HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে ইবাদত ভাব ও তাৎপর্য

লেখকঃ ইকবাল হোছাইন মাছুম

অভ্যাসগত-মুবাহ কাজও সাওয়াবের নিয়তে সম্পাদন করলে নেক আমলে পরিণত হয়
প্রাত্যহিক জীবনে নানা প্রয়োজনে আমাদেরকে বিভিন্ন কাজ করতে হয়। আঞ্জাম দিতে হয় নানান ক্ষেত্রে নানান দায়িত্ব । সাংসারিক জীবনে পিতা-মাতার খেদমত, স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ-পোষণ । সামাজিক জীবনে পাড়া-পরশীর খোঁজ-খবর, দরিদ্র-অসহায়দের সমস্য সমাধান, আর্ত মানবতার সেবা। রাষ্ট্রীয় জীবনে একটি সুন্দর দেশ গঠন কল্পে কত ভূমিকা রাখতে হয় আমাদেরকে । তদ্রুপ ব্যক্তি জীবনে নিজ প্রয়োজনে অনেক কাজই আমাদের করতে হয়। এসব প্রয়োজনীয় কাজগুলো নিয়তের মাধ্যমে আমরা সাওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের কাজে পরিণত করতে পারি। পারি আমাদের পূণ্যের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে। প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ বিষয়ে সুন্দর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

সুতরাং একজন মুসলিম পিতা-মাতার খেদমতের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে, হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে,

عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال : جاء رجل إلى نبي الله صلى الله عليه وسلم فاستأذنه في الجهاد، فقال : أ حي والداك ؟ قال : نعم، قال : فيهما فجاهد .

( رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي .)

আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, জনৈক লোক নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে জিহাদে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রার্থনা করল, নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পিতা-মাতা জীবিত আছেন? সে বলল, হ্যাঁ। নবীজী তাকে বললেন, তুমি গিয়ে তাদের পেছনে জিহাদ কর। (অর্থাৎ, তাদের খেদমতে চেষ্টা-শ্রম ব্যয় কর)

[বর্ণনায় বোখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি ও নাসায়ি]

সুপ্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করে দেখুন এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিতা-মাতার খেদমতকে ময়দানের জিহাদের সাথে তুলনা করেছেন। সুতরাং কেউ খাঁটি নিয়তে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মাতা-পিতার খেদমত করলে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের সাওয়াব পাবে।

আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা করা আল্লাহর ইবাদত, কারণ এর মাধ্যমে আপনি আল্লাহর নির্দেশিত অবশ্য করণীয় পালন করছেন। আল্লাহ বলেন,

(আরবি)

আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আর ভয় কর রক্ত-পম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। [সূরা নিসা : ১]

অনুরূপভাবে সন্তানাদি ও সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যয় করাও আল্লাহর ইবাদত এবং সাওয়াব যোগ্য কাজ। রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রা.-কে লক্ষ্য করে বলছেন,

إنك لن تنفق نفقة يبتغي به وجه الله إلا أجرت عليها، حتى ما تضع في في امرأتك . رواه البخاري ومسلم .

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তুমি যে ব্যয়ই করবে, তাতে সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। এমনকি যে অন্ন তুমি নিজ স্ত্রীর মুখে তুলে দেবে, তাতেও। [বোখারি ও মুসলিম]

আপনার ছেলে-মেয়েদেরকে আল্লাহ মুখী করে তোলার জন্য যেকোনো পদক্ষেপ ইবাদত বলে গণ্য হবে, কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন হয়। আল্লাহ বলেন,

(আরবি)

হে ঈমানদারবৃন্দ, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজ পরিজনদেরকে আগুন হতে রক্ষা কর...। [ সূরা তাহরিম: ৬]

প্রিয় মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দ, জীবিকার প্রয়োজনে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করে থাকি। এটি একান্তই আমাদের নিজস্ব ব্যাপার। বেঁচে থাকতে হলে কিছু না কিছু তো করতেই হবে। এক্ষেত্রে আমরা যদি একে আল্লাহর আনুগত্য হিসাবে গ্রহণ করি, তাঁর নির্দেশের বাস্তবায়ন হিসাবে নেই তাহলে এই অবশ্য প্রয়োজনীয় পেশাটিই ইবাদতে পরিণত হবে। মহান আল্লাহ বলেন,

(আরবি)

অত:পর যখন সালাত সমাপ্ত হবে তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় আর আল্লাহর অনুগ্রহ হতে অন্বেষণ কর, আর আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার। [সূরা জুমুআ : ১০]

একইভাবে আপনার বিবাহ-শাদি, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা বজায় রাখা, দৃষ্টির অবনতি সব কিছুই ইবাদত।

সুতরাং, আমাদের ইবাদত কেবলমাত্র কিছু আরকান-আহকাম বাস্তবায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সামগ্রিক বিচারে আবশ্যিক বিষয়াদি পালন করা এবং নিষেধাবলী পরিহার করাই হচ্ছে ইবাদত।

সম্মনিত ভ্রাতৃবৃন্দ, যখনই আপনি নীচু ও নিষিদ্ধ কাজ পরিহার করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় অনুগত চিত্তে তখনই সেটি ইবাদত হিসাবেই পরিগ্রহ হবে। এ কারণেই জনৈক মনীষী তাকওয়ার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন,

أن تعمل بطاعة الله، على نور من الله، ترجو بذلك ثواب الله، وأن تترك معصية الله، على نور من الله، تخاف عقاب الله .

অর্থাৎ, তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কারের আশায় তাঁর নির্দেশ ও অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁর আনুগত্য করা এবং আল্লাহর শাস্তির ভয়ে তাঁর নির্দেশনার আলোকে অপরাধ ও অবাধ্যতা পরিত্যাগ করা।

সুতরাং একজন মুসলিম তার যাবতীয় কাজকে কেবলমাত্র নিয়তের মাধ্যমে ইবাদতে পরিগণিত করতে পারে। মানবতার কল্যাণে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যে কাজই সে করবে সেটিই ইবাদত বলে গণ্য হবে। দেখুন মানবতার কল্যাণে সামন্য একটু ভূমিকা রাখলে আল্লাহ তাআলা কত অপরিসীম পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

ما من مسلم يغرس غرسا ولا يزرع زرعا فيأكل منه إنسان أو طائر إلا كان لغارسه الأول أجر . أخرجه البخاري ومسلم عن أنس رضي الله عنه .

কোনো মুসলিম বৃক্ষ রোপন করলে কিংবা ক্ষেত-কৃষি করলে, তা হতে যদি কোনো মানুষ কিংবা পাখি কিছু খায় এর বিনিময়ে প্রথম রোপনকারীর জন্য সাওয়াব রয়েছে। [বর্ণনায় বোখারি ও মুসলিম]

সুবহানাল্লাহ! আমাদের রব কত সুন্দর ব্যবস্থা রেখেছেন আমাদের জন্য। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক কিছু অপসারন করা থেকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় কাজে ভূমিকা রাখা, আর রাতে বিনিদ্র থেকে সেজদায় রত থাকা সবই ইবাদত। বড়ই সৌভাগ্যবান যারা তাদের সময়কে এমন মূল্যবান কাজে অতিবাহিত করতে পেরেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন