মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“এই লোকগুলো কারা? এরা না আরব না অনারব, আবার না রাশিয়ান না আমেরিকান। আসলে এরা নির্লজ্জ গলাবাজ অদ্ভুত স্বভাবের এক বিকৃত মনুষ্যরূপ। এদের কারণে এদেশের আজ মহাবিপদ। এদেশে সাম্রাজ্যবাদের অপকীর্তি এবং দেশবাসীর চিন্তা ও চেতনায় তার বীজ রেখে যাবার পরই এই বিপদের উদ্ভব হয়েছে। হাদীস অনুযায়ী এরা আমাদের বংশোদ্ভূত, আমাদেরই ভাষায় কথা বলে। তবে এরা আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির দুশমন, আমাদের সংগ্রাম ও জাগরণের পথে অন্তরায়। আমাদের দ্বীনের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের এরা সহায়ক। এরা দ্বীন ও তার অনুসারীদের বেঁচে থাকার অধিকার স্বীকার করে না। এই লোকগুলো হঠাৎ করে গজিয়েছে। ব্যাঙের ঘ্যানর-ঘ্যানর ডাক যেমন রাতের প্রহরগুলো ভরে দেয়, তেমনি এদের বিরক্তিকর চিৎকার ধ্বনি চারদিক ভরে ফেলেছে। এদের গোপন অভিলাষ ফাঁস হওয়া উচিত। জনগণ যাতে ধোঁকা না খায় বা মিথ্যায় প্রতারিত না হয় সেজন্য তাদের নিকট এদের আসল পরিচয় পরিষ্কার হওয়া উচিৎ। এই লোকগুলো আরবত্বের লেবেল এঁটে মুজাহিদদের কাতারে ঢুকে পড়েছে এবং আরব জাতীয়তাবাদের সুসংবাদদাতা ও তাঁর ঝান্ডা বহনকারী বলে নিজেরা দাবি করছে। একই সময়ে তারা আরব ঐতিহ্য থেকে সরে গিয়ে আরও মারাত্মক কিছু করার চেষ্টা করছে এবং ঈমান ও তার মিশনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। লোকগুলোর কুৎসিত চেহারা উম্মোচন করে জনসমক্ষে তাদের সব কার্যকলাপ প্রকাশ করে দেয়া উচিত। তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নির্দেশ মোতাবেক কুরআন ও তার মহান ধারক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইব্ন আবদুল্লাহর মিশন ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, আর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সে কাজের তিক্ত পরিণাম প্রত্যক্ষ করার জন্য দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। আমরা ওদের লেখা পড়েছি, কথা শুনেছি। ওদের উদ্দেশ্য বুঝতে আমাদের ধীশক্তির প্রয়োজন হয় নি। ওরা ধর্মত্যাগী, ওরা প্রকাশ্য কুফর ব্যক্তকারী। ওরা খোলাখুলি বলে: ইসলাম একটি আরব রেনেসাঁমাত্র, যার কল্যাণে মধ্যযুগে এই মহান জাতি বিস্ফোরিত হয়েছিল। এবং সেই প্রচন্ড বিস্ফোরণে সে এক প্রতিভাবান ব্যক্তির নেতৃত্বে গোটা বিশ্বকে দমন করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি হলেন সেই বড় নেতা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অর্থাৎ এই মহান দ্বীন মাটি থেকেই গজিয়েছে, আসমান থেকে আসেনি। এই দ্বীন এক উচ্চাভিলাষী বিজয়ী জাতির সূচনামাত্র। ওরা স্বীকার করতে চায় না যে, ইসলাম একটি একান্ত আদর্শ, যা জাহেলিয়াতের কলঙ্কময় অবস্থা থেকে উদ্ধার করে আরবদেরকে একটি উদার ও সরল-সত্য ধর্মব্যবস্থায় উন্নীত করেছিল এবং তারপর ক্রমেই ইসলামের আলোকরশ্মি পৃথিবীর দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল নির্বাচন করে এবং তাঁকে সত্য ও সৎপথে দান করে আরবদের এই মর্যাদায় ধন্য করেছেন।
“আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। কেননা তিনি তাদের মধ্য থেকেই তাদের জন্য একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যিনি তাদেরকে আল্লাহর আয়াতসমূহ পড়ে শোনান এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ ইতিপূর্বে তারা পরিষ্কার বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত ছিল।” [. আল ইমরান, ১৬৪]
‘ইসলাম একটি আরব বিস্ফোরণ’ কথাটি মিথ্যা ও মারাত্মক এক বিভ্রান্তি। এ উক্তি শুধু ইসলামকেই মিথ্যা প্রতিপন্ন করে না, বরং এ এক ভয়াবহ অপপ্রচার, যার উদ্দেশ্য সকল ধর্মকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা এবং সারা পৃথিবীতে কুফ্র ও পাপাচার ছড়িয়ে দেয়া। তবে চমৎকার ব্যাপার এই যে, এই লোকগুলো কঠোরভাবে ইসলামের বিরোধিতা ও সর্বশক্তি নিয়োগ করে ইসলামের অনুসারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও অন্যান্য ধর্মের সাথে এরা আপোস করে চলে। যেন ইসলামই একমাত্র শত্রু যার মুলোৎপাটন করার জন্য তাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাও নয়, বরং ইসলামই যেন একমাত্র দুরারোহ গিরিপথ যাকে মাটি ফেলে সমতল করার জন্য তাদের হাতে কোদাল দেয়া হয়েছে। তাইতো। ইসলাম ছাড়া এদেশে সাম্রাজ্যবাদের আর কোন শত্রু আছে কি? কঠোর প্রতিরোধের উৎস ও সাহসী সংগ্রামের প্রাণ তো একমাত্র ইসলামই, যে তার আক্রমণকারীদের আশাহত করেছে এবং তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। অতএব ইসলামকে হত্যা করার জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তার চারপাশে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করবেইতো। এই দ্বীনের অস্তিত্ব বিনাশ করার উদ্দেশ্যে এই শক্তি ইতিপূর্বে বিভিন্ন পন্থায় নানারকম সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু সংঘর্ষে ইসলামের সামনে সেগুলোর পতন ঘটলে সাম্রাজ্যবাদ তার অনুসারীদের আরব জাতীয়তার পতাকাতলে আশ্রয় দিয়ে তাদেরকে নানাপ্রকার ছলচাতুরী শিখিয়ে দেয়। যাতে তারা নিরীহ আরবদের এই ময়দানে ঠেলে দিয়ে ভিন্ন উপায়ে ইসলামের ক্ষতি করতে পারে। এদেরকে আরব জাতীয়তার অনুসারী না বলে বরং হিব্রু জাতীয়তার অনুসারী নামে আখ্যায়িত করা উচিত। এরা কি আসলে সাম্রাজ্যবাদ ও ইস্রাইলের স্বার্থে কাজ করছে না ? ইসলামের সাথে আরবত্বের চৌদ্দটি শতাব্দ একত্রে কেটেছে। আমাদের ঈমানপন্থীদের ভাষায় চৌদ্দশ বছর ধরে আল্লাহ আরবদেরকে ইসলামের এই পবিত্র আমানত বহন করার এবং লোকদের নিকট তা পৌঁছে দেবার সৌভাগ্য দান করেছেন। সুদূর অতীতের পানে একটিবার তাকালে আমরা অনায়াসে দেখতে পাই যে, ইসলামের পূর্বে যুগের পর যুগ আরবদের উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না। কিন্তু ইসলামের আবির্ভাবের পর এরই কল্যাণে ইতিহাসে তাদের স্থান হল। ইসলামেরই পতাকাতলে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ল। আল্লাহ সত্যই বলেছেন:
“তোমার ও তোমার জাতির জন্য তা একটি মর্যাদার বিষয়। আর তোমাদেরকে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।” [. আয-যুখরুফ ৪৪]
কিন্তু তারপর আরবরা ভুল করল। তারা মনে করে বসল, এই বিশ্বজনীন ধর্ম তাদেরকে বিশেষ কিছু মর্যাদা দেয় এবং অন্যান্য লোকদের তুলনায় তাদেরকে উন্নততর জাতিতে পরিণত করে। এই ভুল থেকে তার অপরিহার্য প্রতিক্রিয়ার জন্ম হল। অন্যান্য জাতিও তাদের নিজ-নিজ জাতিগত মর্যাদা রক্ষায় দাঁড়িয়ে গেল। এসব ভুল-পাল্টা-ভুলের কারণ, জাহেলিয়াতের প্রতি মানুষের একটি স্বভাবজাত টান রয়েছে এবং মানবিক পূর্ণতা অর্জনের সাধনা তাদের কাছে কষ্টকর মনে হয়। কোন নির্বোধ ব্যক্তি যখন ধর্মপারায়ণ হয়ে নিজের কাজ দিয়ে সম্মান ও মর্যাদা অর্জনকে কষ্টসাধ্য মনে করে, তখন সে কোন পরিবার, দেশ কিংবা কোন জাতির সাথে কোন প্রকার সূত্র আবিষ্কার করতে আরম্ভ করে, যদ্বারা সে বিনা চেষ্টায় ওপরে ওঠতে পারে। এগুলো সবই মূলত: গোঁড়ামী আর হীনমন্যতা। ধর্মে এর কোন স্থান নেই। রব্বুল আলামীনের নিকটও এর কোন মূল্য নেই। তবে আগেকার আরবরা গর্বের প্রতিযোগিতা কিংবা শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে গিয়ে ইসলামের ওপর ভর করত। ইসলামের নাম নেয়া ছাড়া তাদের বলার মত কিছুই ছিলনা। কেননা ভান্ডার তাদের খালি, ইতিহাস তাদের শূণ্য। কিন্তু এ যুগের মিথ্যুকরা নতুন কথা নিয়ে এল, যা কোনদিন কেউ শোনেনি। তাদের দৃষ্টিতে আরবত্ব ঈমান থেকে স্বতন্ত্র হতে হবে। আল্লাহ তাদের অমঙ্গল করুন, তারা দাবি করেছে যে, ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেই আরবত্ব ওপরে ওঠে, এগিয়ে চলে। এই চক্রের একজন লেখকতো এতখানি বলে ফেলেছে যে, “ইসলাম আরবত্বের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে; ইসলাম যতদূর ছড়িয়েছে তার চেয়ে বেশী ছড়িয়েছে আরবী ভাষা; ইসলাম যেহেতু বিশ্বধর্ম তাই সে আরব জাতীয়তার জন্য ক্ষতিকারক।” ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব উক্তি পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় সমানভাবে সহায়তা যোগায়। উক্তিকারী বস্তুত: সেই আগ্রাসনকারীদের অশুভ লক্ষ্যের পৃষ্ঠপোষক, যাদের সৈন্যরা ইতোমধ্যেই কোন কোন আরব ভূমিতে শিবির গেড়ে আরবদের অমর্যাদা করেছে কিংবা কোন কোন সীমান্তে তাদের চরম সর্বনাশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
এই দলের আরেকজন লেখক আমাদেরকে অতীত ভুলে গিয়ে কেবলমাত্র ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকতে পীড়াপীড়ি করছে। কারণ, তার মতে অতীত শুধু মৃতের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করে। এই ছোকরা ভুলে গেছে যে, ইয়াহূদীরা তাদের ইতিহাসের প্রেরণায় মধ্যপ্রাচ্যের বুকের মধ্যে নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সব মানুষই তাদের সংগ্রামে নিজেদের ইতিহাসকে সঙ্গে রাখতে পারে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা? আমাদের জন্য কি এই ইতিহাসের কোন অধ্যায় স্মরণ করা কিংবা তার শিক্ষা গ্রহণ করা হারাম? এহেন জাতীয়তা আসলেই হিব্রু জাতীয়তা, আরব জাতীয়তা নয়। এটা সেই জাতীয়তা যা ধর্মবিরোধী ও ইসলাম বিদ্বেষীরা প্রচার করছে। সবাই জানে যে, আমরা মুসলিমরা আরবত্বের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল এবং তার সম্মান ও সমস্যাবলীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এই জাতীয়তাবাদীদের মাঝে কোন কল্যাণ নেই। এরা বিরাট অকল্যাণ ও গুরুতর অনিষ্টের উৎস।” মুহাম্মাদ আল-গাযালী তাঁর উল্লিখিত গ্রন্থের ৩৪৭ পৃষ্ঠায় বলেন:
“সম্ভব সকল উপায়ে সাম্রাজ্যবাদ চেষ্টা করছে মুসলিমদেরকে তাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত করতে ও তাদের দেশের জাগ্রত মুক্তি আন্দোলনগুলোকে দ্বীনের সাথে সম্পর্কহীন রাখতে, যাতে প্রতিটি আন্দোলন থেকে একটি মৃত সন্তান জন্মলাভ করে, অথবা আন্দোলনটি এক বন্ধ্যা নারীর মত বেঁচে থাকে। পূর্ববর্তী প্রতিটি আন্দোলনের একটি খুঁটি ছিল, যার ওপর আন্দোলনটি ভর করে দাঁড়াতে এবং একটি আত্মিক শক্তি ছিল যার সাহায্যে সে নড়াচড়া করত। আর যেহেতু ঐ স্থানে দ্বীন ক্রিয়াশীল ছিল, তাই মানুষের হৃদয়কে সে বিবেক ও নৈতিকতাভিত্তিক চরিত্রে ভরপুর করেছিল। জীবনকে সে শাশ্বত ঐতিহ্য ও সুন্দর বৈশিষ্ট্যে রঙীন করেছিল এভং ভিন্ন ভিন্ন দলকে যৌথ উপলব্ধির ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ করে একই গন্তব্যে পরিচালিত করেছিল। কিন্তু আজ দ্বীন আর সেই অবস্থায় নেই। সাম্রাজ্যবাদের লক্ষ্য যেহেতু সব দেশ থেকে দ্বীনকে বিতাড়িত করে পর্যায়ক্রমে দ্বীনের সাথে পরিচয়বিহীন নতুন যুগের সৃষ্টি করা, তাই মুসলিমদের দ্বীনের বিরুদ্ধেও তার এই ষড়যন্ত্র ও বৈরী তৎপরতা। ফলে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ প্রসংগ ও বড় বড় কাজের ক্ষেত্রে ইসলামের কথা স্বরণ করাও যেন পাপ। কেউ কেউ তার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করলেও ইসলামকে প্রকাশ্যে ব্যক্ত করতে ভয় পায়। ইসলাম যেন এক ফেরারী আসামী। কোন অপরাধ করার পর বিচারে তার বিরুদ্ধে শান্তির রায় হওয়ায় সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সে জনসমক্ষে বের হতে পারছে না। কখনও ছদ্মবেশে ছদ্মনামে বের হবার সামান্য সুযোগ পেয়ে এখানে ওখানে একটু নড়াচড়া করলেও যখন তার কথা জানাজানি হচ্ছে বলে অনুভব করে তখন আবার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়। ইসলামের এই লাঞ্ছনা কিসের জন্য? এ প্রশ্নের জবাব আছে সাম্রাজ্যবাদের কাছে। সাম্রাজ্যবাদের অভিপ্রায়, নিজের দেশে ইসলামের কোন খুঁটির জোর না থাকুক। শিক্ষা, সমাজব্যবস্থা, আইনকানুন তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সে ইসলামকে গলাটিপে হত্যা করতে চায়। সাম্রাজ্যবাদ একটিমাত্র সমাজে আশ্বস্ত বোধ করে। তা সেই সমাজ যার প্রাণ মরে গেছে ও চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে, যে সমাজ থেকে মর্যাদাবোধ বিলুপ্ত হয়েছে এবং যেখানে লোভপ্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও স্বার্থপরতার বিষাক্ত সাপ ফণা তুলেছে। কেবলমাত্র এই রকম সমাজেই সাম্রাজ্যবাদ বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য আশ্বস্ত বোধ করে। তাই যখন ইসলাম এসে সব আবর্জনা মুছে ফেলতে চাইল, অমনি তাকে তৎক্ষণাৎ নিজের ঘরে ফিরে গিয়ে লুকিয়ে থাকতে বলা হল। যেন ইসলাম একটি নাম যা মুখে নেয়া যাবে না এবং একটি বাস্তব যার বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
সাম্রাজ্যবাদ এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। এরপর এল আরববাদ। আমরা এই মতবাদে পুলকিত হলাম এবং এর মাধ্যমে সুফল লাভের আশা করলাম। শুধু আরবত্বেরও কিছু কিছু রূপকথা আছে যা সাম্রাজ্যবাদের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে। কিন্তু বিদেশী দখলের ছত্রছায়ায় পরিচালিত শিক্ষ-ব্যাবস্থা এমন কিছু লোক সৃষ্টি করেছিল যারা প্রবৃত্তির তাড়নায় চালিত হত এবং যাদের অন্তরে আত্মবিশ্বাস বলতে কিছুই ছিল না। এহেন লোকদের কাছে যখন আরববাদ এল তখন তারা জানতেই পারলনা যে, সচ্চরিত্রতা, আত্মমর্যাদাবোধ, পবিত্রস্থান সংরক্ষণ ইত্যাদি গুণাবলী আরবত্বেরই বৈশিষ্ট্য। প্রাক-ইসলামী যুগে প্রচলিত আরবদের প্রবাদসমূহ প্রমাণ করে, নারীর প্রতি আরবদের শ্রদ্ধাবোধ কত প্রগাঢ় ছিল। যেমন একটি প্রবাদবাক্য : كل ذات صدر خالة “ব্লাউজ পরিহিতা সকলেই খালা।” অর্থাৎ নারীদের পোশাক পরা সবাইকে আরবরা খালা গণ্য করত। তাই তারা তাদের দিকে শ্রদ্ধা ছাড়া অন্য দৃষ্টিতে তাকাত না। কারণ, খালা মায়ের মতই শ্রদ্ধাভাজন। কবি আনতারা বলেছেন: ‘আমার প্রতিবেশিনী কখনও আমার সামনে পড়ে গেলে আমি আমার দৃষ্টি নীচু করে রাখি, যতক্ষণ না প্রতিবেশিনী তার ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।’
তাহলে আজকের অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত লোকদের পথ কি আসলে আরবদের পথ? কিংবা রূপের পসরা সাজিয়ে লোকদের আকর্ষণকারী যুবতীর হাত ধরে রাস্তায় চলা লোকগুলো কি সত্যিকার অর্থে আরব? আগেকার আরবরা ছিলেন সময়ের প্রতিকূলতা ও তীব্র অভাব অনটন সত্ত্বেও আশ্চর্য রকম উদার, স্বার্থত্যাগের উজ্জ্বল প্রতীক এবং কঠোর সত্যাশ্রয়ী। উর্ওয়া ইব্ন আল-ওয়ারদ কি বলেছেন শুনুন:
‘আমি সেই লোক যার বাসন অনেককে তৃপ্ত করে। আর তুমি সেই লোক যার বাসন তৃপ্ত করে একজনকে।’
‘তুমি নিজে বেশ মোটা-তাজা বলে এবং আমার মুখে সত্যের ক্লান্তি দেখে আমার সাথে ঠাট্টা করছ? সত্যতো চিরদিন কষ্টেরই হয়।’
‘আমি আমার দেহকে অনেক দেহের মাঝে বন্টন করে দেই এবং খাঁটি ঠান্ডা পানি চুমুক দিয়ে পান করি।’
নিজের খাবার অন্যকে দিয়ে কয়েক ফোটা ঠান্ডা পানি পান করতে করতে চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, আগন্তুক মেহমানদের কোন রকম অযত্ন হোক তা চায়না এবং নিজের এই ত্যাগকে অনেক দেহের মাঝে নিজের দেহ বন্টন করে দেয়া মনে করে এমন কোন মহৎ লোকের চেহারা দেখেছেন কখনো? এরকম একটি চেহারা চোখের সামনে কল্পনা করুন। তারপর নিজের কাছে প্রশ্ন করুন: এইযে ক্রমবর্ধমান ধনসম্পদের অধিকারী লোকে পরিপূর্ণ শহরগুলো দেখেছেন, এগুলো কি আরব শহর? এত ধনসম্পদ সত্ত্বেও আপনি অনাথকে কতটুকু দিচ্ছেন? কিংবা বঞ্চিতকে কতটুকু খাওয়াচ্ছেন? পরিবেশকে বিকৃত করে সাম্রাজ্যবাদ যেখানে পশুত্বের ছাপ লাগিয়ে দিয়েছে, সেখান থেকে আমাদের হারিয়ে যাওয়া আরব বৈশিষ্ট্যাবলী খুঁজে বের করা এখন সাধ্যের অতীত। আশ্চর্যের ব্যাপার, বেতার প্রচারক পর্যন্ত বিশুদ্ধ ভাষার পরিবর্তে ইতরের ভাষা ব্যবহার করে বসে। কারণ, সে চায় এই ইতরের ভাষা টিকিয়ে রাখতে এবং বিশুদ্ধ আরবী ভাষাকে বদলে ফেলতে। অথচ বিশুদ্ধ ভাষাতেই বিশ্বের সকল কেন্দ্র থেকে শ্রোতাদের জন্য তাদের আঞ্চলিক ভাষার বিভিন্নতা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হয়ে থাকে। আর যদি কোন কেন্দ্র অশুদ্ধ ভাষায় তার শ্রোতাদের সম্বোধন করও, তাতে কি আমরা ইতরের ভাষায় অনষ্ঠান প্রচার করলে আমাদের আরবত্বের প্রতি কোন প্রদ্ধাবোধ প্রকাশ হয়?
আসলে একমাত্র ইসলাম আরবদের ভাষা, আচরণ ও চরিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে এবং ধর্মকে বদলে দেবার অর্থ ভাষা, আচরণ ও চরিত্রের দিক থেকে আরবত্বের মৃত্যু ঘোষণা। অতএব প্রচারকদের উচিত ইসলামের নাম প্রকাশ করার জন্য ততখানি আত্মত্যাগ করা যতখানি আত্মত্যাগ একে গোপন রাখার জন্য সাম্রাজ্যবাদ করে থাকে। তাদের উচিত এই নাম সম্পর্কে শত্রুরা যে দুর্বোধ্যতা সৃষ্টি করে রেখেছে তা অপসারণ করা, যাতে তা সকলের কানে ও অন্তরে ভাল লাগে। এই নামকে প্রকাশ করলেই যথেষ্ট হবে না। কেননা যে আকৃতির মাঝে সারবস্তু নেই তার কোন মূল্য নেই। প্রচারকদের তাই কর্তব্য সাধারণ মানুষকে ইসলামের শিক্ষানুযায়ী সংঘবদ্ধ করা এবং নিজেদেরকে তার প্রাণশক্তিতে প্রাণময় করে তোলা।
দ্বীনের প্রাণশক্তিতে মানুষ আল্লাহকে ভয় করে ও তার সৃষ্টির প্রতি সদয় হয়, কর্তব্যকে কর্তব্য মনে করে ও অন্যায়কে বর্জন করে চলে এবং সত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করার সৎসাহস লাভ করে ও আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাতের প্রস্তুতি হিসেবে সকল ব্যাপারে তাঁর রাসূলকে অনুসরণ করে। অতএব আমাদের উচিত দ্বীনের এই প্রাণ শক্তিকে সযত্নে লালন করা এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে এই শক্তি উজ্জীবিত করে তোলা। ইসলাম একটি মহাপ্রাণ, যার যোগসূত্র আল্লাহর সাথে। যেখানেই থাকুক সে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য তৎপর থাকে ও তাঁকে ভয় করে। ইসলামের এই প্রাণ নিজে নিজে সৃষ্টি হয় না, কিংবা যে সংশয় ও অজ্ঞতার জোয়ার ইসলামকে গ্রাস করে আছে তার মধ্য থেকে এই প্রাণ আপনা আপনি সৃষ্টি হওয়া সম্ভবও নয়। এই প্রাণ শক্তির জন্য ইসলামকে কতগুলো নিয়মতান্ত্রিক আত্মার খোরাক দিতে হয়। শিক্ষা-কার্যক্রম, মসজিদের উপদেশাবলী ও মর্যাদাবোধ সৃষ্টির সহায়ক সুনির্দিষ্ট গুণাবলীর রঙে গোটা পরিবেশকে রঙিয়ে তোলার মাধ্যমে তাকে এই খোরাক সরবরাহ করা যায়। দ্বীনী প্রাণশক্তি সৃষ্টি করা আমাদের নিজেদের চেয়েও বেশী প্রয়োজন প্রথমত: আমাদের নতুন বংশধরদের মধ্যে, যাদের তা একেবারেই নেই, তারপর সেইসব লোকদের মধ্যে যারা সব মূল্যবোধকে হালকা ও তামাশার বস্তু মনে করে। আমি অবাক হই, কেমন করে আমরা অতি উচুঁ মূল্যে ক্রয় করে একটি যন্ত্রের সামনে এমন একজন শ্রমিককে বসিয়ে দেই যার মধ্যে আল্লাহর ভয় নেই। যন্ত্রটি তার সামনেই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় কিংবা যদি ভালও থাকে, তার উৎপাদন কমে যায়। আমরা যদি এই শ্রমিকের অন্তরে ধার্মিকতা সৃষ্টির জন্য সামান্য কিছু ব্যয় করতাম, তাহলে আমাদের অনেক লাভ হত। ক্রয় করা যন্ত্রটির সংরক্ষণ ব্যয় হিসেবেও কি দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এই সামান্য ব্যয়টুকু করবেন না? আমাদের প্রতি আল্লাহ্ ও দেশের পক্ষ থেকে এটা একটা দায়িত্ব যে, এই মহান আত্মিক দিকটির কথা বিবেচনা করে আমরা আমাদের ছোটদের ও বড়দের গড়ে তুলি। যেদিন তারা কোন কাজ শুরু করার জন্য একে অপরকে ঈমানের নামে ডাক দেবে, সে কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। দ্বীনী প্রাণশক্তির প্রকৃত যোগসূত্র আসমানের সাথে, আবার তার শাঁস রয়েছে যমীনে। প্রফেসর আহ্মাদ আয-যাইন এই প্রাণশক্তির বর্ণনায় কত সত্য কথাই না বলেছেন:
‘তা মাটির পৃথিবীতে আকাশের ধ্বনি এবং করুণাময় ও সর্বজ্ঞ প্রভূর পক্ষ থেকে আসা এক শক্তি।’
‘একটি রশ্মি, যার উজ্জ্বল দীপ্তিতে ভন্ডামি, মিথ্যা ও প্রতারণা বিলীন হয়ে যায়।’
‘তা এক রহস্য যা বুঝতে বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তি অক্ষম হয়ে পড়ে।’
‘জ্ঞানের চুড়ান্ত লক্ষ্য ও উৎকৃষ্ট এক আত্মা, যার আকৃতি অদৃশ্য হলেও প্রভাব সুস্পষ্ট।’
‘প্রত্যেকে তারই শক্তিতে বাঁচে এবং তাকে সংরক্ষণ করে রাখে। তার বিচরণ প্রত্যেক হৃদয়ের অনুভূতিতে।
‘প্রবৃত্তি যেখানে পাপ ও অন্যায়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হয় সেখানেও তার বিচরণ।’
‘অশুভ পরিণাম সম্পর্কে সতর্কবাণী সত্ত্বেও প্রবৃত্তিগুলো অত্যন্ত অবাধ্য এবং মানুষ তাদের নিয়ন্ত্রণে অক্ষম।
‘দ্বীনী প্রাণশক্তি তাদের সতর্ককারী হয়ে ডাক দিয়েছে। তারা তখন এই সতর্ককারীর ডাকে সাড়া দিয়েছে।’
‘তা ফেরেশতাদের তেজ যা মাটির সন্তানকে আলোর জগতে তুলে আনে।’
‘যুগে যুগে একের পর এক কত নবী এসেছেন, কিন্তু যুগের বিবর্তন সত্ত্বেও তা আপন বৈশিষ্ট্যে বহাল রয়েছে।’
‘নবীগণ যা যা পিছনে রেখে এসেছেন, সে তা যুগযুগ ধরে সংরক্ষণ করে রেখেছে। মানুষের মনে সে সত্যের তাগিদ যুগিয়ে আসছে।’
‘উৎকৃষ্ট বিধানমালার বহু পবিত্র গ্রন্থ সে বহন করছে।’
‘তুমি তার জোরালো নিন্দা বা তিরস্কার করলেও সে অন্যায়কে ক্ষমা করে না।’
আমরা এখানে এই কবিতা উদ্ধৃত করছি এর সাহিত্যিক মূল্যের জন্য। নতুবা রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই কথাটি চিন্তা করলে আর কোন কথারই অবকাশ থাকে না:
«ألا إن في الجسد مضغة إذا صلحت صلح الجسد كله وإذا فسدت فسد الجسد كله ألا وهي القلب»
“ওহে, শরীরে এক টুকরা মাংস আছে, তা যদি ভালো থাকে, গোটা শরীরটাই ভাল থাকে। আর তা নষ্ট হয়ে গেলে গোটা শরীরটাই নষ্ট হয়ে যায়। জেনে রাখ, তা অন্তর।”
আল-গাযালীর ‘আল্লাহ্র সাথে’ গ্রন্থের যতটুকু উদ্ধৃত করার ছিল তা এখানেই শেষ হল। অংশটুকুর বিরাট কার্যকারিতার কথা ভেবে আমি তা এখানে উদ্ধৃত করলাম। আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন মুসলিমদের অন্তর ঠিক করে তাকওয়ায় পরিপূর্ণ করে দেন। দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার ও সঠিক পথে অটল থাকার শক্তি দিয়ে তিনি যেন আমাদের, আমাদের সব তরুণদের ও আমাদের অন্যান্য ভাইদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। কেননা, দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি ও সম্মান লাভের এটাই পথ। আল্লাহ বলেছেন:
“যারা বলে যে. আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, এবং তারপর অটল থাকে, তাদের কোন ভয় কিংবা দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তারা নিজেদের কাজের পুরস্কারস্বরূপ চিরদিনের জন্য জান্নাতের অধিবাসী হবে।” [. আল-আহকাফ, ১৩-১৪।]
“যারা বলে যে, আমাদের প্রতিপালাক আল্লাহ্ এবং তারপর অটল থাকে তাদের নিকট ফেরেস্তা অবতরণ করে বলে: তোমরা ভয় পেয়োনা বা দুশ্চিন্তগ্রস্থ হয়োনা এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছিল তার সুসংবাদ গ্রহণ কর। পার্থিব জীবনে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। তোমাদের মন যা চাইবে জান্নাতে তোমাদের জন্য তাই রয়েছে। তোমারা যা দাবি করবে সেখানে তোমরা তাই পাবে। ক্ষমাশীল, করুণাময় আল্লাহ্র আতিথ্য হিসেবে।” [. হা-মীম-সিজদা, ৩০-৩২]
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:
«من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين»
“আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান দান করেন।”
আল্লাহ তাঁর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার পরিজন ও সহচরবৃন্দ এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসারী হবে, তাদের সকলকে মহিমান্বিত করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/733/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।