hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছহীহ্‌ সুন্নাহ্‌র আলোকে বিতর নামায

লেখকঃ মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী

২২
দুআ কুনুতের সময় তাকবীর দেয়া ও তাকবীরে তাহরীমার মত দুহহাত উত্তোলন:
সাধারন মানুষ এটাকে উল্টা তাকবীর বলে থাকে। হেদায়ার গ্রন্থকার লিখেছেন, দুআ ক্বনূত পড়ার সময় তাকবীর দিবে এবং দুহহাত উত্তোলন করবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সাতটি স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও হাত উত্তোলন করা যাবে না। সে সাতটি স্থানের মধ্যে একটি হলো কুনুতের সময়।

ইমাম যায়লাঈ আল্‌ হানাফী স্বীয় গ্রন্থে বলেন: এ হাদীছটি হেদায়ার লেখক উল্লেখ করেছেন, কিন্তু হাদীসের মূল এবারতে (বাক্যে) ক্বনূত শব্দটির উল্লেখ কোথাও নেই। [. বিস্তারিত দেখুন ইমাম যায়লাঈ হানাফী (রহঃ) প্রণীত নসবুর রয়া ১ম খন্ড ছালাত অধ্যায়ঃ হাদীস নং ৩৮এর আলোচনা। (১/৪৬৯-৪৭১পৃঃ।) এ হাদীছটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ত্ববরানী মু’জাম কাবীর গ্রন্থে কয়েকটি সূত্রে ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। কোন বর্ণনাই বিশুদ্ধ নয়। ইমাম বুখারী (রফউল ইয়াদায়ন) গ্রন্থে ইবনে আববাস থেকে বর্ণনা করেছেন অতঃপর উহাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। অনুরূপভাবে বায্যার স্বীয় সনদে ইবনে আববাস ও ইবনে ওমার থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন এবং মত প্রকাশ করেন যে হাদীছটি বিশুদ্ধ নয়। এমনিভাবে হাকেম (মুস্তাদরাক) গ্রন্থে ইবনে আববাস ও ইবনে ওমার থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই ইবনে ওমার ও ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে একাধিক ছহীহ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে যে, উক্ত সাতটি স্থানের বাইরেও দু’হাত উঠানো যায়। যেমন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকূর পূর্বে ও পরে হাত উঠিয়েছেন, ইস্তেস্কার নামাযে হাত তুলেছেন।]

সুতরাং ক্বনূতের সময় তাকবীর দিয়ে হাত উত্তোলনের কথাটি নিছক হেদায়ার লেখকের কথা, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কথা তো নয়ই, এমন কি কোন সাহাবী বা তাবেঈর কথা নয়। তাছাড়া (সাত স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও হাত উত্তোলন করা যাবে না) হাদীছটি মারফূহ ও মাওকূফ কোন সূত্রেই ছহীহ নয় তথা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা কোন ছাহাবী থেকে প্রমাণিত নয়।

অবশ্য মুহাম্মদ বিন নসর আল মারওয়াযী স্বীয় ওক্বিয়ামুল লাইলহ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, কতিপয় ছাহাবী ক্বনূতের সময় তাকবীর দিতেন। কিন্তু আল্লামা মোবারকপুরী বলেন, যে সকল ছাহাবী ক্বনূতের সময় তাকবীর দিতেন বলে দাবী করা হয়, তার পক্ষে কোন সনদ খুজে পাওয়া যায় না। [. দেখুন তোহফাতুল আহওয়াযী ৪৬৪ নং হাদীসের আলোচনা।]

হাদীছ শাস্ত্রের কষ্টি পাথরে যাচাই করে প্রমাণিত হলো দুআ ক্বনূতের জন্য তাকবীর দেয়া এবং (কাঁধ বা কান বরাবর) উভয় হাত উত্তোলন করা কোন হাদীছের কথা নয়, বরং কুরআন-সুন্নাহর অনুসরনকারীর জন্য উচিত হল আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছাড়া অন্য কারো কথার প্রতি কর্ণপাত না করা, একমাত্র তাঁরই আনুগত্য করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন