hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম ও বাস্তবতার আলোকে আরব জাতীয়তাবাদ

লেখকঃ শাইখ আব্দুল আযীয ইব্‌ন আব্দিল্লাহ্ ইব্‌ন বায -রাহেমাহুল্লাহ্-

আরব জাতীয়তার উপাদান
আরব জাতীয়তার উপাদান সম্পর্কে এর প্রচারকদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলছে, এর উপাদান দেশ, বংশ ও আরবী ভাষা; কেউ বলছে, শুধু ভাষা; আবার কেউ বলছে, ভাষা তবে এর সংগে আছে সুখ-দুঃখ ও আশা-আকাঙ্ক্ষার সংমিশ্রণ। কেউ কেউ অন্য কথাও বলেছে। তবে এর নায়ক ও প্রবক্তাদের কেউই ধর্মকে এর উপাদানের মধ্যে গণ্য করে না। অনেকে পরিস্কারই বলেছে যে, জাতীয়তায় ধর্মের কোন স্থান নেই। কেউ আবার একথাও বলেছে যে, জাতীয়তাবাদ ইসলামসহ সকল ধর্মকেই শ্রদ্ধা করে।

আরব জাতীয়তাবাদ প্রচারকদের বক্তব্য অনুযায়ী এর লক্ষ্য হল শত্রুর বিরুদ্ধে ও নিজেদের যৌথ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সন্দেহ নেই, এ এক সুন্দর ও মহৎ লক্ষ্য। তবে এই লক্ষ্য কেবলমাত্র ইসলামের মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে, আরব জাতীয়তার মাধ্যমে নয়। ইসলামই মুসলিমদের স্বার্থরক্ষার জন্য পারস্পরিক ঐক্যের ডাক দেয়। এই ঐক্যের উৎস আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এবং এর শক্তি পার্থিব জীবনের কল্যাণ এবং পরকালে শান্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। এই ঐক্যের তুলনায় মানব প্রবর্তিত জাহেলী ও শরীয়াত-বিরোধী আরব জাতীয়তার ভিত্তিতে আহূত ঐক্য নিতান্তই তুচ্ছ এবং অসার। আসলে আরব জাতীয়তাবাদ প্রচারকারীরা মুখে শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্যের কথা বললেও তাদের জাতীয়তাবাদ প্রচারের মূলে অন্যান্য উদ্দেশ্য কাজ করছে। সে সব উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথক করা, সমাজ থেকে ইসলামের বিধানসমূহ দূর করে তার পরিবর্তে বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণে প্রস্তুত মনগড়া আইন-কানুন প্রবর্তন করা এবং স্বাধীনতার নামে শ্রেণীকলহ ও ধ্বংসাত্মক মতবাদ প্রচার করা। সন্দেহ নেই, যে প্রচারের লক্ষ্য এই, সাম্রাজ্যবাদ তা দেখে আনন্দে নৃত্য করবে এবং তাকে জিইয়ে রাখতে ও তার মানোন্নয়নের জন্য সব রকম সাহায্য সহযোগিতার যোগান দেবে। উদ্দেশ্য, আরবদেরকে তাদের দ্বীন সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলা এবং জাতীয়তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এর পক্ষে প্রচার চালাতে তথা দ্বীনের পথ থেকে সরে আসতে উৎসাহিত করা। অবশ্য সাম্রাজ্যবাদের বাহ্যিক আচরণে এটা চিহ্নিত করা বেশ কঠিন।

জাতীয়তাবাদ প্রচারকদের মধ্যে যারা বলতে চায় যে, ধর্ম জাতীয়তার একটা উপাদান, তারা আসলে জাতীয়তাবাদীদেরই বিপরীত কথা বলছে। কারণ, যে-সব ভিত্তির ওপর তাদের জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত, ধর্ম তার বিপরীত। ধর্ম তাদের সুস্পষ্ট বক্তব্যেরও বিরোধী। তাছাড়া বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সকল আরবদেরকে জাতীয়তার পতাকাতলে একতাবদ্ধ করার তাদের যে লক্ষ্য, তাও ধর্মের পরিপন্থী। অতএব যারা ধর্মকে জাতীয়তার উপাদান বলতে চায় তারা পরস্পরবিরোধী কথা বলে। একবার তারা ইতিবাচক কথা বলছে, আর একবার নেতিবাচক। এর একমাত্র কারণ, ধর্মকে জাতীয়তার উপাদান বলা তাদের অন্তরের কথা নয়। এটা তারা বলছে, হয় ইসলামের অনুসারীদের সাথে সৌজন্য রক্ষার খাতিরে কিংবা জাতীয়তার স্বরূপ ও লক্ষ্য সম্পর্কে নিজেদের অজ্ঞতার কারণে। তেমনি যারা বলে যে, জাতীয়তা ইসলামের সহায়তা কিংবা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের কথাও সম্পূর্ণ অবান্তর। আসল কথা, জাতীয়তাবাদ ইসলামের নিজ মাটিতে তারই সাথে লড়াই করছে এবং ছদ্মবেশে চালু হবার আশায় কিংবা না জেনে শুধুমাত্র অনুকরণবশত: নিজের গায়ে ইসলামী বৈশিষ্ট্যের কিছু প্রলেপ লাগিয়ে রেখেছে।

জাতীয়তাবাদ যদি ইসালামের পৃষ্ঠপোষকতা ও তার পবিত্রস্থানসমূহ রক্ষার জন্যই হত তবে জাতীয়তাবাদীরা সরাসরি ইসলামেরই প্রচার ও প্রতিরক্ষার চেষ্টা করত এবং আসমান থেকে অবতীর্ণ তার শাসনতন্ত্রকে গ্রহণ করে অবিলম্বে তার বিধনমালার ছাঁচে নিজেদের গঠন করতে আরম্ভ করত। তারা ইসলামের নির্দেশসমূহ পুরোপুরি পালন করত ও তার পরিপন্থী সকল কার্যকলাপ পরিহার করে চলত। কেননা, আসল উদ্দেশ্য ও বৃহত্তর লক্ষ্য তো ইসলাম। ইসলামইতো সেই পথ যাকে ধরে থাকলে যে কেউ নিরাপদ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে এবং জান্নাত ও সম্মান লাভে সক্ষম হয়। আর কেউ ঐ পথ থেকে সরে গেলে তার পরিণাম হয় হতাশা আর অনুশোচনা। অতএব, জাতীয়তাবাদ প্রচারের উদ্দেশ্য ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা গৌরববৃদ্ধি নয়, বরং ইসলামের বিরোধিতাই এর আসল উদ্দেশ্য। তার প্রমাণ, ইসলাম-প্রচারকগণ যখন মানুষকে ইসলামের ডাক দেয় এবং ইসলামের পথে বিরাজমান জাতীয়তার এই বাধা সম্পর্কে সাবধান করে, তখন জাতীয়তাবাদীরা দারুণ ক্ষেপে যায় এবং জাতীয়তার স্বার্থে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করে।

জাতীয়তাবাদীরা ইসলামের গৌরববৃদ্ধি কিংবা আরবদের ইসলামভিত্তিক ঐক্য চাইলে জাতীয়তাবাদ প্রচারের পরিবর্তে আরবদের তারা ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করে তার বিধানসমূহ কার্যকর করার পরামর্শ দিত এবং ইসলামকে সমর্থন করার জন্য লোকদের আহবান জানাতে উৎসাহিত করত। কেননা সর্বপ্রথম তাদের পূর্বপুরুষ আরবরাই ইসলামের সমর্থন করেছিলেন, তাকে শত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছিলেন ও নিজেদের বিরোধ মীমাংসার জন্য বিনা দ্বিধায় তারই ফায়সালা মেনে নিয়েছিলেন। ইসলামই হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের সম্মান, মর্যাদা ও একমাত্র গৌরব। আল্লাহ বলেন:

﴿ لَقَدۡ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكُمۡ كِتَٰبٗا فِيهِ ذِكۡرُكُمۡۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ ١٠﴾ [ سورة الأنبياء : 10]

“তোমাদের নিকট আমরা এমন এক গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি যাতে তোমদের মর্যাদার কথা রয়েছে, তোমরা কি বুঝতে পারছ না?” [.আল-আম্বিয়া , ১০]

তিনি আরো বলেন:

﴿ فَٱسۡتَمۡسِكۡ بِٱلَّذِيٓ أُوحِيَ إِلَيۡكَۖ إِنَّكَ عَلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٤٣ وَإِنَّهُۥ لَذِكۡرٞ لَّكَ وَلِقَوۡمِكَۖ وَسَوۡفَ تُسۡ‍َٔلُونَ ٤٤﴾ [ سورة الزخرف : 43-44]

“তোমার কাছে যে কিতাব অহীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে তা শক্ত করে ধরে থাক, নিশ্চয়ই তুমি সঠিক পথে রয়েছে। এটা তোমার ও তোমার লোকদের জন্য এক মর্যাদার বিষয়। আর তোমাদেরকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।” [. আয-যুখ্‌রুফ, ৪৩-৪৪]

আসলে সুন্দর সুন্দর কথা, রঙ বেরঙের কল্পনা ও নানা ধরনের প্রতারণার সাহায্যে ইসলামের সাথে শত্রুতা করার জন্য ও ইসলামের নিজ মাটিতেই তার কবর রচনার অশুভ উদ্দেশ্যে পাশ্চাত্যের খ্রীষ্টানরা সর্বপ্রথম এই আরব জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করে। পরে ইসলামের শত্রু অনেক আরব তা গ্রহণ করে এবং তাদের অনুকরণকারী মূর্খ ও সরল লোকেরা প্রতারিত হয়। এতে বিধর্মীরা সর্বত্র পুলক বোধ করে। অথচ ইসলামের নীতি অনুযায়ী আরব কিংবা অন্য যে-কোন জাতীয়তাবাদ প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও মহাপাপ। এই প্রচার মূলত ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য একটি সুস্পষ্ট প্রতারণা। এর প্রথম কারণ:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন