মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আযান ও ইকামত শ্রবণকারীর জন্য সুন্নাত হচ্ছে মুয়াজ্জিনের সাথে সাথে আস্তে আস্তে তার অনুরূপ বাক্য উচ্চারণ করা, শুধু হাইআলাহ ব্যতীত, তখন বলবে: لا حول ولا قوة إلا بالله অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরূদ ও আযানের পরবর্তী দো‘আ পড়বে। এতে সন্দেহ নেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের জন্য আযান ও তার পরবর্তী সময় পাঁচ প্রকার যিকির বৈধ করেছেন। যেমন,
১. শ্রবণকারী মুয়াজ্জিনের ন্যায় বাক্যগুলো বলবে, শুধু حي على الصلاة، وحي على الفلاح، ব্যতীত, তখন বলবে, لا حول ولا قوة إلا بالله»؛ আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«إذا سمعتم النداء فقولوا مثل ما يقول المؤذِّن» .
“যখন তোমরা আযান শ্রবণ কর, তখন মুয়াজ্জিনের ন্যায় অনুরূপ শব্দ বল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮৩।] উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন মুয়াজ্জিন বলে: الله أكبر الله أكبرُ، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: الله أكبر الله أكبرُ، যখন মুয়াজ্জিন বলে: أشهد أن لا إله إلا الله অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: أشهد أن لا إله إلا الله যখন মুয়াজ্জিন বলে: أشهد أن محمدًا رسول الله، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: أشهد أن محمدًا رسول الله، যখন মুয়াজ্জিন বলে: حيَّ على الصلاة، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: لا حول ولا قوة إلا بالله، যখন মুয়াজ্জিন বলে: حي على الفلاح، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: لا حول ولا قوة إلا بالله، যখন মুয়াজ্জিন বলে: الله أكبر الله أكبر، অতঃপর তোমাদের কেউ বলে: الله أكبر الله أكبر، যখন মুয়াজ্জিন বলে: لا إله إلا الله، অতঃপর তোমাদের কেউ অন্তর থেকে বলে: لا إله إلا الله، সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮৫।]
২. মুয়াজ্জিনের তাশাহহুদ বা কালেমায়ে শাহাদাত বলার পর বলা:
وأنا أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأن محمدًا عبده ورسوله، رضيت بالله ربًّا، وبمحمدٍ رسولاً، وبالإسلام دينًا،
কারণ, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন: “যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনকে বলতে শোনে বলে:
«أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأن محمدًا عبده ورسوله، رضيت بالله ربًّا، وبمحمد رسولاً، وبالإسلام دينًا،» .
তার পাপ মোচ করা হয়”। অন্য বর্ণনায় আছে: “মুয়াজ্জিনকে বলতে শোনে বলে: وأنا أشهد ... (তার পাপ মোচন করা হবে)। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮৬।]
৩. মুয়াজ্জিনের উত্তর শেষ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরূদ পড়বে। আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন:
«إذا سمعتم المؤذن فقولوا مثل ما يقول، ثم صلُّوا علي؛ فإنه من صلَّى عليّ صلاة صلى الله عليه بها عشرًا، ثم سلوا الله لي الوسيلة؛ فإنها منزلةٌ في الجنة لا تنبغي إلا لعبدٍ من عباد الله، وأرجو أن أكون أنا هو، فمن سأل لي الوسيلة حلت عليه الشفاعة» .
“যখন মুয়াজ্জিনের আওয়াজ শ্রবণ কর, তখন তার ন্যায় তোমরাও বল, অতঃপর আমার ওপর দুরূদ পাঠ কর, কারণ আমার ওপর যে একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তার ওপর দশবার দরূদ প্রেরণ করবেন। অতঃপর আমার জন্য উসীলা প্রার্থনা কর, উসীলা জান্নাতের একটি বিশেষ মর্যাদা যার ভাগীদার শুধু একজন বান্দাই হবে, আমি আশা করছি সে ব্যক্তিটি হবো আমিই। আমার জন্য যে ওসিলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার শাফা‘আত ওয়াজিব হয়ে যাবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮৪।]
৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরূদ পাঠ করে যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত দো‘আ পাঠ করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বলেছেন: “যে ব্যক্তি আযান শ্রবণ করে বলে:
«اللهم ربَّ هذه الدعوة التامة، والصلاة القائمة، آتِ محمدًا الوسيلة والفضيلة، وابعثه مقامًا محمودًا الذي وعدته»
কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফা‘আ বৈধ হয়ে যাবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬১৪।]
৫. অতঃপর নিজের জন্য দোয়া করবে, আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করবে, কারণ এ দো‘আ কবুল করা হয়। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«الدعوة لا ترد بين الأذان والإقامة فادعوا» .
“আযান ও ইকামতের মাঝখানের দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না। অতএব, এ সময় তোমরা দো‘আ কর”। [আহমদ: (৩/২২৫); আবু দাউদ, হাদীস নং ৫২১; তিরমিযী, হাদীস নং ২১২; আল-বানি ইরওয়াউল গালিল: (১/২৬২) এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]
শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ.-কে বলতে শুনেছি: “এসব দো‘আ প্রত্যেক আযানের পর একবার করে পড়তে হবে”। [যাদুল মায়াদ গ্রন্থের আযকার অধ্যায়ের: (২/৩৯১) ব্যাখ্যার সময় আমি তার মুখে এ বাণী শ্রবণ করি।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/616/11
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।