمؤذنُ يغفرُ له بمدِّ صوته، ويصدقه من سمعه من رطبٍ ويابسٍ وله مثلُ أجر من صلى معه» .

“নিশ্চয় আল্লাহ সামনের কাতারের ওপর রহমত প্রেরণ করেন ও ফেরেশতাগণ তাদের জন্য মাগিফরাত কামনা করেন। আর মুয়াজ্জিনকে‎ তার আওয়াজ পরিমাণ ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়, শুষ্ক ও তাজা যে কোনো বস্তু তার আওয়াজ শোনে, তারা তাকে সত্যারোপ করে। যারা তার সাথে সালাত আদায় করে, তাদের সাওয়াবও তাকে প্রদান করা হয়”। [নাসাঈ: (২/১৩), হাদীস নং ৬৪৬; আহমদ: (৪/২৮৪), মুনযিরী “তারগীব ও তারহীব”: (১/২৪৩) গ্রন্থে বলেন: ইমাম আহমদ ও নাসাঈ হাদীসটি জাইয়্যেদ সনদে বর্ণনা করেছেন। আল-বানি “সহীহ তারগীব ও তারহীব”: (১/৯৯) গ্রন্থে হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]

[মুয়াজ্জিনকে‎ তার আওয়াজ পরিমাণ ক্ষমা প্রদর্শন করার অর্থ: “তার আওয়াজ যদি সুদূর মরুভূমি পর্যন্ত পৌঁছে, তাহলে তার মাগফিরাতও মরুভূমি পর্যন্ত পৌঁছবে, এর কম হলে মাগফিরাতও অনুরূপ হবে। অথবা অর্থ: তার পাপ যদি এ পরিমাণ হয় যে, তার স্থান থেকে আওয়াজের সর্ব শেষ সীমানা পর্যন্ত ভরে যায়, তবুও তার এসব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর কেউ বলেছেন: এ সীমার মধ্যে-কৃত তার সকল পাপ ক্ষমা করা হবে”। আল্লামা সিন্ধির ইবন মাজাহ গ্রন্থের ব্যাখ্যা থেকে নেওয়া। -অনুবাদক]

৬. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াজ্জিনের জন্য মাগফিরাতের দো‘আ করেছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‎‎ বলেছেন:

«الإمام ضامنٌ والمؤذن مؤتمن، اللهم أرشد الأئمة واغفر للمؤذنين» .

“ইমাম জিম্মাদার [কারণ, সে তাদের সালাতের হিফাযতকারী, তার ওপর তার মুসল্লিদের সালাত নির্ভরশীল।] আর মুয়াজ্জিন হচ্ছে আমানতদার [কারণ, সে মানুষের সালাত ও সিয়ামের যিম্মাদার।]। হে আল্লাহ তুমি ইমামদের সঠিক পথ দেখাও এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা কর”। [আবু দাউদ: (১/১৪৩), হাদীস নং ৫১৭; তিরমিযী: (১/৪০২); ইবন খুজাইমাহ, হাদীস নং ৫২৮; “সহীহ তারগীব ও তারহীব”: (১/১০০)।]

৭. আযানের মাধ্যমে পাপ মোচন হয় ও জান্নাতে প্রবেশ সহজ হয়। উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি:

«يعجب ربكم من راعي غنمٍ في رأس شظيَّة بجبل يؤذن بالصلاة ويصلي، فيقول الله : انظروا إلى عبدي هذا يؤذنُ ويقيمُ يخاف مني، فقد غفرتُ لعبدي وأدخلته الجنة» .

“তোমাদের রব বকরির সে রাখালকে দেখে আশ্চর্য হন, যে পাহাড়ের পাদদেশে আযান দেয় ও সালাত আদায় করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমার এ বান্দার দিকে দেখ, সে আযান দেয় ও ইকামত দেয় এবং আমাকে ভয় করে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম”। [আবু দাউদ: (২/৪), হাদীস নং ১২০৩; নাসাঈ: (২/২০), হাদীস নং ৬৬৬; “সহীহ তারগীব ও তারহীব”: (১/১০২)-এ আল-বানি হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]

৮. ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বারো বছর যে ব্যক্তি আযান দিবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। প্রতি দিন তার আযানের মোকাবেলায় ষাটটি নেকী এবং প্রত্যেক ইকামতের‎ জন্য ত্রিশটি নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে”। [ইবন মাজাহ), হাদীস নং ৭২৩; হাকেম ফিল মুসতাদরাক: (১/২০৫), তিনি বলেছেন: বুখারীর শর্ত মোতাবেক হাদীসটি সহীহ, ইমাম যাহাবী তার সমর্থন করেছেন। ইমাম মুনযিরী বলেছেন: হাদীসটির ব্যাপারে হাকেম ঠিকই বলেছেন। তারগীব ও তারহীব: (১/১১১)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন