HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে ইবাদত ভাব ও তাৎপর্য

লেখকঃ ইকবাল হোছাইন মাছুম

আল্লাহ তাআলার দাসত্বের মধ্যেই বান্দার প্রকৃত ইজ্জত ও মর্যাদা
আল্লাহ তাআলার উবুদিয়ত তথা দাসত্ব প্রতিটি বান্দার অবশ্য করণীয়। এ দাসত্ব বান্দার মর্যাদার নিদর্শন, সম্মানের মুকুট। বরং পৃথিবীর সকল অর্জন ও সামগ্রীর মধ্যে সবচে মূল্যবান অর্জন এটি। একজন মানুষ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে কিন্তু মর্যাদার বিচারে বান্দার সব বৈশিষ্ট্য উবুদিয়তের বৈশিষ্ট্যের কাছে একেবারে গৌণ। তাই তো আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর সর্বাধিক সম্মানিত ও সফল ব্যক্তিত্ব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যখন সম্বোধন করা হল তখন এই উবুদিয়তের গুণ উল্লেখ করেই করা হলো। এটি স্পষ্ট প্রমাণ যে বান্দার সকল অর্জনের মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ অর্জন হলো উবুদিয়তের অর্জন। ইসরা ও মিরাজ যেটি রাসূলুল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হবার অন্যতম অনুষঙ্গ, সেই মাহেন্দ্রক্ষণের বর্ণনার সময়ও পবিত্র কোরআনে আবদিয়তের গুণটি উল্লেখিত হয়েছে, ইরশাদ হচ্ছে,

(আরবি)

পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশেপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। [ সূরা আল ইসরা:১]

পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর অন্যতম দান ও শ্রেষ্ঠতম নেয়ামত। সেই নেয়ামত প্রদানের জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্বাচন করেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখের সময়ও তিনি আবদিয়তের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, মনে হচ্ছে তাঁর এই গুণটিই আল্লাহর নিকট এই মহা নেয়ামত পাওয়ার জন্য উপযুক্ত গুণ। ইরশাদ হচ্ছে,

(আরবি)

তিনি বরকতময় যিনি তাঁর বান্দার উপর ফোরকান নাজিল করেছেন যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে। [সূরা আল-ফোরকান : ১]

রাতে নিদ্রা ত্যাগ করে মহান আল্লাহর সমীপে নিজেকে নিবেদন করা বান্দার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মহানবীর সেই বৈশিষ্ট্য বর্ণনার সময়ও আবদিয়তের বিষয়টি সম্মুখে আনা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে,

(আরবি)

আর নিশ্চয় আল্লাহর বান্দা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন তাঁকে ডাকার জন্য দাঁড়াল, তখন তারা ( কাফেররা) তার নিকট ভিড় জমাল। [ সূরা জিন : ১৯]

এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় আনলে অতি সহজে হৃদয়ঙ্গম করা যায় যে, উবুদিয়ত বান্দার সম্মানের মুকুট, শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন। তাই সকল কথায় ও কাজে মহান আল্লাহর দাসত্বকে ধারণ করে নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধির রাস্তায় অগ্রসর হওয়া উচিত। এতেই রয়েছে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও শান্তি। যারা বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জনের মাধ্যমে মহানবী সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উলুহিয়্যাতের মর্যাদায় উন্নীত করে তাঁকে যথাযথ মর্যাদা দিচ্ছে এবং তার সঠিক মূল্যায়ন করছে বলে দাবি করছে তারা বাস্তবিক পক্ষেই এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন গুণ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে। কারণ মহান আল্লাহ তাঁকে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানজনক অভিধায় সম্ভাষণ করেছেন, আর তা উবুদিয়ত তথা দাসত্বের সম্ভাষণ।

ومما زادني شرفا وعزا وكدت بأخمصي أطأ الثريا

دخولي تحت قولك يا عبادي وأن صيرت أحمد لي نبيا

মর্যাদার শীর্ষচূড়া ছাড়িয়ে আমি,

যেন সুরাইয়া সেতারা

পদতলে মোর।

পেয়েছি খুঁজে নিজেকে আমি

তব সম্বোধন-ইয়া ইবাদি-র

অভ্যন্তর,

ক্ষুদ্র আমি আরও গর্বিত আজি

পেয়ারা আহমাদকে পাঠিয়েছো

বানিয়ে আমার পয়গম্বর ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন