hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায

লেখকঃ মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

১৮
দুআ ক্বনূতের [. কুনূত বলতে উদ্দেশ্য হচ্ছে, নামাযে নির্দিষ্টভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় দু’আ করা।] বিবরণঃ
যেহেতু ইতোপূর্বে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিতর নামায ওয়াজিব নয়; বরং তা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। তাই বিতরের মাঝে ক্বনূতও ওয়াজিব নয়; বরং দুআ ক্বনূত বিতর নামাযের জন্য মুস্তাহাব।

শায়খ আলবানী বলেন, কখনো কখনো নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর তথা বেজোড় রাকাত বিশিষ্ট ছালাতে ক্বনূত করতেন।

তিনি বলেন, আমরা এজন্য ওকখনো কখনো করতেন বলেছি যে, যে সমস্ত ছাহাবী বিতর সম্পর্কিত হাদীছ সমূহ বর্ণনা করেছেন, তাঁরা এর মধ্যে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। যদি সর্বদা তিনি বিতরে ক্বনূত পড়তেন তবে ছাহাবীগণ তা উল্লেখ করতেন। তবে হ্যাঁ, বিতরে ক্বনূত পড়ার কথা শুধুমাত্র উবাই বিন কাহব (রাঃ) কর্তৃক নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। এথেকেই প্রমাণ হয় যে, তিনি কখনো কখনো উহা করতেন।

তিনি আরো বলেন, এ থেকে আরো প্রমাণিত হয় যে, বিতরে ক্বনূত পড়া ওয়াজিব নয়। এজন্য হানাফী মাযহাবের গবেষক আলেম ইবনুল হুমাম ফাতহুল ক্বাদীর গ্রন্থে [১/৩০৬, ৩৫৯, ৩৬০ পৃঃ] স্বীকর করে বলেছেন, বিতরে ক্বনূত করা ওয়াজিব বলে যে মতটি রয়েছে তা অত্যন্ত দুর্বল যার পক্ষে কোন (ছহীহ) দলীল সাব্যস্ত হয়নি। নিঃসন্দেহে এ স্বীকৃতি তাঁর ন্যায়পরায়নতা ও গোঁড়ামী বর্জনের বড় দলীল। কেননা যে কথাকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন তা হচ্ছে তাঁর মাযহাবের বিপরীত। [. আল মাওসূআ আল ফেক্বহিয়্যাহ্ ১২৭-১২৮ পৃঃ। [দ্রঃ শায়খ আলবানী প্রণীত নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামায ১৭৯ পৃঃ]]

এ জন্য দুআ ক্বনূত সারা বছর পড়তে পারে আবার কখনো পড়বে কখনো ছাড়বে- সবগুলোই জায়েয আছে। কেননা কোন কোন ছাহাবী ও তাবেঈ থেকে বিতরে ক্বনূত পরিত্যাগ প্রমাণিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র রামাযানের শেষ অর্ধেক ছাড়া সারা বছর আর কখনো ক্বনূত পড়েননি। আবার এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, অনেকে সারা বছরই ক্বনূত পড়েছেন। [. বুগইয়াতুল মুতাত্বওয়ে’ ৭০ পৃঃ। [দ্রঃ মুছান্নাফ- ইবনু আবী শায়বা ২/৩০৫-৩০৬, মুখতাছার ক্বিয়ামুল্লায়ল লিল মারওয়াযী ১৩৫-১৩৬ পৃঃ, মাজমু’ ফাতাওয়া ২২/২৭১]]

ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ) বলেন, ওএজন্য ইমাম মালেক ক্বনূত না পড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। ইমাম শাফেয়ী শুধুমাত্র রামাযানের শেষ অর্ধেকে ক্বনূতের পক্ষপাতি ছিলেন। আর ইমাম আবু হানীফা ও আহমাদ সারাবছর ক্বনূত পড়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। সবগুল মতই জায়েয। যে কোন একটির উপর আমল করলে তাতে কোন দোষ নেই।হ [. ছালাতুল মু’মেন ৩৩০, মাজমু’ ফাতাওয়া ২৩/৯৯, নায়লুল আওতার- শাওকানী ২/২২৬।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন