hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ নিফাক

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

নিফাকের প্রকার:
নিফাক দুই প্রকার: এক. বড় নিফাক দুই. ছোট নিফাক। ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, নিফাক কুফুরীর মতোই। বড় নিফাক ও ছোট নিফাক। এ কারণেই অধিকাংশ সময়ে বলা হয়ে থাকে, কোনো কুফুর আছে যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয় আবার কোনো কুফুর আছে যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে না। অনুরূপভাবে নিফাকও দু ধরনের: কিছু আছে যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়, তাকে বলা হয়, নিফাকে আকবর বা বড় নিফাক। আর কিছু আছে তা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে না, তাকে বলা হয় নিফাকে আসগর বা ছোট নিফাক। [মাজমুউল ফতাওয়া ৭/৫২৪।]

এক. বড় নিফাক এর সংজ্ঞা:

বড় নিফাক বা নিফাকে আকবর হলো, মুখে ঈমান ও ইসলামকে প্রকাশ করা আর অন্তরে কুফরকে গোপন রাখা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এ প্রকারের নিফাকই ছিল। কুরআনে করীম এ প্রকারের মুনাফিকদের কাফির বলে আখ্যায়িত করে এবং তাদের নিন্দা করেন। আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দেন যে, এ ধরনের মুনাফিক জাহান্নামের একেবারেই নীচের স্তরে অবস্থান করবে এবং তারা চির জাহান্নামী হবে। তারা কখনোই জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবে না।

আল্লামা ইবন রজব রহ. বলেন, নিফাকে আকবর হলো, একজন মানুষ আল্লাহ, তার ফিরিশতা ও রাসূলগণ, আখিরাত দিবস এবং আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান প্রকাশ করা আর অন্তরে উল্লিখিত বিষয় সমূহের প্রতিটির প্রতি ঈমানের পরিপন্থী অথবা যে একটির প্রতি ঈমানের পরিপন্থী বিষয়কে গোপন করা। [জামে’উল উলুম ওয়াল হিকাম ১/৪৩১।]

ফিকহবিদগণ মুনাফিকদের ক্ষেত্রে যিন্দীক শব্দটিও ব্যবহার করে থাকেন। তারা মুনাফিকদের যিন্দীক বলে আখ্যায়িত করেন।

আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, “যিন্দীকের দল, তারা হলো, যারা ইসলাম ও রাসূলদের আনুগত্য প্রকাশ করে এবং কুফুর, শির্ক, আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি বিদ্বেষকে গোপন করে। তারা অবশ্যই মুনাফিক এবং তারা জাহান্নামের সর্ব নিম্নে অবস্থান করবে। আর তাতেই তারা চিরকাল অবস্থান করবে”। [তরীকুল হিজরাতাইন পৃ. ৫৯৫।]

দুই. নিফাকে আমলী বা ছোট নিফাক:

নিফাকে আমলী বা ছোট নিফাকে লিপ্ত হলো তারা, যাদের অন্তরে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস আছে এবং তাদের আক্বীদা সঠিক, তবে গোপনে দীনি আমলসমূহের ওপর আমল করাকে ছেড়ে দেয়, আর প্রকাশ করে যে, সে আমল করে যাচ্ছে। এ ধরনের নিফাককে নিফাকে আমলী বা ছোট নিফাক বলে।

আল্লামা ইবন রজব রহ. বলেন, “নিফাকে আসগর বা ছোট নিফাক হলো, আমলের নিফাক। অর্থাৎ কোনো মানুষ নিজেকে নেক-কার বলে প্রকাশ করা আর অন্তরে এর পরিপন্থী বিষয়কে গোপন করা”। [জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম ১/৪৩১।]

একজন মুসলিমের অন্তরে সে ঈমানদার হওয়া সত্ত্বেও নিফাকে আসগর বা ছোট নিফাক একত্র হতে পারে। তাতে তার ঈমান নষ্ট হবে না। যদিও এটি কবিরা গুনাহসমূহের অন্যতম কবিরা গুনাহ। কিন্তু নিফাকে আকবর বা বড় নিফাক ঈমানের সাথে একত্র হতে পারে না। কারণ, এটি ঈমানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাই কোনো বান্দা যখন আল্লাহর ওপর ঈমান আনে, তার মধ্যে নিফাকে আকবর থাকতে পারে না।

কিন্তু যখন কোনো মানুষের অন্তরে নিফাকে আসগর প্রগাঢ় ও মজবুত হয়ে গেঁথে বসে, তখন তা কখনো বান্দাকে বড় নিফাকের দিকে নিয়ে যায় এবং তাকে দীন থেকে পরিপূর্ণ রূপে বের দেয়। ফলে সে ঈমান হারা হয়ে মারা যাওয়ার আশংকা থাকে। এ জন্য নিফাকে আমলীকে কখনোই খাট করে দেখার অবকাশ নাই।

হে পাঠক বন্ধুরা! তুমি যদি তোমার মধ্যে নিফাকের কোনো গুণ বা চরিত্র দেখতে পাও বা অনুভব কর, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা তুমি বর্জন কর। অন্যথায় দিন দিন তা তোমার মধ্যে আরো বেড়ে যাবে। আর যখন তুমি তোমার মধ্যে নিফাকের গুণকে বাড়তে দিবে, সে তোমাকে ধীরে ধীরে কুফরের দিকে পৌঁছাবে। তখন তোমার পরিণতি যে কত ভয়াবহ হবে তা তুমি নিজেই বুঝতে পার। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাযত করুন। আমীন।

আর নিফাকে আমলী বান্দাকে চির জাহান্নামী করে না, বরং তার বিধান অন্যান্য কবিরা গুনাহ কারীর মতোই। আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, আর যদি তিনি চান তাকে তার গুনাহের কারণে শাস্তি দিবেন। তারপর তার ঠিকানা হবে জান্নাত। এ গুনাহের থেকে মাপ পাওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই খালেস তওবা করতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন